পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো বড়দিন উপলক্ষ্যে উৎসবে মেতেছিল বান্দরবানের লামা উপজেলার সরাই ইউনিয়নের নতুন টংঝিরি ত্রিপুরাপাড়া। রাতে প্রার্থনার জন্য গির্জায় গিয়েছিলেন পাড়ার বাসিন্দারা। তারই সুযোগ নেয় মৌলবাদীরা। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অন্তত ১৯টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তার মধ্যে ১৭টি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়। অর্থাৎ, এখন ১৭টি পরিবারের মাথার উপর ছাদ পর্যন্ত নেই। আগুন খবর পেয়ে দ্রুত বাড়ির দিকে চলে এসেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
ত্রিপুরাপাড়ায় কয়েক দশক ধরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বসবাস। পাঁচ বছর আগে তাঁদের একাংশকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়। সেটাও এক পুলিস অফিসারের জমি জবরদখল করে বসবাসের অভিযোগে। চার প্রজন্ম ধরে ত্রিপুরাপাড়ায় বসবাস করছেন টংঝিরির প্রধান পাইসাপ্রু। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে তৎকালীন পুলিস সুপার বেনজির আহমেদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে কিছু মানুষ আমাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছিল। স্ত্রীর নামে ওই এলাকা বেনজির আহমেদ লিজ নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তখন কিছু বাসিন্দা আতঙ্কে এলাকা ছাড়লেও পরে আশপাশে ঘর বানিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তারপর এবারের অগ্নিকাণ্ড।
মৌলবাদীদের লাগানো আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে গুঙ্গামানি ত্রিপুরার ঘর। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সবকিছু পুড়ে গিয়েছে। বাঁচাতে পারিনি কিছুই। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই।’ লামা থানার আইসি এনামুল হক বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারও আশ্বাস দিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও ইউনুসের আমলে কেউই নিরাপদ নন বলে তোপ শেখ হাসিনার দলের।
শুধু সংখ্যালঘুদের বসতি নয়, অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রেহাই পায়নি ঢাকার সচিবালয়ও। বুধবার গভীর রাতে, ১টা ৫২ মিনিট নাগাদ আচমকা আগুন লাগে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে। পুড়ে ছাই বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। রাতভর আগুন নেভানো যায়নি। উল্টে জলের পাইপ টানতে গিয়ে রাস্তায় বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক দমকলকর্মীর। অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জেল পালানো ৮২৬ জন জঙ্গির নথি এভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি। যদিও ইউনুস সরকার গোটা ঘটনায় দায়ী করেছে বিরোধী আওয়ামি লিগকেই। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার অভিযোগ, হাসিনা আমলের দুর্নীতির নথি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনায় নাশকতার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন। দমকল প্রধান জায়েদ কামাল জানিয়েছেন, মধ্যরাতে ভবনের তিনটি স্থানে একই সময়ে আগুন লাগানো হয়েছে।