উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
সরমালাই পোলাও
উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল ২ কাপ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, নুন স্বাদমতো, তেজপাতা ২টো, কাজু, কিশমিশ ১ মুঠো, ছোট এলাচ ৩টে, দারচিনি ১ ইঞ্চি, লবঙ্গ ৩টে, জৈত্রী ইঞ্চি, ডাবের শাঁস ২ টেবিল চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো চা চামচ, চেরি কয়েকটা।
প্রণালী: চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট মতো ভিজিয়ে নিন। তারপর জল ঝরিয়ে তা শুকিয়ে নিন। নারকেলের দুধ দিয়ে চাল সেদ্ধ করে নিন। একটু শক্ত অবস্থায় নামাবেন। প্যানে ঘি গরম করে গোটা গরমমশলা, জৈত্রী, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দিন। কাজুবাদাম, কিশমিশ দিয়ে ভেজে নিন। সর ছোট টুকরো করে কেটে তাতে মিশিয়ে দিন। এরপর নারকেলের শাঁস এবং চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে সেদ্ধ চাল মিশিয়ে দিন। একটু নেড়ে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে চেরি, কাজু, কিশমিশ মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ রেখে পরিবেশন করুন।
মুগমোহন
উপকরণ: মুগডাল ১ কাপ, ফুলকপি, গাজর, বিনস ১ বাটি (ছোট টুকরো করে কাটা), মটরশুঁটি বাটি, নারকেল কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, গোটা জিরে চা চামচ, গোটা শুকনো লঙ্কা ২টো, তেজপাতা ২টো, ঘি ১ টেবিল চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো চা চামচ, ভাজা মশলার গুঁড়ো ১চা চামচ।
প্রণালী: মুগডাল শুকনো খোলায় ভেজে নিন। একটু লালচে হলে গ্যাস বন্ধ ঠান্ডা করে নিন। ভালো করে ধুয়ে তা পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে এক চামচ ঘি ও এক চামচ সাদা তেল গরম করে কাজু, কিশমিশ, নারকেল কুচি ভেজে তুলে নিন। গোটা গরমমশলা, জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা দিয়ে আদা বাটা দিন। ফুলকপি, গাজর, বিনস সব ভেজে নিন। ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো অল্প জল দিয়ে কষে নিন। চেরা কাঁচালঙ্কা ও সেদ্ধ ডাল দিন। নুন, চিনি ও এক চামচ ভাজা মশলা (ধনে, জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করা), কাজু, কিশমিশ দিয়ে কম আঁচে ঢাকা দিন। ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঘি ও গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
বেগুনি
উপকরণ: বেগুন ১ টা, বেসন ১ কাপ, চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, কালো জিরে চা চামচ, পোস্ত ১ চা চামচ, বেকিং সোডা ১ চামচ, তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: বেগুন ধুয়ে পাতলা স্লাইস করে কেটে নিন। একটা বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়ো, নুন, চিনি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কালো জিরে, পোস্ত সব শুকনো উপকরণ মিশিয়ে নিন। এবার তাতে অল্প অল্প জল দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। ব্যাটারটা খুব পাতলা বা খুব ঘন হবে না। তা খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। সব উপকরণ যেন মিশে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এবার ঢাকা দিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। ১০ মিনিট পর তাতে বেকিং সোডা ও দু’ চামচ গরম তেল দিয়ে দিন। আর একবার ফেটিয়ে নিন। বেগুনের স্লাইসগুলো বেসনের গোলায় ডুবিয়ে গরম ডুবো তেলে লাল করে ভেজে নিন।
বোঁদের পায়েস
উপকরণ: বেসন ২০০ গ্ৰাম, চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, বেকিং সোডা ১ চিমটে, হলুদ খাবার রং ইচ্ছে অনুযায়ী, তেল বা ঘি পরিমাণ মতো, খোয়া ক্ষীর একশো গ্ৰাম, খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া পেস্তা ২ চামচ, এলাচ গুঁড়ো চামচ, গুঁড়ো দুধ ৩ চা চামচ, দুধ ৫০০ মিলি, জাফরান ১ চিমটি, গুঁড়ো চিনি ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী: একটা কড়াইয়ে ঘি গরম করে কাজু, কিশমিশ, পেস্তা ভেজে তুলে রাখুন। এরপর বোঁদে বানানোর জন্য বেসন, চালের গুঁড়ো একসঙ্গে জল মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। গোলাটা পাতলা হবে। বাদাম ভাজা ঘিয়ের সঙ্গে কড়াইতে আরও বেশ কিছুটা তেল ও ঘি গরম করে তার উপর ঝাঁঝরির সাহায্যে অল্প অল্প করে এই গোলা ঢালুন। দেখবেন ছোট ছোট বোঁদের আকার নেবে। ভাজা হলে তুলে নিন। এবার পায়েস বানানোর জন্য প্রথমে ৫০০ মিলি ফুল ক্রিম দুধ জ্বাল দিয়ে নিন। দুধ ঘন হয়ে এলে একটা বাটিতে এক চিমটে কেশর নিয়ে দুধে ভিজিয়ে রাখুন। ৫ মিনিট পর কেশরটা দুধে দিন। এবার ভেজে রাখা বোঁদেগুলো দিন। এরপর তাতে এক চামচ এলাচ গুঁড়ো ও চিনি গুঁড়ো দিন। দুধটা বেশ ঘন হলে নামিয়ে উপর থেকে ভেজে রাখা কাজু, কিশমিশ, পেস্তা দিয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল বোঁদের পায়েস।