Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। রাজীব গান্ধীর শাহবানু সিদ্ধান্ত সেই সুযোগ আরও বেশি করে এনে দিয়েছে কিছু হিন্দু সংগঠনের কাছে। ৬ বছর আগে একটি নতুন দল তৈরি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের ছত্রছায়ায় কিছু সংগঠন আছে, যারা উগ্রতা ছড়াচ্ছে। সেরকমই একটি সংগঠন—বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কয়েকমাস আগেই অর্থাৎ ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে সীতামারি থেকে অযোধ্যায় একটি রাম যাত্রা করেছে। কমিটিও তৈরি হয়েছে। রাম যাত্রা সমিতি। 
সমিতির দাবি, রামলালার পুজোর অধিকার দিতে হবে। এভাবে এই সৌধ তালাবন্দি করে রাখা বরদাস্ত করা হবে না। যদিও অযোধ্যার বাইরে দেশের অন্যত্র এসব কেউ বিশেষ জানে না। সুতরাং এমন নয় যে এটা একটা জাতীয় ইস্যু। তবুও অরুণ নেহরু বললেন, এখন আমাদের কিছু একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। হিন্দুদের তুষ্ট করার জন্য। তাই বাবরি মসজিদ রাম জন্মভূমির ওই প্রাঙ্গণের দুটো গেটের তালা খোলাই যায়। অরুণ নেহরু একধাপ এগিয়ে আরও বললেন, শুধু তালা খোলাই নয়। ওখানে একটা রামলালার মন্দির নির্মাণ করলে হিন্দুরা আনন্দিত হবে। আমাদের সেটা ভাবা উচিত। 
মন্দির? রাজীব গান্ধী ভাবলেন, সেটা কি এখনই করা ঠিক হবে? নাকি ধীরেসুস্থে এগনো দরকার? তার আগে দেখতে হবে আইনি জটিলতা কিছু আছে কি না। অরুণ নেহরু জানালেন, প্রশাসনিক অর্ডার আছে। কোনও বিচারবিভাগীয় নির্দেশ নেই যে অমান্য করা হবে। তবু আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব। কীভাবে? অরুণ নেহরু হেসে বললেন, দেখা যাক। সব জানাব।
অরুণ নেহরু তার আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সুপ্রিমো অশোক সিংঘলকে বলেছিলেন, আপনারা এক কাজ করুন। আপনারা আদালতে একটি পিটিশন করুন যে, তালা খোলা হোক বাবরি মসজিদের। রামলালার পুজো হবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কিন্তু মামলা মোকদ্দমায় যেতে রাজি নয়। তারা আন্দোলন করবে। বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল। কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা উমেশচন্দ্র পান্ডেকে দিয়ে ফৈজাবাদ আদালতে আবেদন করানো হল। আর সেই আদালত নির্দেশ দিল বাবরি মসজিদ রাম জন্মভূমির বিতর্কিত সৌধের দু’টি গেটের তালা খুললে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। তালা খোলাই যায়। তালা ভাঙা হল সেদিনই। বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। কিন্তু পরবর্তী ধাপের দিকে রাজীব গান্ধী আর অগ্রসর হলেন না, অথবা হওয়ার সময় পেলেন না। এসে গেল বোফর্স কান্ড। তিনি হয়ে পড়লেন টার্গেট, কোণঠাসা এবং একঘরে। ১৯৮৯ সালে বিদায় নিলেন নির্বাচনে পরাস্ত হয়ে।
কিন্তু সেই তালা ভেঙে রামলালার পুজোর সূত্রপাত এবং রামমন্দির আন্দোলনের রাস্তা তিনিই করে গেলেন। অথচ কংগ্রেসকে পরবর্তী ৩৮ বছর ধরে মন্দির বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী তকমা হজম করতে হল। সেদিনের দুই এমপির দল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  ৩৮ বছর পরের এক ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন করে বিশ্বকে জানালেন, তিনিই হিন্দুত্বের হৃদয়সম্রাট। অযোধ্যার বিতর্কিত সেই বাবরি সৌধের তালা ভাঙার রায় এবং তালা ভাঙা কার্যকর হয়েছিল কবে? ১৯৮৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন থেকে শুরু ভারতীয় রাজনীতির নতুন দিকে পথ চলা।
আবার ১৯৭৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জনতা পার্টি সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। অনগ্রসর সমাজের হাল হকিকৎ কী, সেটা খতিয়ে দেখবে এই কমিশন। কমিশনের প্রধান নিয়োগ করা হল বিন্ধ্যেশ্বরী প্রসাদ মন্ডলকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মোরারজি দেশাই তড়িঘড়ি এরকম করেছিলেন কেন? কারণ তিনি বুঝতে পারছিলেন সরকারের মধ্যেই কিছু একটা চক্রান্ত চলছে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার। তাই ওবিসি সমাজের এমপিদের কাছে টানার জন্য এই কমিশন গঠন করে নিজের দল ভারী রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। যদিও সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তাঁকে সরে যেতে হয়। সে এক অন্য কাহিনি। সেই কমিশনকে সংক্ষেপে সম্বোধন করা হয়েছিল মন্ডল কমিশন। যখন সেই কমিশনের কাজ সমাপ্ত হল এবং রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে, ততদিনে দুই সরকারের পতন ঘটেছে। ফিরে এসেছেন আবার ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৮০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিন্ধ্যেশ্বর প্রসাদ মন্ডল তাঁর কমিশনের রিপোর্ট ও সুপারিশ জমা দিলেন। কী করা হবে এই রিপোর্ট নিয়ে? 
আইনমন্ত্রী শিবশঙ্করকে ইন্দিরা গান্ধী প্রশ্ন করলেন, আমাদের তাহলে কী করা উচিত? শিবশঙ্কর বললেন, একটা মন্ত্রিগোষ্ঠীকে দেওয়া উচিত পর্যালোচনার জন্য। তাঁরা খতিয়ে দেখুক। এদিকে, বিরোধীরা প্রবল চাপ দিচ্ছে যাতে এখনই কার্যকর করে দেওয়া হয় মন্ডল কমিশন। মন্ত্রিগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কাকে করা হল? পি ভি নরসিমা রাওকে। যাঁর খ্যাতি অথবা কুখ্যাতি হল, সিদ্ধান্তগ্রহণের দীর্ঘসূত্রতা। মাঝেমধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী জানতে চান, কমিটির কী হল? কতটা এগচ্ছে কাজ? নরসিমা রাও জানান, আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী নিহত হন। রাজীব গান্ধীও সেই কমিটিকে চাপ দিলেন না যে এখনই রিপোর্ট দিন। অতএব মন্ডল কমিশনের রিপোর্ট চলে গেল ঠান্ডাঘরে। 
১৯৯০ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং জানিয়ে দিলেন মন্ডল কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবার ঠিক উল্টো অবস্থান। যতটা ধীরগতিতে চলছিল অগ্রগতি, ততটাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৭ আগস্ট ১৯৯০ সালে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং ঘোষণা করলেন মন্ডল কমিশনের কথা। 
ভারতের রাজনীতির দু’টি ধারার জন্ম হল ১৯৯০ সাল থেকে। লালকৃষ্ণ আদবানি অযোধ্যায় রামজন্মভূমির রথযাত্রার কর্মসূচির ঘোষণা করলেন। আর ভি পি সিং ঘোষণা করলেন মন্ডল সংরক্ষণ। ২৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ। আর দু’টি ক্ষেত্রেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে একটি দল। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। কারণ ৩৫ বছর ধরে ভারতের রাজনীতিকে চালিত করেছে এই দুই ইস্যুই। মন্ডল এবং কমন্ডল। কংগ্রেস দু’টি রাজনৈতিক ইস্যুর বাসই মিস করেছে। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০২৪ সালে এসে দেখা গেল, কংগ্রেস অবশেষে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে নেমেছে। রাহুল গান্ধীর মুখে একদিকে সারাক্ষণ মন্ত্রের মতো এখন শোনা যায় কাস্ট সেন্সাসের দাবি। আর তাঁকে এখন মন্দিরে মন্দিরে পুজো করার ছবিও শেয়ার করতে হয়। অর্থাৎ হিন্দুত্ব এবং মন্ডল, দুই রাজনীতিকেই তাঁর পূর্বসূরিরা হাতে পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেই ভুলের খেসারত দিতে রাহুল পথে নেমেছেন। সমস্যা হল, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন হিন্দুত্বের নামে ভোট হলে জনতা বিজেপিকে দেবে। মন্ডল ইস্যুতে ভোট হলে একঝাঁক কাস্ট আইডেন্টিটির দল আছে রাজ্যে রাজ্যে। কংগ্রেসের জন্য আর কোনও শূন্যস্থান নেই। রাহুল গান্ধী তাই বেছে নিয়েছেন একটি কম ব্যবহৃত অথচ বিস্ফোরক শক্তিশালী হাতিয়ার। সংবিধান। তাঁর পকেটে এখন সারাক্ষণ থাকে এই গ্রন্থ। তিনি বলেন, এটা কোনও বই নয়। এটা একটা আইডিয়া। 
ঠিক ৩৫ বছর পর, ২০২৪ সালে দেখা গেল হিন্দুত্ব ও মন্ডল—এই দুই ইস্যু আজও ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলেও একটি গ্রন্থ এবং একটি প্রকল্প এই দু‌ই ইস্যুকেই পরাস্ত করে দিল। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সংবিধান নামক গ্রন্থ নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিল। বিজেপি ক্ষমতাসীন হলে সংবিধান বদলে দেবে, বিজেপি সংবিধানের বিরোধী এই প্রচার করে মহাজোট ইন্ডিয়া বিপুল সাফল্য পেল জাতীয় স্তরে। সংবিধান রক্ষার পাশে আর কোন ইস্যু রাজ্যে রাজ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এবং ভোটজয়ের অস্ত্র হিসেবে উঠে এসেছে? মহিলাদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, লাডলি বহেনা যোজনা, মাঈয়া সম্মান যোজনা, লাডলি লক্ষ্মী যোজনা। নাম অনেক। কাজ এক। বছরের শেষে এসে উচ্চবর্গের শহর দেশের রাজধানী দিল্লির ভোটের প্রাক্কালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন নতুন প্রকল্প। সেই একই। মহিলা সম্মান যোজনা। সব রাজ্যে ভোট জয়ের একটাই দাওয়াই। সরাসরি টাকা ট্রান্সফার। এখন এই প্রকল্পের বিরোধিতা করার অর্থ রাজনৈতিক আত্মহত্যা। 
 ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদির সবথেকে বড় যে স্বপ্ন এই দুই অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছে সেটি হল, পরপর তিনবার তাঁর আর একক গরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া হল না। আবার তিনি ইন্দিরা গান্ধীর কাছে হেরে গেলেন। ইন্দিরা গান্ধী তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একক গরিষ্ঠতায় জয়ী হয়ে। মোদি পারলেন না সংবিধান ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারদের কাছে হেরে গিয়ে। ২০২৫ সালে কী হবে? ক্রমেই ধর্ম অথবা জাতপাত, ভারতের রাজনীতিতে আর যে প্রধান ইস্যু হয়ে থাকবে না, সেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বলে খয়রাতি, কেউ বলে ভিক্ষা, কেউ বলে রেউড়ি। যে যাই বলুক, নতুন ভারতের রাজনীতিতে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে ভোটারদের আর্থিক সহায়তা প্রদান!
২০২৪ সালের গতিপ্রকৃতি থেকে কী কী জানা গেল? জানা গেল, ভারতীয় রাজনীতি থেকে নায়কের আবার প্রস্থান ঘটেছে। মোদি একা আর ভোটে জেতাতে পারেন না। রাহুল গান্ধী সুপারস্টার হয়ে উঠতে পারেননি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মধ্যে সেই স্পার্ক দেখা যাচ্ছে না এখনও। অর্থাৎ নায়ক নয়, ইস্যু জিতবে, প্রকল্প জিতবে, দল জিতবে। অন্যদিকে, ভারতীয় রাজনীতিতে একক গরিষ্ঠতার সরকারের আবার প্রস্থান ঘটেছে। ফের ফিরে এসেছে জোট রাজনীতির যুগ। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের ফলাফল দেখে মনে করা হচ্ছিল যে, জোট রাজনীতির ইতি ঘটল। আবার মোদির হাত ধরে ফিরছে একক গরিষ্ঠতার একক শক্তির রাজনৈতিক যুগ। কিন্তু ৯৭ কোটি ভোটারের জনমত বুঝিয়ে দিল ১০ বছর নেহাতই ব্যতিক্রম ছিল। ১৯৮৯ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে জোট রাজনীতির যে প্রবাহ শুরু হয়েছিল আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের মধ্যে দিয়ে, সেই প্রবাহমানতাই সত্যি। মোদি জোট রাজনীতিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মোদিই জোট রাজনীতির উপর নির্ভরশীল হয়েই বিদায় নেবেন একদিন। যারাই সংবিধান বদলাতে উদ্যোগী হয়েছেন, তাঁরাই বিপর্যস্ত হয়েছেন এই দেশে। 
 ১৯৭৭ অথবা ২০২৪! ব্যক্তি নয়। গণতন্ত্র বড়। ভারতের লার্জার দান লাইফ চরিত্র একটাই। সংবিধান! 
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
29th  December, 2024
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
পায়ের পাতা বেশ ফোলা। অনুশীলনে নামা তো দূর অস্ত, বুট পরতেই পারছেন না আনোয়ার আলি। ডার্বিতে খেলা বেশ কঠিন। হাতে মাত্র দু’দিন। সম্ভাবনা ক্ষীণ বুঝেও ...

ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

আলো কম। আবার বিদ্যুৎ বিলের খরচও বেশি। এবার ভিআইপি রোডের দৃশ্যমানতা বাড়াতে উদ্যোগ নিল পিডব্লুডি (ইলেকট্রিক্যাল)। কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’দিকেই পুরনো ...

ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরজা। আর সেই বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। অবশেষে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM