Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। তবে কিছু যে আছে এবং সেটা ম্যাজিকের বাক্সের মতো, তা সে আবছা বুঝতে পারে। মা বলে, ছোটবেলায় যমে-মানুষে টানা টাইফয়েডের জন্যে নাকি তার মাথা কমজোরি। ছোটবেলায় যখন মায়ের হাত ধরে শেয়ালদা ইস্টিশনে নামত, তক্ষুনি তার মনে হতো সার্কাসের বাঁশি বুঝি বেজে উঠল— এই বার আসল খেলা! যতদিন সে  মাসির বাড়ি  থাকত, রোজই মনে হতো সেটাই যেন শুরুর বাঁশি বাজার দিন— এইবার খেলা শুরু হবে। সেই খেলা কখনওই শুরু হতো না।  রাকা বারবার ফিরে আসতে চাইত খেলাগুলো দেখবে বলে। 
মাসি বহুবার ডাকলেও মালতীপুর থেকে কলকাতায় গিয়ে থাকা নিয়ে মায়ের বরাবর আপত্তি ছিল। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে দাদা একেবারে তালুইমশাই হয়ে বসল। তিনটে অপোগণ্ড বাচ্চা আর খান্ডারনি বউ নিয়ে দাদা নিজেও যে লেজে-গোবরে হয়ে আছে সেটা বোকা হলেও বুঝতে পারত রাকা। বাবা বেঁচে থাকতে মা তাকে আগলে আগলে রাখত।  বাইশ বছর বয়স পর্যন্ত রাকা সকাল আর রাতের মাঝের সময়টুকু  কাটিয়েছে মাছ ধরে, ফুটবল খেলে। গাঁয়ে তার বাবার মুদির দোকান ভালোই চলে বটে কিন্তু বাবা মরে যেতে তার দখল নিয়ে নেয় দাদা। তাতে সস্তার বেবিফুড থেকে আলু, পেঁয়াজ পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর, দাদা তাকে বহুবার দোকানে বসতে বলেছে। মায়ের মুখঝামটা আর বউদির গঞ্জনার চোটে তাকে শেষতক দোকানে বসতে রাজি হতে হয়। কিন্তু ছেলেবেলার টাইফয়েডের কারণেই হোক বা যাই হোক- ক্যাশ মেলাতে গিয়ে মাথাটা যেন ঘুমিয়ে পড়ত তার। তাই দিন তিনেক পরেই সে বুঝে গেল, এ কাজ তার দ্বারা হবে না। এই সময় কলকাতা থেকে মাসি এল মায়ের তত্ত্ব-তল্লাস নিতে। মাসি চালাক মানুষ। সেই কোন কালে মেসো মারা গিয়েছে দুই মেয়ের জন্ম দিয়ে। চার বাড়ি রান্না করে, শাড়িতে ফলস বসিয়ে, সোয়েটার বুনে দুই মেয়ের ভালো বিয়ে দিয়েছে। রান্নার কাজ ছেড়ে দিলেও বাড়িতে বসেই মাসে না-হোক পাঁচ-ছ’হাজার রোজগার করে সোয়েটার বুনে। ভয়ানক দজ্জাল আর মুখফোঁড় মাসি একাই তিনটে ব্যাটাছেলের মহড়া নিতে জানে।  
তো সেবার, মাসি এসে হাজির পুজোর আগে আগে। দুপুরে মায়ের নিরিমিষ্যি হেঁশেলে খেয়ে উঠে পান মুখে দিয়ে বসে পাড়ল আসল কথা। মাসি দজ্জাল হলেও লোক খারাপ নয়। দুপুরে পান মুখে দিয়ে,বউদির সামনেই বলে বসল, রাকাকে আমায় দিবি দিদি? আমার তো ছেলে নেই। একা বেওয়া মানুষ। জ্বর হলে মুখে জল দেওয়ার কেউ জোটে না। বউদি কথা পড়তে দেয় না, ‘কী বল মাসি! দু-দুটো মেয়ে তোমার...অমন সব সোনার চাঁদ জামাইরা থাকতে তোমার আবার জনের অভাব?’
‘তা যদি বল, বিয়ের পর মেয়েরা পর। জামাইদের কথা যদি তোলো বাছা, ওরা সব পরের ছেলে আর কথায় আছে জন, জামাই, ভাগনা তিন নয় আপনা।’
বউদি কুঁদুলে হলেও মাসির সঙ্গে পেরে উঠবে কেন? সংসার থেকে রাকার মাইনাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বউদিও বেশি কথা বাড়ায়নি। মা দু’ফোঁটা চোখের জল ফেললেও রাকাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে যায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে। সেই থেকে রাকা কলকাতায়। আহা! এখানে রোজ সেই খেলা শুরুর সাইরেন আর সেই সঙ্গে উপরি মিলে গেল বুলি। মাসির পাশের বাড়িতে থাকে বুলিরা। বাড়ি মানে দু-কামরার ঘুপচি। বুলি প্রায়ই মাসির কাছে আসে। কুটনো কুটে দেয়, চায়ের জল বসায়, গল্প-গুজব করে। রাকার কথা জানত। মাসিই সাতখানা করে সে কথা বলেছে তাকে— ‘বোনপোটা গ্রামে বসে বসে বয়ে যাচ্ছিল, বুঝলি! তাই নিয়ে এলাম। শহর-বাজার এলাকা। যা হোক কিছু জুটে যাবে আর না হলে আমি তো রইলাম।’ প্রথমটায় তাকে দেখে বুলি মুখে কিছু বলেনি। কিন্তু মুখখানা তাকে দেখলে যে বেজার হয়ে যায় তা ঠিকই নজর করেছিল রাকা। 
ঘরে বসে বসে দিন কাটাতে দিল না তাকে মাসি। রাকা কাজ পেল পাশের ফ্ল্যাটের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে। মাইনে পাঁচ হাজার টাকা। মাধ্যমিক পাশ অবধি তো দৌড়— এর বেশি আর কী-ই বা জুটবে! এমন সময়, মিত্তিরদের কুড়ি বছরের ড্রাইভার কাজ ছেড়ে দেওয়াতে তারা সেন্টার থেকে লোক আনা শুরু করল। ওদিকে সে গাড়ি মুছবে না, নতুন কাজ নিল সে। সপ্তাহে তিন দিন গাড়ি ধোওয়া-মোছা। এসবের মধ্যেই , বুলিকে দেখত রাকা। বুলির বিদ্যে ছয় ক্লাস পর্যন্ত। মা মারা গেছে জন্ম দিয়েই। বাপটা সারাদিন পান-সিগারেট বেচে আর রাতে ধেনো টেনে পড়ে থাকে। 
রাকা মনে মনে বুলিকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখত না, তা নয়। কাঁচা বয়সের তো একটা ধর্ম থাকেই। বলতে নেই, বুলিকে দেখতেও বেশ ঢলঢল। তবে গোল বেঁধে আছে অন্য জায়গায়। মেয়েটা কেন কে জানে রাকাকে দেখলেই খ্যাপা কুকুরের মতো রেগে ওঠে আজকাল। ঘটনাটা যেদিন ঘটে, সেদিন ছিল রবিবার। রবিবার একটু দেরি করে সে কাজে যায়। সেদিন রাকা একটু গড়াচ্ছিল বিছানায়। মাসি বাজারে। এমন সময় তিনি এসে উদয় হলেন। সদ্য স্নান সারা, গোলাপি ছাপা শাড়িতে বুলিকে দেখে বেশ ঘোর লাগছিল রাকার। ঠিক যেন তাদের মালতীপুরের যমুনা টকিতে বহুকাল আগে দেখা, ‘আশ্রিতা’ সিনেমার মিঠু মুখার্জি! এই সব ভেবে বেশ পুলকই জাগছিল রাকার। এমন সময় বুলি খরখরিয়ে উঠল, ‘এত বেলা পর্যন্ত পড়ে পড়ে দামড়া ছেলে ঘুম মারে, এই প্রথম দেখলুম! তা আজকাল নেশা-ভাং ধরা হয়েছে নাকি বাবুর?’ বুলির কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার পেতে অভ্যস্ত হলেও, সেদিন সদ্য ঘুম-ভাঙা রাকার হেব্বি রাগ হয়ে গেল, ‘এই শোনো, তুমি এত ফালতু কথা বল কেন বলত? কে তোমাকে এ বাড়িতে যেচে এসে এত ফোঁপর দালালি করতে বলেছে?’ বুলিও এত সহজে হেরে যাওয়ার পাত্রী নয়, ‘বলেছি বেশ করেছি! এহ! মাসির পয়সায় নবাবি করবে আর বড় বড় কথা। দারোয়ানি করে ক’পয়সা মাইনে পাও? শুনি?’
 ‘কে তোমাকে দালালি করতে বলেছে? কেটে পড়ো মানে মানে।’ 
 বুলিও ছেড়ে দেওয়ার মেয়ে নয়। সেও সুর চড়িয়ে জবাব দিয়ে দেয়, ‘ওসব ফালতু বাতেলা আমার জানা আছে। আবার বলছে, দালালি করি! অন্যের পা ধোওয়া গাড়ি মোছার চেয়ে ঢের বেশি ভালো।’ বলেই যেই সে পেছন ঘুরেছে, রাকা অমনি বাঘের মতো লাফিয়ে একটান তার চুল ধরে। তারপর যা হল, তাকে আর যাই হোক মারামারি বলা যায় না! বুলি গোড়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও হাল ছাড়ে বটে তবে তার আগে বিস্তর আচঁড় কেটে দেয় রাকার হাতে, মুখে, গলায়। তারপর বুলি পগারপার হয়েছে,  মাসি বাজার নিয়ে ফিরেছে, রান্না করেছে কিছুই খেয়াল করতে পারেনি রাকা। আনমনে নিজেকে গালিগালাজ করতে করতে চা নিয়েছিল, স্নান সেরে খেতে বসেছিল। তবে যতই যাই হোক মাসির চোখ এড়ানো এত সহজ কাজ নয়। তাই যখন সে ভাতের সঙ্গে শুক্তো,ডাল, আলু পোস্ত একসঙ্গে মেখে গরাস তুলছিল, মাসি জানতে চাইল, ‘কী হল রে?’
‘কীসের কী হল?’
‘এমন দুধ দিয়ে,বড়ি দিয়ে শুক্তো রাঁধলুম, পোস্ত করলুম, ভাজা মুগের ডাল করলুম— সব যে এক সঙ্গে মুখে দিচ্ছিস বড়? কী হয়েছে বল দিকি বাপ? সকাল থেকে এট্টু যেন আনমনা দেখছি তোকে।’
‘কিছু না মাসি। ভাবছি ভাইপো-ভাইঝিগুলোকে বহু দিন দেখি না। একবার যেতে হবে গাঁয়ে। ছুটির কথা বলব গিয়ে বাবুদের।’
‘অ। তা দাদার ছায়েরা একেবারে স্বর্গে বাতি দেবেখন তোমার। আমি ভাবি,কী না কী!’ 
নিজেকে খুন করতে ইচ্ছে করছিল বড়। এমন একটা কাণ্ড যে, সে নিজে ঘটাতে পারে কিছুতেই সেটা মেনে নিতে পারছিল না। হায় হায়! শেষে একটা মেয়ের সে চুলের মুঠি ধরেছে! জোর করে চুমু খেয়েছে! বাড়িতে দাদা কক্ষনও বউদির গায়ে হাত তোলেনি। বাবাও মেয়েদের ভারী সম্মান করতেন চিরকাল। 
এ কী বিপদের মধ্যে পড়ল সে! কলকাতায় থাকার সেই অমোঘ সাইরেনও  আর বাজছে না দুপুর থেকে। সাইরেন ছাড়া কলকাতা তার সহ্য হবে কী করে! মাসি বোধহয় কিছু আন্দাজ করে ফেলেছে। মুখে কিছু বলেনি এখনও, তবে কখন যে বলে বসবে তার ঠিক নেই। ওদিকে বুলির মুখোমুখিই বা আর কী করে হবে সে? সারাদিন ডিউটিতে বসে ভাবল রাকা। ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ মাথার মধ্যে কারা যেন কথা বলে উঠল। নির্জন কুয়াশায় ছেয়ে গেল শ্যামপুকুরের গলি। কে যেন, হেঁকে বললে তাকে, পালা রে, রাকা পালা। কোথায় যাবে রাকা? বিষ খেতে পারলে, জ্বালা জুড়ত নিশ্চয়ই। কিন্তু  এদিকে কোথায় কী পাওয়া যায় জানেও না। পাড়ার ওষুধের দোকানের লোকগুলো তাকে খুব ভালো করে চেনে।  ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ওষুধ এনে দেয় বলে। গাঁয়ের মেয়েরা ফলিডল গলায় ঢেলে সুইসাইড করে বটে। এ শহরে তেমন সহৃদয় ব্যক্তি সে কোথায় পাবে যে কি না তাকে বিনা প্রশ্নে ফলিডল এনে দেবে! তবে কী আবার সেই ধ্যাড়ধ্যাড়ে  মালতীপুর? সেখানে ভাত ঠিকই জুটে যাবে কিন্তু নিজের রোজগারের অন্নের স্বাদ কী আর সেই হতচ্ছেদ্দার থালায় থাকবে? তার চেয়ে বরং কাশী যাওয়া যাক! শুনেছে সেখানে বড়লোকেদের ছত্তর আছে। দু’বেলা খাবার মেলে। আছেন বাবা বিশ্বনাথ। বাবার মন্দিরে মাথা ঠেকিয়ে রাবণ রাজাও নাকি উদ্ধার হয়ে গিয়েছিলেন, তার তো সামান্য চুমুর মামলা! মনে মনে ঠিক করে নিল রাকা। নাহ- বিশ্বনাথের এলাকাতেই চলে যাবে সে। মন্দিরে মাথা ঠুকবে। যদি পাপটুকু কেটে যায় বাবার দয়ায়, বাকি জীবনটা না হয় কাশীবাসী হয়েই থাকবে। মা-মাসির থেকে দূরে থাকবে ভেবে বুকটা সামান্য চিনচিনিয়ে উঠছে বটে তবে তার পরোয়া করলে চলবে না। 
সে রাতেই মাসিকে বলে মালতীপুর যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে পড়ে রাকা। একখানা চটের ব্যাগে গোটা কয়েক জামা-প্যান্ট, একটা গামছা গুছিয়ে নেওয়ার সময় জমানো হাজার তিনেক টাকাও সে পকেটে ভরে নেয়। মোবাইল ফোন ইচ্ছে করে ফেলে রাখে মাসির টাকা রাখার দেরাজে। রাত আটটা নাগাদ হাওড়া থেকে একখানা ট্রেন যায় কাশীতে, জানা ছিল তার। 
অন্যান্য দিন, মাসির সিরিয়াল দেখার সময় হাজির থাকে বুলি। আজ অ্যাবসেন্ট। রাকা  ডিউটি থেকে ফিরে এসেছিল বিকেল বিকেল। এসেই মাসিকে বলেছিল, দুটো ভাতে-ভাত বসিয়ে দাও মাসি। আজ রাতেই ট্রেন ধরব। বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে ঢের দেরি হয়ে  যাবে। ওরা তো আবার তাড়াতাড়ি খেয়ে, শুয়ে পড়ে। ছেলের তক্ষুনি যাওয়ার কথায় মুখে আঁধার নামলেও মাসি ঘণ্টা দেড়েক বাদে যখন ভাত বেড়ে ডাকল, তখন নয় নয় করেও পাতের পাশে তিনখানা বাটি সাজানো। খেতে খেতেই যেন  মাসিকে বিড়বিড় করতে বলতে শুনেছিল, ‘কী যে হল মেয়েটার! সারাদিন বিছানায় পড়ে আছে। খাওয়া-দাওয়াও করেনি।’ আরও যেন কি সব বলে যাচ্ছিল মাসি। খেয়ে উঠে আঁচাতে যতটুকু সময়— ব্যস! তারপর বেরিয়ে পড়েছিল। অফিস টাইম খতম হয়ে গেছে বটে কিন্তু কলকাতা শহরের জ্যাম বলে কথা! আজ রাকার কপাল খারাপ ছিল না, মানতেই হবে। বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতে না পৌঁছতেই এসে গেল হাওড়ার মিনি। বসার জায়গাও মিলে গেল। হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়াতে অসুবিধা হতো। দিনটা বোশেখ মাসের হলেও হাওয়া দিতে লাগল। বার কয়েক যেন মেঘের ডাকও শোনা গেল। কয়েক ঝলক ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগল রাকার। হাওড়ায় নামতে গিয়ে  মহা ঝামেলা! কালবোশেখি ঝটপটাচ্ছে। সে কী বাজের শব্দ! একটা  চায়ের দোকানের ত্রিপল উড়ে গেল প্রায় মাথার ওপর দিয়ে। ভীমবেগে উড়ে যাচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ, ছেঁড়া কাগজ। স্টেশনে ঢুকে তবে স্বস্তি। কাউন্টারে বেজায় ভিড়। সওয়া ঘণ্টা টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে তবে তার পালা এল। যেই মাত্তর হাত বাড়াতে যাবে, অমনি পাশ থেকে চেনা গলা, ‘আমার টিকিটখানাও কেটে নিতে হবে।’
রাকার এক গাল মাছি! এ কাকে দেখছে সে! 
‘সেই দুপুর থেকে পেছনে লেগে আছি! ফেলে পালিয়ে যাবে, সেটি হচ্ছে না!’ 
‘তা বলে এভাবে...আমার সঙ্গে...’ তোতলাতে থাকে রাকা আর তার অন্তহীন তোতলানোর মাঝেই বলে ওঠে সে মেয়ে, ‘তোমার সঙ্গে বলেই তো যাচ্ছি।’ তারপর ঝর্ণার মতো কত কী যে সব বলে যেতে থাকল— বৃষ্টির আওয়াজে ঢেকে গেল সব! রাকা বুঝতে পারল, শো শুরু হয়ে গেছে আবার।
20th  December, 2020
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। বিশদ

03rd  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
মহাশয় যা শুনিলেন
অমর মিত্র

তরুণ লেখক বন্ধুকে আমি ফোন করলাম দুপুর গড়িয়ে এলে। ভাবলাম ফোন কি ধরবে? আমার বয়স হয়েছে। কোভিডের ভয়ে আট মাস নিভৃতযাপন করছি। বাড়ি থেকে বের হই না বড় একটা। হাঁটা হয় বেশ ভোরে, তাও এই ক’দিন। আগে ছাদে আকাশের নীচে হাঁটতাম। সারাদিন করব কী? সকালে কাগজ কলম নিয়ে মানে ল্যাপটপ খুলে বসি। আগডুম বাগডুম লিখি। বিশদ

13th  December, 2020
কাঠের আলমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অভিজিৎ তরফদার। বিশদ

13th  December, 2020
একনজরে
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয়বার টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ভারতীয় দলকে কুর্নিশ জানালেন প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। ...

‘হোয়াইট হাউসে আমার ও ডোনাল্ডের সময় এবার হয়ে এসেছে। তবে যতদিন এখানে কাটিয়েছি এবং যে যে মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তাঁদের ভালোবাসা আমাদের হৃদয়ে থাকবে।’ ...

একাকী বৃদ্ধা শুয়ে হাসপাতালে। চিকিৎসা খরচ কীভাবে মেটাবেন, তা ভেবেই ঘুম উড়েছিল তাঁর। সাহায্যে এগিয়ে এল মহেশতলা পুরসভা। জেলার স্বাস্থ্যসাথী সেলে ফোন করার একদিনের মাথায় ...

সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে ভর্তুকিতে খাওয়ার দিন ফুরতে চলেছে। দামি হচ্ছে ওই ক্যান্টিনের খাবার। মোটামুটি বাজার দরেই তা কিনে খেতে হবে সাংসদদের। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৯২ - আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯৩৪ - আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪ - বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫ - তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৩৬ টাকা ৭৪.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৯০ টাকা ১০১.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৮ টাকা ৯০.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৮২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪২৭, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, সপ্তমী ১৭/১২ দিবা ১/১৬। রেবতী নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১২/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৫১, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৬ গতে ৩/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪২৭, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, সপ্তমী দিবা ১/৪০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৭ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৯ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শপথ নিলেন বাইডেন ও কমলা
 

৪৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন। পাশাপাশি ...বিশদ

10:29:36 PM

সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা 

10:22:12 PM

বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের ...বিশদ

04:11:18 PM

আজ মালদিভে পৌঁছলো ভারত সরকার প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন

03:55:00 PM

আজ ভুটানে পৌঁছলো ভারতের প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন

03:52:00 PM

বিজেপি-তে যোগ দিতে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ দিল্লিতে

03:44:10 PM