Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

মৃণালকান্তি দাস:  আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা। পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল (ঢাকা-মাওয়া-যশোর), কর্ণফুলি টানেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, শাহজালাল সার কারখানা, পদ্মা জল শোধনাগার প্রকল্প, তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো ও ডিজিটাল সরকার প্রকল্প, মোবাইল অপারেটরের একচেটিয়া নেটওয়ার্ক ভেন্ডর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নজরদারি সফটওয়্যার, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর মতো একাধিক প্রকল্পে বেজিংয়ের ছায়া। ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, ২৩ বিলিয়ন ডলারের ঠিকাদারি কাজ ও বছরে ১৩ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি নিয়ে চীন এতদিনে বাংলাদেশে তার ফুটপ্রিন্ট সুগভীর করে ফেলেছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮-২২ এই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ২৫তম। এই সময়ে দেশের মোট আমদানির ৭৪ শতাংশ চীন থেকে হয়েছে (১৩ মার্চ ২০২৩, নিউএজ), যার ধারেকাছে কেউ ছিল না। অথচ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে বেজিং কখনও ঢাকার পাশে দাঁড়ায়নি। আরাকান সঙ্কট সমাধান ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে চীন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আমেরিকার বিপরীতে চীনের অনুদানও নগণ্য। তবুও চীনের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল হাসিনা সরকারের।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের এত আগ্রহ কেন? ঠিক কী ধরনের স্বার্থ রয়েছে তাদের? আসলে, সুপার পাওয়ার হতে চাওয়া চীন মূলত এই অঞ্চলে আধিপত্য রাখতে চায়। বিশেষত, বঙ্গোপসাগরে। আর, এই আগ্রহের প্রধান কারণ আমেরিকার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’। ২০২১ সালে আমেরিকা এই স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করে। সেখানে চীনকে বাদ দিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ফিলিপিন্স, বাংলাদেশ সহ অন্য দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিরাপদ ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। এই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাস করে। ফলে যে কোনও পণ্যের বাজার হিসেবে এই অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। সেই কারণেই এই অঞ্চলে নজর আমেরিকার। বেজিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমেরিকান স্ট্র্যাটেজিতে আঘাত হেনেছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে শেষ কামড় দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমেরিকাও।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর সরকার কী চাইছে। ছোট তালিকা। তবে তাতে যথেষ্ট স্পর্শকাতর উপাদান ছিল। বিশেষ করে আমেরিকা চেয়েছে, ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের পাশে থাকুক বাংলাদেশ। এজন্য তারা দু’টি সামরিক চুক্তিও করতে চায়। এসব প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য কিছুটা বিব্রতকর। কারণ, একই অঞ্চলে আমেরিকার স্বার্থের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে চীন। রয়েছে ভারতও। সকলের স্বার্থ এক রকম নয়।
সমস্যাটা কোথায়, পোড় খাওয়া কূটনীতিক পিটার হাস নিশ্চিত জানতেন। নিজেই বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ওয়াশিংটন-ঢাকা বন্ধুত্বে কোনও বাধা হওয়ার কথা নয়। যদিও বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আর দু’টি দেশের সাধারণ সৌজন্যে আটকে ছিল না। ৪৭ বছরে তা ক্রমাগত কাছে এসেছে। উভয়ের এখনকার বন্ধন বহুমাত্রিক এবং অনেক গভীর। একাত্তরে স্বীকৃতি দিতে দেরি করে ভুল করেছিল বেজিং। পরে সেটা পুষিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের পক্ষে চীনের প্রতিপক্ষ আমেরিকার সঙ্গে মাখামাখি করা কঠিন। রয়েছে তাইওয়ান প্রশ্নও। হাসিনা জমানায় তাইওয়ানের পৃথক স্বাধীন সত্তা স্বীকার করেনি বাংলাদেশ। অথচ, আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে বাংলাদেশে চীনের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি দুর্বল। ভারত বা আমেরিকা তার তুলনায় অনেক এগিয়ে। তাই বাংলাদেশকে শুধু চীনের সঙ্গে নয়, তিন সীমান্তের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গেও ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। তাহলে বাংলাদেশ কোন দিকে হাত বাড়াবে? এই অঙ্কই কষেছেন পিটার হাস। তাদের হাতে রয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং নানা মিশনের প্রভাব-প্রতিপত্তি। তিনি নিশ্চিত জানতেন, বিপদে পড়লে কোনওদিনই হাসিনার পাশে দাঁড়াবে না বেজিং!
আর্ল মিলারের পর বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন পিটার। ২০২২ সালের মার্চে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কয়েক মাস স্বাভাবিক নিয়মে রুটিনমাফিক কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে তাঁকে দেখা যায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে মাথা ঘামাতে। আসলে ‘হাসিনা বিরোধী’ লড়াইটা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ঘিরেই। হাসিনা বিরোধীরাও দ্রুত বুঝে গিয়েছিলেন আগামী দিনে তিনিই হবেন ‘পালাবদলের অনুঘটক’। ফলে মার্কিন দূতাবাসে বিএনপি নেতাদের আনাগোনাও বেড়ে যায়। উল্টোদিকে হাসিনা সরকার আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছিল।
২০২৩ সালের ২৪ মে নয়া ভিসা নীতি ঘোষণা করে আমেরিকা। বলা হয়, বাংলাদেশে যারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, আমেরিকা তাদের সে দেশে যাওয়ার ভিসা দেবে না। এর পরই সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে পদ্মাপারে। নয়া উদ্যমে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচনার মূল স্রোতে ঢুকে পড়ে সে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ‘সেন্ট মার্টিন’। আমেরিকা নৌঘাঁটি বানাতে দ্বীপটি নিতে চায় এবং বিএনপি দ্বীপটি ‘বিক্রির মুচলেকা’ দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়—ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের এই অভিযোগ ওয়াশিংটনে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের প্রেস ব্রিফিং পর্যন্ত গড়ায়। মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, এটি ঠিক নয়। গুঞ্জন উসকে দিয়ে হাসিনা বলেন, ‘যতই চাপ আসুক দেশের এক ইঞ্চি ভূখণ্ডও অন্য কোনও দেশকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না।’ এরপর বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে মার্কিনিরা যে উতলা, তা টের পাওয়া যায় আমেরিকার দূতাবাসের সক্রিয়তায়। তবু ঘুম ভাঙেনি হাসিনা সরকারের। আওয়ামি নেতারা ব্যস্ত ছিল অঙ্ক কষতে, কীভাবে বিনা-নির্বাচনে পরের ভোট উতরে যাওয়া যায়। 
এভাবে সময় গড়াতে গড়াতে আসে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক মারধর। এক পুলিস হত্যা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা সহ নজিরবিহীন তাণ্ডব দেখে ঢাকা। এই ঘটনায় কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন পিটার হাস। এই সময় শ্রীলঙ্কা হয়ে নিজের দেশ সফরের পর আর বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং আমেরিকার মুখে শোনা গিয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা। কিন্তু আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক উগ্রতায় শেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ছবিটা বদলে যায়। পরে অবশ্য সেই উগ্রতাই কাজে লাগিয়েছে বিরোধীরা। ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণা উস্কে দিয়েছিল জনগণের মধ্যে। 
শুরুটা হয়েছিল পড়ুয়াদের ‘কোটা আন্দোলন’ থেকে। তারপর আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরে যায় ‘এক দফা’ দাবি। আন্দোলন-সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে পদ্মাপারের দেশ।
ফের লাল কালিতে লেখা শুরু হয় বাংলাদেশের ইতিহাস। লেখা চলছে...।
         গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল  সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
11th  August, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
একনজরে
পটাশপুর থানার দক্ষিণ খাড় গ্রামে টেবিলফ্যান চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম ষষ্ঠী দাস অধিকারী(৪৫)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ...

লেবাননের দক্ষিণ বেইরুটে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার উত্তরসূরি হাশেম সফিউদ্দিন। শনিবার বিভিন্ন রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। এখন পর্যন্ত এবিষয় ...

দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে বিসর্জনের কার্নিভাল নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল। কার্নিভালের জন্য এবার শ্রীরামপুর শহরকে নির্বাচন করা হয়েছে। গতবছর জেলা সদর চুঁচুড়ায় কার্নিভালের ...

শুক্রবার রাত থেকে ব্যাপক গঙ্গা ভাঙন গোপালপুরের কামালতিপুরে। শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মিটার জমি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। মাসখানেকের বেশি সময় পর সবেমাত্র বন্যার জল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০২ - ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন হয়
১৭৬৯ - ক্যাপটেন কুক নিউজিল্যান্ডে পদার্পণ করেন
১৮৬০ - ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনে পরিণত হয়। তবে এর কার্যকারিতা শুরু হয় ১ জানুয়ারি ১৮৬২ সালে
১৮৮৯- মার্কিন আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন প্রথম মোশন পিকচার প্রদর্শন করেন
১৮৯৩-জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার জন্ম
১৯৩০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার রিচি বেনোর জন্ম
১৯৩৩ - কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর জন্ম
১৮৪৪- বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জিতান রাম মাঝির জন্মদিন
১৯৪৬- অধুনা পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা, প্রযোজক ও রাজনীতিক বিনোদ খান্না
১৯৪৬ -ইংরেজ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগের জন্ম
১৯৫৬- প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন
১৯৬৩- অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রের জন্মদিন
১৯৭৬-পরপর দু’টি বিস্ফোরণে আটলান্টিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ে কিউবার বিমান। মারা যান ৭৩ জন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া ৫/৪৩, দিবা ৭/৫০। বিশাখা নক্ষত্র ৪৬/৩৫, রাত্রি ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/৩৩/২২, সূর্যাস্ত ৫/১৬/১৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৪ গতে ৪/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/২৯ মধ্যে।  
১৯ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্থী অহোরাত্র। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৯ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/২৮ মধ্যে  ২/১৯ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ধর্মতলায় আমরণ অনশনে যোগ দিলেন ডাক্তার অনিকেত মাহাতো

11:48:00 PM

পথ দুর্ঘটনায় আহত ৫ জন
পথ দুর্ঘটনায় আহত হল এক বাইক আরোহী সহ ৫ জন। ...বিশদ

11:02:00 PM

দুর্গাপুরে মার্কনী পুজো মণ্ডপে মানুষের ঢল

10:56:00 PM

প্রথম টি-২০: ৭ উইকেটে বাংলাদেশকে হারাল ভারত

10:44:30 PM

মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে ধস, বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

10:41:00 PM

লখনউতে নয়া অবতারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, খেললেন ক্রিকেট

10:18:00 PM