Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। আর এই ভ্যানগুলি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পয়েন্টে অস্ত্র বোঝাই ট্রাককে এসকর্ট করার জন্য।
কিন্তু সেদিনের ব্যাপারটি আলাদা। স্থানীয়দের জানার কথাও নয়। সেদিন তারা অস্ত্রের চালান পার করতে যায়নি। ইরাক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নেতাকে পাঠানো হয়েছে সিরিয়াতে। তারা এসেছে সেই নেতাকে রিসিভ করে সিরিয়ার কোনও ক্যাম্পে নিয়ে যেতে। ঘণ্টাখানেক পর একটি গাড়ির কনভয় এসে দাঁড়ায় সেখানে। গাড়ি থেকে যিনি নামলেন, নাম আবু মহম্মদ আল জোলানি। পরিচয়? আসল নাম আহমেদ হুসেইন আল-শারা। ২০০৬ সালে জোলানি মার্কিন সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ বছর কুখ্যাত বাকু কারাগারে বন্দি ছিলেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় জোলানি ছাড়া পান। কেন তাঁকে সেই সময় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, আজও তা অজানা। জোলানি ছিলেন মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত ইরাকের আল-কায়েদা প্রধান জারকাবির বিশ্বস্ত সহচর। জোলানি মসুল থেকে সিরিয়াতে গিয়েছেন বাগদাদির নির্দেশে। সিরিয়ায় ‘জিহাদ’-এর ভিত্তি মজবুত করতে হবে তাঁকেই। সেটা ২০১১ সালের আগস্ট মাসের কথা। আবু বকর আল-বাগদাদি তখন ইরাকের আল-কায়েদা প্রধান।
সেই সময় সিরিয়াতে আসাদ-বিরোধী যুদ্ধ চরমে। আর যুদ্ধের প্রয়োজনে সেখানে গড়ে উঠেছে অস্ত্রের বিশাল বাজার। মূলত অস্ত্র পাচারের রুটগুলি সুরক্ষিত করতে জোলানিকে সিরিয়া পাঠিয়েছিলেন বাগদাদি। আর তার জন্য যা প্রয়োজন, সমস্ত রকম সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় জঙ্গি প্রধানদের। পৌঁছানোর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় সিরিয়াতে জোলানির নেতৃত্বে ‘জাবহাত-আল-নুসরা’ নামে একটি নতুন জঙ্গিদলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আর তারপরই ২০১২-র মে মাসে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জোলানিকে চিহ্নিত করে ‘ভয়ঙ্কর’ ব্যক্তি হিসেবে। জাবহাত আল-নুসরা বা পরবর্তীতে ‘আল-নুসরা ফ্রন্ট’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া সশস্ত্র এই জঙ্গি সংগঠনটি আসাদ বিরোধী সামরিক জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী শরিক। নুসরা-ফ্রন্ট গঠনের পর থেকেই বাগদাদির সঙ্গে জোলানির বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ শুরু হয়। ‘ট্র্যাডিশনাল’ আল-কায়েদার ধ্যান ধারণার বাইরে এসে বাগদাদি যে মাঝে মাঝেই ইউ টার্ন নিচ্ছিলেন, তা পোড়খাওয়া এই জঙ্গিনেতার দৃষ্টি এড়ায়নি। ঠিক সেই মাসের শেষ দিকে বাগদাদি ঘোষণা করেন, ইরাকে আল-কায়েদা বিলুপ্ত করে নতুন একটি সামরিক জোট গঠন হয়েছে। এবং এখন থেকে ইরাকের ‘জিহাদ’ পরিচালিত হবে সুন্নি জঙ্গিদের নতুন জোট ইসলামিক স্টেটের-এর ব্যানারে। জোর ধাক্কা লাগে আল-কায়েদার সংগঠনে।
২০১৩ সালের মে মাসে এক বিবৃতিতে আল-কায়েদা প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরি বাগদাদিকে সিরিয়ায় নিজেদের সংগঠন ভেঙে দিয়ে ইরাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, জাবহাত আল-নুসরা বা নুসরা ফ্রন্টই সিরিয়ায় আল-কায়েদার স্বীকৃত একমাত্র অঙ্গসংগঠন। কিন্তু বাগদাদির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই রাক্কার মতো সিরিয়ার পূর্বের বিস্তৃত অংশের দখল চলে আসে আইএসের হাতে। এমনকী আসাদ বিরোধী অন্য উগ্রগোষ্ঠীগুলির থেকেও এলাকা দখল করে নেয় আইএস। আর এখানেই ‘মাদার’ সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে আইএস-এর তীব্র বিরোধের সূচনা। কারণ, লক্ষ্যের অমিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় বাগদাদির। শুরু হয় সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যেও সাম্রাজ্য-দখলের তীব্র লড়াই! ভাঙনের মুখে পড়ে জোলানির ‘আল-নুসরা ফ্রন্ট’।
সিরিয়াতে আল-নুসরার মূল শত্রু বাশার আল-আসাদের সরকার। সেই হিসেবে আমেরিকা-সৌদির মিত্র ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ বলে পরিচিত সামরিক জোট তাদের মিত্র। সরাসরি তাদের জোটে না থাকলেও যুদ্ধের মাঠে তাদের বোঝাপড়া বেশ ভালোই। সেই কারণে আল-নুসরাকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার পর রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (যারা আসাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এসেছিল)। অন্যদিকে আইএস। এরা সবাই আসাদ সরকারের উৎখাত চাইলেও জমি দখলের প্রশ্নে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিরুদ্ধেও আইএস যুদ্ধ করে চলে সমান তালে। আর আল-নুসরার সঙ্গে জন্মের সময় থেকে বৈরিতা তো আছেই।
একটা পর্যায়ে আল জাজিরাকে দেওয়া টিভি সাক্ষাৎকারে জোলানি কবুল করেন, আমেরিকা বা পশ্চিমী বিশ্বে হামলা করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। এবং তাঁদের দুই শত্রু। বাশার আল-আসাদ এবং আইএস। কিন্তু জাওয়াহিরির আনুগত্য ত্যাগ করতে অস্বীকার করেন জোলানি। এই কারণে তাঁদের পক্ষে প্রকাশ্যে আমেরিকার গুড বুকে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই একসময় আমেরিকা সহ বিদেশি শক্তিগুলির কাছ থেকে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার আশায় নুসরা ফ্রন্টও (জাবহাত আল-নুসরা) ২০১৬-র ২৯ জুলাই আল-কায়েদা থেকে পৃথক হওয়ার ঘোষণা করে। নুসরা ফ্রন্টের নেতা আবু মহম্মদ আল-জোলানি জানিয়ে দেন, নতুন দলের নাম হবে জাবহাত ফাতেহ আল-শাম (যার অর্থ, সিরিয়া জয় করার জন্য ফ্রন্ট)। এটাই ছিল জোলানির ইউ টার্ন! পশ্চিমী দুনিয়াও আড়ালে জোলানিকে কাছে টানতে সময় নষ্ট করেনি। সেই সময় মাঝে মাঝেই খবরে প্রকাশ হতো, আমেরিকা ‘আসাদ বিরোধী’ গ্রুপগুলিকে আকাশ থেকে টাকা আর অস্ত্র সাহায্য করছে। আসলে কয়েক হাত ঘুরে হলেও সেইসব টাকা আর অস্ত্র যেত এই জোলানির হাতেই। রাশিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিককর্তা জেনারেল স্টাফ সের্গেই রুদস্কি তো সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, আল-নুসরা ফ্রন্ট চলছে তুরস্কের রসদেই। আর তাই সিরিয়ার মাটিতে আইএস ও বাগদাদি খতম হলেও টিকে গিয়েছিলেন জোলানি। তাঁর হাতে গড়া নুসরা ফ্রন্টই নাম বদলে হয়েছিল জাবহাত ফাতেহ আল-শাম। আরও পরে হায়াত তাহরির আল-শাম। যাদের এখন একটাই পরিচয়, সিরিয়ার বিদ্রোহী। অনেকে আবার ‘বিপ্লবী’-ও বলে ফেলেছেন। মুখে যাই বলুক, অতীত চরিত্র তাঁদের একটাই— কট্টর মৌলবাদী!
মাত্র ১২ দিনে বাশার আল–আসাদ জমানার পতনের পর আবু জোলানি এখন গোটা দুনিয়ার কাছে হিরো। গত ২৭ নভেম্বর নতুন করে আক্রমণ শুরু করার পর জোলানির ‘বিদ্রোহী বাহিনী’ এগিয়েছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। অভিযান শুরু করার মাত্র চার দিনের মাথায় তারা দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী আলেপ্পো দখল করে। বিনা প্রতিরোধে। সেখান থেকে তারা এগতে থাকে আরেক বড় শহর হামার দিকে। হামা দখলের পথে বিভিন্ন সড়কে আসাদ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই হয়েছিল বটে, কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। হামা দখলের পর বিদ্রোহীদের পিকআপ ভ্যান ও মোটরবাইক এগিয়ে গিয়েছে হোমসের পথে। হোমস থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের দূরত্ব মাত্র ১৬০ কিলোমিটার। ৬ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা প্রায় বিনা বাধায় হোমসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মনোবলের অভাব, দলত্যাগ ও দুর্নীতির কারণে ততদিনে আসাদ বাহিনীর ভিতরটা ‘ফাঁপা’ হয়ে গিয়েছে। তা টের পাওয়া যায়, সেনাবাহিনী যখন সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও রণাঙ্গন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে আসাদের পতন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আসাদ ইরান ও রাশিয়ার সমর্থন পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে বিদ্রোহীদের পিছু হটিয়ে দখল হওয়া বিভিন্ন এলাকা উদ্ধারও করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ১২ দিনে পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। লেবাননে হিজবুল্লার সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার থেকে নিয়মিত সিরিয়ায় বাশার–সমর্থিত সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। আকাশপথে ইজরায়েলের হামলা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের স্থলপথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পরিষ্কার করে দেয়। আমেরিকার মধ্যস্থতায় হিজবুল্লার সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরই হুট করে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার বিভিন্ন শহর দখলে নিতে শুরু করে। আলেপ্পোর দখল দিয়ে কোণঠাসা হওয়া বিদ্রোহীদের পুনর্যাত্রা শুরু হয়। এরপর হামা, হোম, দামাস্কাস দখল করে নেয় কার্যত কোনও বাধা ছাড়াই। আসাদ পালিয়ে যাওয়ায় সিরিয়ায় শুধু বাথ পার্টির শাসনেরই অবসান ঘটেনি, একই সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে ইরান ও রাশিয়ারও পরাজয় ঘটেছে। সিরিয়ায় ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব কমলে ইজরায়েলের জন্য স্বস্তি। কার্যত ইজরায়েলের হামলার কারণে দুর্বল হয়ে যাওয়া আসাদের বাহিনী বিদ্রোহীদের হামলার মুখে আর টিকে থাকতে পারেনি। 
জোলানি এখন বলা শুরু করেছেন, তাঁরা নিজেদের বদলে ফেলেছেন এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চান। তাঁদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। জোলানি নাকি তাঁর অতীতের চরমপন্থা থেকে সরে আসতে চান। তিনি এখন গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কারলা নরলফের মতো অনেক বিশেষজ্ঞই বলা শুরু করেছেন, আমেরিকার পুরনো কৌশল ধরে রাখা ভুল হবে। এত দিন আমেরিকা ইরানের প্রভাব কমানো এবং রাশিয়ার অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। জোলানি ইতিমধ্যে তাদের লক্ষ্য আংশিকভাবে পূরণ করেছে। এবং আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্রিটেন ইতিমধ্যেই জোলানির দল এইচটিএসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এভাবে আমেরিকাও এইচটিএসকে উৎসাহিত করতে পারে। এমন পদক্ষেপে রাশিয়া বা ইরান প্রভাব ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবে না।
এর অর্থ একটাই, পশ্চিমী দুনিয়ার চোখে একদা আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন মধ্যপ্রাচ্যের বীর যোদ্ধা। সিরিয়ার নতুন শাসক। যতদিন আমেরিকা-ইজরায়েলের পছন্দের থাকবেন, ততদিন...।
19th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
রানাঘাট শহরে গড়ে উঠতে চলেছে ফিসক্যাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বা এফএসটিপি। শহরের জনস্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে এই সিদ্ধান্ত রানাঘাট পুরসভার। বাড়ি বাড়ি মল সংগ্রহ করে আর কেবল মাটিতে পুঁতে ফেলে দায় মুক্ত হওয়া নয়, বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ...

মালদহের গাজোলের পাণ্ডুয়া সার্কেলের ফুলবাড়ি সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর পর দু’দিন রান্না হল না মিড ডে মিল। ...

কংগ্রেস নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নেতৃত্বের ব্যাটন। সম্প্রতি এমনই দাবি তুলেছে একাধিক শরিক দল। আর এবার কংগ্রেসকে ‘ইন্ডিয়া’ শিবির থেকেই ছেঁটে ফেলার দাবি তুলল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। ...

বাংলার বাড়ি নিয়ে আগেই জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। যদি কোনও ব্যক্তি উপভোক্তাদের থেকে টাকা চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে একেবারে এফআইআর দায়ের করে কড়া আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৭- উর্দু কবি মির্জা গালিবের জন্ম
১৮২২- জীবাণুতত্ত্ববিদ লুই পাস্তুরের জন্ম
১৮২৫- ইংল্যান্ডে তৈরি স্টিম ইঞ্জিন রেলপথে চলাচল শুরু করে
১৮৩১ - চার্লস ডারউইন বিশ্ব পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করেন
১৮৭১- প্রথম বিড়াল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়
১৯১১- "জন গণ মন", ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা সেশন মধ্যে গাওয়া হয়
১৯১৫- শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৩০ -  শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী মালবিকা কাননের জন্ম
১৯৩২ – গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৫- বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৫- অভিনেতা সলমন খানের জন্ম
১৯৭৫- চাসনালা খনি দুর্ঘটনায় মৃত ৩৭২ শ্রমিক
১৯৮৮ - রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একাদশ অধ্যক্ষ স্বামী গম্ভীরানন্দের প্রয়াণ
১৯৯২ – কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী,সুরকার তথা সঙ্গীত নির্দেশক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের মৃত্যু
২০০৭- পাকিস্তানের একাদশ প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যু
২০১০ - থিয়েটার অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৪৩ টাকা ৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৭ টাকা ১০৮.৯১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। সূর্যোদয় ৬/১৯/৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৬ গতে ৯/৫৭ মধ্যে।
১১ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১/৩৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/০ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
২৪ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কাটোয়ায় বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ডাকাতি, চাঞ্চল্য

11:35:00 PM

দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

10:50:00 PM

দিল্লিতে ঠান্ডায় রাতে নাইট শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন

10:18:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবালে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত

10:08:00 PM

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪.০

09:49:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, মহামেডান বনাম ওড়িশা

09:37:00 PM