আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
গয়নায় ধাতুর ব্যবহার যে খুব নতুন তা কিন্তু নয়। সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকেই হাতের চুড়ি বা গলার হারে তামার ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ভারতেই শুধু নয়, মিশর দেশের মহিলাদের মধ্যেও তামার গয়না জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকেই। ক্রমশ আধুনিকতার সঙ্গে গয়নার নকশায় যেমন নতুনত্ব এসেছে তেমনই তার মেটিরিয়ালেও নানা ধরন দেখা গিয়েছে। তামা, জার্মান সিলভার, ডোকরা তারই কয়েকটি।
তামার রকমারি গয়না
তামার গয়নার মূলত দু’টি ধরন, জানালেন জুয়েলারি ডিজইনার শ্রাবণী দাস। পালিশ করা এবং পালিশ না করা। এছাড়াও আবার কপারের গয়নায় নানা রকম প্লেটিংও করা হয়। প্লেটিংয়ের ক্ষেত্রে সোনার জল সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। পলিশ করা তামার গয়না সাবেকী পোশাক, শাড়ি ইত্যাদির সঙ্গে খুবই মানানসই। আজকাল শাড়িতে কপার জরির ব্যবহার খুবই দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে ম্যাচ করে কপার জুয়েলারিও কিনতে চাইছেন আধুনিকারা। আর আনপলিশড কপার দিয়ে যে গয়নাগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো মূলত ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেই বেশি মানানসই। এই ধরনের গয়নার নকশাও একেবারে আলাদা। এতে ধাতব পাত, স্টিক, স্পাইরাল ইত্যাদির মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়।
গয়নায় জার্মান সিলভার
এই ধাতুর কিছু ধরন আছে। কোনওটা একেবারেই রুপোর মতো দেখতে, কোনওটা আবার রুপোর চেয়ে ভিন্ন লুক নিয়ে বাজারে চলছে। জার্মান সিলভার যেহেতু একটু কমদামি ধাতু, তাই যাঁদের বাজেট কম তাঁদের পক্ষে এই ধরনের গয়না খুবই মানানসই। তবে এই গয়নায় রুপোর মতো পালিশ করা যায়, তখন আবার দামটা একটু বেড়ে যায়। দাম যাই হোক না কেন, এখনকার আধুনিকারা চোকার, পেনডেন্ট ইত্যাদি ডিজাইনে এই ধাতু বিশেষত ব্যবহার করতে চাইছেন। বিদেশি লুকও দেওয়া হচ্ছে এই গয়নায়। পালিশটাও কিছু ক্ষেত্রে একেবারেই ম্যাট ফিনিশে করা হচ্ছে কোনও ক্ষেত্রে হয়তো হাইলাইটস রাখা হচ্ছে। ওগুলোকে ছিলার কাজ বলা হয়।
ডোকরার ধরনটা ভিন্ন
ডোকরার একটা আলাদা চাহিদা রয়েছে। একটু বয়স্ক মহিলা, চাকরিরত মহিলাদের মধ্যে এই চাহিদাটা বেশি। যাঁরা খুব একটা চকচকে জিনিস পছন্দ করেন না, খুব প্রকট নকশা ভালোবাসেন না, তাঁদের কছে এই গয়নার চাহিদা বেশি। ছোট পেনডেন্ট, ঝোলা দুল, কার বা ট্যাসেল দিয়ে গাঁথা গলার চোকার এই গয়নায় বেশি প্রচলিত। ডোকরা দিয়ে বালা বানানোর চলও রয়েছে।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই
পোশাকের ধরন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ওয়েস্টার্ন পোশাকেরও নির্দিষ্ট চাহিদা রয়েছে। আবার ইন্দো-ওয়েস্টার্ন আউটফিটও আজকাল মেয়েরা পছন্দ করছে। এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে কপার আর জার্মান সিলভারের গয়না সবচেয়ে জনপ্রিয়। ডোকরা সাধারণত ইন্ডিয়ান পোশাকের সঙ্গেই বেশি মানানসই। ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে স্টেটমেন্ট রিং, নাকচাবি, নোলক বা সেপটাম খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ডিজাইনের কানের দুলও খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রিংয়ের সঙ্গে লাইনস, ট্রায়্যাঙ্গেলের সঙ্গে রিং ইত্যাদি মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ডিজাইন ওয়েস্টার্ন এবং ফিউশন পোশাকের সঙ্গে বেশি মানানসই।