পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
তবে, রত্নাদেবী একা নন। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে অনুপ্রবেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ঠেকাতে তৎপর বিএসএফ ও পুলিস। অভিযান চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। তাতেই ধরা পড়েছে একের পর এক বাংলাদেশি নাগরিক। বুধবারও বুধবার বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে সীমান্তের একাধিক এলাকায় অভিযান চালায় ধানতলা এবং হাঁসখালি থানা পুলিসের একটি বিশেষ দল। গ্রেপ্তার করা হয় এক নাবালিকা সহ ১০ জন বাংলাদেশিকে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং চারজন মহিলা। বরণবেরিয়া, কানিবাউনি, পাঁচবেড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের পাঁচজন দালালও ধরা পড়ে। ধৃত অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে রত্নারানী দেবনাথ ছাড়াও রয়েছেন মনচুর মণ্ডল, অর্চনা দেবনাথ, কালাম মণ্ডল, ফারুক শেখ, শাপলা গাজী, সায়ন শিকদার, জয় বিশ্বাস এবং মনি বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার তাঁদের ধানতলা থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। সঙ্গে পাঁচজন দালালও। বাংলাদেশি নাগরিকদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিকে, অনুপ্রবেশের পথ এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জেলা পুলিস। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিস (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা বলেন, ‘আমরা ধৃতদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করেছি। কেন তাঁরা সীমান্ত টপকে বেআইনি পথে এদেশে এলেন তার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। তবে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের দালালদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য তালাশ করব। সর্বতোভাবে এই চক্রকে নিষ্ক্রিয় করাই আমাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।’ -নিজস্ব চিত্র