Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর। 
একুশ শতকে ভারতের উত্তরণের প্রধান স্থপতি ছিলেন অটলজি। সেই কারণে তাঁর প্রতি সদা কৃতজ্ঞ থাকবে আমাদের দেশ। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন আমাদের দেশ রাজনৈতিকভাবে অস্থির এক পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। প্রায় ন’বছরের মধ্যে আমরা চারটি লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছিলাম। ভারতের জনগণ অধৈর্য এবং সরকারের প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে পড়ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে একটি স্থিতিশীল এবং কার্যকর প্রশাসন গড়ে তুলেছিলেন অটলজিই। তিনি ছিলেন নিরহঙ্কারী একজন মানুষ। সাধারণ নাগরিকদের জীবন সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে তাঁর দেরি হয়নি। বুঝতে পেরেছিলেন সুশাসনের জন্য চাই ক্ষমতার আমূল সংস্কার।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটলজির নেতৃত্বের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আজও আমরা দেখতে পাই। তাঁর শাসনকালে তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিকম এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির পথে এগিয়েছে ভারত। আমাদের মতো প্রগতিশীল যুব শক্তির আশীর্বাদধন্য দেশের কাছে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রথম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল অটলজির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারই। একইসঙ্গে ভারতের সব প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের দূরদর্শিতা দেখিয়েছিলেন তিনি। আজও অধিকাংশ মানুষ তাঁর সোনালী চতুর্ভুজ প্রকল্পের কথা সগর্বে উল্লেখ করে থাকেন। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে যোগাযোগের বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিল বাজপেয়ি সরকার। মেট্রোরেলের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে তাঁর সরকার ছিল বিশেষ উদ্যোগী। দিল্লি মেট্রো প্রকল্পের জন্য ব্যাপক কাজও করেছিল, যা আজ একটি বিশ্বমানের পরিকাঠামোয় পরিণত হয়েছে। এভাবে শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করা হয়নি, দূরবর্তী অঞ্চলগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেশের ঐক্য ও সংহতিকেও মজবুত করেছে বাজপেয়ি সরকার। 
আবার সামাজিক ক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযানের মতো উদ্যোগ নিয়েছিলেন অটলজি। এর মাধ্যমে তিনি এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে দেশের সব মানুষ, বিশেষত গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে আধুনিক শিক্ষার আলো। একইসঙ্গে বহু আর্থিক সংস্কার করেছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেই পদক্ষেপগুলিই পরবর্তী কয়েক দশকে অচলাবস্থা কাটিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক দর্শনের পথ প্রশস্ত করেছিল। 
অটলজির নেতৃত্ব এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল ১৯৯৮’এর গ্রীষ্মে। এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই, ১১ মে পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল পোখরানে, যা ‘অপারেশন শক্তি’ নামে বিখ্যাত। এই পরীক্ষা ছিল ভারতের বিজ্ঞানীদের দক্ষতার আত্মপ্রকাশ, যা গোটা বিশ্বকে বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ পর্যন্ত প্রকাশ করেছিল। সাধারণ কোনও নেতা হলে এই পরিস্থিতিতে গুটিয়ে যেতেন, কিন্তু অটলজি ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া। তারপর কী ঘটে? ভারত একটি দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং দু’দিনের মধ্যে, ১৩ মে আরও একটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রথমটি যদি বৈজ্ঞানিক দক্ষতার সাক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয়টি ছিল তাঁর সাহসী নেতৃত্বের প্রদর্শন। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন যে, হুমকি বা চাপের কাছে ভারত নতিস্বীকার করবে, সেই দিন আর নেই। আন্তর্জাতিক অবরোধ সত্ত্বেও বাজপেয়িজির এনডিএ সরকার ছিল নিজেদের অবস্থানে অটল। সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ভারতকে বিশ্ব শান্তির এক শক্তিশালী প্রবক্তা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। 
ভারতের গণতন্ত্রকে তাঁর মতো ভালো কেউ বুঝতেন না। সেই গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেছিলেন অটলজি। তাঁর সভাপতিত্বে তৈরি হয়েছিল এনডিএ, যা ভারতের জোট রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও আঞ্চলিক আশা-আকাঙ্ক্ষার শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এনডিএ-কে। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে সংসদীয় দক্ষতার স্বাক্ষরও রেখে গিয়েছেন তিনি। অটলজি এমন এক দলের নেতা ছিলেন, যাদের সংসদে সদস্য সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তা সত্ত্বেও সেই সময় প্রবল শক্তিধর কংগ্রেসের মোকাবিলায় তাঁর কথাই ছিল যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধীদের সমস্ত সমালোচনা ভোঁতা করে দিতেন নিজস্ব কায়দায়। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিরোধী আসনে বসেছেন, কিন্তু কখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি। এমনকী কংগ্রেস তাঁকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিলেও, তিনি নিজে কখনও শালীনতার সীমারেখা অতিক্রম করেননি।
অটলজি কখনও সুবিধাবাদী পথে ক্ষমতা দখল করেননি। ১৯৯৬ সালে ঘোড়া কেনা-বেচার মতো নোংরা পথ অবলম্বন না করে ইস্তফা দেওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১ ভোটে পরাস্ত হয়েছিল তাঁর সরকার। এই অনৈতিক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু, তিনি ছিলেন নিয়মের পথে অবিচল। ঘটনাচক্রে পরবর্তীতে আবার জনতার বিপুল রায় নিয়ে ফিরেছিলেন ক্ষমতায়।
আমাদের সংবিধানের অঙ্গীকার রক্ষার কথা যখন আসে, তখনও অটলজির অবস্থান ছিল সুদৃঢ়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শহিদ হওয়ার ঘটনা তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। কয়েক বছর পরে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেন তিনি। জরুরি অবস্থা শেষে, ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জনতা পার্টির সঙ্গে নিজের দলকে (জনসঙ্ঘ) মিশিয়ে দিতেও সম্মত হন। এই সিদ্ধান্ত তাঁকে এবং অন্যদের যে ব্যথিত করেছিল, সেব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু, তাঁর কাছে সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখাই ছিল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও ছিল অটলজির নিবিড় যোগ। কতটা? সেটা এখানে উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন। বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের প্রথম নেতা হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দেন তিনি। এতেই স্পষ্ট যে, ভারতের ঐতিহ্য ও সত্তা সম্পর্কে তিনি কতটা গর্বিত ছিলেন! বিশ্বমঞ্চে তার ছাপও রেখে গিয়েছেন।
অটলজির ব্যক্তিত্ব ছিল চুম্বকের মতো আকর্ষণীয়। সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর প্রভূত ভালোবাসা। একজন সুলেখক ও কবি হিসেবে প্রেরণা ও ভাবনা-চিন্তার খোরাক জোগাতেন তিনি। তাঁর কবিতার মধ্যে সন্নিহিত ছিল নিজের অন্তরের লড়াইয়ের প্রতিফলন এবং দেশের জন্য আশার বার্তা।
অটলজির মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং তাঁর থেকে শেখার সুযোগ পেয়েছি—আমার মতো ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক কার্যকর্তার কাছেই এটা পরম সৌভাগ্যের। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। সেই সময় প্রবল প্রভাবশালী কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বুঝিয়ে দেয় যে অটলজির মহত্ব! এল কে আদবানিজি, ডঃ মুরলী মনোহর যোশিজির মতো নেতাদের সঙ্গে তিনিও গোড়া থেকে দলকে লালনপালন করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, উত্থান-পতনের সময় পথ দেখিয়েছিলেন। যখনই আদর্শ এবং ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তিনি বরাবর প্রথমটিকেই বেছে নিয়েছেন। কংগ্রেসের বিকল্প যে সম্ভব, দেশবাসীকে সেকথা বোঝাতেও পেরেছিলেন। 
আসুন, এই ১০০তম জয়ন্তীতে আমরা অটলজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হই। ভারতের প্রতি তাঁর ভাবনা-চিন্তার বাস্তবায়নে নিজেদের উৎসর্গ করি। সেই 
ভারত গড়ার চেষ্টা করি, যেখানে সুশাসন, ঐক্য ও অগ্রগতির নীতি প্রাধান্য পাবে। আমাদের দেশের প্রভূত সম্ভাবনা নিয়ে অটলজির অবিচল বিশ্বাস আমাদের আরও উচ্চতায় পৌঁছতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে প্রেরণা জোগাবে।
25th  December, 2024
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
একনজরে
ইসলামপুর পুলিস জেলায় ভিআইপিদের নিরাপত্তায় যাতে গাফিলতি না হয়, সেদিকে কড়া নজর দিয়েছে জেলা পুলিস। মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের পর ইসলামপুরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস ও প্রশাসন। পুলিস যাদের নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে, তাদের সতর্ক করে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। ...

বিষ্ণুপুর এবং সাতগাছিয়া বিধানসভার দু’টি ব্লকে ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের দাবি, নিজস্ব পাকাবাড়ি থাকার পরও একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে টাকা পাওয়ার ...

বয়সের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৬ বছর আগেই। দেখেছেন দু’টি বিশ্বযুদ্ধ। ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই মহিলার। নাম টোমিকো ইটুকা। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানাচ্ছে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম। ...

৯৮ বলে ৪০, স্ট্রাইকরেট ৪০.৮১। এরপর ৩৩ বলে ৬১, স্ট্রাইকরেট ১৮৪.৮৪। সিডনি টেস্টে দুটোই ঋষভ পন্থের ইনিংস। সুনীল গাভাসকরের থেকে ‘নির্বোধ’ তকমা ও ড্রেসিং-রুমে কোচ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯২: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের জন্ম
১৬৯১: ইউরোপে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রা ছাপানো হয়
১৯১৯: জার্মান ওয়াকার্স পার্টি (পরে যা নাৎসি পার্টি নামে খ্যাত হয়)-র জন্ম
১৯৪০: এফ এম রেডিও-র প্রদর্শন হয় ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনে
১৮৬৭: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ীতে জোড়াসাঁকো থিয়েটার এর উদ্বোধন করা হয়
১৯০২ - গওহর জানের কণ্ঠের গান দিয়ে কলকাতায় প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ড করা শুরু করে
১৯২২: কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয়
১৯২৮: প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর জন্ম
১৯৩৪: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়
১৯৩৪: কলকাতায় ভয়াবহ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধে
১৯৪১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির জন্ম
১৯৫২: পতৌদির অষ্টম নবাব ও ভারতীয় ক্রিকেটার ইফতিখার আলি খান পতৌদির মৃত্যু
১৯৬৮: সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়ায় ক্ষমতায় আসেন আলেকজান্ডার দুবচেক, ‘প্রাগ বসন্ত’র সূচনা হয়
১৯৭১: প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত। এতে অংশ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
১৯৭৩: অভিনেতা উদয় চোপড়ার জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের জন্ম
২০১৩: বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৩৪/৪৫ রাত্রি ৮/১৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/৫০ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৬/২১/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৪/২০ মধ্যে। বারবেলা ১০/২১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে।
২০ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৬। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৩ গতে ১/৩ মধ্যেো। কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আদিবাসী মেলার উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী চরণ মাঝি

11:05:01 PM

রবিবার রাতে ভারী তুষারপাতের সাক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর

10:15:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ০ – ১ গোলে জয়ী কেরল

09:38:00 PM

ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজায় মৃত ৯

09:23:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব ০ – কেরল ১ (৭৪ মিনিট)

09:06:00 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’-এর চতুর্থ দিন
ডায়মন্ড হারবারে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। আজ, রবিবার ছিল ...বিশদ

08:47:00 PM