Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’ 
শুভদীপ মাথায় টোপর চাপিয়ে মায়ের সামনে এসে দাঁড়াল। প্রণাম করে বলল, ‘মা তোমার জন্য দাসী আনতে যাচ্ছি।’ মা ছেলেকে আশীর্বাদ করে বলল, ‘ওকথা বলতে নেই বাবা। এখন তো আর সেই যুগ নেই। এখন তুই তোর জীবনসঙ্গিনী নিয়ে আয়, যে আমাদের এই সংসারে সকলের মধ্যে একজন হয়ে থাকবে।’ 
শুভদীপ বলল, ‘মা, তুমি তো সংস্কারহীন একজন মানুষ। আমাকে সেভাবেই বড় করেছো। তবু আমার বিয়েতে তুমি যেতে পারলে না? সেই সংস্কারের মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখলে!’
মলিন মুখে মা হেসে বললেন, ‘কিছু কিছু সংস্কার সংসারের পক্ষে মঙ্গল বাবা।’ শুভদীপের বুঝতে বাকি রইল না, মায়ের মন সংস্কার মুক্ত হওয়ায় সংসারের বা সমাজের নানা বাধার নিষ্পেষণ তাঁকে সহ্য করতে হয়। এসব বাধা মা অক্লেশে মেনে নিতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ছেলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য হয়তো বাবার থেকেই সবচেয়ে কটু কথাটা শুনতে হবে মাকে। সুতরাং সংস্কারহীন হওয়া সত্ত্বেও অশান্তি এড়াতে ছেলের বিয়েতে গেলেন না মা। 
বাঙালিদের জীবনে এ এক অবাক করা সংস্কার! মা ছেলেকে গর্ভে ধারণ করে, তাকে মানুষ করে। কিন্তু সেই সন্তানের জীবনের সবথেকে আনন্দের দিনে মা উপস্থিত থাকতে পারে না। এ এক অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রথা। মাতৃত্বের পক্ষে সবথেকে অবমাননাকর একটা কুসংস্কার। কিন্তু সন্তানের কল্যাণ কামনায় মাকে এই সংস্কার মানতেই হয়। কেন? সংস্কারের প্রথম শর্তটাই হল, ছেলের বিয়েতে মা উপস্থিত থাকলে নাকি ছেলের অমঙ্গল হয়। কী অন্ধ এবং মধ্যযুগীয় একটা রুচিহীন সংস্কার! আচ্ছা, মেয়ের বিয়েতে তাহলে মা উপস্থিত থাকলে কোনও দোষ থাকে না কেন?
আসলে আমাদের কুসংস্কারগুলো সবই অন্ধ। শিক্ষা বা যুক্তি দিয়ে তার বিচার চলে না। সেই মধ্যযুগীয় কুসংস্কার আজও আমাদের শিক্ষিত মনের অন্ধকার স্তর দিয়ে বয়ে চলেছে। এর পিছনে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভাবনা এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের আধিপত্য।
আমাদের পঞ্জিকা অনুযায়ী মলমাস পালন করা হয়। বলা হয়, মলমাসে কোনও শুভ কাজ করতে নেই। তাতে দোষ লাগে। সম্ভবত সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজে মেয়েদেরও কিছু কিছু শুভ কাজে তাদের ‘অশুচি’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিধবা এবং ঋতুমতী মহিলারাই বাঁধা পড়ে যান ভিত্তিহীন নিয়মতন্ত্রের নানা নিগড়ে। সংসারে থেকেও তাঁরা থাকেন মলিন মানুষ হয়েই।
রাখি পূর্ণিমার আগে থেকে কিশোরী শকুন্তলার খুব আনন্দ। ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেবে। স্কুলের পয়সা জমিয়ে সে ভাইয়ের জন্য একটা সুন্দর গিফ্ট কিনে সেটা লুকিয়ে রেখেছে। ভাইকে সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু শকুন্তলা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দিতে পারল না। মা বলল, ‘আর হবে না। শরীর খারাপ নিয়ে ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধার মতো শুভ কাজ করা যায় না।’ কিশোরী শকুন্তলা কথাটা শুনেই ভেঙে পড়ল। ভাসল চোখের জলে।
প্রতি মুহূর্তে এমনই অসংখ্য ‘অশুচি’ মেয়ে আমাদের সমাজে অপমানিত হচ্ছে। প্রাচীন যুগ থেকেই তা চলে আসছে। নারীকে এক পণ্য হিসাবে দেখা হতো। তাই মহাভারতে যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীকে বাজি ধরতে পারেন। বাজিতে হেরে যাওয়ার পর রজঃস্বলা দ্রৌপদীকে সভার মাঝে অপমানিত করলেও বিদ্বজ্জনরা তার প্রতিবাদ করেননি। কেউ কেউ নারীত্বের এই অপমান উপভোগও করেছিলেন। সেই লাঞ্ছনার সময় মহাভারতের বীরগণ দ্রৌপদীকে ‘অশুচি’ ভাবেননি। বিভিন্ন শাস্ত্রকার, বেদভাষ্য, মনু মেয়েদের নানাভাবে পিছন থেকে টেনে ধরতে চেয়েছেন। আসলে সমস্ত নিয়মতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে পুরুষের পেশিশক্তির প্রকাশ এবং আধিপত্যবাদের চেষ্টা। 
কেরলের কনকদুর্গা নামের মেয়েটা এক সময় সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। সাধারণ এই মেয়েটি দীর্ঘদিনের এক সংস্কার ও নারীত্বের অবমাননা দূর করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ। সুপ্রিম কোর্ট মেয়েদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিলেও মন্দিরের পুরোহিত এবং অসংখ্য ভক্ত তা মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু কনকদুর্গা এবং বিন্দু আম্মিনি পুলিসের প্রহরায় মন্দিরে প্রবেশ করেন। তাই নিয়ে রাজ্যে হইহই কাণ্ড। কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা হরতালের ডাক দিলেন। আর নিজের ঘরের দরজাই বন্ধ হয়ে গেল কনকদুর্গার সামনে। মন্দির থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর রাগে তাঁর শাশুড়ি চ্যালাকাঠ দিয়ে মেরে কনকদুর্গার মাথা ফাটিয়ে দেয়।  
শুধু কি শবরীমালা? এমন অনেক মন্দির আছে ভারতজুড়ে। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে অন্নপ্পা স্বামীর মন্দিরেও মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে না। কেরলের শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির কিংবা মহারাষ্ট্রে শিরডির কাছে শিংনাপুরের শনি মন্দিরের গর্ভগৃহেও মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের ধৌলাগিরি পাহাড়ে বাবা বালকনাথ মন্দির, রাজস্থানের পুষ্করের কার্তিকেয় মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের ভবানী দীক্ষা মণ্ডপমে মেয়েরা অচ্ছ্যুৎ। বারবার মেয়েদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তুমি ঋতুমতী, তাই তুমি অপবিত্র। এর কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই। অন্য সব মন্দিরে যদি মেয়েদের প্রবেশাধিকার থাকে, তবে এইসব মন্দিরেই বা থাকবে না কেন? 
মেয়েদের পৌরোহিত্য করার কোনও অধিকার ব্রাহ্মণরা দেননি। মেয়েরা বাড়ির পুজো করলেও পুরোহিত বৃত্তি গ্রহণ করায় অনেক বাধা ছিল। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ চলচ্চিত্রে শবরীর পুরোহিত হওয়ার লড়াই, বিয়ে দেওয়ার অধিকার আদায়ের লড়াই এক প্রতিবাদের মতো। সেই লড়াই আজ অনেকটাই যেন সফল হয়েছে। এখন বাস্তব জীবনে বহু মহিলা পৌরোহিত্য করছেন, বিয়ের আসরে মাঙ্গলিক মন্ত্রে দু’টি হৃদয়কে জোড়া দেওয়ার কাজ করছেন। 
বিধবারা এক সময় সমাজে নানা শুভ কাজে অপাংক্তেয় ছিলেন। গৌরীদানের পর অল্প বয়সে একটি মেয়ে বিধবা হলে তাকে কী অসহনীয় নিয়মের পীড়ন সহ্য করতে হতো, তা বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন কাহিনিতে আছে।
আদিকাল থেকেই দেখা যায়, পুরুষ যেহেতু শারীরিকভাবে বলবান, তাই সে চিরকাল নারীর ওপর প্রভুত্ব করে গিয়েছে। নারীকে সে কার্যত ক্রীতদাস হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে। মনুবাদী ন্যায়শাস্ত্র হল একটি ব্রাহ্মণ্যবাদী শাস্ত্র। এতে মেয়েদের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা এক কথায় চরম অপমানজনক। 
তাই একদল পুরুষ যখন বলে, ‘নারী হল নরকের দ্বার’, আবার অন্যদল বলে, ‘নারী তুমি অর্ধেক আকাশ।’ তখনই বোঝা যায়, আমাদের ভাবনায় কোনও সামঞ্জস্য এখনও আসেনি। তাই পদে পদে মেয়েদের নানা ধরনের জীবন-যন্ত্রণায় শামিল হতে হয়। আজ তো ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে অনার কিলিংয়ের ঘটনা।  
বাংলা রেনেসাঁ এবং পরবর্তী সময়ে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, লেডি অবলা বসু সহ বেশ কিছু মানুষ নারী জাগরণে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন সমস্ত বাধা পেরতে গেলে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন। হাঁচি, কাশি, টিকটিকির মধ্যে সংস্কারকে আটকে রাখলে বাঙালি কুয়োর ব্যাঙ হয়েই থাকবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’-এর মধ্য দিয়ে পুরুষতন্ত্রের খবরদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘোষিত হয়েছে। আশাপূর্ণা দেবীর ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুল কথা’ উপন্যাসে সত্যবতী, সুবর্ণলতা ও বকুল তিনটি চরিত্রই যেন সামাজিক কুসংস্কার, অন্যায় এবং কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ।     
বছর কুড়ি আগে মেদিনীপুরের সরবেড়িয়ার কাছে একটি গ্রামে আলাপ হয়েছিল লক্ষ্মী বাগদির সঙ্গে। খেতে কাজ করে। লক্ষ্মীকে গ্রামের মাতব্বররা ডাইনি অপবাদ দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। কারণ গ্রামে মুরগি মরে যাচ্ছিল। তখনও বার্ড ফ্লু’র নাম এভাবে ছড়ায়নি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, লক্ষ্মী ডাইনির জন্যই মুরগি মরে যাচ্ছে। লক্ষ্মী পাঁচ হাজার টাকা দিতে পারেনি। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে মরদের হাত ধরে সে পালিয়ে এসেছিল সরবেড়িয়ায়। 
শুধু কি নারীরা? পুরুষরা অচ্ছুত থাকেনি! সূতপুত্র কর্ণের সঙ্গে অর্জুন দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হননি। একলব্যের মতো এক দলিত শিক্ষার্থীকে দ্রোণাচার্য অস্ত্রশিক্ষা দিতে রাজি হননি। একলব্যের দক্ষতা ছিল অর্জুনের কাছেও ঈর্ষণীয়। তাই গুরুদক্ষিণার নামে দ্রোণাচার্য একলব্যের দক্ষতাকে শেষ করে দিয়েছিলেন।
তৃষ্ণার্ত সন্ন্যাসী আনন্দকে জল দিতে গিয়ে হাত কেঁপেছিল চণ্ডালকন্যা প্রকৃতির। সন্ন্যাসী শিখিয়েছিলেন, মানুষের স্পর্শে জল কখনও অশুচি হয় না। মানুষও কখনও অস্পৃশ্য হয় না। নতুন এক মানবিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছিল প্রকৃতি। চণ্ডালিকার প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিল।  
এই অচ্ছুত মানসিকতা ভেদ করার চেষ্টা করেছিলেন শ্রীচৈতন্য। ধর্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি আদ্বিজ-চণ্ডালকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে রেনেসাঁর মধ্য দিয়ে মানবিকতার আলোক বিচ্ছুরিত হলেও আমরা কিন্তু মধ্যযুগীয় ক্ষুদ্র সংস্কারের গণ্ডি ভেঙে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। 
08th  September, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
একনজরে
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সহ মোদি সরকারের একাধিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভারতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত লাভজনক। তাই সেখানে উৎপাদন ...

অণ্ডাল থানার মধুজোর কোলিয়ারিতে পরিত্যক্ত আবাসনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ৮০টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। ওই পরিবারগুলি বৃহস্পতিবার দক্ষিণখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পুনর্বাসনের দাবি করেন। ...

পুরসভার চেক জালিয়াতির তদন্ত শেষ হতে না হতেই এবার নতুন চক্রের হদিশ বালুরঘাটে। বিডিও অফিসে পদ ফাঁকা রয়েছে,আজকের মধ্যেই অত্যন্ত গোপনে যোগাযোগ করতে হবে। এমন টোপ ...

সুখবীর সিং বাদলের উপর হামলার আগের দিনও অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ঘোরাফেরা করেছিলেন অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে একথা জানিয়েছে পুলিস। বুধবার জঙ্গির ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু

05th  December, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী ১৫/৩ দিবা ১২/৮। শ্রবণা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১৯। সূর্যোদয় ৬/৭/২২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ১০/৪৭। শ্রবণা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে ও ৭/৪৬ গতে ৯/৫৩ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/২৫ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাওড়ায় বধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 

11:15:00 PM

দিল্লি বিমান বন্দরে প্রচুর সোনা সহ আটক ১

10:29:00 PM

কর্ণাটকের তালিকোটি তালুকে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত ৫

10:23:00 PM

বারাণসীতে কালভৈরবের মন্দির পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

10:14:00 PM

পাঞ্জাবের কালিসান গ্রামে চাষের জমি থেকে ৫৯৯ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করল বিএসএফ

09:43:00 PM

পাটনার গান্ধী ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

09:33:00 PM