Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ। আর ৪ জুন তারিখটার পর তো বটেই। ওয়ারেন বাফে আজকের ভারতের অর্থনীতিতে মোক্ষমভাবে লাগসই। একদিনে শেয়ার বাজারের ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এখানে ধৈর্যশীল ব্যক্তি কে? কারা এতে ‘ইন্ধন’ দিল? কারা এই বাজারে লগ্নি না করেও স্রেফ মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে প্রচুর কামিয়ে নিল? প্রশ্ন অনেকগুলো। উত্তর কিছু জানা, কিছু অজানা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, এই গোটা প্রক্রিয়ায় অধৈর্য কারা? উত্তর নিয়ে সংশয় নেই—মধ্যবিত্ত। 
এই একটি শ্রেণি, চিরকাল যারা সমাজে নন্দ ঘোষ হয়েই থেকে গেল। তারা সবচেয়ে বেশি আয়কর দেবে, ভোগ্যপণ্য কিনে বাজার অর্থনীতি সচল রাখবে, চাকরির আশায় দরজায় দরজায় ঘুরবে, কোভিডে কমে যাওয়া মাইনে আগের জায়গায় না আসায় হা-পিত্যেশ করবে, আর তারপরও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। এদেশে মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মালে, দেশের সব মন্দের দায় নেওয়ার মতো কাঁধটাও তৈরি করতে হবে তাদের। শুধু মন্দ কেন? কারণ, ভালোর যে দায় হয় না! শুধুই কৃতিত্ব। আর সেটা বরাদ্দ থাকে ক্ষমতার আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করা বাবুদের জন্য। এই যে লোকসভা নির্বাচন শেষ হল... আড়াই মাসের এই মহাযজ্ঞে খরচ কত হয়েছে? ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে অঙ্কটা ছিল ৬০ হাজার কোটি। অর্থাৎ, তৃতীয় এনডিএ সরকারের জন্য গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে ভারত। কারা দিয়েছে সেই টাকা? আপনি, আমি, মধ্যবিত্ত, আম আদমি। যে নামে খুশি ডাকা যায়। তারপরও চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা করে কিছু ভাবা হবে না, আয়করে ছাড় মিলবে না, নিত্যপণ্যের উপর চড়া হারে জিএসটি চাপবে, সাতদিনের চিকিৎসার খরচ ছাপিয়ে যাবে এক একজন মধ্যবিত্তের ছ’মাসের আয়কে। তারপরও তাদেরই বাধ্য করা হবে শেয়ার বাজারের অনিশ্চয়তায় নিজেদের সর্বস্ব বিনিয়োগের জন্য। সর্বস্ব কেন? ধরে নেওয়া যাক একটা বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরের মধ্যে খুব ভালো পরিস্থিতিতে এর দাম কতটা বাড়তে পারে? ৪০ পয়সা! ৫০ পয়সা! এক টাকা! ওই শেয়ার থেকে যদি ৫ হাজার টাকা লাভ করতে হয়, তাহলে একজন মধ্যবিত্তকে কত টাকা লগ্নি করতে হবে? ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকাটা যদি এখনও তিনি ফিক্সড ডিপোজিট করেন, তাহলে এক বছরে নয় নয় করে ২১ হাজার টাকা সুদ মিলবে। কিন্তু সেই মধ্যবিত্তকে  বোঝানো হয়েছে, এক বছরে এর থেকেই ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। দর বাড়লে শুধু মনে করে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। সেই আশায় তিনি ৫ হাজার শেয়ার কিনে বসেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর দিন তিনি দেখলেন, তাঁর সাধের শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ, সেই মুহূর্তে বাধ্য হয়ে যদি তাঁকে বাজার থেকে টাকা তুলতে হয়, তিনি আড়াই লাখের বেশি পাবেন না। মানে, সোজা কথায় মাথায় হাত। আর তাঁকে এই ঝুঁকি নিতে বাধ্য কে করল? মোদি সরকার। ২০১৪ সালেও স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার যা ছিল, তাতে একটা বুড়োবুড়ির সংসার চলে যেতে অসুবিধা হতো না। আর এখন? এমআইএস করলে সুদের টাকায় কষ্টেসৃষ্টে ডালটুকু কেনা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা জলে ফুটিয়ে নেওয়ার জন্য গ্যাস কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। ফল? শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড। সরকার বলছে, উৎসাহ দিচ্ছে, মোটিভেট করছে মধ্যবিত্তকে... শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করুন। এখানেই শেষ নয়, ভোট প্রচারে দাঁড়িয়ে দেশের সব চ্যানেলের সামনে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ আম জনতার কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, এখনই লগ্নি করে রাখুন। ৪ তারিখ বিপুল লাভ হবে! স্টক মার্কেটের ব্রোকাররা পর্যন্ত এভাবে দিনক্ষণ ধরে ভবিষ্যদ্বাণী করেন না। প্রধানমন্ত্রী কি সেই ক্ষমতারও অধিকারী? তিনি না হয় ঈশ্বরের বরপুত্র। জৈবিকভাবে তাঁর জন্ম হয়নি। ঈশ্বর তাঁকে সরাসরি ভূমিষ্ঠ করিয়েছেন। তারপরও এমন ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় বোধহয় তিনি পৌঁছননি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই ঢিল ছুড়েছিলেন তিনি? কে নিশ্চিত করেছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তরই খোঁজার সময় এসেছে। আর সেইসঙ্গে এক্সিট পোল। কীভাবে প্রায় সব মিডিয়া একই ফর্মুলায় কপি-পেস্ট মার্কা ফল দেখাল? কোন কোন এলাকার ভোটারদের প্রশ্ন করা হল? সবাই কীভাবে বিজেপিকেই প্রায় ৪০০ পার করিয়ে দিল? সত্যিই কি এই সমীক্ষা ভোটের পর করা হয়েছে? নাকি বিরোধীদের অভিযোগ মতো ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে? তখন সদ্য নির্মিত রামমন্দির হাওয়া ছিল, নরেন্দ্র মোদির ৪০০ পারের স্লোগান ছিল, আর সমীক্ষকদের আশপাশে ঘুরে বেড়ানো অনেক ঠান্ডা চাউনি ও ‘সম্ভাবনা’ ছিল। মধ্যবিত্ত ঘরের খেটে খাওয়া মানুষ দেখলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন শেয়ার বাজারে লগ্নি করুন, ফলপ্রকাশের দিন অনেক লাভ হবে। তারপরই তাঁরা দেখলেন, এক্সিট পোল দেখিয়ে দিল, মোদি সরকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে ফিরছে। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করব না? সব এক্সিট পোলকে বিশ্বাস করব না? সত্যিই তো সরকার এবং মিডিয়াকে বিশ্বাস না করতে পারলে আর কাকে করব? আর কবে অধৈর্য হব? আর কবে বিনিয়োগ করব? কোনও বাবা হয়তো ভেবেছিলেন, এখান থেকে টাকা তুলে মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কোনও সন্তান হয়তো ভেবেছিলেন মায়ের দুরারোগ্য অসুখটার চিকিৎসা এবার হবে। কোনও ঘরহারা আশায় ছিলেন মাথার উপর ছাদের। তাঁদের ঠাঁই এখন কোথায়? এর উত্তর সরকার দেবে তো?
কয়েকমাস আগে হলেও সংশয় ছিল না—উত্তরটা ‘না’ই হতো। কিন্তু এখন আচমকা পরিস্থিতি বদলেছে। সংসদে এখন বিরোধীরা শক্তিশালী। আর একটু হলে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জটাও দিয়ে দিতে পারত মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সমীকরণে অন্য সব রাজ্যই প্রায় বিরোধী জোটের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু চার—বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি এবং ওড়িশা। এই চারটি রাজ্যে বিজেপি অপ্রত্যাশিত ফল করেছে। বিহারে একমাত্র আরজেডি কড়া চ্যালেঞ্জ দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ভাগ্যের ফেরে ভোটকে আসনে রূপান্তরিত করতে পারেনি। 
প্রচুর ভোট পেয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে জেডিইউ এবং বিজেপি গায়ে গায়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দিনের শেষে শুধু সংখ্যা বিচার্য। তাই বিহারে বিজেপির বিজয়রথ ছুটছে। ওড়িশা এবং দিল্লিও আশ্চর্যজনকভাবে ‘এক দলে’ আচমকা বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। তারই ফল বিজেপির ২০০ পেরনো। কিন্তু এটা বিষয় মানতেই হবে, তৃতীয় মোদি সরকার, থুড়ি এনডিএ সরকার গঠনের পরও স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদি। একে তো শরিকদের বিস্তর চাপ। আর দ্বিতীয়ত, আস্তিন গুটিয়ে প্রস্তুত হওয়া বিরোধীরা। তদন্ত বা বিবৃতির দাবি এখন আর মোদি সরকার চাইলেই ‘চল ফোট’ বলে ভাগিয়ে দিতে পারবে না। তাদের শুনতে হবে। সাড়াশব্দ করতে হবে। বিবৃতি দিতে হবে। আর চাইলে তদন্তও। 
তাহলে লোকসভা নির্বাচন, ২০২৪ আমাদের কী শেখাল? ১) ঈশ্বর অনেক পরে, আগে মানুষ হতে হবে। ২) ধর্ম নয়, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের ইস্যুতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট হয়েছে। ৩) একনায়কতন্ত্রের আগে গণতন্ত্রই। শতবর্ষ আগে ছিল, আজ আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ৪) মহাজোট ইন্ডিয়াকে ভোটের আগে থেকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়তে হতো। তাহলে আরও বেশ কয়েকটি আসনে তাদের জয় নিশ্চিত ছিল। কয়েকটি রাজ্যে শরিক দলগুলিই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে ভোট কেটেছে। সেটা কাম্য ছিল না। ৫) টাকা নিজের, তাই গদি-তোষক কারও অন্ধ ভরসায় বিনিয়োগ করা যায় না। 
গণতন্ত্র শিখিয়েছে, শাসকের সঙ্গে বিরোধীরাও যদি শক্তিশালী হয়, তাতে উপকার মানুষের। সংস্কার হবে, কিন্তু তা মানুষের স্বার্থে। শাসকের প্রয়োজনে বা খামখেয়ালে নয়। এই ভোট একনায়কতন্ত্রকে ছুটি দিয়েছে, আর এক্সিট পোলকেও। এরপর কোনও ভোটে এক্সিট পোলের উপর দেশবাসী ভরসা রাখতে পারবে তো? তারা যদি ভবিষ্যতে বলে, সবটাই টাকার খেলা, সবটাই ‘ফ্রেম’ করা, টিআরপি তাহলে কোথায় নামবে?
ও হ্যাঁ, ছুটি দিতে হবে আরও একজনকে—প্রশান্ত কিশোর। প্রথম থেকেই তিনি কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নিরঙ্কুশ সিদ্ধিলাভের পক্ষেই সায় দিয়ে এসেছিলেন। ভোটের ফল দেখাল, সবটাই ছিল তাঁর ছেড়ে আসা সংস্থার পেনিট্রেশনের ফল। এখন তাঁর যোগাযোগ আর ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় নেই। তাই আপাতত তিনি ছুটিতে গেলেই ভালো। বাণীবর্ষণের দিন শেষ। এখন কাজের সময়। শাসক, বিরোধী দু’পক্ষেরই।
11th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
একনজরে
সল্টলেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এক ভবঘুরে বৃদ্ধা ডিভাইডারের উপর বসে আছেন। ...

জিএসটি আদায়ের হার এরাজ্যে যথেষ্ট ভালো। দপ্তরের অফিসার ও কর্মীরাই স্বাভাবিকভাবে এই কৃতিত্বের প্রধান দাবিদার। কিন্তু জিএসটি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজতে পশ্চিমবঙ্গের অফিসারদের অবদানও কম নয়। ...

১৯৮৮ ইউরোর সেমি-ফাইনাল। হামবার্গের ভোকসপার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রিনাস মিশেলের প্রশিক্ষণাধীন নেদারল্যান্ডস। এরপর খেতাবি লড়াইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব ঘরে তোলে ডাচ-ব্রিগেড। ...

বাংলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০ ছাড়াল। জুন মাসের অর্ধেক অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তেমন বৃষ্টি এখনও হয়নি রাজ্যে। তা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৬: নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাংবাদিক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৯০: ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা ও পরিচালক  স্ট্যান লরেলের জন্ম
১৮৯৪: ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক্স কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৩: ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯২০: গায়ক ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু
১৯৪৪: বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিংহের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৩: ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ডের মৃত্যু
১৯৬৩: রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভা মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন
১৯৭২: নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়
২০২১: বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৩ টাকা ৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২১ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী ৫৯/৩০ শেষরাত্রি ৪/৪৪। হস্তা নক্ষত্র ১৫/৪৩ দিবা ১১/১৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৪৭, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৩। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৩ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৩ গতে ১২/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে।   
১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী রাত্রি ৩/৫। হস্তা নক্ষত্র দিবা ১০/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। 
৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: ৩ উইকেটে জিতল পাকিস্তান, বিপক্ষ আয়ারল্যান্ড

11:52:13 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৯০ মিনিট)

11:48:00 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৭৭ মিনিট)
 

11:12:31 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (হাফটাইম)

10:22:38 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (১৭ মিনিট)

09:54:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানকে ১০৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:50:34 PM