Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে।  সেই সময়টায় আকাশে মেঘ করলে আমাদের আনন্দ হয় না। আতঙ্ক হয়। কারণ, মেঘের ছায়ায় খেজুর পাতা থেকে কষ্ট করে যে ঝাঁটা তৈরি করি, সেগুলি  কালো হয়ে যাবে। কালো ঝাঁটা মহাজনেরা কিনতে চায় না। আবার এত কষ্ট করার পরও সেরকম দাম পাই না আমরা। পেলেও সঙ্গে সঙ্গে নয়। বেশ কিছুদিন পর চেয়েচিন্তে নিতে হয়। নগদ টাকা হাতে থাকা দরকার। পুরুষেরা তো সবসময় ঘরে থাকে না। কাজের জন্য অন্য জায়গায় চলে যায়। আমাদের চলবে কীভাবে? 
ডকঘাট থেকে প্রথমে মাতলা পেরিয়ে ক্যানিং। তারপর লোকাল ধরে যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, বাঘা যতীন নেমে যাই আমরা। আপনাদের বাড়িতে 
বাড়িতে সকালে পৌঁছে কেউ রান্নায়, কেউ ঘরের কাজে লেগে পড়ি। ফিরতে প্রায় বিকেল। ফিরতি 
ট্রেনে গেটের কাছে ঘুমাই! অথবা উচ্চস্বরে হাসাহাসি করি সকলে মিলে। 
আমরা চাঁপাডাঙ্গা থেকে সব্জি কিনে তাড়াতাড়ি তারকেশ্বর এসে চলে যাই শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর। আবার কেউ কেউ মণিরামপুর ঘাট পেরিয়ে বারাকপুরেও। সেইসব বাজারে গিয়ে ওইসব নিয়ে বসি। একটু ভিতরের দিকে। বড় বিক্রেতাদের আড়ালে। 
আমাদের অনেকরকম দুঃখ। বাড়ির লোকের সঙ্গে ট্রেনে যেতে যেতে দেখি সারাক্ষণ কোনও না কোনও হকার উঠছে। চুলের ক্লিপ, সেফটিপিন, শশা, পেয়ারা, এমনকী একবার দেখলাম আয়ুর্বেদ শ্যাম্পু। আমাদের চুলে খুব জট পড়ে। তাই এটা মাখলে নাকি ওটা সেরে যাবে। কিন্তু স্বামীর দিকে সেই সময় তাকালে কেমন যেন রাগ রাগ মুখ করে তাকায়। কিনে দেয় না। কেনা হয় না। ‘৫০ রকমের ব্রত কথা’ বই দেখেছিলাম একজনের হাতে। জ্যৈষ্ঠ মাসে জয়মঙ্গলবার ব্রত করার জন্য ওই মঙ্গলচণ্ডী ব্রতও ছিল সেখানে। ওটা পড়তে হয়। আগের বইটা ছিঁড়ে গিয়েছে। তাই নতুন হলে ভালো হয়। দাম অবশ্য একটু বেশি। ৩০ টাকা। কিন্তু ‘এখন কিনতে হবে না এসব’ বলে আমাদের স্বামী ট্রেনের জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে। তার চোখে বাইরের ঘরবাড়ি গাছ রাস্তার ছবি। আমাদের চোখে গোপন জল। না পাওয়ার। আর অপমানের। নিজের হাতে টাকা থাকলে...।  
সেই গুমা থেকে হাবরা লোকাল ধরে আসতে হয় আমাদের দমদম ক্যান্টনমেন্ট অথবা জংশনে। তারপর এদিক ওদিক ছড়িয়ে যাই আমরা। এখান থেকে দমদম, লেকটাউন, কালিন্দী, উল্টোডাঙ্গায়। আবার কেউ কেউ যাই শিয়ালদহে। সেখান থেকে পার্কসার্কাস বা বালিগঞ্জের ট্রেন। ওসব জায়গায় ছোট মাঝারি নার্সিংহোম থাকে। আয়ার ডিউটি। সেন্টারেও নাম লেখানো আছে। তবে সেন্টারে নাম লেখাতেও কমিশন দিতে হয়। 
আমাদের সেলাই স্কুলে যাওয়া আছে। মানকরে। স্বনিযুক্তি গ্রুপেও কাজ করি আমরা গলসীতে। আমরা ফুল তুলি পাঁশকুড়া লোকালে। আমাদের কারও স্বামী চলে গিয়েছে আমাদের ছেড়ে। কারও স্বামী হারিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বিধবা। 
আবার আমাদের কেউ কেউ হয়তো কোনও কাজ করি না। শুধুই ঘরের কাজ। সকাল থেকে সারাদিন। কিন্তু সেই কাজকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। আমাদের বলা হয় বাড়ির বউ। সব করতেই হবে। আমরা সব ব্যাপারেই অন্যের মুখাপেক্ষী। আনন্দ বলতে সন্ধ্যায় একটু সিরিয়াল দেখা। আমাদের খুব খারাপ লাগে যখন সামান্য ব্যাপারেই বলা হয়, ‘রোজগার করব আমি, তুমি বসে বসে খাবে? যা বলব শুনতে হবে। নয়তো দরজা খোলা আছে, বেরিয়ে যাও। এক পয়সা ঘরে আনার মুরোদ নেই। আর লম্বাচওড়া কথা’...। মা বাবার কথা মনে পড়ে তখন। আমার হাতে যদি টাকা থাকত কিছু। কিন্তু এরা তো বাইরে গিয়ে কাজও করতে দেবে না। বাড়ির বউ নাকি যেতে পারে না বাইরে। হাতখরচের টাকা থাকে না আমার। যখন বাপের বাড়ি যাই।  তখন বাবা একটু করে দেয়। টিপে টিপে লুকিয়ে চালাই। 
এই আমরা কারা? যাদের আপনারা ৪ জুন থেকে অশিক্ষিত আর ভিখারি বলেন। কেন? কারণ আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়েছি। আপনাদের সন্দেহ সেই কারণে আপনাদের ভোট দিইনি। তাই সেই টাকার নাম আপনাদের কাছে ভিক্ষা। আর আমরা ভিখারি। আপনারা ক্রমাগত বলে চলেছেন, আমরা এতটাই অশিক্ষিত মূর্খ যে চোরদের ভোট দিয়ে দিয়ে জেতা‌ই। কারণ ওই ভিক্ষা। আজকাল যেহেতু মোবাইল থেকে অনেক কিছু জানা যায়, তাই আমাদের সন্ধ্যাদি বলছিল, এরকম টাকা নাকি দেশের প্রায় সব রাজ্যের মেয়েরাই পায়। মধ্যপ্রদেশে পায় লাডলি বহেনা নামের স্কিমে। মহারাষ্ট্রে একঝাঁক নাকি প্রকল্প আছে। দিল্লি আর কর্ণাটক তো বড়লোক শহর। সেখানে বাস ফ্রি মেয়েদের জন্য। কর্ণাটকের মেয়েদের বাস ফ্রি হওয়ার জন্য তীর্থক্ষেত্র, দর্শনীয় স্থানগুলিতে ব্যবসা উপচে পড়ছে ভিড়ের কারণে। মেয়েদের ভিড়। ওইসব ধনী রাজ্যের মেয়েরাও অশিক্ষিত ভিখারি? 
আপনাদের ভাষায় আমরা অশিক্ষিত আর ভিখারি। কেন? কারণ আপনারা ভোটে  হেরে গিয়েছেন বলে। আচ্ছা, এই যে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে এরকম সব টাকাপয়সার নানারকম সুবিধা দেওয়া হয়, সেখানে যে দল হেরে যায়, তারা কি নিজেদের জাতির নিজেদের রাজ্যের মহিলাদের এরকম অশিক্ষিত, ভিখারি, মূর্খ বলে ডাকে? কখনও তো শুনিনি যে, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়ে বলছে, ভিখারি আর অশিক্ষিতগুলো আমাদের হারিয়ে দিল? আবার দিল্লিতেও তো আম আদমি পার্টি বলছে না যে, ভিখারিদের বাসে ফ্রি চড়ার সুযোগ দিলাম, তাও আমাদের ভোট দিল না! দেশজুড়ে বিরোধী দলগুলি কিন্তু একবারও বলছে না যে, ফ্রি রেশন পেয়ে ভিখারি ভোটার এবারও মোদিকে ভোট দিয়েছে। না হলে ২৪০টা আসনও পেতেন না উনি? এই রাজ্যে আপনারা কিন্তু বলছেন অনায়াসে! কতটা উগ্র মানসিকতা হলে সহনাগরিকদের সম্পর্কে ‘অশিক্ষিত’ ‘ভিখারি’ ‘মূর্খ’ শব্দগুলো বলা যায়? কতটা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্বোধ হলে ‘আমিই ঠিক, অন্যরা ভুল’ ভাবা যায়? 
আপনাদের কোনও ধারণা আছে এক হাজার কিংবা বারোশো টাকার কতটা দাম আমাদের কাছে? কতটা দরকারি সংসারে? কীভাবে আমাদের ভিতরটাকে বদলে দিয়েছে? জানেন? খুব ছোট ছোট ইচ্ছা কীভাবে পূরণ হচ্ছে? জানেন? আপনারা ভদ্রভাবে বলুন যে, কর্মসংস্থান জরুরি। কাজের সুযোগ বৃদ্ধি হলে সকলেই সম্মানের সঙ্গে রোজগার করবে। সেটাই উচিত। এসব বলুন না, কে বারণ করেছে! কিন্তু এরকম অপমানের কথা কেন বলছেন? এবার  তৃণমূল পেয়েছে কমবেশি ১ কোটি ৪০ হাজার মহিলা ভোট। রাজ্যে ১ কোটি ৯৮ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়। ওই যে কমবেশি ১ কোটি ৪০ লক্ষ মহিলা, যারা এবার আপনাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন, এরা সবাই তাহলে অশিক্ষিত আর ভিখারি? আর সব মিলিয়ে রাজ্যে ৪৬ শতাংশ মানুষই অশিক্ষিত আর ভাতাজীবী? কারণ ওটাই তৃণমূলের ভোট। আমরা কিন্তু সক঩লেই তৃণমূলকে ভোট দিইনি। হয়তো সিংহভাগই দিয়েছে। কিন্তু এই যে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী নেওয়া মানুষদের সরাসরি ভাতাজীবী ভিখারি বলছেন, চোখের পাতা না কাঁপিয়ে বরং উচ্চকণ্ঠে, জিহ্বায় ঘৃণা আর তাচ্ছিল্য এনে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে অশিক্ষিত তকমা দিয়ে ফেলছেন, আমরা কিন্তু এটা মনে রাখছি। 
আমাদের বাড়িতে যারা বয়স্ক মানুষ, তারা আমাদের বলছিল যে, ১৯৭৮ সালের পর থেকে নাকি বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কৃষক ভাতা, শ্রমিক ভাতা এসব একে একে চালু হয়। সেগুলো কি ভিক্ষাই ছিল? ২ টাকা কেজি চাল দেওয়া কি ভিক্ষা ছিল? বন্ধ কলকারখানা আর চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতা দেওয়া হয়েছিল। ভিক্ষা ছিল?
আপনারা এত শিক্ষিত, অথচ এই দূরদৃষ্টি নেই যে, এটাই শেষ ভোট নয়? আবার পুরসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত নানারকম ভোট আসবে। আজ যাদের ভিখারি আর অশিক্ষিত বলছেন, আবার আগামী ভোটগুলিতে তাদের পাড়া আর বাড়ির সামনে এসে ভোট চাইবেন তো! সেই সময় এখন যা বলছেন, এগুলো মনে থাকবে? যদি আপনাদের প্রশ্ন করি তখন,যে, আমরা তো ভিখারি, অশিক্ষিত। আমাদের ভোট চাইছেন কেন? কী উত্তর দেবেন? আসলে আপনারা জিতলে আমরা উন্নত চেতনাসম্পন্ন। আপনারা হারলে আমরা ভিখারি! 
একটি বিশেষ উন্নত চিন্তার দলকে আমাদের মতো সামান্য ক্ষুদ্র মানুষদের প্রশ্ন যে, আপনাদের জনপ্রিয় কৃষক নেতা কে এখন? শ্রমিক নেতা কে? শেষ কবে কোথায় শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে? কৃষকদের দাবি নিয়ে কবে হয়েছে বড়সড় কর্মসূচি? আপনারা এবার ভোটে যে প্রার্থীদের নিয়ে সবথেকে বেশি মাতামাতি করেছেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক শিক্ষিত মিডল বা আপার মিডল ক্লাসের মানুষ কেন? তাঁরা সকলেই উচ্চবর্ণ এবং উচ্চবর্গের কেন? এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না! গ্রামীণ কেন্দ্রের কোনও কৃষক প্রার্থী, শ্রমিক প্রার্থী, অনগ্রসর প্রার্থীদের নিয়ে তো এরকম মাতামাতি এবং পরাজিত হওয়ার পর হা-হুতাশ শোনা গেল না? কেন? 
যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তো বিপুল অংশের মানুষের ভোট পড়েছে। সম্মিলিতভাবে বিরোধীরা কাঁটায় কাঁটায় ভোট পাচ্ছে। সুতরাং সব পক্ষের সমর্থক ও ভোটার আছে। তাহলে মানুষকে অপমান করতে হচ্ছে কেন? মানুষের কাছে যে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে, আজ তাকে ভোট দিচ্ছে। আগামী কাল মনে না করলে বিরুদ্ধে ভোট দেবে! এটা তো সহজ সংসদীয় গণতন্ত্রের অঙ্ক। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতার জন্য আপনারা এত রেগে যাচ্ছেন কেন যে, নিজেদের মনুষ্যত্ব আর শিক্ষাদীক্ষাকেই অসম্মান করছেন? আপনারা বেশি বোঝেন, মানুষ কম বোঝে এটা কে ঠিক করে দিল? আপনারা বুদ্ধিমান, প্রায় ৩ কোটি মানুষ বোকা, এটা কীভাবে বোঝা গেল? কোন মেশিনে মাপা হয় এটা?
গণতন্ত্রের কাছে একটা অদৃশ্য মেশিন আছে। ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার আর দম্ভ পরিমাপের যন্ত্র। তার প্রমাণ আপনারা অতি সম্প্রতি দেশজুড়ে পেয়েছেন। অতএব আপনারাই স্থির করুন, কোন পথে হাঁটবেন! গণতন্ত্রের সেই মেশিন সদাজাগ্রত! ৭৭ বছর ধরে! 
14th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
একনজরে
নিয়ম ভেঙে বিল ও চাষের জমি থেকে মাটি তুলে ইটভাটায় পাঠাচ্ছে মাটি মাফিয়ারা। এই অভিযোগে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় মাটিবোঝাই ট্রাক্টর আটকে দিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ছে। বৃষ্টিতে মাটি কাদা হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ...

লোহার রড ছাড়াই ক্যানেলের গার্ডওয়াল তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টিতেই তা ভেঙে পড়ল। এনিয়ে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ির গাদং-১ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। ...

সল্টলেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এক ভবঘুরে বৃদ্ধা ডিভাইডারের উপর বসে আছেন। ...

১৯৮৮ ইউরোর সেমি-ফাইনাল। হামবার্গের ভোকসপার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রিনাস মিশেলের প্রশিক্ষণাধীন নেদারল্যান্ডস। এরপর খেতাবি লড়াইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব ঘরে তোলে ডাচ-ব্রিগেড। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৬: নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাংবাদিক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৯০: ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা ও পরিচালক  স্ট্যান লরেলের জন্ম
১৮৯৪: ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক্স কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৩: ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯২০: গায়ক ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু
১৯৪৪: বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিংহের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৩: ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ডের মৃত্যু
১৯৬৩: রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভা মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন
১৯৭২: নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়
২০২১: বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৩ টাকা ৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২১ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী ৫৯/৩০ শেষরাত্রি ৪/৪৪। হস্তা নক্ষত্র ১৫/৪৩ দিবা ১১/১৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৪৭, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৩। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৩ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৩ গতে ১২/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে।   
১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী রাত্রি ৩/৫। হস্তা নক্ষত্র দিবা ১০/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। 
৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: ৩ উইকেটে জিতল পাকিস্তান, বিপক্ষ আয়ারল্যান্ড

11:52:13 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৯০ মিনিট)

11:48:00 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৭৭ মিনিট)
 

11:12:31 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (হাফটাইম)

10:22:38 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (১৭ মিনিট)

09:54:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানকে ১০৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:50:34 PM