সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
বয়স ধরে রাখার টোটকা
‘এম’ ফর মনামী ঘোষ। ‘এম’ ফর মিউজিক। ‘এম’ ফর ‘মন’ও। এই মন ভালো করার ‘ভিটামিন এম’-এর খোঁজ দিলেন অভিনেত্রী। অভিনয় হোক বা নাচ— মনামী টলিউড ইন্ডাস্ট্রির স্বতন্ত্র নাম। ক্যালেন্ডারের হিসেবে তাঁর বয়স বাড়ে ঠিকই, কিন্তু তাঁকে দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। নিজেকে মেনটেন করার ‘ভিটামিন’ কী? হেসে মনামী বললেন, ‘খুব যে নিজেকে মেনটেন করি, তা নয়। নতুন মিউজিক ভিডিও শ্যুট করার আগে দেড় মাস জিম এবং ডায়েট করেছি। তারপর থেকে আবার যেদিন বিরিয়ানি হল, খেলাম। কোনওদিন শ্যুটিংয়ে হালকা চিকেন স্যালাড খেলাম। সেটা দেখে হয়তো লোকে ভাবছে, বাবা! কী ডায়েট করে! কিন্তু বাড়ি গিয়েই মা কিছু বাঙালি রান্না করেছে, সেটা ভাত দিয়ে খেলাম। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে জিন গুরুত্বপূর্ণ।’
যোগাভ্যাস
মনামীর ত্বক বা চুলের সৌন্দর্য দেখেও ঈর্ষা করতে পারেন অনেকে। এও কি শুধুই জিনের গুণ? নাকি অনুরাগীদের সঙ্গে সিক্রেট শেয়ার করবেন? পুজো আসছে। এখন থেকে চর্চা শুরু করলে তাঁর মতো জেল্লা কি পাবেন অনুরাগীরা? মনামীর কথায়, ‘আসলে ত্বক বা চুল ভালো হওয়া, সত্যিই অনেকটা পরিবারের উপর নির্ভর করে। তবে আমি কেমিক্যাল যুক্ত কিছু ব্যবহার করি না। কখনও ফেসিয়াল করিনি। একবার শুধু ব্র্যান্ড ক্যাম্পেনে একটা ফেসিয়াল করতে হয়েছিল। বরাবরই ঘরোয়া টোটকা ভালো লাগে। ছোটবেলায় মা বেসন, দুধ, দই ত্বকে লাগাত। কাঁচা হলুদ খাওয়াত। ছোট থেকেই যোগব্যায়াম করতাম। একসময় যোগাতে জেলায় চ্যাম্পিয়ান ছিলাম। এখন অভ্যেস নেই। হয়তো যে সময় মানুষের সব কিছু তৈরি হয়, সে সময় টানা যোগাভ্যাস করেছি বলে কিছু জিনিস তৈরি হয়ে গিয়েছে যেটা এখন কাজে লাগছে।’
অনুকরণ
শুধু সৌন্দর্য নয়, ফ্যাশন সেন্সেও মনামী অন্য পথের পথিক। চতুষ্পর্ণীর জন্য এই এক্সক্লুসিভ ফোটোশ্যুটেও তার প্রমাণ রয়েছে। তিনি জানালেন, ভারতীয় বা পাশ্চাত্য সব রকমের পোশাক পরতেই ভালোবাসেন। তবে সবসময়ের জন্য প্রিয় শাড়ি। বাঙালির বারো হাতের আদরে মজে তিনিও। তাঁকে কোন পোশাক মানাবে, সেদিকে নজর রেখেই পোশাক নির্বাচন করেন। অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি শাড়ি পরতে খুব ভালোবাসি। এই তো পুজো আসছে। পুজোয় শাড়িই পরব। শাড়ি পরার অনুষ্ঠান থাকলে সেই সুযোগ কখনও হাতছাড়া করতে চাই না। ফ্যাশন আসলে নিজের মতো হওয়া উচিত। কিন্তু সবসময় হয়তো তা হয় না। একজন একটা ড্রেস পরল, তাকে ভালো দেখাচ্ছে। সেটা অনুকরণ করে আর একজন পরল, তাকেও সেই পোশাকে ভালো লাগবে, এমন কোনও কথা নেই। তাকে হয়তো অন্য কোনও পোশাকে দারুণ লাগবে। ফলে আমাকে কোনটা ভালো লাগবে, সেটা বুঝতে হবে।’ তিনি নিজে কখনও কাউকে অনুকরণ করতে চেয়েছেন? মনামীর উত্তর, ‘ছোটবেলা থেকে পোশাক অত ফলো করতে পারতাম না। কারণ ফলো করলেও পোশাকের নির্দিষ্ট কোনও অংশ এখানে পেতাম না, ছিলই না তো। তাই ফ্যাশনে কাউকে অনুকরণ করার উপায় ছিল না। কিন্তু মাধুরী দীক্ষিতকে খুব ফলো করতাম। সেটা বোধহয় নাচ এবং অভিনয়ের জন্য। মাধুরীর অভিব্যক্তি অনুকরণ করতাম। দেখে দেখে শিখেছিলাম কীভাবে চোখ নামাতে হয়, কীভাবে চোখ উপরে তুলতে হয়। যেহেতু মাধুরী কত্থক ডান্সার। আমিও কত্থক শিখেছি। কিছুটা মিল পেতাম।’
মায়ের মতো
এ তো গেল অনস্ক্রিন। আর অফস্ক্রিনে অধিকাংশ বাঙালি কন্যে যাঁকে দেখে প্রথম ফ্যাশন বুঝতে শেখে, তিনি হলেন মা। মনামীও ব্যতিক্রম নন। ছোটবেলার কথা মনে করে বললেন, ‘গরমের ছুটির দুপুরে মায়ের মতো বড় টিপ পরতাম। গামছা দিয়ে শাড়ি পরতাম। বড় চুলের খুব শখ ছিল। গামছাটা বিনুনির মতো করে পেঁচিয়ে রাখতাম। ওটাই তখন ফ্যাশন।’
এ হেন মনামীর নতুন মিউজিক ভিডিয়ো ‘ভিটামিন এম’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে। যেখানে প্রথমবার গান গাইলেন। অভিনয়, নাচের পর এবার নতুন পথে পা। এই গান লিখেছেন সোমরাজ। মিউজিক ম্যাকমল্লারের। পরিচালনায় সৈকত বারুরি। ‘এটা আমার আর সৈকতের প্রথম প্রোডাকশন। অভিজ্ঞতাটাই নতুন। খুব ছোটবেলায় বছর দুয়েক গান শিখেছিলাম। গাইতে পারব কি না, তা নিয়ে টেনশনে ছিলাম’ বললেন তিনি। সব মিলিয়ে সুরেলা পুজো কাটাতে তৈরি অভিনেত্রী।
মেকআপ: সুনেত্রা পাল, হেয়ার: সন্দীপ নাগ
স্টাইলিং এবং জুয়েলারি: নীল সাহা
পোশাক: দেবজ্যোতি গোস্বামী ও আদ্য কলকাতা
ছবি: সায়ন্তন দত্ত