Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? জঙ্গি অনুপ্রবেশকে হাতিয়ার করে এপারের পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। বিএসএফ দেখেও কিছু দেখছে না, অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্বেগ সঙ্গত। সীমান্তের কাছেই জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম যে সক্রিয়, তা সবারই জানা।
বিগত একুশ ও চব্বিশ সালে বাংলার মানুষের মন জেতার কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর এবং চলতি সদস্য সংগ্রহ অভিযানের শোচনীয় পরিণতি খতিয়ে দেখার পরই আবার অস্তিত্বরক্ষার তাগিদে হিন্দুত্বের মুখিয়া সাজার প্রাণান্তকর চেষ্টা! বারবার সময় বাড়িয়েও সদস্য সংগ্রহ অভিযান টার্গেটের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আজ রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েও ফল হয়নি বিশেষ। বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়া অতীত দিনের যে নায়ক দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি দল। অগত্যা বিয়েবাড়িতে সদ্য বিবাহিত কনের হাতে সদস্যপত্র তুলে দিয়ে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে অপর এক এমপিকে। এতেই বোঝা যায় এ রাজ্যে গেরুয়া সংগঠনের দৌড়। কিন্তু বাজারের যাবতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ব্যবহারের পর আর কি মেরুকরণের পুরনো ওষুধ কাজে দেবে? একদিন এ রাজ্যে বামপন্থীদের স্লোগান ছিল ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’। অতি ব্যবহারে এবং সাড়ে তিন দশকের ভণ্ডামি দেখে দেখে আজ তা একেবারে ক্লিশে। লাল দল আজ এতটাই অপ্রাসঙ্গিক যে জেলায় জেলায় সিপিএমের সম্মেলন চলছে, মানুষ ঘুরেও দেখছে না। সেই বাতিল বামপন্থীদের স্লোগান নকল করে কেউ যদি রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের উদার হিন্দুত্বকে কলঙ্কিত করতে চায়, কেউ যদি উন্নয়নকে পিছনে ঠেলে বিভাজনকে বাংলার যুযুধান ভোট রাজনীতির অস্ত্র করতে চায়, তাহলে সেটা আবারও ব্যুমেরাং হতে বাধ্য। এ রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষ ওই ফাঁদে পা দিতে রাজি নন। কারণ নাগপুরের মেকি হিন্দুত্ব পরখ করা হয়ে গিয়েছে বাঙালির। চোদ্দ মাস পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট। মধ্যিখানে প্রথমে দিল্লির নির্বাচন। বছর শেষে বিহারের ভোট। অতঃপর ছাব্বিশের এপ্রিল মে মাসে বাংলাকে উথালপাথাল করা নির্বাচন। সঙ্গী কেরল ও তামিলনাড়ুও। জাতীয় রাজনীতির পক্ষে প্রতিটি লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কে না জানে, আপাতত শুরু হওয়া নতুন বছরের রাজনৈতিক কিস্‌সা আবর্তিত হবে ওই পথেই।  
আসলে বড় অশান্ত সময়ে শুরু হল নতুন বছর ২০২৫। পৃথিবীজুড়ে একাধিক যুদ্ধ, লোকক্ষয়। অর্থনৈতিক মন্দার নিঃশব্দ উঁকি। অশান্ত গাজা। 
বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়া। এবং অবশ্যই এক আশ্চর্য সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মানচিত্রে যুদ্ধ, অশান্তি, আর্থিক মন্দা কিছুই অপ্রত্যাশিত নয়। 
কিন্তু পড়শি দেশের মধ্যেই যুদ্ধ, হিন্দু নিপীড়ন, মন্দিরে আগুন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনার প্রভাব এপার বাংলায় পড়তে বাধ্য। 
আদালত পর্যন্ত মূক ও বধিরের ভূমিকায়। ইউনুস সরকারের মুজিবুরের ভূমিকাকে অস্বীকার আসলে ভারত বিরোধিতারই উগ্র প্রকাশ। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে ভুলিয়ে দিতেই বাংলাদেশের এই তালিবান হয়ে ওঠা। তারই ফায়দা লুটতে পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের শাসক ‘হিন্দু’ বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে দেখেই মনে কু ডাকছে। এবং যদি সেই কাজে সীমান্তের পাহারাদার বিএসএফের মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাহলে বল঩তেই হবে পরিস্থিতি অত্যন্ত গম্ভীর। কারণ অভিযোগটা করা হয়েছে এই বাংলার জনপ্রিয়তম মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
সবাই জানে এ রাজ্যের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত প্রায় ২৩০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এটাই সর্বোচ্চ। এর একটা বড় অংশই নদীপথ। সেখানে কাঁটাতারের বাধা নেই। স্থলভাগেরও একটা বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত। সীমান্তরক্ষীদের প্রহরাও অজ্ঞাত কারণে দুর্বল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে অসম ও ত্রিপুরা। দু’টিই ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য। সেই কারণে নাগপুরের চুঁইয়ে পড়া হতাশা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে। যাতায়াতে কোনওদিনই তেমন কোনও বাধা নেই। একাত্তরের পর দু’দেশের সুসম্পর্ক এই আদানপ্রদান ও মেলামেশাকে আরও স্বতঃস্ফূর্ত ও নিরুপদ্রব করেছে। ফলে পদ্মাপারের অশান্তি এবং নৈরাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রভাব যে পশ্চিমবঙ্গে পড়বে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। সেই সুবাদেই গত কয়েক মাসে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে একের পর এক বাংলাদেশি জঙ্গি মডিউলের (ধুলিয়ান ও জলঙ্গী) সন্ধান মিলেছে। শুধু মমতার সরকারকে দায়ী না করে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সীমান্ত প্রহরাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা কী করে এখানে ঘাঁটি গাড়ল, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেউ বলছে সব মিলিয়ে জঙ্গিদের ৪০টি স্লিপার সেল সক্রিয়। আবার কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে সংখ্যাটা আরও বেশি। বলাই বাহুল্য, সেই প্রশ্ন আজ রাজনৈতিক দলাদলি ও ক্ষমতা দখলের চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিএসএফের ব্যর্থতা কিংবা গাফিলতিকে অস্বীকার করা যায় কি? অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এবং শিলিগুড়ি করিডর বা বিতর্কত চিকেন নেককে জঙ্গিদের ডেরা বানানোর আসল উদ্দেশ্য যদি ভয় দেখিয়ে হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করা হয়, তাহলে বলতেই হবে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছুই হতে পারে না। প্রশাসনিক সভায় সেই চক্রান্তের ব্লু প্রিন্টই ফাঁস করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, আবারও ভুল করছে বিজেপি। মেরুকরণ মানুষের মন জিততে পারে না। আর স্টেরয়েড রোজ রোজ ব্যবহার করা যায় না। সংগঠন শূন্য, গ্রহণযোগ্যতা  তলানিতে, মুখ নেই, নেই দল অন্তপ্রাণ কর্মীও। এমন একজন আগমার্কা বাঙালি নেতাও নেই যাঁর নামে কিংবা নেতৃত্বের ধারে ও ভারে জনসভায় লোক হয়। এই বাংলার মানুষের আবেগ, চাওয়া পাওয়া আন্দোলিত হয়। যিনি মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন মমতা দূর অস্ত, তৃণমূলের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণির নেতা-নেত্রীদের। বঙ্গ বিজেপি’র এই শোচনীয় সাংগঠনিক অবস্থার মধ্যেই পৌষ সংক্রান্তি শেষ হলেই নাকি নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হবে। সেই গেরুয়া পুত্রের জন্য অপেক্ষা নিশ্চয়ই থাকবে। কিন্তু তাঁকে মুখ করে ভোটে লড়ার সাহস কিংবা সামর্থ্য হবে কি? নাকি মোদি–অমিত শাহের আড়ালেই মুখ লুকোবে বাংলা দখলের আহ্লাদ! ভোট এলেই দেড় হাজার কিলোমিটার দূর থেকে উড়িয়ে এনে প্রধানমন্ত্রীকে এ রাজ্যে বিজেপির শতছিন্ন সংগঠনের নৌকো বাইতে বলা হয়। অলিতে-গলিতে প্রধানমন্ত্রীর সভা। তাতেও কাজ হচ্ছে না দেখে নেতা ভাঙিয়ে আনতে হয় অন্য দল থেকে। একুশে সেই খেলা জমলেও চব্বিশ থেকেই দল ভাঙায় ভাটা চলছে। ছাব্বিশের ভোটে দল ভাঙার ওষুধে কাজ হবে না বুঝতে পেরেই অগত্যা সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে চাগিয়ে তোলার মরণপণ চেষ্টা। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের অভিঘাত আমাদের মতো গরিব দেশে বিরাট। কিন্তু ওটাই সব নয়। মানুষ কাজ চায়, চায় উন্নয়ন। যাবতীয় কেন্দ্রের টাকা দেওয়া বন্ধ করে হিন্দু বন্ধু সাজা এবারও মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। এভাবে ‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও’ আওয়াজ তুলে পশ্চিমবঙ্গ জয়ের দুঃস্বপ্ন যাঁরা দেখছেন, একুশ ও চব্বিশ সালের মতো তাঁরা আবারও অকৃতকার্য হবে। বাংলার মানুষ যে কোনওরকম ধর্মীয় বিভাজন এবং সাম্প্রদায়িক অত্যাচারের বিরুদ্ধে। সহাবস্থান ও সৌভ্রাতৃত্বই এপারের হিন্দু ধর্মের ভিত্তি। নাগপুরের কট্টর সঙ্ঘ পরিবার রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ এবং চৈতন্যদেবের বাংলায় অন্য কোনও কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আমদানি করতে চাইলে বারবার ব্যর্থ হওয়াই দেওয়াল লিখন। আরএসএসের একচোখা হিন্দুত্ব কোনওদিন আম বাঙালির হতে পারে না। 
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
শনিবার ব্রেইল পদ্ধতির আবিষ্কারক লুই ব্রেইলের ২১৫তম জন্মদিন। সারা বিশ্বে এই দিনটি আন্তর্জাতিক ব্রেইল দিবস হিসেবে পালন হয়। এদিন উলুবেড়িয়ার জগৎপুরের আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলে দিনটি পালন হয়। ...

৯৮ বলে ৪০, স্ট্রাইকরেট ৪০.৮১। এরপর ৩৩ বলে ৬১, স্ট্রাইকরেট ১৮৪.৮৪। সিডনি টেস্টে দুটোই ঋষভ পন্থের ইনিংস। সুনীল গাভাসকরের থেকে ‘নির্বোধ’ তকমা ও ড্রেসিং-রুমে কোচ ...

ইসলামপুর পুলিস জেলায় ভিআইপিদের নিরাপত্তায় যাতে গাফিলতি না হয়, সেদিকে কড়া নজর দিয়েছে জেলা পুলিস। মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের পর ইসলামপুরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস ও প্রশাসন। পুলিস যাদের নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে, তাদের সতর্ক করে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। ...

বয়সের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৬ বছর আগেই। দেখেছেন দু’টি বিশ্বযুদ্ধ। ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই মহিলার। নাম টোমিকো ইটুকা। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানাচ্ছে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯২: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের জন্ম
১৬৯১: ইউরোপে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রা ছাপানো হয়
১৯১৯: জার্মান ওয়াকার্স পার্টি (পরে যা নাৎসি পার্টি নামে খ্যাত হয়)-র জন্ম
১৯৪০: এফ এম রেডিও-র প্রদর্শন হয় ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনে
১৮৬৭: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ীতে জোড়াসাঁকো থিয়েটার এর উদ্বোধন করা হয়
১৯০২ - গওহর জানের কণ্ঠের গান দিয়ে কলকাতায় প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ড করা শুরু করে
১৯২২: কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয়
১৯২৮: প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর জন্ম
১৯৩৪: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়
১৯৩৪: কলকাতায় ভয়াবহ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধে
১৯৪১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির জন্ম
১৯৫২: পতৌদির অষ্টম নবাব ও ভারতীয় ক্রিকেটার ইফতিখার আলি খান পতৌদির মৃত্যু
১৯৬৮: সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়ায় ক্ষমতায় আসেন আলেকজান্ডার দুবচেক, ‘প্রাগ বসন্ত’র সূচনা হয়
১৯৭১: প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত। এতে অংশ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
১৯৭৩: অভিনেতা উদয় চোপড়ার জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের জন্ম
২০১৩: বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৩৪/৪৫ রাত্রি ৮/১৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/৫০ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৬/২১/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৪/২০ মধ্যে। বারবেলা ১০/২১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে।
২০ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৩ গতে ১/৩ মধ্যেো। কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আদিবাসী মেলার উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী চরণ মাঝি

11:05:01 PM

রবিবার রাতে ভারী তুষারপাতের সাক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর

10:15:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ০ – ১ গোলে জয়ী কেরল

09:38:00 PM

ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজায় মৃত ৯

09:23:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব ০ – কেরল ১ (৭৪ মিনিট)

09:06:00 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’-এর চতুর্থ দিন
ডায়মন্ড হারবারে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। আজ, রবিবার ছিল ...বিশদ

08:47:00 PM