Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু সেই ক্ষমতার ভাগের মধ্যে কতটা অসম্মান জড়িয়ে রয়েছে, একবার ভেবে দেখেছেন কি? মিঃ পরমাত্মা, একবার আপনার অবস্থা দেখে নীল শৃগালের গল্পের উল্লেখ করেছিলাম, এই নির্বাচন সেই নীল রং ধুয়ে দিয়েছে। বেরিয়ে পড়েছে পরমাত্মার আসল রূপ। এটাই গণতন্ত্র! গা জোয়ারি এখানে সাজে না। অহঙ্কার আর একনায়কতন্ত্রের জোব্বাটা খসে পড়ল কি না, তা অচিরেই বোঝা যাবে। মনে রাখবেন, আপনিও অন্যদের মতো গণতন্ত্রের পদপ্রান্তে নত একজন দাসমাত্র। সেই গণতন্ত্র  আপনার কল্পনার ঐশী শক্তিকে, পরমাত্মার ধাপ্পাবাজিকে টেনে নামিয়ে এনেছে বাস্তবে জনতার সরণিতে। এই শিক্ষাটুকু আপনার দরকার ছিল! 
যদিও এনডিএ নামে একটি জোট আপনি চালান, কিন্তু এতদিন সেখানে আপনিই ছিলেন সংখ্যাধিক্য। তার জোরে দাদাগিরি চালাতেন। শরিক নেতাদের দাস বলে মনে করতেন। এখন আর সেসব চলবে না। শরিক নির্ভরতার জন্য আপনাকে তাঁদের তোয়াজ করতে হবে। আপনি এখন সম্পূর্ণ শরিকদের কৃপাপ্রার্থী। আর মনে রাখা দরকার, দশ শরিকের প্রধানমন্ত্রীর ছাতির মাপ কখনওই বত্রিশ ইঞ্চির বেশি হতে পারে না। এই শিক্ষাটুকুও যা হোক হয়ে গেল। হে পরমাত্মা, এই ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারে আপনি এখন একজন নিতান্তই পরজীবী প্রধানমন্ত্রী। কতদিন থাকবেন, তা ভবিষ্যৎই বলবে। তবে আপনাকে এখন অন্যের কৃপাপ্রার্থী হয়ে ক্ষমতার লাড্ডু খেতে হবে। আপনিই বলতে পারবেন, এই স্বাদটুকু সত্যিই মিষ্টি, না অত্যন্ত তেতো। 
আপনি ক্ষমতায় আসীন হলেও আসলে এই মুহূর্ত থেকে সূচিত হল আপনার পতনের কাউন্টডাউন। আগামী দু’বছর ভারতীয় রাজনীতিতে অনেক বড় বড় নাটকের অভিনয় হবে। দেখা যাবে অনেক উত্থান, অনেক পতন, বিশ্বাসঘাতকতার অনেক চমকপ্রদ নাটক।  আপনাকে সিংহাসন বাঁচাতে গেলে একেবারে অনুগত হয়ে থাকতে হবে। পরমাত্মার অংশ হয়েও আপনি তার একচুল বদলাতে পারবেন না। কেননা আপনার চলন বলনের রিমোট এখন নী-না’র হাতে, মানে নীতীশ ও নাইডু। এঁরা দু’জনেই পোড় খাওয়া নেতা। জানি না, এঁরা আপনাকে সংসদে মুজরো করিয়ে ছাড়বেন কি না! তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির এক্সপায়ারি ডেট চলে গিয়েছে। আশা করি, এখনই আপনি বিদ্বেষ ছড়ানোর পথে হাঁটবেন না। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর ফল যে ভালো হয়নি, তা তো ভোটের ধাক্কাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিছু হিন্দু ছাড়া অন্যরা আপনার পাশ থেকে সরে গিয়েছেন। রামের জন্মভূমি অযোধ্যায় আপনি রামমন্দির নির্মাণ করে ভেবেছিলেন বিরাট এক উইনিং স্ট্রোক মারলেন, কিন্তু সেখানকার ভোটাররাই আপনাকে হুক করে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। ‘রাম রাম’ করে সারা দেশ কাঁপিয়েও সেখানে হেরে গেলেন। তারপর সীতাপুর, পুরাণ মতে এখানে জড়িয়ে রয়েছে রামসীতার বহু স্মৃতি। সেখানে হেরে গিয়েছে বিজেপি। নাসিকের কথাই ধরুন, এখানে নাকি লক্ষ্মণ শূর্পণখার নাক কেটে দিয়েছিলেন। এখানেও ভোটাররা বিজেপির নাক কেটে দিয়েছেন। রামেশ্বরম— রামচন্দ্রের আর এক স্মৃতি বিজড়িত স্থান। সেখানে মানুষ বিজেপির ভিত উপড়ে দিয়েছে। প্রয়াগরাজেও পোঁতা হয়েছে বিজেপির পরাজয়ের মাইলস্টোন। বস্তি, সুলতানপুর, রামটেক, কোপ্পল, এগুলি রামচন্দ্রের সঙ্গে নানাভাবে সম্পর্কযুক্ত স্থান। সব জায়গাতেই বিজেপি হেরেছে। আসলে এই হার বিজেপির নয়, আপনার। আপনার উগ্র রামচেতনাকে মানুষ প্রত্যাহার করে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। 
হে পরমাত্মা, এক্সিট পোলের ক্ষণে দেশের মানুষ আপনাকে নবরূপে আবিষ্কার করলেন। সেখানে আপনি ও আপনার ডেপুটিকে আমরা শেয়ার বাজারের দালালরূপে প্রত্যক্ষ করলাম। ইলেকশন বন্ডের টাকার জোরে এক্সিট পোলকে প্রভাবিত করে দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠানো হল। নিজেরা বিপুলভাবে ক্ষমতায় আসছেন দেখিয়ে শেয়ার বাজারে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করতে বললেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনার দোস্ত আদানিদের ঘরে দু’লক্ষ ষাট হাজার কোটি টাকা ঢুকে গেল। আদানিদের প্রতিটি শেয়ারের দর সাত-আট শতাংশ করে বেড়ে গেল। আর পরদিন কী হল? দেশের মানুষের বিনিয়োগ করা তিরিশ লক্ষ কোটি টাকা শেয়ার বাজার থেকে হাপিশ হয়ে গেল। এই গ্যাম্বলিংটা কি আপনি জেনে বুঝেই করেছিলেন? সুতরাং ক্ষমতায় আসার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে আর এক জুমলা। তাই আপনার তৃতীয়বারের ক্ষমতায় আসাকে ‘জুমলা.৩’ হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। 
কিন্তু আপনি যে মানসিকতার মানুষ, তাতে বেশিদিন আপনি প্রতিবন্ধী হয়ে সরকার চালাতে চাইবেন না। তাই জানি, পাশাপাশি আপনার ‘প্ল্যান বি’ রেডি রয়েছে। সেটা হল, এতদিন যে খেলা আপনি খেলেছেন, সেটাই। অন্যের ঘর ভেঙে নিজের ঘরকে শক্তিশালী করা। এমনও হতে পারে নীতীশ ও নাইডুর এমপিরাই একদিন দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বেরিয়ে এসে আপনাকে সমর্থন জোগাল কিংবা কংগ্রেসের এমপি ভাঙিয়ে নিলেন। যে করেই হোক আপনি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করবেনই। এ খেলা আপনি ও আপনার ডেপুটি বিভিন্ন রাজ্যে কতবার খেলেছেন, তা দেখে দেখে আমরাও অভিজ্ঞ হয়ে গিয়েছি। তবে প্রথম দিন থেকেই যে আপনি ধাক্কা খেতে শুরু করেছেন, সেটাও দেখা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের একনাথ সিন্ধে বেঁকে বসেছেন। তিনি তাঁর দলের থেকে একাধিক পূর্ণমন্ত্রী চান। বেঁকে বসেছেন অজিত পাওয়ার। তিনি পূর্ণমন্ত্রীই হবেন। ‘হাফপ্যান্ট’ মন্ত্রিত্বে তাঁকে রাজি করানো যায়নি। এসব তো ছোটখাটো ব্যাপার, আসল খেলা তো ১৮ জুন থেকে শুরু হবে। সেদিন সংসদ বসতে চলেছে। ২০ জুন নির্বাচিত হবেন লোকসভার স্পিকার। চন্দ্রবাবু নাইডু আগে থেকেই স্পিকারের পদ দাবি করে রেখেছেন। কিন্তু আপনি জানেন, স্পিকারের পদ অন্যের হাতে গেলে সংসদে মনোমতো খেলা যাবে না। দলবদলুর খেলায় স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিশাল ভূমিকা থাকে। আর যদি বিজেপি সত্যিই স্পিকার পদ না পায়, তবে প্রথম রাউন্ডেই বিজেপির হার বলে ধরে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে অধিবেশনজুড়ে বিজেপিকে নাস্তানাবুদ হতে হবে, সেটা আপনিও জানেন পরমাত্মা। 
চন্দ্রবাবু নাইডুকে এর আগেও বিজেপি বেশ কয়েকবার গাড্ডায় ফেলেছে। নাইডু তা ভুলে গিয়েছেন বলে মনে হয় না।  সুতরাং আর কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে। মনে রাখবেন এনডিএর শরিকরা মোটেই আপনাকে বন্ধু বলে মনে করেন না।  ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক কতদিন ধরে আপনার বন্ধু। আপাদমস্তক ভদ্র, শিক্ষিত মানুষটি আপনাকে বন্ধু ভেবে বিশ্বাস করেছিলেন, তাকে আপনি ফিনিশ করে দিলেন। এখন ঘরে বসে নবীন পট্টনায়েক শুধু বলছেন, ‘তুমিও ব্রুটাস!’ আপনার পরবর্তী লক্ষ্য নাইডু ও নীতীশদের ফিনিশ করা। সেটা বুঝেই স্পিকার পদ তাঁরা চেয়ে বসে আছেন, যাতে সাংবিধানিক কলকাঠি বিজেপি নাড়াতে না পারে।
এর মধ্যে নীতীশকুমারও গুগলি দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ যে ক’টি বিধানসভায় ভোট হতে চলেছে, তার সঙ্গে বিহারের ভোটও করিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ নীতীশকুমার বিধানসভার নির্বাচনের ফল দেখে সমর্থনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান। কেন্দ্রে সমর্থন পেতে গেলে বিজেপিকে নীতীশকুমারের দাবি মেনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতেই হবে। সুতরাং আপনার পদে পদে প্রচুর কাঁটা! এতদিন প্রত্যেকটা মন্ত্রক বকলমে চালাতেন আপনার পিএমও। পিএমও-র নির্দেশেই চলত সব মন্ত্রক। এখন জোট শরিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের মন্ত্রক নিয়ে পিএমওর কোনওরকম খবরদারি চলবে না। 
অবশ্য শুধু জোটেরই ধাক্কা নয়, দলের ভিতরেও আপনাকে ধাক্কা খেতে হবে। আরএসএস সুযোগ পেলেই আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেবে, সেটা আপনি ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন। তাই আদবানি লবিকে তুষ্ট করতে আপনি উঠেপড়ে লেগেছেন। জয়ের পরই দৌড়ে গিয়েছেন আদবানির বাড়ি, মুরলী মনোহর যোশির বাড়ি। প্রাধান্য দিচ্ছেন রাজনাথ সিং কিংবা নীতীন গাদকারিকে। এই ভোল আপনার থাকবে না। পাল্টে যাবে। শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা। তবে নিশ্চিত করে বলা যায়, আপনার ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে নার্ভের লড়াই। 
হে পরমাত্মা, আপনি চারশো সিট চেয়েছিলেন। না পাওয়ায় দেশের মঙ্গলই হয়েছে। কেননা এই বিপুল ক্ষমতা নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের আরও সর্বনাশ হয়ে যেত।  বিজেপি দেশের সংবিধান বদল করতে চায়, বিজেপি হিন্দুরাষ্ট্র চায়, সিএএ চায়। আপনি জানেন, এগুলির জন্য সংখ্যার জোর দরকার। সেই ক্ষমতার জন্য দলভাঙার খেলা আপনাকে খেলতেই হবে। গোপনে শুরু হয়েছে তার সলতে পাকানো। হে পরমাত্মা, আপনি জওহরলাল নেহরুকে স্পর্শ করেছেন, কিন্তু ইতিহাস কাজের নিরিখে কখনওই আপনাকে তাঁর উপরে স্থান দেবে না। এটাই নির্মম ইতিহাসের বিচার।
12th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
একনজরে
সল্টলেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এক ভবঘুরে বৃদ্ধা ডিভাইডারের উপর বসে আছেন। ...

লোহার রড ছাড়াই ক্যানেলের গার্ডওয়াল তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টিতেই তা ভেঙে পড়ল। এনিয়ে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ির গাদং-১ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। ...

জিএসটি আদায়ের হার এরাজ্যে যথেষ্ট ভালো। দপ্তরের অফিসার ও কর্মীরাই স্বাভাবিকভাবে এই কৃতিত্বের প্রধান দাবিদার। কিন্তু জিএসটি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজতে পশ্চিমবঙ্গের অফিসারদের অবদানও কম নয়। ...

১৯৮৮ ইউরোর সেমি-ফাইনাল। হামবার্গের ভোকসপার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রিনাস মিশেলের প্রশিক্ষণাধীন নেদারল্যান্ডস। এরপর খেতাবি লড়াইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব ঘরে তোলে ডাচ-ব্রিগেড। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৬: নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাংবাদিক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৯০: ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা ও পরিচালক  স্ট্যান লরেলের জন্ম
১৮৯৪: ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক্স কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯০৩: ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯২০: গায়ক ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু
১৯৪৪: বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিংহের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৫৩: ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ডের মৃত্যু
১৯৬৩: রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভা মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন
১৯৭২: নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়
২০২১: বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৩ টাকা ৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২১ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী ৫৯/৩০ শেষরাত্রি ৪/৪৪। হস্তা নক্ষত্র ১৫/৪৩ দিবা ১১/১৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৪৭, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৩৩। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৩ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৩ গতে ১২/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে।   
১ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪। দশমী রাত্রি ৩/৫। হস্তা নক্ষত্র দিবা ১০/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। 
৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: ৩ উইকেটে জিতল পাকিস্তান, বিপক্ষ আয়ারল্যান্ড

11:52:13 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৯০ মিনিট)

11:48:00 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ১ - ডেনমার্ক ১ (৭৭ মিনিট)
 

11:12:31 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (হাফটাইম)

10:22:38 PM

ইউরো ২০২৪: স্লোভেনিয়া ০-ডেনমার্ক ১ (১৭ মিনিট)

09:54:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানকে ১০৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:50:34 PM