Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। সবাই সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তাড়া করছে অর্ন্তঘাত তত্ত্বও। ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের পরও কোনও রাজ্যে খুলেআম চোখ ধাঁধানো বিজয় উৎসবে মাততে দেখেছেন কি দলটাকে? কংগ্রেসকে মুছে ফেলার হুঙ্কার দিতে আর শোনা গিয়েছে কি গত দেড় সপ্তাহে? ঠোঁটে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে ‘পাপ্পু’ কিংবা ‘রাহুল বাবা’ বলে মশকরায় মাততে দেখেছেন কি অমিত শাহদের? 
জয়ী শাসকের অন্দরেই এত টানাপোড়েন আর আত্মসমালোচনার ধুম শেষ কবে দেখেছে দেশ? এক্স হ্যান্ডেল থেকে একদা প্রধানমন্ত্রীরই আহ্বানে গড়ে ওঠা ‘মোদি কা পরিবার’ বাদ দেওয়ার আবেদনই-বা কীসের ইঙ্গিত? এ কি ‘আমিত্বে’র পাপক্ষালন কিংবা নৈতিক পরাজয় মেনে নিয়ে শুভবুদ্ধির উদয়? ১৯৬২ সালের পর তাঁর টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভাবনীয় কীর্তিকে দুয়ো দিয়ে নিজেই ভক্তদের বলছেন, ‘মোদি পরিবার’ লেখা বন্ধ করুন। বাস্তবের মাটিতে গোত্তা খেয়ে নামা চারশো পারের প্রকাণ্ড বেলুনের কী নির্মম পরিণতি! এক ঝটকায় ‘মোদির গ্যারান্টি’ খোলস ছেড়ে আজ এনডিএ’র প্রতিশ্রুতি! উল্টোদিকে দেখুন, সরকার গড়তে না পারলেও কংগ্রেস বিজয় উৎসব পালনে বেরিয়ে পড়েছে। সেঞ্চুরিও হয়নি, জুটেছে মাত্র ৯৯! তবু যেন কিছুই হারাবার নেই। পুরোদস্তুর লাভই হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র থেকেই দলটার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে এমন ভাব। সঙ্গী পাঞ্জাব আর হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভ। অনুগত মাঝারি মাপের এক অপরিচিত নেতাকে দিয়ে আমেথি পুনরুদ্ধার করে মৃগয়ায় মেতেছে গান্ধী পরিবার। ওয়েনাড়ের সঙ্গে রায়বেরিলিও অক্ষুণ্ণ। ব্যবধান যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার এবং ৩ লক্ষ ৯০ হাজার। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ বিধানসভা আসন ছুঁয়ে জনসংযোগ যাত্রায় বেরবার এই তো সঠিক সময়। সে-কথাই ঘোষণা করা হয়েছে এআইসিসির পক্ষ থেকে। দলিত, ওবিসি, আদিবাসী ও মুসলিমরা ইন্ডিয়া জোটের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর গেরুয়া শিবির হতোদ্যম, কতদিন পাল্টুরাম জোট শরিকদের দিয়ে-থুয়ে তাঁবে রাখা যাবে, তা নিয়েই কাটাকুটি খেলা চলছে। ভয় এতটাই যে অযথা কাউকে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে পর্যন্ত নিষেধ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। ছোট-বড় সবার মুখে তালা। এমনকী, প্রথম কলিঙ্গ জয়ের সাফল্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার মনটাও যেন মরে গিয়েছে। এর শিক্ষা একটাই, বেলুন বেশি ফোলাতে নেই। তাতে বিপদ দুই প্রকার—হয় লোক হাসিয়ে সশব্দে ফাটবে, না-হয় তো হাতের সুতো ছিঁড়ে তা আকাশের দু’শো অচেনা তারার মধ্যিখানে হারিয়ে যাবে! বিজেপির ঠিক সেই দশা, অতিদর্পে হাতের রশিটাই কখন চুরি হয়ে গিয়েছে। এখন আদর্শের চুলোচুলি চলছে দল ও আরএসএসের থিঙ্কট্যাঙ্কের মধ্যে। সঙ্ঘ এতদিন চুপ ছিল। এখন ঘোমটা নামিয়ে সরাসরি বলছে, ভগবান রাম ঔদ্ধত্যের শাস্তি দিয়েছেন, অযোধ্যা থেকে সীতাপুর, দক্ষিণে রামেশ্বরম কোথাও প্রসন্ন হননি রামসেবকদের ওপর। ২৪০ আসনে থেমে যাওয়া তারই প্রমাণ!
কে না জানে, দিল্লি দখল করার চাবিকাঠি লুকিয়ে উত্তরপ্রদেশের ফলাফলেই। গত দশবছর উত্তরপ্রদেশে একাধিপত্যের জোরেই সরকার ও দল সর্বত্র বিরোধীদের থোড়াই কেয়ার মনোভাব ছিল মোদিজির। সেই ‘বাস্তিল’ দুর্গের পতন হয়েছে দীর্ঘ একদশক পর। ৪০ বছর পর সবাইকে চমকে এলাহাবাদ আসনে আবার জয়ী হয়েছে রাহুল ও সোনিয়ার কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালে শেষবার কংগ্রেসের টিকিটে এলাহাবাদে জয়ী হয়েছিলেন মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তারপর দীর্ঘ শূন্যতা। নেহরুর স্মৃতিবিজড়িত শহরটি শুধু হাতছাড়াই হয়নি, কংগ্রেসের আধিপত্যও গোটা রাজ্যে ধীরে ধীরে অস্তমিত হয়ে যায়। এবার কংগ্রেসের উজ্জ্বল রামন সিং ৫৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির নীরজ ত্রিপাঠীকে। গান্ধী পরিবারের গড় বলে পরিচিত আমেথি ও রায়বেরিলিতেও বিজয় উৎসব করছে কংগ্রেস। পাঁচবছর আগে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে আমেথির দখল নেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। অসুস্থতার কারণে রায়বেরিলিতে এবার সোনিয়াজি দাঁড়াননি। শেষ মুহূর্তে নেমেও আসনটি পুনরুদ্ধার করেছেন রাহুল। অনেক টানাপোড়েনের পর আমেথিতে প্রার্থী করা হয় ১০ জনপথের একান্ত অনুগত কিশোরীলাল শর্মাকে। কিশোরী জেতেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভোটে। কংগ্রেসিরা সেই দেখেই আশায় বুক বাঁধছেন। বলছেন যদি প্রিয়াঙ্কা দাঁড়াতেন তাহলে শুধু আমেথি নয় বারাণসী আসনটিও দখলে চলে আসত—নির্ঘাত হারতেন ৫৬ ইঞ্চি! এমনই দাবি উজ্জীবিত কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশে জাগলেই তা সংক্রামিত হবে সারা দেশে।
এবার কংগ্রেসের সরকার গড়া হয়নি ঠিকই, কিন্তু দলের আসzন সংখ্যা একলাফে ৫২ থেকে বেড়ে ৯৯ হয়েছে, সঞ্জীবনী বটিকা এটাই। তারও আগে চোদ্দো সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর বিভিন্ন রাজ্যে সার্বিক আসন সমঝোতা না-হলেও ইন্ডিয়া জোট ২৩৫ আসন জিতে বিজেপির ঘাড়ে ক্রমাগত নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা করে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দাঁড় করানো গেলে ২৪০ আসনও পেত না গেরুয়া শিবির। জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে জোট গড়ে লড়ে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিতে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস ও অখিলেশ জোট। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও এই নৈতিক পরাজয়টাকে কিছুতেই অস্বীকার করতে পারছেন না মোদিজি। 
সভা-সমিতি, চায়ের আড্ডা ও সান্ধ্য আলোচনায় গত ছ’মাস ধরে একমাত্র আলোচ্য ছিল—উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি গতবারের ৬২ আসন ছাপিয়ে ঠিক কত-য় থামবে? ফল বেরতে দেখা গেল, ৬২ পেরনো দূর, ৯ শতাংশ ভোট হারিয়ে বিজেপি থেমে গিয়েছে ৩৩ আসনে! আর অখিলেশ-কংগ্রেস জোট সবাইকে তাক লাগিয়ে পেয়েছে ৪৩টি আসন। এইটুকু পড়ে অনেকে ভাবতেই পারেন ফল বেরনোর ১২ দিন পর এই তথ্য তো ইতিমধ্যেই বাসি হওয়ার পথে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, যদি মায়াবতী ভোট কেটে অখিলেশের যাত্রাভঙ্গ না করতেন তাহলে আরও অন্তত ১৬টি আসন বিজেপিকে হারতে হতো, থামতে হতো ১৭-য়! সেক্ষেত্রে সরকার গড়ার স্বপ্ন পরিণত দুঃস্বপ্নে। যেমন ধরুন, ফতেপুর সিক্রিতে বিজেপি জিতেছে ৪৩,৪০৫ ভোটে। অথচ ওই আসনে মায়াবতীর বিএসপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোট। একই অবস্থা আলিগড়, ফারুকাবাদ ও আমরোহার। আলিগড়ে বিজেপি জিতেছে মাত্র ১৫,৬৪৭ ভোটে। ওই কেন্দ্রেও বিএসপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ভোট। ফারুকাবাদের চিত্র আরও কঠিন। মাত্র আড়াই হাজারের সামান্য কিছু বেশি ভোটে বিজেপি আসনটি দখল করেছে। হাড্ডাহাড্ডি সেই লড়াইয়ে মায়াবতীর দলের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৪৫ হাজার। বিজেপির কাছে এই ভোট কাটাকুটি নিঃসন্দেহে আশীর্বাদ? সব অর্থেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। না-হলে তৃতীয়বার শপথ নেওয়াই সম্ভব হতো না মোদি-অমিত শাহ বাহিনীর। উত্তরপ্রদেশে হেরে কুর্সির দৌড় থেকে ছিটকেই যেতেন ‘বিশ্বগুরু’।
সেক্ষেত্রে ইতালিতে চলতি জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতেন কে, তা কোটি টাকার প্রশ্ন।
পাঁচবছর আগে ২০১৯ সালের রাজ্যওয়াড়ি ভোটের ফলে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র দুই রাজ্যেই একটি, দুটি করে আসন পেয়ে কংগ্রেস প্রায় আইসিইউতে চলে গিয়েছিল। এবার উত্তরপ্রদেশে ৬টি এবং মহারাষ্ট্রে ১৩টি আসন মিলেছে তাদের। অখিলেশ জিতেছেন ৩৭টি। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে ৪৩টি আসন জিতে অমিত শাহদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। আর বিজেপির সৌজন্যে বত্রিশভাজা মহারাষ্ট্র রাজনীতিও মুখ ফিরিয়েছে। হরিয়ানাতেও ইন্ডিয়া জোট ভালো করেছে। কেরলেও কংগ্রেসের অভূতপূর্ব সাফল্যে প্রায় নিশ্চিহ্ন বামেরা। মূলত বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানাই এবার মুখরক্ষা করেছে নরেন্দ্র মোদির। তা না-হলে দু’দশক পর বাজপেয়ি আমলের ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’র মুখ থুবড়ে পড়ার রিপ্লে দেখতে হতো আম জনতাকে। এই দেওয়াল লিখনটাই বিজেপিকে জয় উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। কোথায় যেন পা টেনে ধরছে। তামিলনাড়ুতে প্রায় প্রতি সপ্তাহে গিয়েও আস্ত অশ্বডিম্ব প্রসব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন তো মেলেইনি, উল্টে রাজ্য বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের সঙ্গে আর এক হেভিওয়েট নেতা তামিলসাইয়ের বিরোধ সামনে চলে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের এই ফল সরাসরি মোদিজির প্রতি অনাস্থা, না পদে পদে উপেক্ষিত হয়ে যোগীজির প্রতিশোধ, সেই জল্পনাও চলছে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সাতমহলা পার্টি অফিসে।
বহুমুখী চাপ আর অস্বস্তির মুখে দেশে নানা কারণে বিজয় উৎসব করার সুযোগ না পেলেও প্রধানমন্ত্রী বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। ইতালির জি-৭ মঞ্চে তাঁর বিশ্বগুরু ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হবে জানি না। তবে বিশ্বনেতা জেলেনস্কি, মেলোনি, সুনাকের সঙ্গে করমর্দনে মিলিত হয়েও তাঁর মন নির্ঘাত পড়ে রয়েছে দেশে, সাউথ ব্লকের অলিন্দে। আধো অন্ধকারে তিনি ভূত দেখছেন গিরিধর গোমাংয়ের। ১৯৯৯ সালে গিরিধরজির একটি ভোটেই ১৩ মাসের মাথায় পড়ে গিয়েছিল অটলজির সরকার। গিরিধর তখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সাংসদ পদে ইস্তফা দেননি। সটান সংসদে গিয়ে বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বাজপেয়ি সরকার ফেলে সেদিন অনর্থ ঘটিয়েছিলেন তিনি। মোদিজি কি গিরিধরের ছায়া দেখছেন শরিকদের মধ্যে? বছর শেষে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। অন্তত দুটি রাজ্যে জিততে না-পারলে বিজেপির রাজনৈতিক কর্তৃত্ব খতম হতে বাধ্য। তাই সরকার গড়লেও মোদিজি স্বস্তিতে নেই মোটেই। হিন্দুত্বের এজেন্ডা, এক দেশ এক নির্বাচন, দেশকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার চেয়েও তাঁর সামনে সরকার টিকিয়ে রাখাই এই মুহূর্তে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আপাতত বেলুনওয়ালার বিদায়, গেরুয়া রাজনীতির ধ্রুবপদ একটাই—আপনি বাঁচলে বাপের নাম!
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
একনজরে
জিএসটি আদায়ের হার এরাজ্যে যথেষ্ট ভালো। দপ্তরের অফিসার ও কর্মীরাই স্বাভাবিকভাবে এই কৃতিত্বের প্রধান দাবিদার। কিন্তু জিএসটি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজতে পশ্চিমবঙ্গের অফিসারদের অবদানও কম নয়। ...

১৯৮৮ ইউরোর সেমি-ফাইনাল। হামবার্গের ভোকসপার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রিনাস মিশেলের প্রশিক্ষণাধীন নেদারল্যান্ডস। এরপর খেতাবি লড়াইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব ঘরে তোলে ডাচ-ব্রিগেড। ...

লোহার রড ছাড়াই ক্যানেলের গার্ডওয়াল তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টিতেই তা ভেঙে পড়ল। এনিয়ে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ির গাদং-১ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। ...

সল্টলেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এক ভবঘুরে বৃদ্ধা ডিভাইডারের উপর বসে আছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৬: নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাংবাদিক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৯০: ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা ও পরিচালক  স্ট্যান লরেলের জন্ম
১৮৯৪: ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক্স কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৩: ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯২০: গায়ক ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু
১৯৪৪: বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিংহের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৩: ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ডের মৃত্যু
১৯৬৩: রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভা মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন
১৯৭২: নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়
২০২১: বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৩ টাকা ৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২১ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী ৫৯/৩০ শেষরাত্রি ৪/৪৪। হস্তা নক্ষত্র ১৫/৪৩ দিবা ১১/১৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৪৭, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৩। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৩ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৩ গতে ১২/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে।   
১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী রাত্রি ৩/৫। হস্তা নক্ষত্র দিবা ১০/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। 
৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: ৩ উইকেটে জিতল পাকিস্তান, বিপক্ষ আয়ারল্যান্ড

11:52:13 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৯০ মিনিট)

11:48:00 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৭৭ মিনিট)
 

11:12:31 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (হাফটাইম)

10:22:38 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (১৭ মিনিট)

09:54:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানকে ১০৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:50:34 PM