Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’

 ভালোবাসো, ঘৃণা নয়
শুধুই মুখে শান্তির কথা বলা অর্থহীন 
শুধুই ঈশ্বরের কথা মুখে বললে কত দূর আর যাবে?
অন্তরে শক্তিকে বাইরে নিয়ে এসো
আত্মার অমরত্বকে প্রকাশ করো।
... এই হল মানুষের সেবায় তোমাদের লক্ষ্য। সাহস আর কর্তব্যের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করো। কেন জানো? যাতে সেই শেষ বিচারের সময় যখন আসবে, তখন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সামনে তোমাদের জন্য আমাকে লজ্জিত হতে না হয়। আমি তোমাদের পীর ও মুর্শিদ! বিচারের সিলসিলায় আমরা যেন জয়ী হই...।
মৃত্যুর একমাস আগে আজমির শরিফ দরগায় একটি গাছের ছায়ায় বসে শিষ্য ও অনুগামীদের এই শেষ উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন খাজা মুইন আল-দীন চিস্তি (মইনুদ্দিন চিস্তি)। শুধু অনুগামী ও ভক্ত নয়, ইহলোক ত্যাগের প্রাক্কালে হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী আর সদা জয়োন্মুখ অস্থিরচিত্ত বিশ্ববাসীর উদ্দেশেই যেন তাঁর এই বাণী। এই যে অন্তরের শক্তি এবং আত্মার অমরত্ব, এই অনুসন্ধিৎসা থেকেই শুরু হয়েছিল খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির অন্তর্দশনের যাত্রা।
পারস্যের সিস্তান। জায়গাটা পারস্য ও আফগান সীমান্তে। এরকমই এক ক্ষুদ্র জনপদে জন্ম হয়েছিল মইনুদ্দিন চিস্তির। ১১৪১ খ্রিস্টাব্দে। ঩তিনি কি হজরত মহম্মদের বংশধরদের অন্যতম ছিলেন? কেউ বলেছে, ‘হ্যাঁ’। কারও মতে, ‘না’। তবে মাত্র ১৪ বছর বয়সে অনাথ হয়ে যাওয়ার পর মইনুদ্দিন দেখলেন, গোটা জগতের সবথেকে বৃহৎ সত্য হল একাকিত্ব, আত্মধ্বংস এবং মৃত্যু। হঠাৎ সুফি সাধক ইব্রাহিম কান্দোজির সঙ্গে দেখা না হলে তাঁর জীবনই হয়তো অন্য ধারায় বয়ে যেত। একদিন মধ্যাহ্নভোজের সময় কান্দোজিকে জিজ্ঞাসাই করে বসলেন, একাকিত্ব এবং মৃত্যু ছাড়া কি এই জীবনের অন্য অর্থ নেই? 
ইব্রাহিম কান্দোজি বললেন, অবশ্যই আছে। তবে সেটা বলে বোঝানো যায় না। সকলের মধ্যে একটি করে নিজস্ব আত্মা বাস করে। সেই আত্মার সন্ধান করতে হয়। প্রশ্ন করতে হয়, আমি কে? আমার এই জগতের সঙ্গে সম্পর্ক কী? আমার কী কাজ? আমার ম঩ধ্যের আমি এবং এই আমি কি একই মানুষ? 
কীভাবে জানা যাবে এই সত্য? জানতে চাইলেন মইনুদ্দিন। কান্দোজি বললেন, উপলব্ধির শিক্ষা এবং বাইরের শিক্ষা, দুই-ই চাই। বেরিয়ে পড়ো। জীবনের প্রধান লক্ষ্য জানবে একটাই, শেখা। অতএব বেরিয়ে পড়লেন মইনুদ্দিন। কখনও বুখারা, কখনও সমরখন্দ। একের পর এক শিক্ষাকেন্দ্র ঘুরে অধ্যয়ন করলেন ব্যাকরণ, দর্শন, নীতিশাস্ত্র, ধর্ম। হেরাতে হবে সুফি সম্মেলন। সেটা কী? যেখানে ধর্ম নিয়ে অতিরিক্ত কঠোরতা ও দমনপীড়ন নেই। যেখানে মানবধর্ম প্রধান চালিকাশক্তি। সেই হল সুফিবাদ। মানবধর্ম? এই শব্দটি তো চমৎকার! 
মইনুদ্দিন তাই স্থির করলেন যেতে হবে হেরাতে। চাক্ষুষ করতে হবে সুফিবাদ। আত্মস্থ করতে হবে মানবধর্ম। হেরাত, আজকের আফগানিস্তানে সেই সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন খাজা উসমান। তাঁর কথা শুনে, তাঁর সংস্পর্শে এসে বদলে গেলেন মইনুদ্দিন। দীক্ষা নিলেন সুফিবাদে। হলেন খাজা উসমানের শিষ্য। শুরু তাঁর জীবনের অন্য সফর। চিস্তি সিলসিলা! 
মইনুদ্দিনকে তাঁর গুরু শিখিয়েছেন, আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে ঈশ্বর তথা আল্লাহের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই সুফির সংজ্ঞা। মরমি তত্ত্বের সাধনায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার অর্থ তাসাওউফ। আর এই তত্ত্বে যারা নিজেকে নিয়োজিত করবে তারাই সুফি। সপ্তম থেকে দশম শতকের মধ্যে  ইসলামের ধর্মীয় পথের থেকে নিজেদের কিছুটা পৃথক করে, অতীন্দ্রিয়বাদ আর অধ্যাত্মবাদের এক রহস্যময়তায় জীবনকে দেখতে শুরু করলেন সুফি সাধকরা। এই হেরাতের চিস্তি নগরীতেই আবু ইশহাক শামি এই চিস্তি সিলসিলার উদ্ভাবক। 
মইনুদ্দিনের প্রথম শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকি। যিনি গুরুকে বললেন, পূর্বদিকে অগ্রসর হতে। অতএব বুখারা থেকে হেরাত। হেরাত থেকে মুলতান। দীক্ষার পর হজ করতে যেতে হবে, স্থির করেছিলেন মইনুদ্দিন। মক্কা বসবাসকা঩লেই স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন হিন্দুস্তানে আসার। আবার প্রধান শিষ্য বখতিয়ার কাকিও সেরকমই চাইছেন। অতএব লাহোর এবং তারপর দিল্লি। মুলতানে পাঁচ বছর ছিলেন তিনি। এই পাঁচ বছরে সবথেকে বড় লাভ সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা। এক হিন্দু শিক্ষকের থেকে। তবে দিল্লিতে ভালো লাগেনি। আরও কোনও নির্জন স্থান চাই তাঁর। অতএব চলে এলেন আজমির। সালটা ১১৯২। 
কিন্তু যতটা শান্তির আশায় এসেছিলেন, তা বজায় রইল না। মইনুদ্দিন এখানে আসার আগেই একবার ঘোরী ভাইয়ের বাহিনী আক্রমণ করেছিল হিন্দুস্তানে। পশ্চিম হিন্দুকুশ যেদিকে, সেখানেই ওই দুই ভাইয়ের সাম্রাজ্যের সদর জনপদ। জায়গাটার নাম ঘোর। মহম্মদ ছোট ভাই। আর বড় ভাই গিয়াদ উদ দীন (গিয়াসউদ্দিন)। মহম্মদের সর্বদাই ইচ্ছা, সাম্রাজ্যের আরও বিস্তার। বিশেষ করে তাঁর দীর্ঘকালের বাসনা সিন্ধুর ওপারে ওই পূর্বদিকের দেশটায় প্রবেশ করা। কারণ, ওই দেশ সোনা দিয়ে তৈরি। আরব ব্যবসায়ীদের কাছে সংবাদ পেয়েছেন যে, বিদেশের সঙ্গে এই পূর্বদিকের দেশের সম্পর্ক বহুকালের। সেই ২৫০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে। এমন কোনও বহুমূল্য পণ্য নেই, যেটা ওই সিন্ধুর অন্য প্রান্তের দেশে পাওয়া যায় না। তাই ১১৯০ সালে মহম্মদ ঘোরী আক্রমণ করল হিন্দুস্তান। বেশি ভিতরে যেতে পারেনি তার বাহিনী। একটু ঘুরপথে এসে ভাতিন্দা নামক এক জনপদে কব্জা করে। এই ভাতিন্দা যাঁর অধীনে, তাঁর নাম পৃথ্বীরাজ চৌহান।  
প্রথমে মহারাজা চৌহান নিজে আসেননি। পুত্র গোবিন্দ রাইকে পাঠান এই বহিরাগতদের সরিয়ে দিতে। তিনি একাই ছিলেন যথেষ্ট। গোবিন্দ রাইয়ের এই নাম থেকেই আর একটি স্থানের কথা মনে পড়বে। ধিল্লিকা। সেখানে পৃথ্বীরাজ একবার একটি কেল্লা স্থাপন করে এসেছেন। রাই পিথোরা কেল্লা, কেউ কেউ লাল কিল্লাও বলে। ধিল্লিকা নামক নগরীর নাম পরবর্তীকালে হবে দিল্লি। সেখানেই অন্তত ৬০০ বছর পর আর একটি কেল্লা নির্মাণ করবে অন্য এক শাসক। সেটির নামও হবে লালকেল্লা। কিন্তু ইতিহাসের কাছে প্রথম লালকেল্লা ওই ধিল্লিকার নগরীর দক্ষিণে মেহরৌলির কাছে রাই পিথোরা। মাত্র দুশো বছর পরই তার অদূরে গড়ে উঠবে অন্য কিছু স্থাপত্য। নাম কুতুব কমপ্লেক্স। কুতুব মিনার যার অন্যতম অংশ। সেই মিনারের ঠিক সামনে যে লৌহস্তম্ভটি রাখা আছে, সেটা আবার আনা হয়েছিল বিদিশা থেকে উৎপাটিত করে। এনেছিলেন টোমার বংশীয় রাজা অনঙ্গপাল। এসব বলার অর্থ কী? অর্থ হল, এভাবেই ভারতে ধীরে ধীরে মিশ্রিত হতে শুরু করল মুসলিম এবং হিন্দুদের সংস্কৃতি, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, ধর্ম, ভাষা, আচার-ব্যবহার এবং কৃষ্টি। যা নিয়ে বিরোধ হবে প্রবল, আবার মিলনও থাকবে ভবিষ্যৎকালে। মইনুদ্দিন চিস্তির শেষ উপদেশ, সেই ভালোবাসা ও ঘৃণা হাত ধরাধরি করে চলবে আবহমান কাল ধরে। 
১১৯১ সাল। মহম্মদ ঘোরীকে যে গোবিন্দ রাই হারিয়ে দিতে পারেন, সেটা বোধহয় ঘোরী সাম্রাজ্যের কেউ ভাবতেই পারেনি। তাই ওই পরাজয় মেনে নিতে নারাজ ঘোরী। ঠিক এক বছর পর আবার তিনি আক্রমণ করলেন হিন্দুস্তান। এবার আরও বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাজিত হলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান। 
তাতেও ঘোরীর রাগ মেটেনি। তাই তার বাহিনী শুধু যে দখল করা ভূমিখণ্ডে কব্জা এবং লুটপাট করল, তা-ই নয়। সর্বাত্মক গণহত্যাও চলল। ঠিক সেই সময় সেখানে হাজির ছিলেন একজন মানুষ। চোখের সমানে ইসলামের নামে এই হননকাল প্রত্যক্ষ করে যিনি ভাবলেন, আমি আর ফিরে যাব না। যেখানে এই অত্যাচার চলছে, এই ধ্বংসস্তূপেই থাকব। 
থেকে গেলেন মইনুদ্দিন চিস্তি। একটি মাটির বাড়ি নির্মাণ করলেন। যারাই অত্যাচারিত, তারা জানে এই খাজাবাবার কাছে পাওয়া যাবে আশ্রয়। তাই তাঁর নাম হল গরিব-এ-নওয়াজ খাজা। 
তখন কী নাম ছিল এই জনপদের? অজয়মেরু। চৌহানদের রাজধানী। সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত রাজপুতদের এই রাজ্যগুলি বিস্তীর্ণ ছিল উত্তর ভারত জুড়ে। সেই আফগান সীমান্ত পর্যন্ত। মহারাজা অজয়দেব নির্মাণ করেছিলেন, তাই নাম অজয়মেরু। আর সেখান থেকে আজমির। 
১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির মৃত্যুর পর তাঁকে সমাহিত করা হয় যেখানে, সেখানেই ক্রমে গড়ে উঠল সমাধি। শুরু করেছিলেন দাস বংশের সম্রাট ইলতুৎমিস। ১৫৩২ খ্রিস্টাব্দে আরও কিছুটা কাজ করলেন হুমায়ুন। দরগার উত্তর প্রান্তের প্রাচীর আজও সেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। যেখানে লিপিবদ্ধ আছে সেই ইতিহাস। আর তারপর ১৫৭৯’এ সম্রাট আকবর। এক বছরের মধ্যে তিনি ১৪ বার এসেছিলেন এই দরগায়। ততদিনে চিস্তি সিলসিলার সঙ্গে যে নিছক ধর্মীয় কঠোরতা এবং রীতি রেওয়াজের বাড়াবাড়ি নেই, এটা প্রতিষ্ঠিত। হিন্দু ও মুসলিম নির্বিশেষে দরগায় প্রার্থনা করেন। ভারতের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী চাদর অর্পণ করেছেন আজমির শরিফ দরগায়। কেউ বাদ নেই। কিন্তু হঠাৎ তীব্র বিতর্ক!
১১৯২’এর পর, এই ২০২৪ সালে আদালতে আবেদন করেছে হিন্দু সেনা। তাদের আর্জি, আজমির শরিফ নিয়ে সমীক্ষা হোক। কারণ, এই দরগা নাকি আদতে মন্দিরের উপর নির্মিত। যেখানে মইনুদ্দিনের সমাধি, সেখানেই মহাদেবের চিত্র রয়েছে। রয়েছে গর্ভগৃহ। ওখানেই ছিল শিবলিঙ্গ, যা সর্বজনবিদিত। 
এই আবেদনের ভিত্তি কী? ভিত্তি হল, বেশ কয়েকটি বই। আজমিরের বাসিন্দা হরবিলাস সারদা ১৯১১ সালে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। বইয়ের নাম ‘আজমির: হিস্টোরিক্যাল অ্যান্ড ডেসক্রিপটিভ’। সেখানে তিনি বলছেন, ঠিক যেখানে মইনুদ্দিন চিস্তিকে সমাধিস্থ করা হয়েছে, সেই দরগার গর্ভগৃহে মহাদেবের পুজো করা হতো। হিন্দু ব্রাহ্মণ ও ভক্তেরা এসে চন্দনের প্রলেপ দিত শিবলিঙ্গে। তাই এই স্থান হিন্দুদের কাছে আজও এতটা পবিত্র। যদিও হরবিলাস সারদা একথা বলেননি যে, এখানে মন্দির ছিল। সেই মন্দির ভেঙে দরগা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, এই এলাকাতেই কোনও স্থানে মহাদেবের আরাধনাও হতো। 
রবার্ট হ্যামিল্টন আরভিন ‘সাম অ্যাকাউন্ট অব দ্য জেনারেল অ্যান্ড মেডিক্যাল টপোগ্রাফি অব আজমির’ (১৮৪১) গ্রন্থে লিখেছেন, ‘পাতা, ঘাস আর পাথর দিয়ে ঘেরা এক স্থানে ছিল মহাদেবের লিঙ্গ। এই স্থানেই খাজা মইনুদ্দিন এসে একবার ৪০ দিন ধরে সাধনা করেছিলেন। জনসমক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে। তাঁর হাতে থাকত একটি জলভরা ঘটি। সেই ঘটি তিনি একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখতেন। আর তারপর পাশেই বসতেন ধ্যানে। দেখা যেত ঘটি থেকে টুপ টুপ টুপ করে জল পড়ছে নিরন্তর শিবলিঙ্গের উপর। জনশ্রুতি ছিল, সন্তুষ্ট মহাদেব হয়ে লিঙ্গ থেকে আবির্ভূত হয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন খাজাকে! আবার ‘দ্য শ্রাইন অ্যান্ড কাল্ট অব মুইন আল দীন চিস্তি’ গ্রন্থে ইতিহাসবিদ পি এম কুরি বলছেন, দরগা যেখানে অবস্থিত, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির সেই সমাধিস্তম্ভের নীচেই নাকি রয়েছে শিবলিঙ্গ। 
কোনটা ঠিক? এখনও স্পষ্ট হচ্ছে না যে, মন্দির ছিল আজমির দরগায়? নাকি অন্য কোনও ধর্মস্থান? নাকি খাজা মইনুদ্দিনের সময়কালে হিন্দু ও মুসলিম একসঙ্গেই এসে ধর্মপালন এবং চিস্তির উপদেশ গ্রহণ করতেন?  
মইনুদ্দিন চিস্তি যেকথা বলতেন অনুগামীদের, সেই বাণীটি হয়তো এই মুহূর্তে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক। তিনি বলে গিয়েছেন, ‘প্রতিদিন ভোরে যে সূর্য ওঠে, সেই সূর্যালোক সকলের জন্য সমান। সূর্যের কাছে কে হিন্দু? কে মুসলিম?’
08th  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
একনজরে
শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM