উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
করোনা হয়তো আর কোনওদিনই যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বিজ্ঞানী, থেকে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক—সকলের মুখে এখন একটাই কথা। করোনাকে নিয়েই বাঁচা শিখতে হবে। পরিষ্কার থাকতে হবে. সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরাই একমাত্র বাঁচার রাস্তা। প্রতিষেধক মিললে সুবিধা হবে। কিন্তু এই রোগকে নির্মূল করা যাবে না। এইডসের মতোই করোনাকে নিয়েই থাকতে হবে। করোনা মুক্ত পৃথিবী এখনও সোনার পাথরবাটিই!
ফুটল বাহারি টিউলিপ
বিশ্বের বৃহত্তম টিউলিপ গার্ডেন এখন উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারিতে। করোনা মহামারীর মধ্যেই প্রকৃতির রঙের খেলা শুরু হল সেখানেও। মুন্সিয়ারির পঞ্চচুলি পর্বতমালার সামনে ফুল ফোটার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতও। ১ হাজার ২০০ বর্গমিটার এলাকায় নেদারল্যান্ডস থেকে এনে প্রায় ৭ হাজার চারা বসানো হয়েছিল।
বাদুড়খেকো বিতর্কে ব্রায়ান
করোনার জন্য ব্রিটেনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে শো বাতিল হয়েছে। পুরো রাগটাই বাদুড়খেকো, পশুবিক্রেতা এবং ভাইরাস তৈরি করা লোভীদের উপর ঝেড়েছেন বিখ্যাত গায়ক-গীতিকার ব্রায়ান অ্যাডামস। ইনস্টাগ্রামে রীতিমতো গালাগাল দিয়ে সকলকে নিরামিষাশী হওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন। এভাবে বাদুড়খেকো বলাটাকে মোটেই ভালোভাবে নেননি চীনারা। ইন্টারনেট উত্তাল হয়ে ওঠে বিদ্বেষমূলক এই মন্তব্যে। হলিউড তারকারাও প্রতিবাদ জানান। এর আগে বিটলসের পল ম্যাকার্টনিও এমনই মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন। বিতর্কের জেরে তাঁর মতোই ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ব্রায়ান। লিখেছেন, তিনি শুধু পশুদের উপর বর্বরতা বন্ধ করতে চেয়েছেন। না, ২০২০-র গ্রীষ্মটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না তাঁর!
অদ্ভুত দাওয়াই সুইডেনের
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই হানা দিয়েছে করোনা। তাই লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ। ব্যতিক্রম সুইডেন। সেখানে সংক্রমণ রয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব জনগণকেই দিয়েছে সরকার। স্কুল-কলেজ, রেস্তরাঁ, সেলুন— সব খোলা। শুধু অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে ও বাইরে সামাজিক দূরত্ব মানতে বলা হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ও ৪ হাজার। এমন আজব পদ্ধতিতে যদি সত্যিই মহামারী ঠেকানো যায়, তবে তার উদাহরণ হয়ে থাকবে সুইডেন।
ট্যাক্সিভাড়া ১০ হাজার
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি চাই? ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে গন্তব্য থাকলে সেডান ট্যাক্সির ভাড়া গুনতে হবে ১০ হাজার টাকা। এসইউভি নিলে তা হবে ১২ হাজার টাকা। স্টেট কর্পোরেশনের নন-এসি বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া এক হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে গন্তব্য ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে। এই ভাড়ার তালিকাই দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ওয়াবসাইটে।
সবেতেই ছাড় ব্রিটেনে
১ জুন পর্যন্ত লকডাউনে ব্রিটেনে। কিন্তু ছাড় দেওয়া হয়েছে প্রায় সবেতেই। সামাজিক দূরত্ব মানলে পিকনিক পর্যন্ত করা যাবে। ফলে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে রাস্তায়। কাজেও ফিরেছেন অনেকে। বাস ও টিউব ট্রেনে অফিসটাইমে বিধি শিকেয় তুলেই ভিড় করছেন মানুষ। পার্ক, গল্ফ কোর্স খুলেছে। সরকার দূরত্ব বজায় রাখার কথা বললেও, কতজন মানছেন— রানিও জানেন না।
বেতন কমালেন রাষ্ট্রপতি
করোনায় জেরবার দেশ। মন্ত্রী, সাংসদ, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ চাকুরে- সকলেরই বেতনে কোপ পড়েছে। এবার সেই তালিকায় নিজের নাম যোগ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আগামী একবছর ৩০ শতাংশ কম বেতন নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এমনকী, রাষ্ট্রপতি ভবনে খাবারের পদ থেকে ফুলের সাজসজ্জা সবেতেই খরচ কাটছাঁট করা হবে। বিদেশ সফর পর্যন্ত কমিয়ে অনলাইনে অধিকাংশ বৈঠক সারবেন তিনি।
পপকর্নের থেকেও দামি
একের পর এক ছবি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার ফলে মাল্টিপ্লেক্স কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রযোজকদের তরজা রীতিমতো বেড়েই চলছে। তার মাঝে ট্যুইটারে সাধারণ মানুষও বেশকিছু মাল্টিপ্লেক্স কোম্পানিকে ট্রোল করতে শুরু করলেন। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর এক বছরের সাবস্ক্রিপশন ফি তো মাল্টিপ্লেক্সে ক্যারামেল পপকর্নের দামের থেকেও কম। তাঁদের আরও দাবি, অতিরিক্ত টিকিটের দাম, অস্বাভাবিক জলের বোতলের দাম মধ্যবিত্তের সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে একপ্রকার স্বপ্নে পরিণত করেছে। যদিও মাল্টিপ্লেক্স কোম্পানির দাবি, তাদের সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার আনন্দ (পড়ুন কোয়ালিটি) কখনও বাড়িতে বসে পাওয়া সম্ভব নয়।
মুরগির মেটে আর বিয়ার
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভ এক যুবক। গোটা এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন। কেউ বেরতে পারছেন না বাড়ি থেকে। অতএব দরকারে অদরকারে ফোন যাচ্ছে মেমারি থানায়। একজন তো মুরগির মেটে ও দু’বোতল বিয়ারের অর্ডার পর্যন্ত দিয়েছেন থানার বড়বাবুকে। হোয়াটসঅ্যাপেও আসছে বাজারের ফর্দ। আধঘণ্টা অন্তর ফোন আসছে, ‘এখনও তো এল না’। নাজেহাল হচ্ছেন পুলিস আধিকারিকরা। পরিস্থিতি সামলাতে মানুষকে সচেতনও করা হয়েছে। তবে ওই মেটে আর বিয়ার পৌঁছেছে কি না, জানা যায়নি।
৭ সপ্তাহ পর সচল হাওড়া স্টেশন
৪৯ দিন অচল ছিল ব্যস্ততম হাওড়া স্টেশন। খালি প্ল্যাটফর্ম, ওয়েটিং রুম—সব মিলিয়ে ভুতুড়ে চেহারা নিয়েছিল বিশাল স্টেশন চত্বর। গত ১২ মে থেকে আবার সেখানে দেখা মিলল যাত্রী ও ট্রেনের। ভেলোরে চিকিত্সা করাতে গিয়ে আটকে পড়া রোগী, তাঁদের আত্মীয় ও পরিযায়ী শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ১,২০০ জন গত মঙ্গলবার ফেরেন হাওড়ায়। সেখান থেকে দিল্লি ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়। স্টেশনের ভিতর থেকে বাইরে চুনের গোল দাগ কেটে যাত্রীদের দাঁড়ানোর জায়গা তো বটেই, বাসে ওঠার স্পট পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আশ্বস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। যদিও জুলাইয়ের আগে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
আশার ইউটিউব চ্যানেল
এবার বাড়ি বসেই দেখা-শোনা যাবে আশা ভোঁসলের বর্ণময় জীবনের অভিজ্ঞতা এবং নতুন গান। গায়িকা নিয়ে এসেছেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘আশা ভোঁসলে অফিশিয়াল’। ১৩ মে আর্ট অব লিভিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা রবিশঙ্করের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে একটি নতুন গান এই চ্যানেলে প্রথম আপলোড করেন আশা। ‘বাড়িতে বসে নাতি-নাতনিদের দেখছি, তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আমার কাছে একটা নতুন জগৎ খুলে যায়। বহু বছর ধরে আমাকে অনেকে বলেছেন, জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে। আমার সময় হয়নি। এখন বাড়িতে বসে মনে হল, এখন সেই কাজটা করা যায়’, বলছিলেন আশা ভোঁসলে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভারত
বাড়ি ফিরতে নাজেহাল। খাবার নেই, জল নেই। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন নিয়েও টালবাহানা আছেই। অগত্যা পায়ে হেঁটে হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি জমাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। রাস্তা চেনেন না অনেকেই। ভরসা সেই রেললাইন। সারাদিন ধরে হেঁটে সেই রেললাইনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ১৬ জন। মালগাড়ির ধাক্কায় সেই ঘুম চিরঘুমে পরিণত হয়েছে। রেললাইনে ছড়ানো রুটির ছবি দেখে শিউরে উঠেছে দেশবাসী। কিন্তু মৃত্যু থামেনি। হেঁটে, ট্রাকে, গাড়িতে, সাইকেলে বাড়ি ফিরতে গিয়ে চলতি সপ্তাহে আরও ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন। লকডাউনে এই সংখ্যাটা ১০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফিরে আসা শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণও ছড়িয়েছে বিহার-ওড়িশায়।
ইলন মাস্কের ছেলের নাম
বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বাবা হয়েছেন প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্ক। ছেলের নাম দিয়েছেন, এক্স আয়ে এ-১২ (X Æ A-12) মাস্ক। মহামারীর মধ্যেও তাই নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। কেন এমন নাম, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিশুর মা গ্রিমস। তিনি জানিয়েছেন, এক্স হচ্ছে অজানা একক। আয়ে হল ভালোবাসা বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন এবং এ-১২ হল ইলন ও তাঁর পছন্দের বিমান, যাতে কোনও মারণাস্ত্র থাকবে না। এরই মধ্যে সেরা ট্যুইটটি করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ইলনের ছেলের নামকে সুরক্ষিত পাসওয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করেছে তারা।
অনলাইনে বিদ্যা
অমিতাভ বচ্চন ও আয়ুষ্মান খুরানা পর এবার বিদ্যা বালনের পালা! ‘গুলাবো সিতাবো’র পর এবার করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যা বালন ও যিশু সেনগুপ্ত অভিনীত ‘শকুন্তলাদেবী’ ছবিটিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে। এদিকে একের পর এক বড় বাজেটের ছবি ওটিটি মাধ্যমে রিলিজ হওয়ায় বেজায় চটেছেন দেশের মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমাহলের কর্ণধাররা।
এর মধ্যেই একটি সর্বভারতীয় মাল্টিপ্লেক্স সংস্থা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তির বিরোধিতা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে প্রযোজকরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করা অর্থ আদায় করতে ভরসা রাখছেন ওটিটির উপরেই।