পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
নবদ্বীপধাম বিদ্যাপীঠের সামনে থেকে ব্যাদড়াপাড়া গুমটি পর্যন্ত বাসিন্দারা উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। ব্যাদড়াপাড়া গুমটিতে মুদিখানার মালিক তারক দাস বলেন, আমার প্রায় ৪৫ বছরের পুরনো এই দোকান। এই দোকানের আয় থেকেই অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা এবং পরিবারের ১২ সদস্যের খাওয়াপরা চলে। প্রায় একবছর আগে প্রথম দফায় নবদ্বীপ ১৪ নম্বর স্পেশাল রেলগেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত উচ্ছেদ নোটিস দিয়ে দোকান তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ফের নবদ্বীপ বিবেকানন্দ স্টেডিয়াম পর্যন্ত দোকানগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেইসব ফাঁকা জমিতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। জায়গাগুলো একই অবস্থায় পড়ে আছে। রেলের পক্ষ থেকে তৃতীয়বার উচ্ছেদ নোটিস দেওয়া হয়েছে। রেল উন্নয়নের কাজ শুরু করলে আমরা নিজে থেকেই উঠে যাব। তবে আমরা এখন দোকান তুলব না। রেলের কাছে ডেপুটেশন দেব।
রেলের জায়গায় বসবাসকারী শিখা দাস, টুসী দেবনাথরা বলেন, ৪০-৪৫ বছর ধরে এখানে রয়েছি। আমাদের বাড়িগুলোতও রেল নোটিস দিয়েছিল। এক ঘণ্টা পরে এসে ওরাই আবার ছিঁড়ে দেয়। ওঁরা জানান, এখন দোকান উচ্ছেদ হবে, বাড়ি নয়। যত যাই হোক, রেল আধিকারিকদের আমাদের কথা ভাবতে হবে।
নবদ্বীপের রেলের এক আধিকারিক বলেন, কাজটা দেরি হচ্ছে তার কারণ এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের টেন্ডার ডাকা শুরু হয়েছে। তবে নতুন স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। রেলের জায়গা যারা দখল করে আছে তাদের তুলতে আমরা নোটিস দিয়েছি। এই মুহূর্তে আমরা দোকানগুলো তুলে ফেলার পরিকল্পনা করছি। বসত বাড়িতে যারা রয়েছেন তাঁদেরও উঠে যেতে হবে, তবে এখুনি নয়। উপরতলা থেকে যখন যেমন নির্দেশ আসবে আমরা তখন তেমন চলব। -নিজস্ব চিত্র