Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।সুকমল এমনিতেও ভিতু মানুষ। ভয় পায় দেরি করে স্কুলে ঢুকলে পাছে হেডমাস্টারমশাই কিছু বলে বসেন। তাই ফোনটা বাজতে থাকলেও ও কিছুতেই ফোন ধরছিল না। সুজাতাকেও ফোন ধরতে বলার উপায় নেই। ও বাথরুমে। দু’জনে প্রায় একই সময়ে বেরয়। ফোনটা ও ধরছিল না কিন্তু চতুর্থবার ফোনটা রিং হওয়ার পরে সুকমলের মনে হল কিছু একটা হয়েছে। ফোনটা ধরা উচিত। ডান হাতে রেজার। একদিকের গালে সাবান মাখা। সে অবস্থাতেই বাঁ হাতে ও ফোনটা ধরে স্পিকারে দিল। তখনই বড়মা খবরটা দিল। সাধনদা আর নেই। খবরটা শুনে চোখে জল এল না। কিন্তু বুকের মধ্যে অদ্ভুত এক শূন্যতা ও অনুভব করল। বাবা মারা যাওয়ার সময়ও ও প্রথমে কাঁদেনি। কেমন একটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল বুকটা। সাধনদার মৃত্যুর খবরে ও দেখল প্রায় সেরকমই অনুভূতি হচ্ছে ওর।
সুজাতা বাথরুম থেকে বেরলেই সুকমল ওকে খবরটা দিল। থমকে গেল সুজাতা। বলল, চলে গেল? কী হয়েছিল? 
সুকমল বলল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও পায়নি।
সুজাতা বলল, কই, পুজোর সময় তো বোঝাই যায়নি এতটা অসুস্থ! 
ঠিকই। ক’দিন আগেই এ বছরের পুজোতেও সাধনদা যথারীতি পঞ্চমীর দিন হাজির হয়েছিল। ওকে দেখে মনে হয়নি আর ক’দিনই মাত্র ওর আয়ু। সুকমল বলল, বাইরের চেহারায় সবসময় ভেতরের অসুস্থতা ফুটে বেরয় না। 
সুজাতা কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়াল। সুকমলের দশ মিনিট আগেই সুজাতার ট্রেন। ওর স্কুল সুকমলের স্কুলের থেকেও অনেক দূরে। সুজাতা বেরিয়ে যাবার সময় সুকমল দেখল ওর মুখ তখনও থমথমে। হবে নাই বা কেন? ওদের বিয়ে হয়েছে বাইশ বছর। বাইশ বছর ধরে সাধনদাকে সুজাতা দেখছে। মনখারাপ হওয়া স্বাভাবিক। সাধনদাকে সুকমল যে কত বছর ধরে দেখছে তা ওর মনে নেই। মনে হয় বুঝি বা জন্ম থেকেই সাধনদাকে ও দেখছে। আজ আটচল্লিশ বছর ধরেই মনে হয় সাধনদা বুঝি বা একই রকম আছে। মাথায় কাঁচা পাকা চুল। সামনের তিনটে দাঁত নেই। হাত শিরা-ওঠা। মুখে অজস্র বলিরেখা। 
স্কুলে পৌঁছেও সুকমল দেখল শূন্যতার বোধ ওকে ছেড়ে যাচ্ছে না। ক্লাস নিতে নিতে বারবার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছে সে। সাধনদা ওর নিজের দাদা তো নয়ই, পরিবারেরও কেউ নয়। কিন্তু তবুও মানুষটার জন্য বুক হু হু করছে। এর মধ্যেই মা একবার ফোন করেছে ওকে। মা এখন আছে মুম্বইতে, ভাইয়ের কাছে। সাধনদার মৃত্যুতে খুবই ভেঙে পড়েছে মা। ফোনে এমনকী কাঁদছিল। সাধনদার মৃত্যুতে এতখানি বিপন্ন বোধ করছে ওরা সবাই অথচ শেষ কয়েক বছর সাধনদার সঙ্গে ওদের দেখা হতো কেবল পুজোর সময়েই। পঞ্চমীর দিন সাধনদা ঠিক ওদের গ্রামের বাড়িতে হাজির হয়ে যেত। সাধনদার ফোন ছিল না। তাই ওকে খবর দেওয়ারও কোনও ব্যাপার ছিল না। কিন্তু ঠিক পঞ্চমীর দিন এসে হাজির হয়ে যেত সাধনদা। সেই কত কত বছর ধরে। তারপর পুজোর ক’টা দিন একসময় বাবার পেছন পেছন ব্যাগ হাতে করে হাটে যেত সে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বাজারে যেত সুকমলের সঙ্গে। শেষের ক’বছর তেমন কাজকর্ম আর করতে পারত না। ওই সকালবেলা একটু হাটে যাওয়া আর রাত্রিবেলা সদর দরজায় তালা দেওয়া। এই ছিল ওর কাজ। বাকি সময়টুকু নানা গল্পে ভরিয়ে রাখত ও। বিচিত্র সব গল্প। তার কোনটা যে সত্যি আর কোনটা যে মিথ্যে বোঝার কোনও উপায়ই ছিল না। কত কত কথা মনে পড়ছে সুকমলের। ক্লাসে ও মন বসাতেই পারছে না। 
ও যে বেশ অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে সেটা খেয়াল করেছিল নিবেদিতা। থার্ড পিরিয়ডটা অফ ছিল সুকমলের। নিবেদিতারও অফ। সুকমলকে জিজ্ঞেস করল নিবেদিতা, আপনার আজ মুড অফ বলে মনে হচ্ছে। কী হয়েছে?
সুকমল বলল, একজন মারা গেছে। 
নিবেদিতা বলল, কে?
সুকমল বলল, সাধনদা, আমাদের গ্রামের বাড়ির কাজের লোক। 
নিবেদিতা বলল, আপনাদের বাড়িতেই থাকতেন উনি? 
সুকমল বলল, না, না, পুজোর সময় প্রতিবছর আসত। আর নানা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে। আমার বিয়েতে খুব খেটেছিল। 
নিবেদিতা বলল, আজ আমি একটু মাংসের ঘুগনি করে এনেছিলাম। কিন্তু আপনার তো মনখারাপ। আজ নিশ্চয়ই আপনি ঘুগনি খাবেন না। পরে আবার অন্য একদিন বানিয়ে আনব। 
নিবেদিতা এটা করে। মাঝে মাঝেই সুকমলের জন্য নানান খাবার বানিয়ে নিয়ে আসে। বিয়ে করেনি। সারা বছরে একাধিকবার ভারতের নানা জায়গায় বেড়াতে যায় আর নানা ধরনের খাবার বানায়। এ দুটোই ওর শখ। কিন্তু নিবেদিতার ওর জন্য এই খাবার বানিয়ে নিয়ে আসা নিয়ে মাঝে মাঝে খুবই সংকোচ বোধ করে সুকমল। টিফিনের সময় স্টাফরুমে সকলের সামনেই ওর জন্য আলাদা করে বানিয়ে আনা খাবার সুকমলকে দেয় নিবেদিতা। এক-একদিন এমন হয় যে, নিবেদিতার বানিয়ে আনা খাবার খাওয়ার জন্য বাড়ির টিফিন স্টেশনের ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয় সুকমলকে। কারণ, বাড়িতে টিফিন ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া বিপদের। একটা সময় কিছুদিন রাঁধুনি রেখেছিল সুজাতা। কিন্তু, কারওর রান্নাই ওর পছন্দ হতো না। তাই একে একে সবাইকেই ছাড়িয়ে দেয়। এখন খুব ভোরে উঠে নিজেই রান্না করে সুজাতা। নিজের আর সুকমলের টিফিনও বানায়। সেই টিফিন না খেয়ে সুকমল নিবেদিতার আনা টিফিন খেয়েছে এ কথা জানতে পারলে সুজাতা যে কুরুক্ষেত্র বাঁধাবে বাড়িতে, তা সে জানে। তাই যেদিন নিবেদিতা টিফিন আনে ওর জন্য, সুজাতার বানানো টিফিন স্টেশনের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া ওর আর অন্য কোনও উপায় থাকে না। মাঝে মাঝেই ও ভেবেছে, ওর জন্য নিবেদিতা যে টিফিন বানিয়ে আনে সেটা ওর সুজাতাকে জানানো উচিত। সুজাতাকে এটা না জানিয়ে ও অন্যায় করছে। কিন্তু ভয়েই ও আজ পর্যন্ত সুজাতাকে কথাটা বলে উঠতে পারেনি। এদিকে নিবেদিতাকে যে টিফিন আনতে নিষেধ করবে সেই সাহসও সুকমলের নেই। ও জানে ওর জন্য নিবেদিতার এই টিফিন আনা নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে ফিসফাস কথাবার্তা হয়। নিবেদিতা সেসবকে পাত্তাই দেয় না। সুকমলকে মাঝে মাঝে দু-একজন দু-একটা বাঁকা কথা শোনালে ও চুপ করেই থাকে।
সুকমল বেশ অনেকক্ষণ চুপ করে আছে দেখে নিবেদিতা বলল, মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু জানেন তো, মৃত্যুই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। এবং মৃত্যু সহ্যও হয়ে যায়। 
তা ঠিক। ভুল বলেনি নিবেদিতা। বাবাকে হারিয়ে ওরা দুই ভাই আর মা তো দিব্যি বেঁচে আছে। জেঠুকে হারিয়ে ওর জেঠতুতো বোন আর জেঠিমা মানে বড়মাও তো জীবনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। শোকের আয়ু স্বল্প। কিন্তু বেদনার নয়। মৃত্যু এমন এক বেদনার জন্ম দেয় যা মানুষ অনেকদিন পর্যন্ত বহন করতে থাকে। বাবা বা জেঠুর মৃত্যুর বেদনা ওরা এখনও বহন করছে বইকি! সুকমল জানে সাধনদার মৃত্যুর বেদনাও দ্রুত অন্তর্হিত  হবে না। 
সন্ধেবেলা মা সুকমলকে বলল, তোর একবার বেলিয়াতোড় যাওয়া উচিত। সাধনের স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে আসা দরকার। 
কথাটা ভুল বলেনি মা। এত বছরের সম্পর্ক। সাধনদার অবর্তমানে ওর পরিবারকে কিছুটা সাহায্য তো করা দরকার অবশ্যই। সাধনদার বাড়ি বারবেঁধা। ওদের গ্রাম বেলিয়াতোড়ের থেকে খানিকটা দূরে ছোট্ট আরেকটা গ্রাম। কিন্তু সে গ্রামে আজ পর্যন্ত কোনওদিন যায়নি সুকমল। ও ঠিক করল রবিবার দিন বারবেঁধা যাবে। 
রবিবার সকাল সকাল বেলিয়াতোড় পৌঁছে গেল সুকমল। দেখল, ও সাধনদার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বড়মা খুবই খুশি হয়েছে। অনর্গল বলে চলেছে সাধনদার কথা। যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে সাধনদা কীভাবে বারবার বাজারে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পান-সিগারেট কিনে এনে দিত, সে কথা বলছে। ছোটদের কীভাবে ভূতের গল্প শোনাত সাধনদা, বলছে সে কথা। বলছে একবার ওদের গ্রামের যাত্রায় অভিনয় করতে গিয়ে যে-ডায়লগ ও মাত্র একটিবার বলেছিল কীভাবে প্রতিবার সুকমলদের বাড়িতে এসে সেই ডায়লগ ও প্রতি বছর সবাইকে শোনাত, সে কথাও। সুকমলের মনে পড়ল একটা অদ্ভুত রহস্যজনক গল্প বলত সাধনদা। মাঝে বছর তিনেক পুজোর সময় সাধনদা আসেনি। তারপরে হঠাৎ উদয় হয়। সুকমলরা অবাক হয়ে গিয়েছিল। সাধনদা তিন বছর কেন বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল জিজ্ঞেস করায় ও অম্লান বদনে বলেছিল, চলে গিয়েছিল ভিয়েতনাম। শুনে চমকে উঠেছিল সুকমল। বলেছিল, ভিয়েতনাম গেলে কী করে? তোমার কি পাসপোর্ট আছে নাকি? উত্তরে যে গল্প বলেছিল সাধনদা তা রীতিমতো রহস্যজনক। এক আড়কাঠি নাকি ওকে বাঁকুড়া থেকে ধরে নিয়ে পাচার করে দিয়েছিল ভিয়েতনামে। সেখানে ওকে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতে হতো। ভিয়েতনামে কাজ করা এক বাঙালি পুলিস অফিসার তাকে উদ্ধার করে এবং তারপর সেই অফিসারের দয়াতেই নাকি সাধনদা আবার বাঁকুড়ায় ফিরে আসে। সুকমলরা যখন ওকে জিজ্ঞেস করত, আচ্ছা, বল তো প্লেনের ভেতরটা কীরকম দেখতে, ও বলতে পারত না। যখন বলত, দেখাও তো তোমার পাসপোর্ট, তখন বলত, পাসপোর্ট নাকি কেড়ে নিয়েছিল ভিয়েতনামের ওই দালাল। ওদের নানা প্রশ্নের সদুত্তর সাধনদা কিছুতেই দিতে পারত না ঠিকই, কিন্তু নিখুঁত বর্ণনা দিত ভিয়েতনামের রাস্তাঘাটের। শুনে মনে হতো ও বুঝি সত্যিই ভিয়েতনামে ছিল। সাধনদার ওই তিন বছর উধাও হয়ে যাওয়ার আসল কারণ যে কী তা ওর কথাবার্তা থেকে কিছুতেই স্পষ্ট হতো না। বোঝাই যেত না যে, ও সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে বলছে। আসলে ওকে অবিশ্বাস করার কারণও ছিল। একবার ও এসে জানায়, ওর ঘরদোর নাকি হাতি ভেঙে দিয়েছে। ওই অঞ্চলে হাতির উৎপাত প্রবল। কাজেই ওরা সবাই সাধনদার কথা বিশ্বাসই করেছিল। পরে সাধনদার গ্রামের গণেশদা বলেছিল, হাতি ওদের গ্রামে এসেছিল সত্যি। কিন্তু সাধনদার বাড়ি হাতি একেবারেই ভাঙেনি। ও নাকি নিজেই পাঁচিলের কিছুটা অংশ ভেঙে দিয়েছিল যাতে হাতি বাড়ি ভাঙলে পঞ্চায়েত যে টাকা দেয়, সেই টাকাটা ও পায়। গণেশদাকে সাধনদার ভিয়েতনাম যাওয়া নিয়েও জিজ্ঞেস করেছিল সুকমল। কিন্তু এ বিষয়ে গণেশদাও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি। সাধনদার ভিয়েতনাম যাওয়ার গল্পটাকে সুকমলরাও তাই শেষ পর্যন্ত একটা মজার খেলা হিসেবেই নিয়েছিল। পুজোর সময় নতুন বন্ধুবান্ধবরা এলে ওরা সাধনদাকে বলত ওর ভিয়েতনাম যাওয়ার গল্পটা শোনাতে। সাধনদা গড়গড় করে মুখস্থ বলার মতো একই গল্প বলে যেত। বন্ধুরা মজা পেত। মজা পেত সুকমলরাও। আজ হঠাৎ সুকমলের মনে হচ্ছে, সাধনদা সত্যিই ভিয়েতনাম গিয়েছিল কি না সেটা ওর স্ত্রীর কাছ থেকে আজকে জেনে নেওয়া যাবে। সাধনদার জীবনের একটা বড় রহস্য অন্তত ওর মৃত্যুর পরে স্পষ্ট হওয়া দরকার। সুকমল আরেকটা সিদ্ধান্তও নিল। যদি দেখা যায় সাধনদা সত্যিই ভিয়েতনামে গিয়েছিল, তাহলে ও সুজাতাকে নিবেদিতার ওর জন্য টিফিন বানিয়ে নিয়ে আসার বিষয়টা জানাবে। সুজাতার কাছ থেকে এই ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে ওর মনের ওপর ভীষণ চাপ পড়ে। 
ভাড়া গাড়িতে সুকমল যখন বারবেঁধায় সাধনদার বাড়ি পৌঁছল, তখন সন্ধে হব হব। সাধনদার মৃত্যুতে ওর দুই ছেলে এবং স্ত্রী খুব একটা যে ভেঙে পড়েছে তেমনটা মনে হল না। সুকমল কুড়ি হাজার টাকার নোটের একটা বান্ডিল সাধনদার স্ত্রীর হাতে দিয়ে বলল, জীবিত অবস্থায় সাধনদার জন্য তেমন কিছু তো করতে পারিনি। এই টাকাটুকু রাখুন বউদি। হয়তো আপনাদের কাজে লাগবে। 
টাকাটা পেয়ে সাধনদার স্ত্রী খুবই খুশি হয়েছে মনে হল। মা-বড়মার খবর নিল। কথাবার্তা আরেকটু এগতেই সুকমল জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা বউদি, সাধনদা প্রায়ই আমাদের বলত ও একবার বছর তিনেকের জন্য ভিয়েতনামে গিয়েছিল। সত্যিই গিয়েছিল কি? 
সাধনদার স্ত্রী বলল, আমি জানি নাই। উ একবার অনেক দিনের লাগ্যে ঘরে ফিরে নাই। কুথায় ছিল জানি নাই। মাঝে মাঝেই লোকটা হাপিশ হঁয়্যে যেত, আবার ফিরত। উর অত খবর রাখতাম নাই।
শুনে অবাক হয়ে গেল সুকমল। সাধনদার নিজের স্ত্রীও জানে না ও সত্যি সত্যিই ভিয়েতনামে গিয়েছিল কি না। একটা লোক এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল, অথচ তাকে ঘিরে থাকা একটা রহস্যের সমাধান হল না। একটা সত্য জানা গেল না। 
বারবেঁধা থেকে বেলিয়াতোড় ফেরার সময় সুকমল দেখল মধ্য-হেমন্তেই রাস্তার দু-পাশে ঘন কুয়াশা জমতে শুরু করেছে। একটু এগতেই কুয়াশার ওপাশে বারবেঁধা বলে যে একটা গ্রাম আছে আর মনেই হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল কুয়াশা গ্রামটাকে মুছেই দিয়েছে একেবারে। ধূসর ঘন কুয়াশার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সুকমল ঠিক করল নিবেদিতার বিষয়টা সুজাতাকে জানাবে না। ওর মনে হল, পৃথিবীর কিছু কিছু সত্য মাত্র কয়েকজন লোকই জানে। হয়তো বা একজনই জানে। সকলে জানে না। জানার প্রয়োজনও নেই। কিছু কিছু সত্য কুয়াশার আড়ালে থাকাই ভালো। 
10th  November, 2024
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে

...

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই সংকল্প নেন। পিভি সিন্ধুও ব্যতিক্রম নন। প্রত্যাবর্তনে মুখিয়ে তারকা শাটলার। সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ভেঙ্কট দত্তা সাইয়ের সঙ্গে সদ্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন। গ্ল্যামারের ...

দাবানলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত আমেরিকার লস এঞ্জেলস। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৬ জন। ঘরছাড়া দেড় লক্ষের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি বাড়ি। ...

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে সংঘাতের আবহে এবার বাংলাদেশকে পাল্টা চাপ দিল ভারত। রবিবার এই নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের বিদেশ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিনহাটায় বাড়ির সামনেই খুন হলেন ২ জন
দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হলেন দু’জন। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

11:02:00 PM

চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির বাসভবনে জরুরি মিটিং, উপস্থিত দলীয় বিধায়করা

10:55:00 PM

চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:48:00 PM

যশপুরে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই

10:36:00 PM

ভরসন্ধ্যায় রিষড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত, মৃত্যু

10:32:00 PM

খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫: দিল্লিতে কোরিয়াকে হারাল ভারতীয় মহিলা দল

10:24:00 PM