Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

তর্পণ
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

এখন আমার বিরানব্বই। সেই ছেলেবেলা থেকেই আমি ভীষণ সেয়ানা। যদিও এই জিনিসটা, আমি সারা জীবন উপভোগই করেছি। সেই যেবার রাতের অন্ধকারে মা, বাবার সঙ্গে পদ্মা পেরিয়ে এপারে এলাম সেবারও, সবাই যখন বহরমপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে আমি তখন চুপচাপ খবর লাগিয়েছিলাম, শিয়ালদা স্টেশনের। বাবার চার বন্ধু আর তাদের পরিবার— এই ছিল আমাদের ওপারের সঙ্গী। আমি কাউকে কিছু না জানিয়েই চুপচাপ বাবা-মাকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম এই শিয়ালদা স্টেশনে। তারপর চটপট খবর লাগিয়ে জবরদখল করলাম যাদবপুরের পিছনের দিকের এই জমিটা। যদিও এখানে তখন শুধুই শরগাছ। শিয়ালও ডাকে। কিন্তু তাতে কি! চারটে পতাকা গুঁজে জমি দখল আর তারপর ওপাশ থেকে আনা বাবার টাকায় একটা টিনের ছাউনি! কিন্তু একা থাকা বড্ড কষ্টকর! তাই খবর দিলাম বাকিদের। ওই কো-অপারেটিভের মতো! আজকাল সবাই মাটির থেকে দূরে থাকতে আকাশছোঁয়া অট্টালিকা বানায় আর আমরা তখন মাটির কাছাকাছি থাকতে মাটিতেই আড়াআড়িভাবে বানালাম পাঁচটা বাড়ি। যদিও আমাদেরটা ছিল পুব-দক্ষিণ দিকে— যতই হোক আমরা আগে এসেছি!
ওপারে বাবা ও তার বন্ধুরা সব্বাই ব্যবসা করত। তাই এখানেও একজোট হয়ে ব্যবসাই শুরু করল। গড়িয়াহাটে কাপড়ের দোকানটা দারুণ চলছিল, মুনাফাও হচ্ছিল বেশ, কিন্তু কেন জানি না আমার মন সায় দিত না। ব্যবসায় রক্তের সম্পর্কেরই কোনও দাম থাকে না, সেখানে আবার শুধু বন্ধুত্ব! তারপর আবার আমার বাবা! ভীষণ ভীতু। ঠকলে কিছু মানুষ শক্ত হয় আর কিছু মানুষ ভেঙে পড়ে। বাবা বরাবর এই দ্বিতীয় শ্রেণীর। তবে খুব রসিক ছিল। তাই কাস্টমারদের সঙ্গে রিলেশনটা আলাদাই ছিল। আর ওইটিই ছিল আমার তুরুপের তাস। বাবার মাথা খেয়ে দোকানটা ভাঙিয়ে, ঠিক পাশেই দিলাম আমাদের নতুন দোকান। কিন্তু হিসাব মেলেনি। মানুষ কি আর শুধু মানুষের সঙ্গে ব্যবসা করে? ব্যবসা করে নিজের বিশ্বাস আর অসুবিধার সঙ্গেও। তাই ছেড়ে যাওয়া মানুষটার থেকে জুড়ে থাকা চারজনের গুরুত্বটা দাঁড়িপাল্লায় একেবারে কাত করে দিল। বাবাও আর বাঁচেনি। একদিন হুট করে স্ট্রোক আর তারপরেই সব শেষ। আমি জানি, ওটা হয়েছিল আমারই জন্য। কিন্তু অবাক করার মতো ব্যাপারটা হল বাবা মারা যাওয়ার পর বাকিরাও আর বেশিদিন বাঁচেনি। ওরা পাঁচজনই একের পর এক, তা’ও আবার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই। কী জানি! কী ছিল ওঁরা। তবে আমি আর একা-একা দোকান টানতে পারিনি, জুড়ে গিয়েছিল সেই পাঁচ আবার— বাবাদের পাঁচ ছেলে। বাবা চলে যাবার পর, আমার আত্মবিশ্বাসটা এক ধাক্কায় পড়ে গিয়েছিল অনেকটা। আমি কোনওদিনই ভগবান মানিনি। ওই সব ষড়-রিপুর নিয়ন্ত্রণে আমি কোনওদিনও বিশ্বাস করিনি। ধুর! ভগবান চোখ দিয়েছেন দেখতে, কান দিয়েছেন শুনতে, নাক দিয়েছেন খাবারের গন্ধ শুঁকতে, জিভ দিয়েছেন স্বাদ নিতে আর ত্বকটা এসির হাওয়া খেতে। সব করব, আমি! কিন্তু হুট করে ভগবানে বিশ্বাসটা বাড়ল। ওই একটা কাঠ আর এক বান্ডিল কাঠ ভাঙার গল্পটা অনেক আগে পড়লেও ততদিনে বেশ বুঝেছিলাম একজোট হয়ে ব্যবসার একটা আলাদা স্বস্তি আছে!
বাবা চলে যাবার পর, তর্পণটা আমি কোনওদিনও বাদ দিইনি। সমীর, দেবু, স্বপন, প্রদীপরাও দেয়নি। আসলে ওরা সকলেই ছিল ভীষণ ধর্মভীরু।
আমাদের সবার একটা করে মেয়ে আছে। আর মেয়েদের বিয়ে দিয়ে আমরা সবাই এখন একেবারে ঝাড়া হাত-পা, সেয়ানাগিরিটার এখন তাই আর সেভাবে প্রয়োজনও পড়ে না। ওপারে দোকানটার নাম ছিল রাখহরি বস্ত্রালয়। আমরা এপাশে এসে দোকানের নাম আর ভগবানের নামে রাখিনি। যাইহোক বাবা মারা যাবার পর সেই একটা বছরই আমাকে একা একা তর্পণ করতে হয়েছিল। সেই ভোর চারটেয় উঠে বাগবাজারের ঘাট। কি বীভৎস ভিড়! সবাই একে অপরকে ঠেলছে আর তার মাঝে ভাটার গঙ্গা— পাশের চুল্লির পোড়া কাঠ থেকে শুরু করে আরও কত কিছু। ওতেই একটা ডুব মেরে হাতে একটা তামার কোষা, আর দু’আঙুলে দুটো কুশের আংটি পরিয়ে পুরোহিত মশাইদের লড়াই। কপালে, দু’হাতের বাহুতে, বুকে, পেটে, পিঠে গঙ্গার মাটি দিয়ে তিলক দেওয়ার পর, পায়ের পাতাটুকু যেন জলে ডুবে থাকে। কোনওক্রমে ঠেলেঠুলে কিছুটা জায়গা জোগাড় করে পা’টা জলে ডুবিয়ে গোটা দশেক লোককে নিয়ে পুরোহিত শুরু করলেন, ‘ওঁ অপবিত্র, পবিত্রবা।’ আমি আবার বামুনের ছেলে, তাই বাকিদের ক্ষেত্রে যেটা নমঃ, আমার ক্ষেত্রে সেটা ওঁ। সে কী সমস্যা! পুরোহিত বলছেন, ‘নমঃ’ আর আমার দিকে বাঁকা চোখে ইশারা করছেন, না, নম নয়, ওঁ। তারপর, পৈতেটাকে একবার ডানদিকে, একবার বামদিকে, একবার মালার মতো করে পরে সে এক প্রকার সাঁঝ-সকালের পিটি। একবার বলে উত্তর দিকে জল দিন, একবার বলে দক্ষিণ দিকে, একবার বলে কোষার উলটোদিকে, সে এক বিশাল ঝক্কি! যাইহোক সব শেষে ওই ভাটার গঙ্গায় শেষ ডুবখানি দিয়ে আমি বমি করে ফেললেও মনে মনে একটু শান্তি পেয়েছিলাম! যতই হোক, আমার বাপু মেয়ে! মরলে ওসব তর্পণের ঝামেলা পোহাতে হবে না! সেদিন সন্ধে থেকে মনটা বেশ হালকা হয়েছিল। দোকান ভাঙার যে আপরাধবোধটা মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠত, সেটা যেন একপ্রকার নেমে গেল। কিন্তু, ওই পুরোহিত নিয়ে হাজার লোকের ঘোলা জলে ডুব দেওয়াটা কিন্তু একটা আতঙ্ক হয়েই থেকে গিয়েছিল। পরের বার অবশ্য আমাকে একা যেতে হয়নি। সমীর, দেবু, স্বপন, প্রদীপরাও ছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতাটা ছিল সেই এক। আমরা পাঁচজনেই ছিলাম পৈতেধারী বামুন। তাই ওই পৈতে ঘুরিয়ে পাটুকু ডোবানোর মতো জল আর ঘোলা জলে একটা ডুব মারার ঝক্কিটা ছিল ভয়ঙ্কর। এই নিয়েই আমরা প্রায় চোদ্দো বছর মতো কাটিয়েছিলাম— মা, বউগুলোও চলে গেল সব। কিন্তু ধীরে ধীরে মন চাইলেও শরীর যেন আর পারত না। ‘বছরে তো একটা দিন’— অনেকবার নিজেরা নিজেদের বুঝিয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে গেলাম তখন ঠিক করলাম, আর না! পরের বার থেকে একটা আলাদা ঘাটে যাব। কিন্তু পুরোহিত! এই বিশাল জনসমুদ্র ছেড়ে কোনও পুরোহিতই রাজি হল না। সবশেষে ঠিক করলাম আমরা পাঁচজনই যখন বামুন, তখন নিজেদেরই একজন পৌরোহিত্য করব।
প্রথমবার আমার মন খুব করে চাইলেও আমি ওই পৌরোহিত্যের দায়িত্বটা নিইনি। আসলে জীবনের প্রথম ভাগে, আগে গিয়ে আমি সোনা পেলেও শেষের দিকে হিসাবটা উলটে গিয়েছে— আগে গেলে বাঘে খায়। দোকান ভাঙার ঝক্কিটা আগে নিয়ে আমার বাবাটাই আগে মরল। যাই হোক, আমার মন চাইলেও মাথা সায় দিল না। দেবুর ঘাড়ে ছেড়ে দিলাম, আর বাগবাজার নয়, সারদা মায়ের ঘাটের একটু ডান হাতে একটা নিরিবিলিতে শুরু হল তর্পণ। শান্তিতে সারা গায়ে তিলক কেটে, এক কোমর জলে ডুবে ‘ওঁ অপবিত্র, পবিত্রবা’। আহা কি শান্তি! কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দেবু চলে গেল। হুট করে স্ট্রোক। এরপর আমাকে বেশ জোরাজুরি করলেও পৌরোহিত্যের দায়িত্বটা আমি নিইনি। কেন জানি না মন সায় দেয়নি। পরেরবার তাই মন্ত্র মুখস্থ করল সমীর। কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার! সমীরটাও চলে গেল ঠিক তার পরেই। কিছু তো একটা ভুল হচ্ছিল। আমার বাপু বাঁচার খুব ইচ্ছে! আমার জামাইটা আবার প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে। কী জানি কোন দিন চাকরি চলে যায়! তাই ব্যবসাটা একটু বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়াই ভালো। তাছাড়া জেনেশুনে কেন মরব বলুন তো! আমি জানতাম, চেনা লোক মরলে কাছে টানে। তাই বাকিদের নিয়ে, চলে গিয়েছিলাম এক পণ্ডিতের কাছে। প্রশ্ন আমার সাজানোই ছিল— ‘পুরোহিত ছাড়া, আমরা নিজেরা কি তর্পণ করতে পারি?’ প্রশ্নটা শুনেই ভদ্রলোক প্রসন্ন মুখে দু’হাত তুলে জোর গলায় যেই বললেন, ‘নিশ্চয়ই’। আমি আনন্দে আরও একটা প্রশ্ন করে ফেলেছিলাম। ‘দেবু আর সুমনের তো ছেলে নেই, তাহলে ওদের তর্পণ কি আমরা...’ পণ্ডিত একটা মুহূর্তও নষ্ট না করে বললেন, ‘কেন পারবেন না?’ বাহ! মনটা যেন কিছুটা হলেও শান্ত হল। তবে আমি পৌরোহিত্যের দায়িত্ব নিইনি। স্বপনকে দিয়ে মন্ত্রটা ঝালিয়ে নিয়ে আমরা তিনজনে গেলাম গঙ্গার পারে। প্রথমে, পিতৃপুরুষ আর তারপর দেবু আর সমীরকে জল দিয়ে মনটা যেন ভারী হয়ে গেল। জীবনে কক্ষনো আমার এমনটা হয়নি! কিন্তু ঠিক যেটার ভয় করেছিলাম সেটাই হল। স্বপনও চলে গেল। চারদিনের ডেঙ্গির জ্বর আর তারপরেই সব শেষ! না! আর নয়। আমি তো মরতে চাই-ই-না, সেইসঙ্গে প্রদীপকেও আমি মরতে দেব না। কিন্তু প্রদীপ আমার কথা শুনলে তো! মহালায়ার আগে একদিন মন্ত্র মুখস্থ করে এসে বলে, ‘হেলু!দ্যেখস তো! মন্তরটা কেমন শুনতাছিস?’ আমি ‘না’ করলেও প্রদীপ শোনার মানুষ ছিল না!
এবার আমি একদম একা। জামাইটাও গত বছর... প্রদীপের পরেই! তবে ওকে আমি জল দেব না! চাকরি, চাকরি করে আমার ব্যবসাটা একবার দেখল না পর্যন্ত! তাছাড়া তর্পণ তো পিতৃপুরুষের জন্য, ওসব ছেলে-ছোকরাদের জল দেবার মতো বুকের পাটা আমার নেই! আমি ওসব মন্ত্র-তন্ত্র আর আওড়াইনি! ধুর! বাপ-ঠাকুরদা অনেক তিল-জল খেয়েছে! হয়তো জন্ম নিয়ে এই আশপাশেই কোথা থেকে আমাকে দেখে হাসছে আর ভাবছে ‘বুড়োটা এখনও এই বয়সে কী করছে রে বাবা!’ আমাদের নিজেদের ঘাটটাতেও আজ বেশ ভিড়। আমি অনেকক্ষণ বসে থাকলাম। সদ্য মা-বাপ মরা লোকেদের ভক্তি একটু বেশি, কারও কারও চোখে জল। কেউ কেউ আবার কোনওক্রমে জলটা দিয়ে উঠতে পারলে বাঁচে! সকালে উঠে এতদূর এলাম, মন্ত্রগুলোও মুখস্থ— তাই শেষমেশ ঘাটে নেমেই গিয়েছিলাম। নিজেই একটু গঙ্গার পাঁক তুলে কপালে, বুকে, হাতে, পায়ে তিলক করতেই বুকটা হু হু করে উঠল। তারপর জোগাড় করা দুটো কুশের আংটি পরে এক বুক জলে নেমে ভাঙা গলায় জোরে জোরে শুরু করলাম, ‘ওঁ অপবিত্র, পবিত্রবা, সর্ব বস্ত্রাং গতোবিভা...’ বাপ-ঠাকুরদাদের জল দেবার পর দোকানটার নামেও একটু জল দিলাম। দেবুরা চলে যাবার পর আমার সেয়ানাগিরির জোরে দোকানটা ছিল আমারই। কিন্তু জামাইটা গত হবার পর দোকানটাও মরে গিয়েছে। কি হবে! আর তো কেউ নেই! তাছাড়া ওটাও আমাদের বাপ-মা ছিল, এতদিন খাইয়েছে। ভিতরটা কেমন একটা করছিল। গলাটাও শুকিয়ে গিয়েছে। এমনটা আমার কোনওদিনও হয়নি! তারপর মনে মনে ঠিক করলাম দেবুকে জলটা দিই। এই জন্মে আমাদের বয়স একই ছিল। হয়তো অপেক্ষা করছে আমার মরার জন্য, আবার সবাই এক সঙ্গে জন্মাব। কিন্তু কোষাটা হাতে নিয়ে জলটা দিতে গিয়েই ভিজে চোখে দেখলাম, একটু দূরেই চারজন! ওই তো দেবু, সমীর, স্বপন আর প্রদীপ। কোষা নিয়ে আমার উদ্দেশে জল দিচ্ছে আর হাসছে। সে কি হাসি ওদের! ‘দে না রে, একটু জল!’ নিজের আনমনে, কথাগুলো বলতে বলতেই কোষাটা পড়ে গেল হাত থেকে। আর খুঁজিনি। অদ্ভুতভাবে আমার শুকনো গলাটাও যেন ভিজে গেল, ওরা যেন ওপার থেকে আমারই উদ্দেশে তর্পণ করছে! ‘আমাকে নিবি না তোদের সঙ্গে?’ আমি বলতেই, দূর থেকে চারজন কাছে এসে বলল, ‘কী দাদু! এই বয়সে গঙ্গার পারে কেউ আসে? ধুতিটা গুটিয়ে নিন।’ একরাশ আফশোসের সঙ্গে ধুতিটা গুটিয়ে নিয়েছিলাম। ওপার থেকে আর তর্পণ করা হল না!
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
13th  September, 2020
কালাদা 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুদ্ধদেব গুহ। 
বিশদ

18th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- সপ্তম কিস্তি। 
বিশদ

18th  October, 2020
খিদে
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় 

ক্লাস ফাইভে পড়াতে ঢুকেই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে মিলিতা। কারও বয়স দশ, কারও এগারো। অধিকাংশই গরিব ঘরের, অনেকেরই সব বই কেনা হয়নি এখনও। কেউ কেউ একটা-দুটো বই হয়তো হাতে পাবেই না, অথচ অ্যানুয়াল পরীক্ষা দিতে বসবে। গার্জেনদের কাকুতি-মিনতি, অনুরোধে তুলে দিতে হয় পরের ক্লাসে। আজ পড়াতে পড়াতে হঠাৎ চোখ পড়ল ইমনের দিকে।  
বিশদ

18th  October, 2020
সেই মুখ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী। 
বিশদ

11th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- ষষ্ঠ কিস্তি। 
বিশদ

11th  October, 2020
যোগিনী হইয়া

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন এষা দে। বিশদ

04th  October, 2020
 আজও তারা জ্বলে

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

04th  October, 2020
চলার পথে
ব্যাক বেঞ্চারস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তন্ময় চক্রবর্তী। বিশদ

27th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

27th  September, 2020
চলার পথে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিশদ

20th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

20th  September, 2020
রেলগাড়ি ঝমা ঝম
কাকলি দেবনাথ 

পিয়ানোর সুরেলা টুং টাং আওয়াজ। রান্না ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মোবাইলটা দেখলাম।
তিতাসের মেসেজ— তা হলে আমি অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছি?  বিশদ

20th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দ্বিতীয় কিস্তি।
বিশদ

13th  September, 2020
মুনকুদি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন নলিনী বেরা। বিশদ

13th  September, 2020
একনজরে
সায়ন্ত ভট্টাচার্য, বারাকপুর: দুর্গাপুজোর সঙ্গে বাংলার বনেদিয়ানা অক্ষরে অক্ষরে যুক্ত। জমিদারবাড়ির দালানে দুর্গাপুজোর আয়োজন এবং সেই উৎসব ঘিরে মেতে থাকতেন গ্রামের বাসিন্দারা। এখন বাংলায় সেরকম ...

 একা করোনাতেই রক্ষা নেই। তার উপর দোসর হয়েছে নিম্নচাপ। মহাষষ্ঠীর সকাল থেকেই নীল আকাশ ঢেকে গিয়েছে কালো মেঘে। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি। ...

ইসলামাবাদ: সিন্ধ প্রদেশের পুলিস ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (আইজি) ‘অপহরণ’ ঘিরে উত্তপ্ত পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি। বৃহস্পতিবার পাক রেঞ্জার্সের হয়ে সাফাই দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইজাজ আহমেদ শাহ।   ...

 পুজো নয়, স্যানিটাইজেশনেই জোর দিচ্ছে চকভৃগু প্রগতি সঙ্ঘ। ছোট করে দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি বালুরঘাট শহরের এই ক্লাবটি পুজোর দিনগুলিতে পাড়ায় পাড়ায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৭— ব্রিটেনের প্রথম পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হল
১৯১৭—অক্টোবর বিপ্লবের ডাক দিলেন লেনিন
১৯২৯—নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে মহামন্দার সূচনা
১৯৪৪—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: হাঙ্গেরি প্রবেশ করল সোভিয়েতের লাল ফৌজ
২০০২—মস্কোর থিয়েটারে হানা দিয়ে প্রায় ৭০০ দর্শককে পণবন্দি করল চেচেন জঙ্গিরা
২০১২—সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি 
মহামারীর বিষাদ, আক্ষেপের সময়ে এই ধরিত্রীতে আপামর মানুষকে রক্ষা করতে ...বিশদ

05:00:00 AM

আজকের দিনটি কেমন যাবে? 
মেষ: সন্তানের কৃতিত্বে সুখলাভ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। মিথুন: গৃহে অতিথির আগমন ...বিশদ

22-10-2020 - 04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম২০০৮: চিত্রশিল্পী ...বিশদ

22-10-2020 - 04:28:18 PM

 আইপিএল : রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

22-10-2020 - 11:13:45 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১১৮/২ (১৫ ওভার)

22-10-2020 - 10:41:55 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৪০/২ (৫ ওভার)

22-10-2020 - 09:57:28 PM