Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন গরিবি হটাতে। আর নরেন্দ্র মোদির সরকারের পরিকল্পনা, গরিব হটাও। সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠছে গরিব নিধন-যজ্ঞের অভিপ্রায়। বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া, আবাস যোজনার টাকা আটকে দেওয়া সেই যজ্ঞেরই অঙ্গ।  
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের জেলাশাসকের একটি ঘোষণায় বেশ আলোড়ন পড়েছে। খবরে প্রকাশ, ইন্দোর শহরকে ভিখারিমুক্ত করা হবে। উদ্দেশ্য, শহর পরিষ্কার রাখা এবং ভাবমূর্তি নষ্ট হতে না দেওয়া। তারজন্য নেওয়া হয়েছে এক অভিনব সিদ্ধান্ত। কী সেই সিদ্ধান্ত? গরিব, নিরন্ন মানুষের উদর পূর্তির জন্য যিনি সাহায্য করবেন বা ভিক্ষে দেবেন তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে পুলিসি ব্যবস্থা। ইন্দোরের জেলাশাসক আশিস সিং সাফ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির পর কাউকে প্রকাশ্যে ভিক্ষা দিতে দেখা গেলে তার নামে করা হবে এফআইআর। তারপর হবে শাস্তির ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে।
শহরকে ভিখারিমুক্ত করার ‘পাইলট প্রজেক্ট’ চালু হচ্ছে ইন্দোরে। তারপর বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের শহরগুলিতে হইহই করে চালু হয়ে যাবে। এর অর্থ, দীনজনে দয়া করা এখন আর মানবতা নয়, বরং ডাবল ইঞ্জিন সরকারের চোখে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, রোগ নিরাময়ের বদলে কসমেটিক সার্জারি করে দগদগে ঘা আড়ালের চেষ্টা এই প্রথম নয়। বলা ভালো, এটাই নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্ট্র্যাটেজি। এর আগেও হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারত সফরে এসেছিলেন তখন তাঁর যাত্রাপথের দু’পাশের বস্তি, আবর্জনা আড়ালের এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। 
ভারতবর্ষকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বপ্ন ইন্দিরা গান্ধীর পর যদি কেউ দেখিয়ে থাকেন, তাঁর নাম মনমোহন সিং। কখনও অর্থমন্ত্রী, কখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর্থিক মন্দার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন সদ্য প্রয়াত মনমোহনজি। তিনিই চালু করেছিলেন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। খাদ্যসুরক্ষা বিলও তাঁরই আমলে। করোনার থাবায় যখন বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা তখন একপ্রকার উপযাচক হয়েই দেশবাসীকে রক্ষার জন্য তিনটি দাওয়াই তিনি বাতলে ছিলেন। তার প্রথমটাই ছিল, জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে এবং খরচের ক্ষমতা বাড়াতে আম জনতার হাতে দিতে হবে যথেষ্ট অর্থ। কিন্তু মোদিজি হাঁটলেন সম্পূর্ণ উল্টোপথে। দেশে মনরেগার বরাদ্দ কমিয়ে দিলেন। আর পরাজয়ের জ্বালা মেটাতে বাংলায় ১০০ দিনের কাজই বন্ধ করে দিলেন।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সেদিন মনমোহন সিংয়ের কথা মোদিজি শুনলে ক্ষুধার সূচকের নিরিখে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার, এমনকী বাংলাদেশের চেয়েও ভারতবর্ষকে পিছিয়ে যেতে হতো না। এহেন দেশে পাঁচ বছরে নষ্ট হয়েছে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন রেশনের খাদ্যসামগ্রী। বাজারমূল্য ১৮২৩ কোটি টাকা। ফল কারা ভোগ করছেন? রেশন গ্রাহকরা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের খাতায় যারা আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষ। সংখ্যাটা ৮০ কোটি। তাঁদের জন্য বরাদ্দ রেশন মাঝপথে নষ্ট হচ্ছে অথবা চুরি যাচ্ছে। ফলে যতটা খাদ্যসামগ্রী গরিব মানুষের পাওয়ার কথা, সেটা পাচ্ছে না।
এটা হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা নয়। বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে। কিন্তু, তা বন্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অব্যবস্থা হলে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, সরকার বিষয়টি বন্ধের ব্যাপারে আদৌ আগ্রহী নয়। কিন্তু চাইলে বন্ধ করা যায়। তার প্রমাণ আমাদের বাংলা।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে গোটা দেশে রেশন সামগ্রীর ২৮ শতাংশই হয় চুরি অথবা নষ্ট হয়েছে। তার বাজারমূল্য ৭০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ৬৫ ভাগই হয়েছে বিজেপি শাসিত পাঁচ রাজ্যে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে চুরি ও নষ্টের পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। অথচ ২০১১-’১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৯ শতাংশ। রাজ্য সরকার অনেক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন স্তরে ফাঁকফোকর মেরামত করেছে। এমনকী, করোনার সময় রেশন বণ্টন নিয়ে অভিযোগ ওঠায় খোদ খাদ্যসবিচকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 
গরিব ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাজের দৃষ্টান্ত বিরল। কিন্তু এই সরকারের পদক্ষেপে আম জনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি রয়েছে। করোনার সময় বন্ধ করে দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ বহু ট্রেন এখনও চালু হয়নি। সেই দাবি জানালে খেতে হচ্ছে কেস। কিছু লাইনে লোকাল ট্রেনকে ‘স্পেশাল ট্রেন’ বলে চালানো হচ্ছে। যাচ্ছে লোকালের মতো, কিন্তু গুনতে হচ্ছে এক্সপ্রেসের ভাড়া। ট্রেনের টিকিটে প্রবীণদের ছাড়ের যে সুবিধা যুগ যুগ ধরে চলে আসছিল, সেটাও মোদিজি বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক আগেই। স্বাস্থ্য ও বিমার মতো দু’টি জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার উপরেও চাপানো হয়েছে জিএসটির বোঝা। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খরচ।
সবচেয়ে বড় কথা, চাকরির আবেদন জানাতে গেলেও বেকারদের দিতে হচ্ছে জিএসটি। বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদি। দশ লক্ষ চাকরি দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলেও চাকরি প্রার্থীদের আবেদনপত্রের উপরেও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৮ শতাংশ জিএসটি। তাতে খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে চাকরির আবেদন করার আগে দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাঁচবার ভাবতে হচ্ছে। বেকার যুবক-যুবতীদের পকেট কাটতেও কেন্দ্রীয় সরকারের হাত কাঁপছে না। এতে কী প্রমাণ হয়? সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়া নয়, তাদের বঞ্চিত করাই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য।
এসব দেখে এখন অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়াটা আসলে গরিব মারার কল। যেকোনও অজুহাতে টাকা আটকে দিয়ে গরিব মানুষকে বিপন্ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। তা না হলে এতদিনে আদালতের পরামর্শ মেনে চাল থেকে কাঁকর বাছার কাজটা সেরে ফেলত। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এব্যাপারে বিজেপি সদর্থক পদক্ষেপ করত। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অনেক বিজেপি প্রার্থীই প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়াটা মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। ভোট চাইতে গিয়ে ক্ষোভের ও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি ঊধ্বর্তন নেতৃত্বের দেখা দরকার।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ তো আছেই। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়াতেও মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বাংলায় এমপির সংখ্যা একধাক্কায় ৩৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু, তাতেও হেলদোল নেই। কারণ মোদি-অমিত শাহ জুটি বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই। তাঁদের হিসেবে বাংলা আপাতত ‘খরচের খাতায়’। তাই ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে, চাষির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের ফটোসেশন সেরে যেটুকু পাওয়া যায়, সেটাই বিজেপির লাভ। 
এ রাজ্যে প্রথম হওয়ার দৌড়ে নেই বিজেপি। আবার সিপিএমের যা হাল তাতে প্রধান বিরোধীর জায়গাটাও বিজেপির আপাতত পাকা। অতএব বিজেপির যেমন নতুন কিছু পাওয়ার আশা নেই, তেমনই নেই হারানোর ভয়। তাই অনেকে মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট ঘাড়ধাক্কা না দিলে গরিব নিধনযজ্ঞে বিজেপির ঘৃতাহুতি চলতেই থাকবে। 
মনমোহন সিংয়ের পর দেশের হাল ধরেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ফারাক বিস্তর। মনমোহন সিং বলতেন কম, কাজ করতেন বেশি। বিজেপির চোখে ছিলেন ‘মৌন প্রধানমন্ত্রী’। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ‘সবাক প্রধানমন্ত্রী’। কথা বেশি, কাজ কম। মনমোহনজি আগে অর্থনীতিবিদ, তারপর প্রধানমন্ত্রী। তাই গরিবের অন্নের সংস্থানই ছিল তাঁর লক্ষ্য। চালু করেছিলেন ১০০ দিনের কাজ। আর মোদিজি আগে রাজনীতিবিদ, তারপর প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক স্বার্থই তাঁর কাছে শেষকথা। তাই অনায়াসেই বন্ধ করে দিতে পারেন ১০০দিনের কাজও। 
দু’জনই দেশের প্রধানমন্ত্রী। একজন গরিবের মুখে অন্ন জোগানোর দিশা দেখান, অন্যজন তা বন্ধের অজুহাত খোঁজেন। তাই মোদিজি তিনবার নয়, তিরিশবার প্রধানমন্ত্রী হলেও মনমোহনকে ছুঁতে পারবেন না কোনওদিনই।
28th  December, 2024
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
ঘাটাল শহরে কতগুলি টোটো চলে তার পরিসংখ্যান  জোগাড় করতে  শুরু করছে ঘাটাল পুরসভা। তারা ক্যাম্প করে টোটো চালকদের থেকে নথিও সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা বলেন, ‘জেলাশাসকের নির্দেশেই আমরা পুর এলাকায় কতগুলি টোটো চলে তার পরিসংখ্যান জোগাড় করতে ...

ইসলামপুর পুলিস জেলায় ভিআইপিদের নিরাপত্তায় যাতে গাফিলতি না হয়, সেদিকে কড়া নজর দিয়েছে জেলা পুলিস। মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের পর ইসলামপুরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস ও প্রশাসন। পুলিস যাদের নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে, তাদের সতর্ক করে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। ...

বয়সের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৬ বছর আগেই। দেখেছেন দু’টি বিশ্বযুদ্ধ। ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই মহিলার। নাম টোমিকো ইটুকা। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানাচ্ছে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম। ...

৯৮ বলে ৪০, স্ট্রাইকরেট ৪০.৮১। এরপর ৩৩ বলে ৬১, স্ট্রাইকরেট ১৮৪.৮৪। সিডনি টেস্টে দুটোই ঋষভ পন্থের ইনিংস। সুনীল গাভাসকরের থেকে ‘নির্বোধ’ তকমা ও ড্রেসিং-রুমে কোচ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯২: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের জন্ম
১৬৯১: ইউরোপে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রা ছাপানো হয়
১৯১৯: জার্মান ওয়াকার্স পার্টি (পরে যা নাৎসি পার্টি নামে খ্যাত হয়)-র জন্ম
১৯৪০: এফ এম রেডিও-র প্রদর্শন হয় ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনে
১৮৬৭: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ীতে জোড়াসাঁকো থিয়েটার এর উদ্বোধন করা হয়
১৯০২ - গওহর জানের কণ্ঠের গান দিয়ে কলকাতায় প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ড করা শুরু করে
১৯২২: কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয়
১৯২৮: প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর জন্ম
১৯৩৪: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়
১৯৩৪: কলকাতায় ভয়াবহ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধে
১৯৪১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির জন্ম
১৯৫২: পতৌদির অষ্টম নবাব ও ভারতীয় ক্রিকেটার ইফতিখার আলি খান পতৌদির মৃত্যু
১৯৬৮: সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়ায় ক্ষমতায় আসেন আলেকজান্ডার দুবচেক, ‘প্রাগ বসন্ত’র সূচনা হয়
১৯৭১: প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত। এতে অংশ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
১৯৭৩: অভিনেতা উদয় চোপড়ার জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের জন্ম
২০১৩: বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৩৪/৪৫ রাত্রি ৮/১৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/৫০ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৬/২১/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৪/২০ মধ্যে। বারবেলা ১০/২১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে।
২০ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৩ গতে ১/৩ মধ্যেো। কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আদিবাসী মেলার উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী চরণ মাঝি

11:05:01 PM

রবিবার রাতে ভারী তুষারপাতের সাক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর

10:15:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ০ – ১ গোলে জয়ী কেরল

09:38:00 PM

ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজায় মৃত ৯

09:23:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব ০ – কেরল ১ (৭৪ মিনিট)

09:06:00 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’-এর চতুর্থ দিন
ডায়মন্ড হারবারে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। আজ, রবিবার ছিল ...বিশদ

08:47:00 PM