সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
পুজোয় ট্র্যাডিশনাল লুক কতটা ভালোবাসেন? সাজের ধরন কেমন থাকবে?
যখন থেকে পুজোয় ঘুরে বেড়ানো, সাজগোজ এসব বুঝতে শিখেছি, তখন থেকে পুজোয় ট্র্যাডিশনাল সাজটাই আমার পছন্দ। বিশেষ করে শাড়ি। পুজোয় জিনস, টি শার্ট কিনিনি এমনটা হতে পারে। কিন্তু দুটো শাড়িও কিনব না, এটা কখনওই হবে না। যে শাড়িগুলো এখানে আমায় পরতে দেখা যাচ্ছে, সেগুলো ভীষণ আরামদায়ক। আর তাতে অদ্ভুত নিখুঁত কাজ করা। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শাড়িগুলোর সঙ্গে হাতের কাজ করা ব্লাউজ ভীষণ মানিয়েছে। শাড়িগুলোর মধ্যে লাল-সাদা কম্বিনেশনেরটা আমার দারুণ লেগেছে। আর পার্পল শাড়িটাও। ওর সঙ্গে অক্সিডাইজড জুয়েলারি পরেছি। এই ধরনের জুয়েলারি প্রচণ্ড ভালোবাসি। আমার এইরকম গয়না এত আছে যে গুনে শেষ হবে না!
শাড়ি নিয়ে এমনিতে কতটা স্বচ্ছন্দ আপনি?
আগে পারতাম না। এখন পরে পরে অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। শাড়ি আমি খুব ক্যাজুয়ালি পরতে ভালোবাসি। তবে ঢাকাই জামদানি পরতে হলে তো সেটা সম্ভব নয়। তাতে ঠিকঠাক প্লিট, কুঁচি লাগবে। সিল্ক মিক্সড অরগ্যাঞ্জা বা কটন মিক্সড শাড়ি প্লিট করে পরলে পরিপাটি লাগে। কিন্তু মলমল বা লিনেনের মতো শাড়ি পেলে আমি স্রেফ গায়ে ফেলে রাখি। সাউথ সিল্কও খুব পছন্দের। আমার মামার বাড়ি বেঙ্গালুরুতে। সেখান থেকে মা বাবা এবার আমার জন্য সাতটা সাউথ সিল্ক শাড়ি নিয়ে এসেছেন! এই শাড়ির একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে। এগুলোর সঙ্গে খুব বেশি গয়নাও পরি না। শাড়িগুলো এত গর্জাস, ওতেই গ্ল্যামার চলে আসে।
পুজোয় আর কী কী কিনবেন?
ওই সাতটা শাড়ির পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতীয় গয়নাও পেয়েছি। আর এ শহর থেকে আর দু’তিনটে শাড়ি তো কিনবই।
অঞ্জলির জন্য স্পেশাল সাজ কেমন হবে?
এত ইভেন্ট থাকে, যে প্রতিবার নিয়ম করে অঞ্জলি দেওয়া হয় না। এবার পরিক্রমার ফাঁকে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই দেব। নতুন শাড়ি পরেই।
সেই শাড়ি কি কাছের মানুষ শোভন দিচ্ছেন?
এবছর পুজোটা পুরোটাই একা কাটবে আমার। সেপ্টেম্বরের শেষে শোভন আমেরিকা চলে যাচ্ছে। মন একটু খারাপ! গত দুটো বছরের পুজোয় ওর থেকে চুটিয়ে জিনিস নিয়েছি আর ঘুরেও বেরিয়েছি। তবে এবার ও কাজে যাচ্ছে, ওর বড় কনসার্ট রয়েছে। সেটা ও ভালো করে করুক। পুজোয় তো মিস করবই ওকে। এশহরে যারা আমার কাছের মানুষ, তাদের বাড়িতে পুজো হয়। সেই দাদাদের বাড়িতেই যাব। পুজোর গিফটগুলো বিদেশ থেকে আসবে! (হাসতে হাসতে)। দিওয়ালিতে সেগুলো দেখা যাবে!
এবারের পুজোয় অনেকটা ভয়হীন মানুষ। সব কিছু আবার আগের মতো হবে। আপনি কী ভাবছেন?
ভিড় কোনওকালেই আমার পছন্দ নয়। ছোটবেলায় পুজোর দিনে দাদুর অফিস থেকে অ্যাম্বাসাডর পাঠানো হতো। আমরা সবাই তাতে চেপে ঠাকুর দেখতে বেরতাম। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর কোনওদিনই দেখিনি। গতবছর ভিড় ছিল, মাস্কও ছিল। এবার হয়তো অনেকে ভাবছেন মাস্ক আর লাগবে না। তাঁদের বলব, পুজোর পাঁচটা দিনের পরেও তো সময় কাটাতে হবে। সেটার কথা ভেবে সাবধান থাকা ভালো। আমার মনে হয় এবার কলকাতায় হয়তো ভিড় একটু কম হবে। সবাই এতদিন পরে আনন্দে শহর থেকে বেড়িয়ে পড়তে চাইছেন। আর মনে হয়, থিম পুজো ফিরবে স্ব মহিমায়। সেগুলো দেখার অপেক্ষায় আছি।
শাড়ি সম্ভার: উৎসবে শামিল হতে সবুজ সিল্ক শাড়ি পার্পল ব্লাউজে (বাঁ দিক থেকে প্রথম) থ্রিডি পলাশের ছোঁয়া। সপ্তমীর সাজে লাল সিল্ক চান্দেরি শাড়ির (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়) সঙ্গে র সিল্ক ব্লাউজ। পুজো থিমে সারা শাড়িতে শিউলি আর গাঁদার কাজ। আঁচলে কলাবৌ। পুজোর সকালের জন্য পার্পল মসলিন হ্যান্ড উওভেন জামদানি শাড়ির (নীচে) সঙ্গে হ্যান্ড উওভেন কটন এমব্রয়ডারি ব্লাউজ। আঁচলে একচালা দুর্গাপ্রতিমা। বডিতে কাশের ছোঁয়া। দশমীর সাজে চিরকালীন লাল সাদা- মসলিন হ্যান্ড উওভেন জামদানির সঙ্গে হ্যান্ড উওভেন কটন ফ্রিল ব্লাউজ।