উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
অনলাইন সদস্য সংগ্রহ বাংলায় দেরিতে শুরু হলেও বড় লক্ষ্যের জন্য ঝাঁপিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এক কোটি সদস্য সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হলেও, সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেই রীতিমতো চাপে পড়ে যায় এই জেলার পদ্মশিবিরের নেতারা। লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে না বলেই মত গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। প্রতিটি জেলায় পৃথক লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের তিনটি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র। এখানে বিজেপির সাংগঠনিক জেলাকে এক লক্ষ সদস্য সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ৩০ নভেম্বর সদস্যপদ সংগ্রহের শেষদিন। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক সদস্যও সংগ্রহ করা যায়নি বলেই খবর। তাই সদস্য পদ সংগ্রহে নেমে আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের দিয়ে সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছিল ক্রমাগত। পূর্ণোদ্যমে ঝাঁপালেও কিছুতেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে না বলেই মত বিজেপি নেতাদের। কিন্তু গত সপ্তাহের ছয়দিন জেলার সর্বত্র ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে বিজেপি নেতারা। তাঁদের কয়েকজনের বক্তব্য, এই অবস্থায় ইন্টারনেট না থাকায় সদস্য পদ সংগ্রহ করা যায়নি বলে কিছুটা অন্তত কিছুটা মুখরক্ষা করা যাবে।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও মুর্শিদাবাদ জেলায় অনলাইনে সদস্য পদ সংগ্রহ অভিযান ভালোই চলছিল। কিন্তু বেলডাঙায় একটা সামান্য ঘটনার জেরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। তারপর ছয়দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা তো হয়েছে, সেই সঙ্গে আমরা সদস্য সংগ্রহের অভিযান ঠিকমতো করতে পারিনি। রাজ্য বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে আমরা ১৭তম স্থানে ছিলাম। এই ইন্টারনেট বন্ধের জেরে এখন আমাদের স্থান ৩৭ নম্বরে।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাস বলেন, আমরা আমাদের সাংগঠনিক জেলার সমস্ত জায়গাতেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান করছি। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ফলে আমাদের সমস্যা হয়েছে ঠিকই। তবে এখনও হাতে যা সময় আছে, আমরা আরও সদস্য সংগ্রহ করতে পারব। দেখা যাক কতজনকে সদস্য করতে পারি।
এদিকে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক দাস কটাক্ষের সুরে বলেন, এটা বিজেপির অজুহাত মাত্র। রাজ্যের নেতাদের এনেও তো সদস্য বাড়াতে পারেনি ওরা। রাজ্য থেকে ওই দলটা উঠে গিয়েছে। ওদেরকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই সদস্য হওয়ার আগ্রহ নেই কারও। এখন ইন্টারনেট বন্ধের ফলে ওদের এক প্রকার সুবিধাই হয়েছে। ওরা কাউকেই সদস্য করতে না পেরে ইন্টারনেট বন্ধের অজুহাত দিতে পারছে।