Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ। এক আশ্চর্য পৃথিবী দেখছে তনু। অনেক উপর থেকে। চারপাশে অজস্র রঙিন ঘুড়ি উড়ছে। লাল-সাদা পেটকাটি ঘুড়িটা একেবারে হাতের গোড়ায় সোজা হয়ে তিরতির করে উড়ছে। দেখছে তাকিয়ে তাকিয়ে। মিটি মিটি হাসছে। পাশেই গা ঘেঁষে হলুদ-কালো মুখপোড়া তিড়িং বিড়িং ভল্ট খাচ্ছে। একটা চাপরাশ একবারে পেট ছুঁয়ে চলে গেল। ‘হেব্বি মজা’ পাচ্ছে তনু। হাত-পা ছড়িয়ে আকাশে এমন ঘুড়িদের সঙ্গে উড়া-উড়ি! একটা চাঁদিয়াল সাঁই সাঁই করে তেড়ে এল তনুর দিকে। টুক করে মাথা নিচু করে পাশে উড়ে গেল তনু। পাশেই হাফ চাপরাশ শোঁ করে এসে দিল সুতোয় প্যাঁচ লাগিয়ে। ঢিল দে, ঢিল দে। লাটাই ছাড়। সুতো ছাড়। লাট মারছে তনু। আরও ঢিল দিতে হবে। সুতোয় টান লাগল। চারিদিকে ঘুড়িগুলো চিৎকার করে উঠল—ভোকাট্টাআআআ। খিল খিল হেসে উঠল পেটকাটি। চারিদিকে দুয়োওও, দুয়োওও, ভোকাট্টাআআআ প্রচণ্ড ফ্যাঁসফ্যাঁসে উল্লাস। ঘুড়িগুলো নাচানাচি করছে তনুকে ঘিরে। তনুর শরীর হাল্কা হয়ে গিয়েছে। কোনও টান নেই। সুতো ঝুলছে নীচে। হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে চলেছে সে। ভার নেই। হাত-পা ছুঁড়ছে যত, তত সুতোর জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। অসম্ভব জল তেষ্টা। চিৎকার করার চেষ্টা করছে। পারছে না। গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরচ্ছে না। পড়ছে নীচে। ভাসতে ভাসতে পড়ছে। ভয়। অসম্ভব ভয়। ‘বাবাআআআআ...’।
‘অ্যাই অ্যাই ওঠ, জল খা, পাশ ফিরে শো, সারাদিন খালি ঘুড়ি ঘুড়ি আর ঘুড়ি!’ বাবার ঠেলায় তাকায় তনু। থতমত মুখ। এই তো ঘর, খাট, বাবার পাশে শুয়ে, ফ্যান ঘুরছে মাথার উপর, মশারি দুলছে। তবুও ঘামে সপসপে বালিশ-চাদর। বাবা মাথা মুছিয়ে দিল। জল খেল। শুয়ে পড়ল। তনুর চোখে আর ঘুম নেই। কড়কড়ে মাঞ্জা দেওয়া সুতো কাল লাটাইতে জড়িয়েছে। কল খাটিয়ে রেখেছে গোটা দশেক ঘুড়িতে। সব গোছানো আছে। রাত পোহালেই আকাশ দখল নেবে রংবেরঙের ময়ূরপঙ্খী, পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, চাপরাশ, হাফ চাপরাশ ঘুড়ির দল।
তিরতির করে কাঁপছে বাল্বের কেটে যাওয়া ফিলামেন্ট। চল্লিশ, ষাট, একশো ওয়াটের স্বচ্ছ কাচের কেটে যাওয়া বাল্ব জোগাড় করেছে তনু। গত দু’মাস ধরে। নয় নয় করে তাও গোটা দশেক চিলেকোঠার গোপন ডেরায় জমিয়ে রাখা। আজ আর কাল দু’টো দিন। তার পরেই সম্মুখ সমর। যুদ্ধাস্ত্র তৈরি হচ্ছে।
নীলুর ঠাকুমার পুরনো হামানদিস্তা চিলেকোঠায় রাখা। কাপড়ে জড়ানো ‘কাটা’ বাল্ব, একটা আলতার শিশি, বাটিতে ভেজানো সাবু, কলাপাতায় গাব গাছের আঠাও ওখানে। ছাদে তনু, নিলু আর নানুর টিম তৈরি। ঠং ঠং হামানদিস্তার উপর ছেঁড়া কাপড় চেপে রেখে কাচ গুঁড়ো করা চলছে। তারপর কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে তৈরি হবে মিহি কাচ গুঁড়ো। যত মিহি হবে তত শান পড়বে সুতোয়। উবু হয়ে বসে তিনজন। প্রচণ্ড সিরিয়াস একটা কাজ। নজরদারি প্রখর।
ক্লাস টেন, ক্লাস নাইন, ক্লাস এইট। বাড়ির পিছনদিকে এক চিলতে বাগানের ধারে মাটিতে গর্ত করে রাখা আছে। তিনদিকে ইট। শুকনো ডাল-পাতা, আধ-শিশি কেরোসিন তেল, রান্নাঘর থেকে হাতসাফাই করে আনা দেশলাই। ভেজানো সাবুদানা বাটিতে। তিনজনে উবু হয়ে বসে আছে। বাতিল অ্যালুমিনিয়ামের কড়াইয়ে ফুটছে সাবুদানা। ফুটন্ত সাবুতে একটা জবা ফুল দিয়ে দিল তনু। নমস্কার করল তিনজনে। এটাই মাঞ্জা দেওয়ার গোপন রেসিপি। তারপর চামচে করে কাচ-গুঁড়ো মেশানো। এবার গাব গাছের আঠা দিয়ে নামিয়ে, ঘেঁটে তৈরি হবে মাঞ্জার আসল মণ্ড। আলতা মেশাতেই টকটকে লাল। নীলু বলে উঠল—কেটে কেটে লাল করে দেব! উত্তেজিত সবাই।
যুদ্ধ হবে কাল। বুল্টির দাদা ইলেভেনের বাসবদের সঙ্গে। ওদের টিমে সদ্য চলে গিয়েছে হন্তে। আগে তনুর টিমে ছিল। হেব্বি টেনে খেলতে পারে। পটপট ঘুড়ি কাটে। ঘুড়ি লটকায়। হাতের গুলিতে ‘পটল’ দেখায়, মাসল ফোলায়, চুলে আলবার্ট, লুকিয়ে বিড়ি ফোঁকে।
দুপুরে মাঠে রোদ-মেঘের খেলা। ঝলমল করছে। নীলু লাটাই মাথার উপর ধরে এগিয়ে চলেছে। লাটাই ঘুরছে আঙুলের ফাঁকে। ভেজা সাদা সুতো বেড়িয়ে আসছে ফরফর। নানুর এক হাতে ছোট বাটিতে মাঞ্জার কাই। ডান হাতে ময়দার মতো মাঞ্জার কাই নিয়ে সুতোয় মাখাতে মাখাতে চলেছে। পিছনে তনু সুতোর উপর ‘টিপনি’ ধরে এগচ্ছে। মাঞ্জার আসল কেরামতি এই ‘টিপনি’তেই। শিমুল গাছ থেকে সোজাসুজি জামরুল গাছের দূরত্ব কমবেশি কুড়ি পা। দুই গাছের মাঝে পাক খেয়ে খেয়ে ফিনফিনে লাল সুতো ঝুলছে। এখন দুপুর। বাড়ি থেকে ডাকাডাকি শুরু হয়েছে। চান খাওয়া বাকি। তনুর দাদা আসছে ডাকতে। সবার সামনে কান ধরে নিয়ে যাবে। কাজেই দৌড়। তিনজনেই সব গুছিয়ে দৌড় দিল। সুতো শুকোচ্ছে তিরতিরে হাওয়া ও রোদ মেখে।
তবে কি ভোর হয়ে গেল! আধো অন্ধকার ঘর। হলদেটে ডিম-লাইট জ্বলছে। বাবা ওপাশ ফিরে নাক ডাকছে। আস্তে আস্তে তনু মশারি খুলে খাট থেকে নামে। সন্তর্পণে দরজা খুলে বাইরের বারান্দায় আসে। বেশ হাওয়া দিচ্ছে। ঠান্ডা ঠান্ডা। মা-দিদি-দাদা সব ঘুমোচ্ছে। উঠোনের কোণে কোণে তখনও জমে অন্ধকার। সূর্য উঠেনি। উঠবে একটু পরেই। তার আগেই তনু উঠে পড়েছে। ধীরে ধীরে ঘরে ঢুকে কোণে গুছিয়ে রাখা ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে উঠোন পেরিয়ে সদর দরজা খুলে এক দৌড়ে মাঠে। ভেজা ঘাস। মাঠ ঘিরে থাকা গাছেদের দল সব শব্দহীন। উপরে নির্মল আকাশে লালের ফোঁটা পড়ছে। সূর্য উঠছে সবে নদীর ওপার থেকে। হাওয়া আছে। ময়ূরপঙ্খী ঘুড়ির কলে লাটাইয়ের সুতো বাঁধল। লাল রঙের মাঞ্জা দেওয়া সুতো। সুতো আঙুলের ডগায় ধরে হাতের কয়েকটা ‘খ্যাঁচ’ টানে ঘুড়ি হাওয়া পেয়ে গেল। আহা! খোলা আকাশে প্রথম ঘুড়ি। তনুর ঘুড়ি। ফরফর করে বাতাস কেটে কেটে এগিয়ে চলেছে ময়ূরপঙ্খী। ঘুরছে। লাট খাচ্ছে। ঢিল দিলেই আলস্যে গা এলিয়ে দিচ্ছে আকাশের কোলে। একা রাজার মতো। একটু দূরে হলুদ দোতলা বাড়ির ছাদের উপর ময়ূরপঙ্খী তিরতির। ওই তো বুল্টি ছাদে উঠেছে। বুল্টির চুলে লাল ফিতের বিনুনি। একবার গোঁত খেল ঘুড়িটা। বুল্টিকে ছুঁয়ে উঠে গেল ময়ূরপঙ্খী আকাশে আকাশে।
খিলখিল বুল্টি। আকাশময় হেসে উঠছে রঙিন ঘুড়ি। নানান নকশা। মাঠভরা ছেলের দল। আকাশভরা ঘুড়ির মেলা। বাতাসময় চিৎকার—ভোকাট্টাআআআ। কেউ কাঁসর বাজাচ্ছে। কেউ বা শঙ্খ। আর চিৎকার হোওওওওও... দুয়োওওও...।
তনু দেখেছে একটা শতরঞ্জি ঘুড়ি অনেকটা সুতো নিয়ে ভেসে ভেসে সন্ধ্যার অন্ধকারে এসে পড়ল পাড়ার গলিতে বিজিত কাকুর উঠোনের পেয়ারা গাছে। বুল্টির দাদার ঘুড়ি। তনুর শেষ ঘুড়ি কেটেছে এই শতরঞ্জি। ভারী কাঠের দরজা ফেলতেই খুলে গেল। বড় উঠোন ঘিরে পুরনো বাড়ি। ঘর থেকে আলো এসে পড়েছে। এককোণে পেয়ারা গাছ। তার উপরে ঘুড়িটা। আস্তে আস্তে গিয়ে সুতো ধরে আলগা আলগা ‘খ্যাঁচ টান’ দিতেই খুলে এসে ভেসে পড়ল। পেছনে দাঁড়িয়ে ঢোলা পাজামা আর পাঞ্জাবি পরে বিজিত কাকু।
‘ঘুড়িটা দাও।’ বাঁজখাই গলা।
চুপচাপ দাঁড়িয়ে তনু। আবার সেই গলা, ‘যদি ঘুড়ি নিয়ে তিনটে প্রশ্নের মধ্যে দুটোও উত্তর দিতে পারো তবেই এই ঘুড়ি তোমার। আরও উপহার দেব। এসো।’
পিছন পিছন ওঁর ঘরে গেল তনু। ঢুকেই চোখ ছানাবড়া। উরিব্বাস! দেওয়াল তো বইয়ে বইয়ে ঢাকা। বসলেন বিজিত কাকু। টেবিলের উপর অনেক বই। কয়েকটা বই খোলা। সবক’টা বইয়ের মলাটে ‘Kite’ কথাটা কমন। আর প্রচ্ছদে ঘুড়ির ছবি।
‘প্রথম ঘুড়ি আবিষ্কার কোথায় হয়েছিল?’
ড্রাগন ঘুড়ির ছবি ভেসে এল তনুর মাথায়—‘জাপান’।
‘হল না। ভুল। প্রথম ঘুড়ি চীনের। স্যাডং প্রদেশের এক দার্শনিক, নাম মো-জি, বানিয়েছিলেন কাঠের ঘুড়ি। পাখির ওড়া নকল করে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৭৮-৩৯২। এই চীনে ঘুড়ি উড়িয়ে যুদ্ধজয়ের ঘটনাও আছে।’ বলতে বলতে উঠে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দু’টো সন্দেশ একটা প্লেটে নিয়ে এলেন।
‘হুন সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি হানসিন প্রতিপক্ষ ঝাও সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পর্যুদস্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে ২০০০ ঘুড়ির সঙ্গে লন্ঠন জ্বালিয়ে উড়িয়ে দিল শত্রু শিবিরের মাথার উপর। শত্রুপক্ষের সেনারা আচমকা রাতের আকাশে আলোর নাচানাচি দেখে ভূতের ভয়ে সব ফেলে পালাল। হানসিন তখন সহজেই ঝাও সাম্রাজ্যের রাজাকে বিনা বাধায় আটক করল। ২০৬ খ্রিস্টপূর্ব এইসব ঘটেছে।’
এইবার কেটে পড়তে হবে বলে ভাবছে তনু। আবার গল্পগুলোও মন্দ লাগছে না। ঘুড়ি নিয়ে এত গল্প!
‘চীনের ঘুড়ি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিয়ে এল জাপানে। বৌদ্ধরা উপাসনার সময় ঘুড়ি উড়িয়ে রাখত। জাপানে বড় বড় মন্দির ও সৌধ নির্মাণের উঁচুতে পাথর তোলার কাজে ব্যবহার হতো ঘুড়ি। ঘুড়ির সাহায্যে পাথর তুলত উঁচুতে।’
‘ঘুড়ি দিয়ে পাথর! ঘুড়ি তো নেমে যাবে!’
‘সে ঘুড়ি তোমার এই শতরঞ্জি চাপরাশ নয়। বড় বড় ঘুড়ি। অনেকগুলো সুতো।’ বলেই সেই ঘুড়ির ছবি দেখালেন বই খুলে।
‘৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়ায় বিদ্রোহীদের দুর্গ দখল করার জন্য ঘুড়ির সুতোর সঙ্গে বোমা-বারুদ উড়িয়ে বিদ্রোহীদের দুর্গে ফেলে জয় করেছিল সিনা সাম্রাজ্যের সেনাপতি কিম-উ-সিন।’
তনু গল্পের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। বুল্টিদের বাড়ির ছাদে কালীপুজোর সময় ঘুড়ি উড়িয়ে পটকা ফেললে হয়!
‘ইন্দোনেশিয়া জানো?’
তনু ঘাড় নাড়ে। আধখানা সন্দেশ মুখে।
‘ইন্দোনেশিয়ায় ঘুড়ির সুতোর সঙ্গে মাছের টোপ আর আংটা লাগিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরা হতো।’
‘মাছ ধরতে ঘুড়ি!’ তনু সন্দেশ গিলে নিল।
‘সারা বিশ্বে ঘুড়ি কত কাজে লাগানো যে লাগানো হতো! ঘুড়ি উড়িয়ে বিদ্যুৎ সম্বন্ধে জেনেছিলেন কে? বলো!’
ক্যুইজে ছিল। তনুর মনে পড়েছে, ‘বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।’
‘ঘুড়ি উড়িয়ে প্রথম আকাশে ভেসেছিল কে? চল্লিশ সেকেন্ড ভেসে থাকতে পেরেছিলেন জর্জ ক্যালে। স্বপ্ন দেখেছিলেন, পাখির মতো ভেসে থাকবেন। প্রথম চেষ্টা। ১৭৯৯ থেকে ১৮০৯। কী মজা লাগছে না! ঘুড়ি তো ওড়াও... ১৮২৭ সাল, বুঝলে! ঘোড়ায় টানা গাড়ি। ঘোড়ার সংখ্যার উপর ট্যাক্স নেওয়া হতো তখন। এক স্কুলশিক্ষক অনেকগুলো ঘুড়ি উড়িয়ে সুতো বেঁধে দিলেন গাড়ির সঙ্গে। ব্যস, গাড়ি চলল গড়গড়িয়ে। তাঁর নাম জর্জ পোকক। এই দেখ তাঁর গাড়ির ছবি। ঘুড়ির সঙ্গে থার্মোমিটার বেঁধে দিয়ে বায়ুস্তরের তাপমাত্রা জানা। অ্যানিমোমিটার বেঁধে বায়ুর বেগ নির্ণয় চলছে, বুঝলে!’
‘মানে আমরা তো ঘু-ড়ি...।’ তনু জল খায়।
‘আমিও ঘুড়ি ওড়াতাম। খুব নেশা ছিল। বছর দশেকের এক বালক হোমান ওয়ালশ ঘুড়ি উড়িয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উপর দিয়ে সেতু নির্মাণের তার নেওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিল। তখন তো হেলিকপ্টার হয়নি। সালটা ১৮৪৭।’
‘নায়াগ্রা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত!’
‘ইয়েস!’ চশমার আড়ালে ঝিলিক দিল বিজিত কাকুর চোখ।
রাইট ব্রাদার্স উড়োজাহাজ তৈরির চেষ্টা করছে পাখির ওড়া দেখে। ১৮৯৯ সাল। সেই সময় আমেরিকার এক ভদ্রলোক, সিলাস কোনাইন এমন ঘুড়ি তৈরি করলেন, যা সৈনিকদের বহন করতে পারে। সেটা ১৯০২। কত গল্প বলব! মোগল সম্রাটরা ঘুড়ির সঙ্গে সোনা-রুপোর ঝুমঝুমি বেঁধে দিত। ঘুড়ি ওড়ানো ছিল তাঁদের আমোদ। আবার ঘুড়ির সঙ্গে চিঠি লিখে সংবাদ পাঠানোর প্রথাও আছে। আছে প্রেম জানানোর ঘটনা। আবার এই ভারতে ঘুড়ি হয়েছিল প্রতিবাদের অস্ত্র। ১৯২৭ সাল। স্যার জন সাইমন এসেছিলেন ভারতে।’
‘জানি। সাইমন কমিশন। ক্যুইজে এসেছিল।’
‘বাহ্ তুমি ক্যুইজ করো! সাইমন আর তার ব্রিটিশ টিম এসেছিল ভারতের সংবিধান নতুন করে তৈরি করতে। ভারতীয়রা সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল। তখন প্রতিবাদ হিসেবে ঘুড়িতে ‘গো ব্যাক সাইমন’ লিখে ওড়ানো হতো। ভালোবাসা, সংবাদ, প্রতিবাদ সবই ছড়িয়ে পড়ত ঘুড়ির মধ্য দিয়ে। দাঁড়াও তোমাকে এবার উপহার দিই। এই নাও।’ একটা বড় বাঁধানো বই হাতে তুলে মলাট উল্টে ভিতরে লিখে দিলেন বিজিত কাকু, ‘ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি করার জন্য তনুকে ভালোবেসে এই উপহার’। সই করে হাতে দিলেন। ‘যাও, বাড়ি যাও সোজা। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এবার তোমার কাকা আমাকে বকবে।’
এক হাতে বুল্টিদের বাড়ির কেটে যাওয়া ঘুড়ি আর অন্য হাতে ঘুড়ি তৈরির রঙিন ছবিওয়ালা বই নিয়ে পথে নামে তনু। বাড়ি ফেরে। আগামী কাল ঘুড়িতে ‘ভালোবাসা’ লিখে বুল্টিদের বাড়ির ছাদের দিকে উড়িয়ে দেবে— ঠিক করে মনে মনে। 
ঘুড়ি ভালোবাসা, যুদ্ধ, প্রতিবাদ, আবিষ্কার সব সবকিছু নিয়ে উড়ে উড়ে যায় নীল আকাশে আকাশে।
তনু আজ বারোতলা অফিসের জানালা দিয়ে তাকায়। ঘোলাটে আকাশ। ছিটেফোঁটা ঘুড়ি উড়ছে আকাশে। রংহীন আকাশ। কোথায় ঘুড়ি আর স্বপ্নের উড়াউড়ি!
15th  September, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
একনজরে
মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM