Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না।
ইলেকট্রিক্যাল লাইন্সম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন জোসি সুলিতান। ২০০১ সালের মে মাসে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁকে দু’টি হাতই হারাতে হয়। চিকিৎসকরা প্রচলিত রবারের হাত লাগানোর পরামর্শ দেন। ঠিক তখনই বায়োনিক হাত লাগানোর প্রস্তাব পান জোসি। স্বাভাবিক হাতের মতোই সে দু’টিকে মস্তিষ্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এই কৃত্রিম হাতের সাহায্যে কোনও জিনিসের তাপমাত্রা কত, তাও বুঝতে পারেন তিনি।
উপরের দু’টি ঘটনা রোবোকপ, টার্মিনেটরের মতো কোনও সিনেমা বা কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়। ঘোর বাস্তব। এই প্রযুক্তির পোশাকি পরিচয় সাইবারনেটিক অর্গানিজম। সংক্ষেপে সাইবর্গ। অর্থাৎ মানব শরীর এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি যন্ত্রের সমন্বয়ের মানুষ। এই সাইবর্গদের মানুষ ও রোবটের মিশ্রণ বলা চলে। এর ফলে তারা হয়ে উঠছেন স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে আরও উন্নত।
বদলে যাওয়া দুনিয়ায় টিকে থাকার জন্য এই সাইবর্গের পক্ষেই সওয়াল করেছেন নিউরোলিঙ্ক কর্তা ইলন মাস্ক। সম্প্রতি একটি প্রযুক্তি সম্মেলনে তিনি বলেন—‘আগামী দিনে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকতে হলে আরও কিছু সক্ষমতার প্রয়োজন। মানুষকে আরও উন্নত হতে হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এটা কীভাবে সম্ভব? কারণ বিবর্তন বিরামহীন হলেও এর গতি অত্যন্ত মন্থর। সুতরাং ইলনের কথা অনুযায়ী মানুষকে দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পর্যায়ে সক্ষম হতে গেলে বিবর্তনের ভরসায় থাকা যাবে না। তাতে বহু বছর লেগে যাবে। আর বিবর্তন ছাড়াই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষকে আরও উন্নত হতে গেলে সাইবর্গই ভবিষ্যৎ।
বাস্তব জগতের সাইবর্গদের সম্পর্কে বলতে গেলে সবার প্রথম যার নাম উঠে আসে, তিনি নিল হার্বিসন। বিশ্বের প্রথম আইন স্বীকৃত সাইবর্গ। ৩২ বছর বয়সি হার্বিসন ‘অ্যাক্রোম্যাটোপসিয়া’ নামক এক বর্ণান্ধতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীর সবকিছু দৃশ্যমান হলেও সাদা-কালো ছাড়া আর কোনও রং দেখতে পেতেন না। ছোটবেলা থেকে তিনি এই জগতের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। ২০০৪ সালে এসে এই সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজা শুরু করেন হার্বিসন। সেই সময়ে ডাটিংটর্ন কলেজ অফ আর্টসে মিউজিক নিয়ে পড়াশুনা করছিলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অ্যাডাম মন্টানডন। হার্বিসনের জন্যে মন্টানডন কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগকারী একটি অ্যান্টেনা বানিয়ে দেন। সব মিলিয়ে যার ওজন ছিল ৫ কিলোগ্রাম। অ্যান্টেনাটি ৩৬০টি পৃথক শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন রঙের অনুবাদ করত। আর হেডফোনের মাধ্যমে তা শুনে কোনটির কী রং, বোঝার চেষ্টা করতেন হার্বিসন। মন্টানডন ও হার্বিসন ওই যন্ত্রের নাম দেন ‘আইবর্গ’। যদিও আইবর্গের সাহায্যে রঙিন পৃথিবীতে যে হার্বিসন খুব সহজেই যাত্রা শুরু করতে পেরেছিলেন, তেমনটা নয়। বিষয়টির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাথাব্যথা সহ্য করতে হয়েছিল হার্বিসনকে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে কোন শব্দতরঙ্গ কোন রঙের ব্যাপারে বলছে, তা বোঝার চেষ্টা করেন। ধীরে ধীরে হার্বিসনের চোখে ধরা দিতে থাকে বর্ণময় রঙিন পৃথিবী। কিন্তু রঙের সমস্যা দূর হলেও আসল সমস্যা রয়েই গেল। তা হল পাঁচ কেজির কম্পিউটার সব সময় বয়ে বেড়ানো। এই সমস্যার সমাধানে নামলেন হার্বিসন নিজেই। বেশ কিছু বিকল্প উপায় অবলম্বন করার পর সিদ্ধান্ত নিলেন, সরাসরি মাথার খুলির সঙ্গে যোগ করবেন ওই অ্যান্টেনা। শুরু হল ডাক্তারদের কাছে ধরনা দেওয়া। প্লাস্টিক সার্জন থেকে শুরু করে ডজনখানেক চিকিৎসক না বলার পর, নাম গোপন রাখতে হবে এমন শর্তে অপারেশন করতে রাজি হলেন এক ডাক্তার। মাসখানেক পর দেখা গেল দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন হার্বিসন। অ্যান্টেনাটি তাঁর কাছে শরীরের একটি অঙ্গের মতোই। যাঁরা এই ধরণের প্রযুক্তিকে আক্ষরিক অর্থেই নিজের শরীরের সঙ্গে আত্মস্থ করে নিতে চান, টেক-স্যাভিদের কাছে তাঁরাই ‘বায়োহ্যাকার্স’ নামে পরিচিত। কারণ, শরীরের ‘বায়োলজি’কে হ্যাক করে তাঁরা নিজেদের শরীর বা মস্তিষ্ক যাতে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন।
লেখার শুরুতে উল্লেখ করা ক্লডিয়া মিশেল বা জোসি সুলিতানের মতোই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন জেরি জালাভাও। নতুন বাইক কিনে মহাআনন্দে চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় লাইটার বের করে সিগারেট ধরাতে গিয়ে দেখেন, উড়ে গিয়েছে মধ্যমা আঙুলের অর্ধেকটা। দুর্ঘটনায় আঙুল হারানোর পর সেখানে কৃত্রিম আঙুল লাগিয়ে নেন নিজেই। আর সেই আঙুলের মধ্যে বসিয়ে নেন দুই গিগাবাইটের ইউএসবি ড্রাইভ। আমি-আপনি যে পেনড্রাইভ পকেটে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াই, জেলাভার ওই আঙুলই সেই কাজ করে দেয়।
এই প্রসঙ্গে আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক। বছর ষাটেকের ডঃ পিটার স্কট মরগ্যানের শরীরে ধরা পড়ে ‘মাসল ওয়েস্টিং ইলনেস’। এই রোগে ধীরে ধীরে দেহের সমস্ত মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। ২০১৭ সালে রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই পৃথিবীর বুকে পিটারের আয়ু আর মাত্র এক বছর। হুইলচেয়ারেই কাটছিল জীবন। ওই হুইলচেয়ারের সাহায্যেই সোজা হয়ে বসতেন। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও মানসিক দিক দিয়ে যথেষ্ট সজাগ ছিলেন পিটার। কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে হরেক চিন্তাভাবনা ঘুরছিল তাঁর মাথায়। এরপরেই তিনি দ্বারস্থ হন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ একটি দলের। স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই দলটি তৈরি করে এমন এক অবতার, যা চলবে পিটারের চোখের ইশারায়। কথা বলবে তাঁর নিজস্ব গলার স্বরে। কিছুদিন পরে ওই দলটি তৈরি করে চার্লি ২.০ হুইলচেয়ার, যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি ল্যাপটপ এবং একটি আই ট্র্যাকার। এই নতুন হুইলচেয়ারের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বিজ্ঞানীর শরীরে করা হয় একাধিক পরিবর্তন। শরীরে কোথায় খাবারের নল থাকবে আর কোথায় ক্যাথিটার থাকবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ওই বিজ্ঞানীর শরীরে এমন এক অপারেশন করা হয়েছে, যার ফলে শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন অংশগুলি এখন আলাদা আলাদা। সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে পিটার জানিয়েছেন, তিনি এখনই মারা যাচ্ছেন না। বরং হতে চলেছেন এক সাইবর্গ।
পৃথিবীতে যতজন সাইবর্গ বা বায়োহ্যাকার্স হয়েছেন, সবাই কোনও না কোনও শারীরিক সীমাবদ্ধতা দূর করতেই এই পথে পা বাড়িয়েছেন। ব্যতিক্রম কেভিন ওয়ারউইক। ‘ক্যাপ্টেন সাইবর্গ’ নামে পরিচিত ইউনিভার্সিটি অব রিডিং-এর এই প্রফেসর তৈরি করেছিলেন শরীরে স্থাপনযোগ্য মাইক্রোচিপ। ১৯৯৮ সাল থেকে নিজের শরীরে নানারকম মাইক্রোচিপ বসিয়ে ঘরের লাইট, ফ্যান, টিভি সহ নানারকম ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তিনি। এমনকী, নিজের শরীরকে যুক্ত করতে পারেন ইন্টারনেটের সঙ্গেও।
স্টেলিওস আর্কাডিওর বিষয়টি অবশ্য আরও চমকপ্রদ। ‘স্টেলার্ক’ নামে পরিচিত এই পারফরমেন্স আর্টিস্ট নিজের বাহুতে বসিয়েছিলেন তৃতীয় একটি কান। পরবর্তীতে এই কানটির মধ্যে শিরা-উপশিরা বিস্তার করিয়ে তা হয়ে ওঠে তাঁর শরীরের একটি অংশ। স্টেলার্কের পরিকল্পনা ছিল, কানটির মধ্যে ছোট একটি মাইক্রোফোন বসানোর, যা ওয়াই-ফাই হটস্পটের মাধ্যমে যুক্ত হবে ইন্টারনেটের সঙ্গে। আর চালু থাকবে ২৪ ঘণ্টা। এই কানের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কেউ তাঁকে ইন্টারনেটে ২৪ ঘণ্টাই শুনতে পারবেন। স্টেলার্কের কথায়—‘এই কানটি আমার জন্যে নয়। শোনার জন্যে জন্ম থেকে আমার দু’টি কান রয়েছে। তৃতীয় কানটি একটি রিমোট লিসনিং ডিভাইস, যা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আমাকে শুনতে পাবে।’
এগিয়ে যাচ্ছে দিন। এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি। আগে কোনও মানুষ দুর্ঘটনায় শরীরের কোনও অংশ হারালে ঠাঁই হতো বিছানায়। সমাজ-পরিবারের চোখে হয়ে উঠতেন বোঝার মতো। কিন্তু প্রযুক্তির এই অগ্রগতির ফলে আজ মানুষ সেই বাধাকে অতিক্রম করেছে। শরীরের সঙ্গে যন্ত্রের যোগের ফলে বিবর্তনের গতির তোয়াক্কা না করেই উন্নত হচ্ছেন দ্রুত। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বুদ্ধিমত্তা এবং কার্যক্ষমতা। মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসে লেখা হচ্ছে এক নয়া বিপ্লবের অধ্যায়।
এতদিন যা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে ছিল, আজ তাই ঘোর বাস্তব। মাথার মধ্যে চিপসেট বসিয়ে মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার বানানো হচ্ছে। নানা রোগ-নিরাময়ে প্রযুক্তির দ্বারস্থ হচ্ছে মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, সাইবর্গ হতেও ইচ্ছুক অনেকে। অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির হয়ে এনিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে মার্কিন সমীক্ষক সংস্থা দ্য ওপিনিয়ান রিসার্চ। তাতে দেখা গিয়েছে, পশ্চিম ইউরোপের একাধিক দেশের বহু মানুষ নিজেদের জীবনযাপন উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী। মানবদেহের সঙ্গে প্রযুক্তি যুক্ত করার বিষয়টিও বিবেচনা করতে প্রস্তুত তাঁরা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাইবর্গে তাঁদের আগ্রহ উন্নত স্বাস্থ্যের কারণে। কেউ কেউ অবশ্য সাইবর্গ প্রযুক্তিকে সমাজের জন্য বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে, এটি অসৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে পারে হ্যাকাররা।
একটা বিষয় ঠিকই, রক্তমাংসের মানুষের সব খামতি ঢেকে দিতে পারে এই প্রযুক্তি। কিন্তু এরপর কি? সেই প্রশ্ন থাকছেই। মানুষ শরীরে চিপ বসাবে, বায়োইলেক্ট্রনিক হার্ট, কিডনি লাগাবে। বায়ো-ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল হাত-পা লাগিয়ে হয়ে উঠবে সুপারহিউম্যান। বিবেক, চেতনা, উপলব্ধিও কি যন্ত্রচালিত হয়ে পড়঩বে? রক্তমাংসের মানুষের সময় কি তবে শেষ হয়ে আসছে ?  
(লেখক প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যাপক)
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
26th  May, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
একনজরে
১৯৮৮ ইউরোর সেমি-ফাইনাল। হামবার্গের ভোকসপার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রিনাস মিশেলের প্রশিক্ষণাধীন নেদারল্যান্ডস। এরপর খেতাবি লড়াইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব ঘরে তোলে ডাচ-ব্রিগেড। ...

নিয়ম ভেঙে বিল ও চাষের জমি থেকে মাটি তুলে ইটভাটায় পাঠাচ্ছে মাটি মাফিয়ারা। এই অভিযোগে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় মাটিবোঝাই ট্রাক্টর আটকে দিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ছে। বৃষ্টিতে মাটি কাদা হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ...

বাংলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০ ছাড়াল। জুন মাসের অর্ধেক অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তেমন বৃষ্টি এখনও হয়নি রাজ্যে। তা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে ...

সল্টলেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এক ভবঘুরে বৃদ্ধা ডিভাইডারের উপর বসে আছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৬: নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাংবাদিক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৯০: ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা ও পরিচালক  স্ট্যান লরেলের জন্ম
১৮৯৪: ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক্স কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৩: ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯২০: গায়ক ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু
১৯৪৪: বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিংহের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৩: ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ডের মৃত্যু
১৯৬৩: রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভা মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন
১৯৭২: নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়
২০২১: বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৩ টাকা ৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২১ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী ৫৯/৩০ শেষরাত্রি ৪/৪৪। হস্তা নক্ষত্র ১৫/৪৩ দিবা ১১/১৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৪৭, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৩। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৩ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৩ গতে ১২/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে।   
১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী রাত্রি ৩/৫। হস্তা নক্ষত্র দিবা ১০/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। 
৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: ৩ উইকেটে জিতল পাকিস্তান, বিপক্ষ আয়ারল্যান্ড

11:52:13 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৯০ মিনিট)

11:48:00 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৭৭ মিনিট)
 

11:12:31 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (হাফটাইম)

10:22:38 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (১৭ মিনিট)

09:54:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানকে ১০৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:50:34 PM