Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

ভারতের প্রথম মহিলা বিচারপতি 

সেকালের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের দিকে লক্ষ্য রেখেই সব ব্যবস্থাপনা হত। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকতার সম্পূর্ণ অবসান না হলেও দিন যত এগিয়েছে ততই মহিলারাও অগ্রগণ্য হয়েছে। বিভিন্নরকম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নারীকেন্দ্রিকতাও সমাজে স্থান পেয়েছে। নারীর এহেন ক্ষমতায়নের পিছনে রয়েছে নতুন নতুন আইন ব্যবস্থা ও নারীর অদম্য পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। পুরুষরা নানানরকম বাধার সৃষ্টি করলেও, নারীদের উদ্যমের কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছেন।
পূর্বে বিচারালয়গুলি পুরুষদের একচেটিয়া ছিল। কিন্তু ক্রমশ নারীরাও বিচারালয়গুলিতে প্রবেশ করছেন ও যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। এমনকী বিচারপতির পদও অলঙ্কৃত করছেন।
ভারতের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষস্থানে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্যগুলিতে রয়েছে হাই কোর্ট। কোর্টগুলি বিভিন্ন আঞ্চলিক কোর্টের সাহায্যে বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করেন।
আগেই বলেছি পূর্বে পুরুষরাই কোর্টের কাজকর্ম করতেন। কিন্তু ক্রমশ মহিলারাও ওই সকল কাজকর্ম করছেন ও যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।
এবার বলি সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের প্রথম দুই মহিলা বিচারপতি কথা। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হয়েছিলেন ফতিমা বিবি।
তিনি কেরালার ভারতীয় রাজ্য এভালকাড়ের পাঠানমখিতায় ১৯২৭ সালের ৩০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আনাভিত্তিল মিয়া সাহেব ও মা খাদেজ বিবি।
ফতিমা বিবি পাঠানমখিতার ক্যাথলিক স্কুলে প্রথম পড়াশোনা করেন, পরে তিরুবনন্তপুরম ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন এবং তিরুবনন্তপুরম সরকারি আইন কলেজ থেকে আইন পাশ করেন।
১৯৫০ সালের ১৪ নভেম্বর ফতিমা বিবিকে অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়। তিনি কেরালার নিম্নবিচার বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৮ সালের মে মাসে তিনি উপ সমন্বয়কারী জুডিসিয়াল পরিষেবাতে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি উপসমন্বয়কারী বিচারক এবং ১৯৭২ সালে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৯৭৪ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন।
পরে তিনি আয়কর আপিল ট্রাইবুনালের বিচারক সদস্য হন ও পরে তাঁকে হাই কোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীকালে হাই কোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের পদে উন্নীত হন।
১৯৯৭ সালে তিনি তামিলনাড়ুর গভর্নর হন। গভর্নর হিসেবে তিনি মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের দায়িত্বগুলি যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গেই তিনি পালন করেছেন। ফলে তাঁকে বহু বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে। নারী হওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজ দক্ষতায় সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছিলেন ও সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন।
বাংলার মেয়ে জ্যোতির্ময়ী নাগও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বেড়া ডিঙিয়ে নিজ উদ্যম ও অধ্যাবসায়ের জোরে কলকাতা হাই কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হয়েছিলেন।
জ্যোতিমর্য়ী নাগ অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলায় ১৯২১ সালের ২১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ব্রজেন্দ্রলাল মিত্র ও মাতার নাম শান্তিলতা মিত্র। স্বামী হীরেন্দ্রচন্দ্র নাগ।
লোরেটো হাউসে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা আশুতোষ কলেজ ও আইন কলেজে পড়াশোনা করেন। ইংরাজি সাহিত্য ও আইন দুটো বিষয়ই তাঁর প্রিয় ছিল।
বহরমপুর কলেজে তিনি কিছুদিন অধ্যাপনা করেছিলেন। কিন্তু দেশের আইনকে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগানোর প্রয়োজনে তিনি আইনব্যবসার পথকেই বেছে নিয়েছিলেন।
দেশের আইনকে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগানোর জন্য যেসব বিচারপতি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য জ্যোতিমর্য়ী নাগ। তিনি কলকাতা হাই কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ছিলেন। জ্যোতির্ময়ী স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু অনেক বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে, অনেক কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে তবেই তিনি যোগ্যতার বলে এই যশ পেয়েছেন।
শুধুমাত্র মহিলা হওয়ার অপরাধেই তাঁকে সিনিয়র আইনজীবীদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে, তাঁদের অধীনে প্র্যাকটিস করবার জন্য। তিনি হার মানেননি। ফলে শেষপর্যন্ত শুধু মহিলা বিচারপতিই নন, তিনিই প্রথম মহিলা অ্যাডভোকেট হিসেবে এই পেশা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর আগে অন্য কোনও মহিলা আইনজীবীই প্র্যাকটিস করার জন্য কলকাতা হাই কোর্টে নাম নথিভুক্ত করেননি।
জ্যোতির্ময়ী কলকাতা হাই কোর্টে যুক্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রখ্যাত আইনজীবী অজিত দত্তের কাছে তাঁর জুনিয়র হিসেবে একটি বিখ্যাত মামলার সত্তয়াল করেন। প্রসিদ্ধ দমদম-বসিরহাট মামলার অভিযুক্ত চারজন বিপ্লবীর পক্ষে তিনি দাঁড়ান। সেই মামলায় তাঁর তীক্ষ্ণ ইংরাজি ভাষার যুক্তিজাল তাঁকে বিশেষভাবে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। ফৌজদারি আদালতে এরপরও যে তিনি খুব সহজভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন, তা নয়। দীর্ঘ শ্রম, অধ্যাবসায়, নিষ্ঠা এবং কাজের প্রতি সততার মাধ্যমে তিনি নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য আইনজীবী হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন মহিলা আইনজীবীও একজন পুরুষ আইনজীবীর সমকক্ষ হতে পারেন।
১৯৭৭ সালে তিনি কলকাতা হাই কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি মনোনীত হন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই গুরুদায়িত্ব সুসম্পন্ন করেছেন। তাঁর বর্ণময় কর্মজীবনে সততা ও কর্মদক্ষতার ছাপ ফেলতে পেরেছেন। স্বকীয়তায় উজ্জ্বল ছিল তাঁর কর্মজীবন তথা কর্মজগৎ। খুব সহজভাবেই তিনি পুরষ সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছেন ও তাঁদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হাই কোর্টে যখন তিনি যুক্ত হন তখন এলাকার মহিলা ফেডারেশনের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ স্থাপিত হয়। সেই সূত্র ধরে তিনি নানা ধরনের সেবামূলক কাজে এই সংগঠনকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছেন।
খরা, বন্যা প্রভৃতি নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মহিলা ফেডারেশন যখন ত্রাণের কাজ সংগঠিত করেছে, তখন তিনি উদার হাতে সাহায্য করেছেন। মহিলা সমিতির সভাসমিতির কাজেও তাঁর উৎসাহ ছিল। মেয়েদের আইন সম্পর্কে সচেতন করবার জন্য তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন এবং সেগুলির প্রতিকারের জন্য কী আইনি সাহায্য পাওয়া যায় সেগুলিরও বিশদ ব্যাখ্যা করে বলে দিতেন।
১৯৭৫ সালে তিনি মহিলা ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সহ সভানেত্রী হন, তারপরই তিনি হাই কোর্টের বিচারক হন। কিন্তু সেই কারণে সাধারণ মেয়েদের সঙ্গে তাঁর আচরণের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতীয় মহিলা ফেডারেশনের সভানেত্রী হয়ে মস্কোয় বিশ্ব নারী সম্মেলনে যান।
বিচারক পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। একদিন তিনি মন্তব্য করেছিলেন, দেশে যে আইন আছে তা দিয়েও সাধারণ মানুষের জন্য, নারী ও শিশুদের জন্য অনেক কিছু করা যায়। তাই ভালো আইনজ্ঞ তৈরি করাও দেশের অন্যতম কর্তব্য।
আইন কলেজের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এটিই তার প্রধান লক্ষ্য ছিল। কলেজের অধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি আরও একটি বৃহৎ কাজের সঙ্গে যুক্ত হন, ক্রেতা সুরক্ষা ফোরামের তিনি সভানেত্রী হন।
১৯৮২ সালে তিনি মহিলা ফেডারেশন পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভানেত্রী হন। আমৃত্যু তিনি ওই পদেই ছিলেন।
১৯৯৭ সালের ১৬ মে কলকাতাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুধু বিচারক হিসেবে নয়, মানবিকতার আধার হিসেবেও তিনি মানুষের হৃদয়ে থাকার যোগ্য।
প্রীতি বসু 
13th  July, 2019
পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে মুসলিম সমাজে 

একবিংশ শতাব্দীতে পদার্পণের আগে মুসলিম সমাজে নারী স্বাধীনতা প্রহসন ছিল বললে অত্যুক্তি হয় না। মাত্র কয়েক দশক আগেও মুসলিম নারী ছিল অন্তঃপুরবাসিনী। অবগুণ্ঠনের আড়াল থেকেই তাদের বিশ্বদর্শন হতো। কিন্তু সেই চিত্র আজ অনেকটাই বদলে গিয়েছে।  বিশদ

মেয়েদের হার্টের পক্ষে
নাইট শিফট ক্ষতিকারক 

এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আপাতদৃষ্টিতে নারীর সঙ্গে পুরুষের পার্থক্যের সীমারেখা প্রায় ঘুচেই গিয়েছে বলা যায়। এখন পুরুষদের সঙ্গে নারীরাও সমানতালে সবকিছুই করছে। সে কঠিন বিজ্ঞান গবেষণা থেকে শুরু করে টোটো চালানো পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই। একসময় যে নাইট শিফটে কাজ শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এখন সেখানেও মেয়েদের মৌরুসিপাট্টা। বিশদ

মহিলাদের সুস্থ রাখতে যোগাসন 

দেশের মতোই বিদেশেও এখন যোগাসনের দারুণ কদর। যোগাসনের দ্বারা মহিলাদের সুস্থ থাকার কয়েকটা উপায় জানালেন মার্কিন যোগ ফেডারেশনের কর্ণধার রাজশ্রী চৌধুরী। তাঁর মুখোমুখি কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

সিনেমা আমার প্রথম প্রেম: ঐন্দ্রিলা সাহা 

রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে খনা নামে এক জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এবং বিদুষী নারী ছিলেন। বরাহপুত্র মিহিরের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। খনা তাঁর বচন রচনার মাধ্যমেই সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। খনার ভবিষ্যৎ বাণীগুলি খনার বচন নামে পরিচিতি পায়। সেই খনার জীবন নিয়ে কালারস বাংলায় শুরু হয়েছে মেগা ধারাবাহিক ‘খনার বচন’। আজ আমরা খনা তথা ঐন্দ্রিলা সাহার মুখোমুখি। 
বিশদ

13th  July, 2019
দীপার উত্তরসূরি প্রণতি 

দীপা কর্মকারের পর আর এক বাঙালি জিমন্যাস্টকে নিয়ে ওলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গেল। ত্রিপুরার দীপা কর্মকার, তেলেঙ্গানার অরুণা রেড্ডির পর বাংলার প্রণতি নায়েক হলেন দেশের তৃতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট যিনি আন্তর্জাতিক পদক জিতলেন।  বিশদ

13th  July, 2019
সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলা ও বাচ্চাদের মুখে হাসি দেখতে চাই : রাখী বসু 

ছোটবেলা থেকেই সমাজের জন্য কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন রাখী। স্বপ্ন ছিল তার হাত ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া বাচ্চারা আর অসহায় মহিলারা মাথা তুলে দাঁড়াবে। তারা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। ছোটবেলায় দেখা স্বপ্ন আরও প্রগাঢ় হল, যখন তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পুত্রবধূ হয়ে এলেন। 
বিশদ

06th  July, 2019
নারীমুক্তি আন্দোলনে কবি সুফিয়া কামাল 

বিংশ শতাব্দীর নারীমুক্তি আন্দোলনে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছেন মহিলা কবি সুফিয়া কামাল। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনেও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ এক স্মরণীয় কীর্তি। 
বিশদ

06th  July, 2019
মাহেশে জগন্নাথদেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠাতা 

চতুর্দশ শতাব্দীতে সন্ন্যাসী ধ্রুবানন্দ প্রতিষ্ঠিত তিনটি বিগ্রহ জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের পুজো আজও শ্রীরামপুরে মাহেশের মন্দিরে হয়ে আসছে। বলা বাহুল্য, ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী হলেন সেই সিদ্ধপুরুষ যিনি সর্বপ্রথম বঙ্গভূমিতে ভগবান শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের পুজোর প্রবর্তন করেন। তাঁর ভক্তি ও জগন্নাথ সাধনার কথা জগৎ বিখ্যাত। তিনিই মাহেশে জগন্নাথদেবের মূর্তি স্থাপন করেন। রথের মরশুমে সেই সাধনার আখ্যানই শুনিয়েছেন দীপক বসু।
 
বিশদ

06th  July, 2019
নারীদের জন্য ভয়ঙ্কর দেশ অস্ট্রেলিয়া 

অল্প কিছুদিন আগে এক তরুণীর হত্যাকাণ্ডের খবরে দারুণ ধাক্কা খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। তিনি মেলবোর্ন শহরে হেঁটে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে নিহত হন। একুশ বছর বয়সি ইজরায়েলি এই তরুণীর নাম আয়া মাসারভি। তার মৃত্যুর ঘটনা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে।  
বিশদ

29th  June, 2019
১৯ বছরের রাখি দত্ত নিজের
লিভার দিয়ে বাঁচালেন বাবাকে 

বাবার বয়স ৬৫। কিছুদিন ধরেই পেটে ব্যথা হতো, কিছু খেতে পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর পরীক্ষায় ধরা পড়ল তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত। সুস্থ করে তুলতে হলে লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু কে দান করবে লিভার? এগিয়ে এলেন একমাত্র মেয়ে রাখি দত্ত।  
বিশদ

29th  June, 2019
ফেসবুকের মেয়ে 

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট খুলে দিয়েছে এক নতুন দিগন্ত। সম্পর্ক বিস্তারের জালপাতা যেন ভুবন জুড়ে। ওয়েব নেট থেকে জালের ফাঁদে। বন্দি আজ আবালবৃদ্ধবণিতা। সামাজিক বাধা-নিষেধ নেই। সম্পর্কের উন্মুক্ত আবহাওয়ায় গা ভাসিয়ে দাও।  
বিশদ

29th  June, 2019
প্রাচ্য পুরাণে নারীর বেঁচে থাকার দুঃখ-ইতিহাস 

মহাভারতের বনপর্বে সত্যভামা দ্রৌপদীকে প্রশ্ন করেছিলেন, পাঁচ স্বামীকে তিনি কীভাবে সন্তুষ্ট রাখতে সক্ষম হয়েছেন? উত্তরে দ্রৌপদী পতিব্রতা নারীর ওপর এক সুদীর্ঘ বক্তৃতা দেন। যাঁর মূল কথা ছিল— নারী যদি সম্পূর্ণভাবে আত্মবঞ্চনা করে এবং নিজেকে স্বামীর ইচ্ছা পোষণের যন্ত্রমাত্রে পরিণত করে তবেই সে যথার্থ পতিব্রতা হতে পারে এবং স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখতে সক্ষম হয়। 
বিশদ

29th  June, 2019
বাজে খবরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা

 বেশ কিছুদিন প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরির পর গতবছরের শেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব। তবে এই গুজবের দাঁত ভাঙা জবাব দিলেন প্রিয়াঙ্কা।
বিশদ

22nd  June, 2019
চা বিক্রেতা বাবার বিচারক মেয়ে

 আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একসময় চা বিক্রি করতেন। এবার এক চা বিক্রেতার মেয়ে দেশের আদালতের বিচারক হলেন। পাঞ্জাবের জলন্ধরের এক আদালত চত্বরে চা বিক্রি করে সংসার চালানো সুরেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর মেয়ে ওই কোর্টেরই বিচারক হলেন।
বিশদ

22nd  June, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শনিবার দুপুরে পাঁচলার গাববেড়িয়ায় টোটো ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক শিশুর। তার নাম আমিরুদ্দিন শাহ (৭)। বাড়ি সিদ্ধেশ্বরী সাহাপাড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ওই শিশুটি মায়ের সঙ্গে একটি টোটোয় মাজারে যাচ্ছিল। তখন একটি লরি ওই টোটোয় ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: গ্রামের একমাত্র জল নিকাশির জায়গায় রাইসমিল গড়ে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার রামপুরহাট-১ ব্লকের খরুণ গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানালেন তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এই ব্লকের চাকপাড়া, মালসা ও ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফিবছর বর্ষার সময় আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় থাকি।   ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতি ঠেকাতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ত্রিপল বিলি করছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বিডিও। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে খাবার বিলিতেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।  ...

নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই (পিটিআই): স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা নিয়ে পরামর্শ চেয়ে আবারও জনতার দরবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার এই আহ্বান জানিয়ে মোদি লিখেছেন, সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনার কথা জানবে গোটা দেশ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২০: মা সারদার মৃত্যু
১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম
১৮৯৯: লেখক বনফুল তথা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার বিনির জন্ম
২০১২: বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আহমেদের মূত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৯২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,৪৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ১০/১৮ দিবা ৯/১৪। শতভিষা অহোরাত্র। সূ উ ৫/৬/৩, অ ৬/১৯/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪০ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬ গতে উদয়াবধি।
৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ৪/২৪/৪ দিবা ৬/৫১/২। শতভিষানক্ষত্র ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৫/৫/২৪, অ ৬/২১/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে, বারবেলা ১/২৩/১৫ গতে ৩/২/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৪/৫৮ মধ্যে ও ৪/৪২/২৩ গতে ৬/২১/৫৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪২/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৪/৫৮ গতে ৫/৫/৪১ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: সম্পত্তি লাভের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২০: মা সারদার মৃত্যু১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ...বিশদ

07:03:20 PM

একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলের প্রস্তুতি পর্ব ...বিশদ

05:54:05 PM

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বৈঠক, মিলল না রফাসূত্র

05:05:54 PM

ইন্দোনেশিয়া ওপেন: চেন ইউ ফেইকে হারিয়ে ফাইনালে পি ভি সিন্ধু 

04:32:32 PM

শীলা দীক্ষিত প্রয়াত 
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। ...বিশদ

04:12:00 PM