Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশেষ করে যখন পদে পদে আক্রান্ত হচ্ছে সংবিধান। নেতৃত্বের প্রশ্নে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ঐক্য কিছুতেই জমাট বাঁধছে না। সঙ্ঘ পরিবারের চক্রব্যূহে দেশ, তখন তিনি কতটা সহ্য করে দীর্ঘ দশ বছর একটা জোড়াতালি দেওয়া নানা কিসিমের দলের সরকার চালিয়ে ছিলেন তা বারবার মনে পড়ছে। পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে বামেদের সমর্থন প্রত্যাহার থেকে মুলায়ম সিংয়ের সমর্থন আদায়, গান্ধী পরিবারের দু’শো আব্দার—সব সামলেছেন ঠোঁটের কোণের অসামান্য মৃদু হাসিটাকে বাঁচিয়ে রেখেই।
এটা সত্যি, মনমোহন সিং কোনও অর্থেই জননেতা ছিলেন না। কোনওদিন ভোটে লড়েননি। তাঁর আকর্ষণে কোনও সভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছে, একথা তাঁর কোনও অন্ধ ভক্তও দাবি করবেন না। আগাগোড়া অসম থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য। ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার আসনে বসাতে আপত্তি তুলবেন তাঁর একান্ত নিকটজনেরাই। ৫৬ ইঞ্চি দূর অস্ত, ‘অ্যাকসিডেন্টাল’, ‘পাপেট পিএম’ আখ্যা দিয়েই বিরোধীরা ঠোঁট বাঁকান আজও। তবু প্রায় সাড়ে তিন দশক ক্ষমতার উচ্চকক্ষে অনাবিল বিচরণের পরও তাঁর সততা ও নিষ্ঠার তুলনা মেলা ভার। তাঁর আমলের টুজি, কয়লা ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে ঝড় উঠেছে, সংসদ অচল হয়েছে। সরকার টালমাটাল হয়েছে। কিন্তু তাঁর সফেদ কুর্তায় কালি লেপতে পারেনি একফোঁটাও। তিনি সেই বিরল মানুষ, যাঁর শিক্ষার ছাপ ও ক্ষমতার দ্যুতি উচ্চকিত চিৎকারে প্রকাশ পায় না, স্পষ্ট হয় ব্যবহারে, মাথা নিচু করে মৃদু ও ধীর বাচনভঙ্গিতে। বিরোধীদের ক্রুর শব্দবাণ ধেয়ে এলেও মনের ভিতরের পাকিয়ে ওঠা যন্ত্রণা কান্নায় নয়, পথ খুঁজে নেয় বিকল্প কাজে। কর্মসংস্থান থেকে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন। একশো দিনের কাজ থেকে তথ্য জানার অধিকার, বিতর্কিত পরমাণু চুক্তি তাঁরই দান, যা সিপিএমের মেকি মুখোশ পর্যন্ত বেআব্রু করে দিয়েছিল। আদ্যন্ত ধর্মপ্রাণ পাঞ্জাবি শিখ, কিন্তু বাজার চলতি ‘হো জায়েগি বল্লে বল্লে’র ছন্দে গা ভাসিয়ে অলীক প্রতিশ্রুতি দেননি কখনও। বছরে দু’কোটি চাকরি, ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো বাজার গরম করা কথার বদলে মন দিয়েছেন অর্থনীতির প্রকৃত মানোন্নয়নে। লাইসেন্সরাজ খতম করে। ১৯৯১ এবং ২০০৮ সালের জোড়া আর্থিক বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করার নজরকাড়া সাফল্য কোনও নির্বাচনী সভায় কিংবা সংসদের অলিন্দে হাত পা ছুড়ে গলা চড়িয়ে তাঁকে জাহির করতে দেখেনি দেশবাসী। আমিই প্রথম, আগের সব মিথ্যা, এই মানসিক বিকার আচ্ছন্ন করেনি কখনও। ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু কোনওদিন কাউকে মুছে দেওয়ার সচকিত হুঙ্কার, মানুষে মানুষে দূরত্ব তৈরির বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার কূটকৌশল কিংবা মুষ্টিবদ্ধ তর্জনী আকাশে তুলে প্রতিপক্ষকে তোপ দাগার কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। দু’-দুটো টার্ম প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, যোজনা কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব—এই বিপুল অভিজ্ঞতার মিশেল এবং সম্ভ্রম জাগানো কেরিয়ার সত্ত্বেও শেষদিন পর্যন্ত সৌজন্য, শিষ্টাচার, ভদ্রতা এবং কৃষক পরিবারের মাটির কাছাকাছি থাকার ব্রত আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়েই বেঁচেছেন। তাঁর দশ বছরের শাসনে সংবিধান কোনও আতঙ্ক ছাড়াই নিরাপদ থেকেছে, বদলের নেশায় নেমে আসেনি আক্রমণ! রক্তে প্রতিহিংসার লেশ ছিল না বলেই তিনি আজীবন ‘দুর্বল’, সোনিয়ার হাতের ‘পুতুল’, গান্ধী পরিবারের ‘বেতনভুক ক্রীড়নক’ বিশেষণে ভূষিত হয়েছেন। ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী, ৩৩ বছর সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য। কিন্তু ভোটে লড়েননি একবারও। মায় দলের বসন্তে যখন যত্রতত্র রকমারি ফুলের আনাগোনা তখনও। তাঁর আনা গুরুত্বপূর্ণ অর্ডিন্যান্স দলেরই ‘মুখ কিংবা মুখোশ’ যাই বলুন সেই রাহুল গান্ধী ‘খুলে আম’ সাংবাদিক সম্মেলনে ছিঁড়ে ফেলেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩। সেদিন তিনি ছিলেন আমেরিকায়। রাতে হোয়াইট হাউসে ওবামার সঙ্গে বৈঠক। এতটা অসম্মান এবং যন্ত্রণাও মুখ বুঝে সহ্য করেছেন নিঃশব্দে, বিদ্রোহের পথে পা মাড়াননি। মনের দুঃখ বুঝতে দেননি নিজের ছায়াকেও। অথচ সেই অর্ডিন্যান্স আইনে রূপান্তরিত হলে সোনিয়া পুত্রকে এমপি পদ হারাতে হতো না গত লোকসভায়। ওই ঘটনার আট মাসের মধ্যেই ইউপিএ সরকারের পতন হয়। একরাশ দুঃখ বুকে নিয়ে সেদিন তিনি আশা করেছিলেন, গণমাধ্যম নির্দয় হলেও ইতিহাস একদিন নিশ্চয় তাঁর প্রতি সদয় হবে। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে সেই ‘ঋজু’ অথচ বয়সের ভারে ‘দুর্বল’ মানুষটির প্রয়াণের পর দেশজুড়ে জেগে ওঠা শোকের সুনামি জানান দিল ইতিহাস আজ তাঁর প্রতি কতটা সদয়! একই বছরে শিল্পপতি রতন টাটা ও মনমোহন সিংয়ের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি। ভারতমাতার সঙ্গে আমরাও দুই অমূল্য কোহিনুরকে হারালাম একই বছরে। যা আগামী একশো বছরেও পূরণ হওয়ার নয়।
বছরের শেষ রবিবার। নতুন বছর শুরু হতে বাকি ৪৮ ঘণ্টা। বছরটা শুরু হয়েছিল রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং সেই ধর্মীয় আবর্তে দেশবাসীকে আচ্ছন্ন করে মনমোহনের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর ব্যক্তিত্ব নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার ঝড় তোলার চেষ্টায়। মনমোহন জমানাকে পিছনে ফেলে মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত ঝড় কিন্তু ওঠেনি। অযোধ্যার বহু প্রতীক্ষিত মন্দির বাঙালি তথা ভারতবাসীর আবেগকে ঢেকে দিতে পারেনি। এক্সিট পোল পণ্ডিতরা কী দেশে, কী এই বঙ্গে তাদের নির্বাচনী হিসেব মেলাতে ব্যর্থ। অধিকাংশ এক্সিট পোলই বিজেপির পক্ষে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো আসন জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। চারশো নয় দৌড় থেমেছে ২৪০-এ। আর বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসন গেরুয়া দলকে দিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোল সৃষ্টির চেষ্টাও কম হয়নি। কিন্তু বাস্তবে ফল বেরতে দেখা গেল বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়া তো দূর অস্ত কমেছে, বঙ্গে তা ১৮ থেকে কমে ১২ হয়েছে। আর সিপিএম তথা বামপন্থীরা যথারীতি শূন্যই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বাংলায় এবং দক্ষিণ ভারতের বিরাট অংশে বিজেপির রথ মুখ থুবড়ে পড়ার দরুনই, ৪০০ পারের স্বপ্ন দূর অস্ত, একক গরিষ্ঠতা হারিয়ে বিজেপি সরকার চব্বিশের মাঝামাঝি থেকে মনমোহন আমলের মতোই জোটের সরকারে পরিণত। ২০০৪ থেকে ২০১৪, প্রথমে বাম এবং পরে মূলত মুলায়মের দলের সমর্থন নিয়েই মনমোহনের পথচলা। আর আজ মোদি সরকারেরও দু’টি অবলম্বন তেলুগু দেশমের চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের নীতীশ কুমার। এও এক অদ্ভুত সমাপতন! মোদিজিকে আজ প্রতিনিয়ত শরিক রাজনীতির পাঠ নিতে হচ্ছে মনমোহনের থেকেই। একদশক পর। ভাগ্যের এমনই পরিহাস, তিনিও সংখ্যালঘু দলেরই প্রধানমন্ত্রী! আসন্ন নতুন বছরে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে যদি মনমোহনের মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় তারই অন্বেষণ চলছে দেশজুড়ে। 
বাংলাতেও চব্বিশ সাল জুড়ে রাজনৈতিক ঢেউ বড় কম ওঠেনি। কিন্তু সেই ঢেউ মিলিয়ে গিয়েছে কোনও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ছাড়াই। কেন? কারণ এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে। তাই বহু চেষ্টা করেও দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ মোদিজি। বছরের শুরুতে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবিরের দাপাদাপি যদি একটি দিক হয়, অন্যদিকে রয়েছে জেলায় জেলায় বিভাজন ও মেরুকরণের চেষ্টা। মোদি ও অমিত শাহ, এই দু’জন সরকারি হাওয়াই জাহাজে কলকাতা বিমানবন্দরে না নামলে বঙ্গ বিজেপি মৃতপ্রায় হয়েই পড়ে থাকে। তাঁদের বার বার আসা যাওয়াতেও আখেরে প্রাণ জাগে না, স্বল্প সময়ের জন্য ঘুম ভাঙে শুধু। অপদার্থ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব এজন্য ষোলোআনা দায়ী। আর বামপন্থীরা? ডাক্তারদের পিছন পিছন ঘুরেও এতটুকু জনসমর্থন বাড়াতে ব্যর্থ। নিয়োগ দুর্নীতি। বালি, গোরু, রেশনের চাল পাচার, মন্ত্রীসান্ত্রিদের গ্রেপ্তার এত কিছুর পরও এ রাজ্যের বিরোধীরা কি সামান্যও জেগেছে! বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আরএসপি, সিপিআই ... এসইউসি কেউ গাঝাড়া দিতে পেরেছে? বামেদের যাবতীয় বিপ্লব আজ ফেসবুক আর ইউটিউবেই বন্দি! অথচ বছরটা শুরু হয়েছিল টি-২০ স্টাইলে। অযোধ্যার মন্দিরই বুঝি দেশের সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রও বদলে দেবে, ভাবটা ছিল এমন। ২২ জানুয়ারি পাড়ায় রামভক্তদের দাপাদাপি দেখে এই বাংলাকে চিনতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছিল। আর আজ বছর ঘোরার এই মাহেন্দ্রক্ষণে অযোধ্যার মন্দিরকে হাজার যোজন পিছনে ফেলে দিতে প্রস্তুত দেড়শো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দীঘার জগন্নাথ মন্দির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে শীঘ্রই যার উদ্বোধন আসন্ন। আগামী অক্ষয় তৃতীয়া থেকে বাংলার আধ্যাত্মিক মানচিত্রে এই নয়া সংযোজন নিশ্চিতভাবে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আবহসঙ্গীত রচনা করবে। এবং ধর্মপ্রাণ বাঙালি বলবে হিন্দুধর্ম কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে ভোট এলেই বাক্স ঝেড়ে তা দরজায় দোলাতে হবে ফায়দা লোটার জন্য। 
কিন্তু আগামী ১৫ মাসের মধ্যে বাংলার বিধানসভা মহারণের চেয়েও সম্মিলিত বিরোধী জোট আগামী বছর জাতীয় স্তরে বিজেপিকে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারে তার উপরই নির্ভর করছে ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। যদি বিজেপিকে রুখে দিতে হয় তাহলে মমতা, কেজরিওয়াল, স্ট্যালিন, লালু, অখিলেশ, শারদ পাওয়ার, উদ্ধবদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংসদে এক হয়ে এক দেশ এক নির্বাচন বিল আটকে দিতে হবে। নাহলে খতম হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিটাই। ভারতের সংবিধান ও আম্বেদকরের সম্মান বাঁচাতে পারে একমাত্র আঞ্চলিক দলগুলিই। এবং মনমোহনের মতো গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে উঠে আসা একজন সৎ শান্ত সর্বজনগ্রাহ্য নেতা, যিনি সমগ্র বিরোধী কুলকে ঐক্যের মন্ত্রে বাঁধতে পারবেন। তার জন্য নীরবে সব জ্বালা সহ্য করতে পারবেন। দেশের এই সঙ্কটের মুহূর্তে মনমোহনের মতো একজন শান্ত নির্লোভ সৎ নেতার বড় প্রয়োজন গরিব মানুষের স্বার্থে এবং সংবিধানকে অক্ষত রাখতে। মনমোহনের সেই বিকল্প যদি বাংলা থেকে উঠে আসে! সেই স্বপ্নের নেতানেত্রীর খোঁজেই আসন্ন ২০২৫-এর রাজনৈতিক দৌড়ের অপেক্ষা। আচমকা ২০০৪ সালের দমকা ঝোড়ো বাতাসের মতো তিনি এলেই বিজেপি’র কারিকুরি শেষ হয়ে যাবে বাজপেয়ি জমানার মতো। দিল্লিতে আবার মাথা তুলবে ইন্ডিয়া জোটের কোয়ালিশন সরকার। 
29th  December, 2024
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
বয়সের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৬ বছর আগেই। দেখেছেন দু’টি বিশ্বযুদ্ধ। ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই মহিলার। নাম টোমিকো ইটুকা। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানাচ্ছে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম। ...

বিষ্ণুপুর এবং সাতগাছিয়া বিধানসভার দু’টি ব্লকে ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের দাবি, নিজস্ব পাকাবাড়ি থাকার পরও একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে টাকা পাওয়ার ...

ঘাটাল শহরে কতগুলি টোটো চলে তার পরিসংখ্যান  জোগাড় করতে  শুরু করছে ঘাটাল পুরসভা। তারা ক্যাম্প করে টোটো চালকদের থেকে নথিও সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা বলেন, ‘জেলাশাসকের নির্দেশেই আমরা পুর এলাকায় কতগুলি টোটো চলে তার পরিসংখ্যান জোগাড় করতে ...

৯৮ বলে ৪০, স্ট্রাইকরেট ৪০.৮১। এরপর ৩৩ বলে ৬১, স্ট্রাইকরেট ১৮৪.৮৪। সিডনি টেস্টে দুটোই ঋষভ পন্থের ইনিংস। সুনীল গাভাসকরের থেকে ‘নির্বোধ’ তকমা ও ড্রেসিং-রুমে কোচ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯২: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের জন্ম
১৬৯১: ইউরোপে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রা ছাপানো হয়
১৯১৯: জার্মান ওয়াকার্স পার্টি (পরে যা নাৎসি পার্টি নামে খ্যাত হয়)-র জন্ম
১৯৪০: এফ এম রেডিও-র প্রদর্শন হয় ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনে
১৮৬৭: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ীতে জোড়াসাঁকো থিয়েটার এর উদ্বোধন করা হয়
১৯০২ - গওহর জানের কণ্ঠের গান দিয়ে কলকাতায় প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ড করা শুরু করে
১৯২২: কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয়
১৯২৮: প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর জন্ম
১৯৩৪: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়
১৯৩৪: কলকাতায় ভয়াবহ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধে
১৯৪১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির জন্ম
১৯৫২: পতৌদির অষ্টম নবাব ও ভারতীয় ক্রিকেটার ইফতিখার আলি খান পতৌদির মৃত্যু
১৯৬৮: সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়ায় ক্ষমতায় আসেন আলেকজান্ডার দুবচেক, ‘প্রাগ বসন্ত’র সূচনা হয়
১৯৭১: প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত। এতে অংশ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
১৯৭৩: অভিনেতা উদয় চোপড়ার জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের জন্ম
২০১৩: বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৩৪/৪৫ রাত্রি ৮/১৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/৫০ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৬/২১/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৪/২০ মধ্যে। বারবেলা ১০/২১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে।
২০ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৩ গতে ১/৩ মধ্যেো। কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আদিবাসী মেলার উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী চরণ মাঝি

11:05:01 PM

রবিবার রাতে ভারী তুষারপাতের সাক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর

10:15:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ০ – ১ গোলে জয়ী কেরল

09:38:00 PM

ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজায় মৃত ৯

09:23:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব ০ – কেরল ১ (৭৪ মিনিট)

09:06:00 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’-এর চতুর্থ দিন
ডায়মন্ড হারবারে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। আজ, রবিবার ছিল ...বিশদ

08:47:00 PM