Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কাঠের আলমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অভিজিৎ তরফদার।

দেওয়ালের খানিকটা চারপাশের তুলনায় বেশি সাদা। সেইদিকে আঙুল দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এইখানে কাঠের আলমারিটা ছিল না? 
—মনে আছে তোর? ছিলই তো। 
—গেল কোথায় আলমারিটা? 
দু’হাত তুলে উড়ে যাবার ভঙ্গি করে মা বলল, ভ্যানিশ। 
অবাক হয়ে গেলাম। অত বড় আলমারিটা ভ্যানিশ? 
মা প্রাঞ্জল করল, সোনার কেল্লা দেখিসনি? ভ্যানিশ। 
—কে নিয়ে গেল? চোরে? 
—বলতে পারিস। তবে এই চোরকে ধরতেও পারবি না, জেলেও পুরতে পারবি না। 
—হেঁয়ালি রেখে আসল কথা বল। 
—কাজের মেয়েটা বলল, দিনরাত আলমারির ভেতর কুরকুর আওয়াজ হচ্ছে। পেছনে কাঠের গুঁড়ো জমছে। মনে হচ্ছে উই ধরেছে। ডাকা হল কাঠের মিস্তিরি। মিস্তিরি এসে সামনের পাল্লাটা ধরে যেই খুলতে গেছে... বিশ্বাস করবে না, পুরো আলমারিটা ঝুরঝুর করে গুঁড়ো হয়ে মাটিতে মিশে গেল। পড়ে রইল শুধু সামনের পাল্লার কাচের অংশটুকু। 
নিঃশ্বাস বন্ধ করে জিজ্ঞেস করলাম, আর আলমারির ভিতরের জিনিস? সেগুলোর কী হল? 
—যা কিছু ছিল সমস্ত উইয়ের পেটে। কিচ্ছুটি পড়ে নেই। 
চুপ করে গেলাম। মনে পড়ল ছোটবেলার কথা। বাড়িতে তখন আলমারি বলতে ওই একখানাই। মূল্যবান যা কিছু, তা সে টাকাপয়সা-গয়নাগাটিই হোক, আর দরকারি কাগজপত্র, আলমারিতেই জায়গা পেত। কিছুদিন পর সংসার সুখে না বাড়ুক সংখ্যায় বাড়ল। একটা বড় স্টিলের আলমারি ঢুকল বাড়িতে। ঘর যেহেতু মোটে দু’খানা। কাঠের আলমারির পাশেই জায়গা হল স্টিলের। তবে তার আভিজাত্য বেশি। মূল্যবান জিনিস সবই কাঠের আলমারি থেকে স্টিলের আলমারিতে স্থানান্তরিত হল। আর কাঠের আলমারি চলে এল আমাদের জিম্মায়। 
জিম্মায় বলাটা ঠিক হল না। কারণ ওর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড লিটারেচার-এর বিশ খণ্ড ‘বুক অব নলেজ’ জায়গা পেল। জায়গা পেল ‘শরৎ সমগ্র’, নারায়ণ সান্ন্যালের ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘আমি নেতাজিকে দেখেছি’, দানিকেনের লেখা দু’ তিনটে সাড়া জাগানো বই। মুশকিল একটাই, আলমারির চাবিটা রাখা থাকত আলমারির মাথায়, আর সেখানে আমাদের হাত পৌঁছত না। অবশেষে যেদিন হাত আলমারির মাথা ছুঁল অর্থাৎ চাবিটা হস্তগত হল, সেদিনটাকেই আমাদের শৈশবত্বের অন্তিম দিন বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে আমি, তারপর ভাই বাল্যে উপনীত হলাম। 
আলমারিটা কিন্তু আর বাড়ল না। একসময় আমাদের মাথা আলমারির উচ্চতায় উঠে এল, তখন আমরা আলমারির ছাদে রাখা চাবি ছাড়াও ভুল করে রাখা অন্যান্য জিনিসও অক্লেশে গুঁজে দিচ্ছি। আলমারির ভিতরটাও আর নতুন বইয়ের জায়গা দিতে পারছে না, ঠিক হল, এবারে শুধু বইয়ের জন্য একটি দেওয়াল আলমারি না হলেই নয়। কাঠের আলমারি থেকে অনেক বই একসময় দেওয়াল আলমারিতে জায়গা পেয়ে উঠে গেল। 
—কী ভাবছিস? 
মায়ের কথায় অতীত থেকে ফিরে এলাম। 
—তোমার কিছু মনে নেই না? 
মা বিরক্ত হল। আজকাল সকালের কথাও বিকেলে ভুলে যায়। তবু ‘মনে নেই’ শুনলে রাগ করে। 
—কোনটা মনে নেই? 
—আলমারিতে কী রাখা ছিল? 
—কী আর থাকবে? ছিল কিছু বই। 
—বই তো ছিলই। তার সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু সার্টিফিকেটও ছিল। 
মনে পড়ল, বছর খানেক আগেও মা আলমারি খুলে ফাইলের পর ফাইল কোলে নিয়ে বসত। একটা করে ফাইল খুলত আর ভিতর থেকে টেনে টেনে বের করত সার্টিফিকেট। 
—এইটা তুই পেয়েছিলি জুনিয়ার রেডক্রশে বেস্ট ক্যাম্পার হয়ে। এইটা রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে ডিবেট করে। এই দুটো বিড়লা মিউজিয়ামে সায়েন্স সেমিনারে পাওয়া। মনে পড়ছে আবৃত্তি করতে গিয়ে একটা লাইন বাদ পড়ে গিয়েছিল। তাও সেকেন্ড প্রাইজ পেয়েছিলি? 
ভাইয়েরগুলোও। প্রতিটা পুরস্কার, প্রতিটা সার্টিফিকেট সমস্ত ইতিহাস সঙ্গে নিয়ে অতীত থেকে উঠে আসত। জানলা দিয়ে আসা রোদ সার্টিফিকেটের চকচকে কাগজে ঠিকরে মা-র মুখে গিয়ে বসত। সেখানে টলটল করত সুখস্মৃতি। উদ্ভাসিত মুখে একটার পর একটা সার্টিফিকেট উল্টে যেত মা। আঁচলে মুছে আবার ফাইলবন্দি করত। 
মা’র দিকে তাকালাম। 
—কী বলো? 
—আমি যে পারলাম না।
মা’র চোখে জল। 
—কী পারলে না? 
—তোদের সার্টিফিকেটগুলো আমার জিম্মায় রাখতে দিয়েছিলি। আমি যে নষ্ট করে ফেললাম! 
উঠে গিয়ে মা’র পিঠে হাত রাখলাম, —কী বলছ আবোলতাবোল? চলো, বাইরে চলো। 
বারান্দায় পাশাপাশি বসে মা’র একটা হাত হাতে নিয়ে বললাম, কে বলেছে আমাদের সার্টিফিকেট? ওগুলো আমাদের আর কোন কাজে লাগবে? ওইসব সার্টিফিকেটই তোমার। মনে আছে যেখান থেকেই পাই, এনে তোমার হাতেই তুলে দিতাম। যত্ন করে তুলে রাখতে। উল্টেপাল্টে দেখতে। 
তোমার জিনিস, তোমার হাতেই গেল। এতে দুঃখ পাবার কী আছে? 
—তবু! তোর বাচ্চারা, তাদের ছেলেমেয়েরাও তো দেখতে পেত। 
—দেখত না মা। তাদের নিজস্ব জগৎ। তাই নিয়েই তারা ব্যস্ত। বরং তাদের সার্টিফিকেট আমরা যখন বুড়ো হব, উল্টেপাল্টে দেখব। জড়িয়ে ধরে বসে থাকব। 
মা কিছুটা শান্ত হল। উঠে গেল খাবার সাজাতে। 
চোখ গেল দেওয়ালের ফাঁকা জায়গাটায়। যেখানে কাঠের আলমারিটা ছিল, সেখানে দেওয়ালের রং একটু বেশি সাদা। বাইরের ধুলোবালি থেকে দেওয়ালটাকে আলমারিটাই তো আড়াল করে ছিল। 
আজ থেকে ষাট বছরেরও বেশি আগে চলতে শুরু করেছিল মা। মা আর বাবা। চলার পথে একসময় বাবা পিছিয়ে পড়ল। তারপর একা মা। ভাই দূরে থাকে। আমিও কাছে থাকতে পারি না। তবুও মা যে এতখানি পথ পার হয়ে আসতে পেরেছে তার একটা বড় কারণ নিশ্চয়ই সান্নিধ্য। যে সান্নিধ্য দিয়েছে অনেক কিছুর মতো, ওই কাঠের আলমারিটাও। 
আলমারির পাল্লার আড়ালে, বইপত্রের ভাঁজে ভাঁজে, থেকে গিয়েছিল কিছু ফাইল। ফাইলের ভিতর সার্টিফিকেট... সার্টিফিকেট নয়, ফাইলের দু’ মলাটের ভিতর থরে থরে সাজানো ছিল স্মৃতি। সেই স্মৃতি উল্টেই এতগুলো বছর অতিক্রম করেছে মা। স্মৃতিও মাকে ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। কী পড়ে রইল তবে? 
আলমারির রেখে যাওয়া ফাঁকা জায়গাটা আর একবার দেখলাম। মা আজকাল সবই ভুলে যাচ্ছে। বিস্মরণের আস্তরণ একসময় আলমারির অস্তিত্বকেও ঢেকে দেবে। হারিয়ে যাবে আলমারি তার সমস্ত ফাইল আর সার্টিফিকেটের স্মৃতি নিয়ে। এক প্রশান্ত বিস্মৃতি মা’র ভিতর থেকে প্রতিটি দুঃখময় স্মৃতি মুছে দেবে। মা ভুলে যাবে মা’র জিম্মায় থাকা কিছু কাগজের হারিয়ে যাবার কথা। 
ভালো থেকো মা! ভুলে থেকো।        
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
13th  December, 2020
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। বিশদ

03rd  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। বিশদ

20th  December, 2020
চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
মহাশয় যা শুনিলেন
অমর মিত্র

তরুণ লেখক বন্ধুকে আমি ফোন করলাম দুপুর গড়িয়ে এলে। ভাবলাম ফোন কি ধরবে? আমার বয়স হয়েছে। কোভিডের ভয়ে আট মাস নিভৃতযাপন করছি। বাড়ি থেকে বের হই না বড় একটা। হাঁটা হয় বেশ ভোরে, তাও এই ক’দিন। আগে ছাদে আকাশের নীচে হাঁটতাম। সারাদিন করব কী? সকালে কাগজ কলম নিয়ে মানে ল্যাপটপ খুলে বসি। আগডুম বাগডুম লিখি। বিশদ

13th  December, 2020
একনজরে
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয়বার টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ভারতীয় দলকে কুর্নিশ জানালেন প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। ...

বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে আর হারাতে নারাজ একসময়ের বামদুর্গ বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বঞ্চিত মানুষজন। ...

সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে ভর্তুকিতে খাওয়ার দিন ফুরতে চলেছে। দামি হচ্ছে ওই ক্যান্টিনের খাবার। মোটামুটি বাজার দরেই তা কিনে খেতে হবে সাংসদদের। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভার ...

একাকী বৃদ্ধা শুয়ে হাসপাতালে। চিকিৎসা খরচ কীভাবে মেটাবেন, তা ভেবেই ঘুম উড়েছিল তাঁর। সাহায্যে এগিয়ে এল মহেশতলা পুরসভা। জেলার স্বাস্থ্যসাথী সেলে ফোন করার একদিনের মাথায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৯২ - আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯৩৪ - আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪ - বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫ - তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৩৬ টাকা ৭৪.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৯০ টাকা ১০১.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৮ টাকা ৯০.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৮২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪২৭, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, সপ্তমী ১৭/১২ দিবা ১/১৬। রেবতী নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১২/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৫১, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৬ গতে ৩/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪২৭, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, সপ্তমী দিবা ১/৪০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৭ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৯ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শপথ নিলেন বাইডেন ও কমলা
 

৪৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন। পাশাপাশি ...বিশদ

10:29:36 PM

সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা 

10:22:12 PM

বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের ...বিশদ

04:11:18 PM

আজ মালদিভে পৌঁছলো ভারত সরকার প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন

03:55:00 PM

আজ ভুটানে পৌঁছলো ভারতের প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন

03:52:00 PM

বিজেপি-তে যোগ দিতে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ দিল্লিতে

03:44:10 PM