Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

আনুষ্ঠানিক বিয়ে বনাম রেজিস্ট্রি বিয়ে

বিয়েতে রীতিনীতি ও অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কি আজও আছে? নাকি এই ব্যস্ততার যুগে সইয়ের বিয়েই যথেষ্ট? এমন প্রশ্নে নব্য প্রজন্মের মহিলারা নানান মত দিলেন। কেউ বললেন, অনুষ্ঠানে আপত্তি নেই, আপত্তি শুধু পুরুষতান্ত্রিকতায়। বিস্তারিত বিবরণে তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক।

অঘ্রাণ আর মাঘ মাসে শীতের পিঠেপুলির সুবাসের সঙ্গে বাতাসে ভাসে সানাইয়ের সুর। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই প্রজাপতির মতো উড়ে আসে তেল-হলুদ ছোঁয়ানো ‘যদিদং হৃদয় মম’ অথবা ‘শুভ বিবাহ’ লেখা নেমন্তন্নের চিঠি। বিয়ে মানেই দিন-ভর খাওয়া-দাওয়া, হাসি, মজা, হুল্লোড় আর সাজগোজের নানান জল্পনা-কল্পনা। বিয়েবাড়ির আবহে থাকে উৎসবের আমেজ। বিয়ে নামক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় এক নিবিড় সম্পর্কের। আর নতুন জীবনের শুভ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার শেষ থাকে না দু’পক্ষেরই। আয়োজনে থাকে নিত্যনতুন চমক। প্রাতিষ্ঠানিক বিয়ের নানা রকম নিয়ম-নীতিও রয়েছে। যার শুরু হয় পাটিপত্র দিয়ে। আশীর্বাদ, পানখিলি, দধিমঙ্গল, গায়ে হলুদ, শঙ্খকঙ্কণ, বর-বরণ, সপ্তপদী, শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সম্প্রদান, অঞ্জলি, সিঁদুরদান, কন্যা বিদায় তার ওপরে বধূবরণ, বউভাত, অষ্টমঙ্গলা বা দ্বিরাগমন হয়ে ঘটে বিয়ের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি। আবহমানকাল থেকে চলে আসা সুপরিচিত সব প্রথা আর ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালা চলতেই থাকে। ঘন ঘন শাঁখ, উলুধ্বনি আর নানা স্ত্রী আচার বিয়ের অনুষঙ্গ হিসেবে ওতপ্রোত জড়িয়ে থাকে। বাসরঘরের হুল্লোড়, শয্যাতুলুনি নিয়ে দু’পক্ষের মিষ্টিমধুর তরজা উৎসবমুখর বিয়েবাড়ির খুব পরিচিত দৃশ্য। একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে ভিয়েন বসত। কম করে আট-দশ দিন ধরে আত্মীয়স্বজনরা থাকত। তাদের নিয়ে বড় হলঘরে বা উঠোনে সার সার কলাপাতা পেতে লুচি, আলুর ছেঁচকি, মিষ্টি, মাছ ভাজা, ঝোল, ভাত আর অম্বল দিয়ে খাওয়া-দাওয়া। আর এই সমস্ত ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়া সামলাতেন বাড়ির ও আশপাশের বাড়ির গিন্নিরা। বরযাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা হতো কাছের পড়শির বাড়িতে। সে সময়ে বিয়ের কার্ডেও থাকত কবিতার দু-চার ছত্র। যেমন, ‘দয়াময় বিশ্বপতি এই ভিক্ষা চাই, চিরদিন সুখী যেন এরা দুটি হয়’ অথবা ‘বধূমাতা হয়ে তুমি কর আগমন, ধন্য হও পুণ্য হোক সেই শুভক্ষণ।’
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সনাতন এই বিয়ের রীতি-নীতির বহু পরিবর্তন ঘটেছে। আধুনিক প্রজন্ম নিজস্ব চিন্তা ও চেতনা দিয়ে অন্যরকম ভাবছে। সবাই মিলে হইহই, কেনাকাটা, বাড়িঘর সাজানো থেকে প্রণামী, স্ত্রী আচার ও মন্ত্র পড়ে বিবাহে এই নব্য প্রজন্ম কি আগ্রহী নাকি একেবারে উল্টোপথে হাঁটতে চাইছে জেনারেশন ওয়াই? শুধুমাত্র সই-সাবুদে আর নির্দিষ্ট আয়োজনেই কি সন্তুষ্টি খুঁ‌জ঩ছে তারা? নাকি আজও প্রথা মেনে সাবেক কালের নিয়মের ঘেরাটোপেই সারতে চাইছেন আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ে?
আ‌ইটিতে কর্মরতা সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অন্বেষা বসুর মতে, ‘সই-সাবুদে বিয়েটা সেরে ফেলাই বেটার। দশজন লোক ডেকে খাওয়া-দাওয়া এক ধরনের মজা নিশ্চয়ই। তবে অচেনা লোকজন যাকে হয়তো আমি কোনওদিন চোখে দেখিনি অন্য কোনও আত্মীয়-পরিচিতির সুবাদে তিনি আসবেন, খাবেন, চলে যাবেন এর মধ্যে কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমার তো মনে হয় না। যেহেতু আমি কর্মরতা, সেহেতু সময়টাও বিরাট ফ্যাক্টর। বিশ দিন ছুটি নিয়ে এই আনন্দ সাগরে গা ভাসানোর মতো ব্যাপার তো কিছু নেই। ছেলে-মেয়ের দু’জনের দু’জনকে চেনা, পারস্পরিক বিশ্বাস আর অল্প কিছু খুব কাছের আত্মীয় আর বন্ধুদের নিয়েই আমি জীবনের নতুন ইনিংসটা শুরু করতে চাই।’
টাইম ইনস্টিটিউটের কেরিয়ার কাউন্সেলর ও নাট্যকর্মী শ্রীজাতা সেনগুপ্তের কথায়, ‘রীতি-নীতি মেনে বিয়ের কোনও ব্যাখ্যা বা প্রয়োজনীয়তা আজকের দিনে নেই বলেই আমি মনে করলেও কোথাও একটা প্রভাব রয়েছে গুরুজনদের ভালোবাসা বা আশীর্বাদের। এতদিন ধরে চলে আসা একটা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব পুরোপুরি অস্বীকারও করা যায় না। তবে কিছু নিয়মের ব্যক্তিগতভাবে আমি ভীষণ বিরোধী। যেমন সম্প্রদান যেখানে অন্যান্য দানপত্রের সঙ্গে যেন মেয়েটাকেও দানসামগ্রী হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকের ইচ্ছে-অনিচ্ছের মূল্য দিয়ে ও নিজের মতামতকে মান্যতা দিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা ফেলতে চাই।’
কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ভিডিওগ্রাফির পড়ুয়া সৌঋতা মজুমদারের কথায়, ‘রিচুয়ালসের ক্রমাগত পরিবর্তন ঘটেছে। বৈদিক যুগে বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়েদের যথেষ্ট মান্যতা দেওয়া হতো। সমানাধিকার ছিল। সেখানে যতদূর আমার মনে পড়ছে তাতে তেরোটা রীতির কথা বলা আছে। যেটায় মেয়েদের অসম্মান ছিল না। পরবর্তী সময়ে সিঁদুর পরিয়ে, শাঁখা, পলা, লোহা পরিয়ে একজন নারীকে চিহ্নিত করে দেওয়া যে তিনি বিবাহিত। এবং কোনও একজনের সম্পত্তি। এটা কেন হবে? একটা মেয়েকে ভোগ্যবস্তু হিসেবে দেখানোর প্রথাতে আমি বিশ্বাসী নই একেবারেই। আমি এমন কিছু নিয়ম মানব না যা শুধুই মেয়েদের জন্য বরাদ্য। অনেক জায়গায় বিয়ের এই শাঁখা, সিঁদুর-এর মাহাত্ম্যকে বোঝাতে রোমান্টিসিজমের তকমায় মুড়ে তার বাণিজ্যিকিকরণও করা হয়। যার মধ্যে আমি অন্তত কোনও যৌক্তিকতা দেখি না। বিয়েতে ট্রাডিশনকে ছুঁড়ে ফেলার কথা বলছি না। শুধু মেয়ে হিসেবে সম্মানটা চাই।
আমার কাছে বিয়ে মানে একটা পার্টনারশিপ। সেখানে কেবলমাত্র একজন নারীর জন্য নির্দিষ্ট যা কিছু নিয়ম এই প্রথা মেনে নিতে আমি একেবারেই রাজি নই। হইচই, হাসি, আনন্দ করতে আমি রাজি শুধু বিয়েতে পুরুষতান্ত্রিকতার তীব্র উত্তাপটা আমি মানতে চাই না। স্বাধীন ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের সাম্য নিয়েই আমি নতুন জীবনে পা দিতে চাই।’
বহুজাতিক বঙ্গ সংস্থার ফিনানশিয়াল অ্যানালিস্ট ব্যাঙ্গালোর কল্যাণনগরের বাসিন্দা গুঞ্জা গুপ্তার কাছে বিয়ে মানে দুটো মানুষের মন। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস আর ভালোবাসা। এগুলো থাকলে বিয়েটা কোর্টে অথবা মন্দিরে যেখানেই হোক তাতে কিছু যায় আসে না। আর বিয়ে টিকিয়ে রাখতে গেলে সাবেকি নিয়ম, স্ত্রীআচার পালন করতে হবে এমনটাও তো হয়। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, খুব আড়ম্বরপূর্ণ রীতিনীতি মেনে বিয়ে ছ’মাসেই ভেঙে গেছে। অথচ সেখানে কলমের আঁচড়ের বন্ধন আজীবন রয়ে গেছে। তাই গুঞ্জার মতে জীবনে যাদের কোনও ভূমিকা নেই, আশীর্বাদ নেই, কখনও গাইড করেনি নিছক হই-হল্লার জন্য তাদের আপ্যায়ন একরকম অপ্রয়োজনীয়। তাতে যদি পাঁচজন লোক ওই বিশেষ দিনে উপস্থিত হয় তিনি তাতেই খুশি।
কেননা তাদের উপস্থিতিটা তাঁর কাছে খুব গুণুত্বপূর্ণ। ফলে দু’তরফ থেকে রেজিস্ট্রেশনের পর একটা বড় পার্টি কাছের মানুষজনদের নিয়ে এটাই ঠিক। তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া এখন ছেলেমেয়ে সব্বাই কাজ করি আমরা। এত ছুটিই বা কোথায় যে দশদিন ধরে বিয়ের পর্ব চলবে। একদিনই যথেষ্ট। বেশিদিন ধরে ভূরিভোজ, ঠাট্টা-ইয়ার্কির পরই হবে নিন্দে-সমালোচনা। এটা হলে ভালো হতো, ওটা না হলেই চলত। পয়সা খরচ করে এসবের কোনও দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। মনের মানুষের হাত আমি আমার মতো করে ধরতে চাই।’
একেবারে উল্টো সুরে বক্তব্য শুনলাম বরানগরের নূপুর সিকদার ধরের কাছ থেকে। নূপুরের বক্তব্য ‘আমি ভীষণভাবে বিশ্বাস করি আচার-অনুষ্ঠান, নিয়ম-নীতিতে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই রীতিগুলোয় আমার প্রবল বিশ্বাস। আমি মনে করি বেশির ভাগ মেয়েই এই দিনটার স্বপ্ন দেখে। ঝলমলে সাজ, আত্মীয়-পরিজন সবার সম্মিলিত আনন্দও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একে অপচয় আমি মনেই করি না। কেননা সমস্ত অনুষ্ঠানের পিছনেই কারও না কারও রুজি-রোজগার জড়িয়ে থাকে। প্রথম থেকেই হবুবরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে আমি নারাজ।’ এ তো গেল বিশ্বায়নের সময়ে দাঁড়ানো আগামী প্রজন্মের মতামত। পরিশেষে একটাই কথা বলার যে, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আর মনুষ্যত্বের মঙ্গলালোকে আলোকিত হোক, সুন্দর হোক আগামীর দাম্পত্যজীবন।
19th  January, 2019
দৈনন্দিন জীবন থেকেই গল্পের রসদ পাই: রুনা চৌধুরী 

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির পরিচালক হিসেবে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন রুনা চৌধুরী। তাঁর বেশ কয়েকটি বাংলা ছবি কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। বিষয়বস্তু, অভিনয় ও পরিচালনার গুণে ছবিগুলি উচ্চ প্রশংসিত। পুরস্কৃতও বটে। পরিচালনার পাশাপাশি গান ও অভিনয়েও পারদর্শিনী রুনা। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুমন গুপ্ত।
বিশদ

16th  February, 2019
স্বাধীন ভারতে প্রথম মহিলা রাজ্যপাল সরোজিনী 

একদিন বাবা অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় মেয়েকে অঙ্ক কষতে দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েটি বারবার চেষ্টা করেও অঙ্কটি কষতে পারছিলেন না। বিরক্ত হয়ে অঙ্কের খাতা বন্ধ করে দিয়ে দাঁড়ালেন জানালার ধারে। বাইরে আকাশের মেঘ রোদ্দুর, দূরের গাছপালা, সবুজ ঘাস এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ মেয়েটি একেবারে তন্ময় হয়ে গেলেন।  বিশদ

16th  February, 2019
বিয়ের লৌকিকতা 

‘শঙ্খ বাজা তোরা উলুধ্বনি দে, অধিবাসে সখীর মুখে ফুটলো হাসি যে’— বিয়ে নিয়ে সমস্ত ছেলেমেয়ের মনে একটা স্বপ্ন থাকে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তব হয় বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে আর লৌকিক আচারের মাধ্যমে।  বিশদ

16th  February, 2019
ভালোবাসার সেকাল একাল

একটা সময়ে ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম ছিল চিঠি। এক বুক অনিশ্চয়তা নিয়ে দু’ছত্র লিখে পাঠানো। আর দুরু-দুরু বুকে উত্তরের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করা। বিশদ

09th  February, 2019
এবারের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে সেলেবদের কার কী প্ল্যান?

সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার দিন। নতুন প্রজন্মের কাছে দিনটি এতই জনপ্রিয় যে তার বহু আগে থেকেই রাস্তায় ঘাটে হৃদয়ের ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়। কোথাও হার্ট শেপড বেলুন, কোথাও বা কুশনে হৃদয়ের ছোঁয়া। যাক সে কথা, নব্যযুগের ধারক ও বাহকদের ছেড়ে বরং একটু সেলেব মহলে ঢুঁ দিয়ে দেখি ভ্যালেন্টাইনস ডে-কে চির স্মরণীয় করে রাখতে তাঁরা কেমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিশদ

09th  February, 2019
রূপে গুণে সরস্বতী

দেবী সরস্বতী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী। তাঁর সাধনা করলে জ্ঞানালোকে আলোকিত মানুষ পায় জীবন পথে সঠিক লক্ষ্যবস্তুর সন্ধান। জ্ঞান আর গুণ প্রায় সমার্থক। জ্ঞান না থাকলে কোনও গুণের প্রকাশ হতে পারে না।
বিশদ

09th  February, 2019
স্বপ্ন দেখার প্রবণতা মেয়েদের বেশি

মেয়েদের স্বপ্নগুলো ইচ্ছেডানা হয়ে উড়ে বেড়ায় গোপনে মনের গভীরে। মেয়েরা স্বপ্ন দেখে সংসার করার, সুখে ঘর করার। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন নারী মনে অনেক পিছনের সারিতে স্থান পায়। বিশদ

02nd  February, 2019
সম্পর্কে কিছুটা স্বার্থপর
হওয়া প্রয়োজন নারীদের

স্বার্থপর শব্দটা সব সময়ই নেতিবাচক অর্থ বহন করে। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েদের একটু-আধটু স্বার্থপর হওয়া ভালো। এমনিতেই মেয়েরা অনেক বেশি মায়াবতী এবং অন্যদের খেয়াল রাখতে পটু।
বিশদ

02nd  February, 2019
শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা থাকলে
অনেক কিছু করা যায়: অপ্সরা

 গ্ল্যামার কুইন হতে গেলে সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিটাও সমান পরিমাণে দরকার হয়। না হলে সৌন্দর্যের শিরোপা মাথায় তোলা যায় না— বললেন ২০১৮-এর মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স অপ্সরা গুহঠাকুরতা। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অপ্সরাকে প্রশ্ন-উত্তর রাউন্ডে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল— ‘যদি তোমার কাছে একটা শক্তি থাকে, তবে তুমি কী করতে চাইবে? অপ্সরার উত্তর ছিল, পৃথিবীতে শান্তি আর মনুষ্যত্ব আনাব। কারণ এই মুহূর্তে এই দুটো জিনিসই পৃথিবীতে কম।’ আর অন্যান্য সব ইভেন্টের সঙ্গে এই উত্তরটাও তাকে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ছিনিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
বিশদ

02nd  February, 2019
চোখের আলো না থাকা দমাতে পারেনি মিলি নাইটকে

বরফে স্কি করার দৃশ্য কল্পনা করুন তো। শুভ্র বরফের পাহাড় বেয়ে শোঁ শোঁ করে ছুটে চলা। একটু অসাবধান হলেই বরফের চাঁইয়ের ওপর সংঘর্ষের সম্ভাবনা। এমন পরিবেশে চোখ-কান খোলা না রেখে কি উপায় আছে? মিলি নাইট এমনই এক পরিবেশে গত বছরের (২০১৮) বিশ্ব প্যারা আলপাইন স্কিইং চ্যাম্পিয়নশিপে স্কিইং ট্র্যাকে নেমেছিলেন।
বিশদ

02nd  February, 2019
ব্রিটেনের রানির বহু পুরনো সেই ব্যাগ

 ব্রিটেনের রানি বলে কথা। থাকেন সুবিশাল প্রাসাদে। বিত্তের অভাব নেই, বিলাসবহুল জীবন। অথচ ব্যবহার করেন কেবল একটিই হ্যান্ডব্যাগ। তাও দেখতে সাদামাটা, কালো রঙের ছোট্ট একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ রানি এলিজাবেথ ব্যবহার করছেন পঞ্চাশ বছর ধরে।
বিশদ

02nd  February, 2019
ভারতীয় চা বেচে বিপুল সম্পদের মালিক ব্রুক এডি

  আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত চাকরি ছেড়ে যদি কেউ চায়ের দোকান দেন, লোকে তার দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকাবে? হয়তো পাগল ভেবে করুণার দৃষ্টিতে দেখবে। নিজের পরিবারেও হয়তো আর ঠাঁই হবে না। তবে ঠিক এই কাজটিই করেই মাত্র এগারো বছরে সাত মিলিয়ন বা সত্তর লক্ষ ডলারের মালিক হয়ে গিয়েছেন মার্কিন নারী ব্রুক এডি।
বিশদ

02nd  February, 2019
সবলা বিপ্লবী সুহাসিনী গাঙ্গুলির কথা 

১ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ রাত তিনটে। মধ্যরাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে ভেসে এল ব্রিটিশ পুলিসের বুটের আওয়াজ। চন্দননগর গোন্দলপাড়ার কোনও এক বাড়ির পাশে সারি সারি হেলমেট পরা মাথা।  
বিশদ

26th  January, 2019
বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে বিয়ের মনপসন্দ লোকাচার

বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে যা লোকপ্রথা, তাই স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক বিশ্বস্ততার প্রতিশ্রুতির উৎসব। সব সমাজই বিয়ের অনুষ্ঠানকে বিশেষ মর্যাদা দেয়। পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজে বিবাহের নানা লোকপ্রথার বর্ণনায় শমীতা দাশ দাশগুপ্ত।
বিশদ

19th  January, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় জেএমবি জঙ্গি কওসরকে ‘ছিনতাই’ করার পরিকল্পনা ভেস্তে দিল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তার আগেই ...

 ইসলামাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: ইমরান খান জমানায় নয়া পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি। ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। এহেন হাফিজ সইদ এবার সাংবাদিকতার পাঠ দেবে। লাহোরে এই নতুন স্কুল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আগামীকাল, সোমবার শীতলা মায়ের স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে উত্তর হাওড়া। প্রতি বছরই এই দিনে মাইক ও ডিজে’র দাপটে বাসিন্দারা ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল এফসি এবার বিদেশের মাটিতে অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করবে। ক্লাবের জার্সিসহ বিভিন্ন স্মারক বিক্রি করা হবে। কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগে সামিল বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও লন্ডন শারদ উৎসব।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৭০ টাকা ৯২.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৮.৯৫ টাকা ৮২.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, দ্বাদশী ৪/৫৭ দিবা ৮/১০ পরে ত্রয়োদশী ৫৬/৩৮ রাত্রি ৪/৫১। পুনর্বসুনক্ষত্র ২৬/২৫ অপঃ ৪/৪৬। সূ উ ৬/১১/২৯, অ ৫/৩০/৫০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৫২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৩৩/১৫। পুনর্বসুনক্ষত্র ২/১৩/৫৩, সূ উ ৬/১২/৫৭, অ ৫/২৮/১২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭/৫৮ থেকে ৯/৫৮/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১০/১০ থেকে ৮/৫২/৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৬/১১ থেকে ১১/৫০/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৩৪ থেকে ১/১৪/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/১০ থেকে ৩/১/৪৬ মধ্যে।
১১ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিবাহ যোগ আছে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল- চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র 

07:10:04 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ১- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৭৮ মিনিট) 

06:52:14 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৬৮ মিনিট) 

06:42:37 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ০ (বিরতি) 

06:00:22 PM