Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। অন্যদিকে, অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীও। তিনি একসময় সিভিল সার্ভিসে যুক্ত ছিলেন। তিনি সেই চাকরি ছেড়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, শুরু করেন নিজের ব্যবসাও এবং ফিরে আসেন একজন এমপি হিসেবে।  
আমি জানি, এস জয়শঙ্করের অর্থনীতিতে আগ্রহ আছে। হোয়ার্টন বিজনেস স্কুলের স্নাতক হিসেবে অশ্বিনী বৈষ্ণব অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন। তাঁরা উভয়েই ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সম্প্রতি এনডিটিভির তরফে অনুষ্ঠিত এক কনক্লেভে অর্থনৈতিক বিষয়ের উপর আলোচনায় তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন।
সংখ্যার আতঙ্ক
সেরা মনকে বিভ্রান্ত করার পক্ষে সংখ্যাই যথেষ্ট। প্রথমত, দেশের অর্থনীতির আকার নিয়ে গর্বিত এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ‘আজ, আমাদের অর্থনীতি ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের। সেখানে আমাদের বাণিজ্যের বহর ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের... এরপর যদি আপনি ভারতে বিদেশিদের বিনিয়োগের দিকে তাকান...।’ কিন্তু বাস্তবতা অনেকটাই আলাদা। আমরা এখনও ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি নই। আমাদের ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির ‘গোলপোস্ট’ বা লক্ষ্যবস্তু ঠিক করা আছে। সেখানে পৌঁছনোর জন্য এই ৪ ট্রিলিয়ন সংখ্যাটি অতিক্রম করতে নেমে আমরা রীতিমতো হাঁপাচ্ছি। আরও মজার ব্যাপার এই যে, অর্থমন্ত্রী এবং প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গোলপোস্টটিকে গত ছ’বছরে তিন-তিনবার সরিয়েছেন! বাণিজ্য প্রসঙ্গে জানাতে চাই, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষে আমাদের পণ্য রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৪৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ওই একই সময়ে ভারত আমদানি করেছিল ৬৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ গত অর্থবর্ষে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও (এফডিআই) কমে গিয়েছে! এফডিআইয়ের পরিমাণ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ছিল ৮৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ সালে তা কমে ৭০.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
‘আমাদের সুবিধা প্রদানের ক্ষমতা... খাদ্য এবং পুষ্টি সহায়তা’র প্রশংসা করেছেন এস জয়শঙ্কর। তিনি যদি বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য বণ্টনের কথা উল্লেখ করে থাকেন তবে আমি মনে করব যে সেটি ভয়াবহ দুর্দশা এবং শ্রমিকের কম মজুরির ইঙ্গিত, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। ‘কোভিডকালে ভ্যাকসিনের সবচেয়ে দক্ষ প্রস্তুতকারী এবং উদ্ভাবক’ হয়ে ওঠার জন্যও ভারতের প্রশংসা করেছেন তিনি। ভারতে আবিষ্কৃত একমাত্র ভ্যাকসিন হল কোভ্যাক্সিন। এটির এফেকটিভনেস বা কার্যকারিতা প্রায় ৮০ শতাংশ। তবে কোভিশিল্ড নামক অন্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিন্তু প্রায় ৯০ শতাংশ। এটি অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকা থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। মহামারীর সময় দেশে যে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ১৬০ কোটি ছিল কোভিশিল্ড।
মজবুত স্তম্ভ নয়
অশ্বিনী বৈষ্ণব যখন ভারতের ‘৬ থেকে ৮ শতাংশের একটি সুস্থায়ী বৃদ্ধির হার অর্জন’ সম্পর্কে তাঁর মতামত দিচ্ছিলেন, তখন তাঁকে অধিক উৎসাহী দেখাচ্ছিল। তিনি ‘চারটি স্তম্ভ’ চিহ্নিত করেছেন—মূলধন বিনিয়োগ (ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট), উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং), অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি (ইনক্লুসিভ গ্রোথ) এবং সরলীকরণ (সিমপ্লিফিকেশন)। যাই হোক, তথ্যের দিকে নজর করলে দেখতে পাব যে, ভারতের প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার গত ৬ বছরে গড়ে ৪.৯৯ শতাংশ। তবে তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কোভিড-যন্ত্রণার বছরগুলিও। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির তরফে মূলধনী ব্যয়ের চিত্রটি কেমন? ২০১৯-২০ সালে ছিল জিডিপির ৪.৭ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালে, অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় দফায় তা ৩.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। জিডিপির শতাংশ হিসেবে উৎপাদনেও ধাক্কা লেগেছে। ২০১৪ সালের ১৫.০৭ শতাংশ থেকে ২০১৯-এ তা নেমে এসেছিল ১৩.৪৬ শতাংশে। সেটা ১২.৮৪ শতাংশে নেমে এসেছে ২০২৩ সালে। ইনক্লুসিভ গ্রোথ একটি বিতর্কিত বিষয়। একটি ছোট নিবন্ধে তা প্রমাণিত কিংবা অপ্রমাণিত, কোনোটাই করা সম্ভব নয়। অতএব, এখানে এই প্রসঙ্গের মধ্যে আমি ঢুকছি না। আর সরলীকরণ? সেক্ষেত্রে এখন আরও বেশি নিয়ম ও বিধানের ঘটা! কথাটি বিশেষ করে আসে নিয়ন্ত্রণ আইন (রেগুলেটরি ল’) প্রসঙ্গে। তুলনায় একদশক আগে অবস্থাটি এমন ছিল না। যেকোনও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা কোম্পানি সেক্রেটারি বা আইন চর্চাকারীকে জিজ্ঞাসা করুন, তাঁরা আপনাকে জানাতে পারবেন—আয়কর, জিএসটি, কোম্পানি আইন, আরবিআই রেগুলেশনস, সেবি রেগুলেশনস প্রভৃতি ক্ষেত্রে কী ব্যাপক হারে নতুন নিয়ম ও বিধান যোগ করা হয়েছে এবং তার দরুন জটিলতা বেড়েছে কতটা। আপনি কি সম্প্রতি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কিংবা বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন অথবা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন? এসব ক্ষেত্রে স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয় সংখ্যা দেখে তো আমি থ!
বাস্তবটা জানুন
১৯৯১ সালে লিবারালাইজেশন বা উদারীকরণের পর থেকে আমাদের দেশের যে অগ্রগতি হয়েছে, তার জন্য এস জয়শঙ্কর এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবও সংগত কারণেই গর্বিত হতে পারেন। সেটি ছিল দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার উষাকাল। বিশেষ করে ১৯৯৭ (এশীয় আর্থিক সঙ্কট), ২০০৮ (আন্তর্জাতিক আর্থিক সঙ্কট), ২০১৬ (বিমুদ্রাকরণ) এবং ২০২০ (কোভিড) সালে কিছু বিপত্তি ছিল। তবুও, পূর্ববর্তী সরকারগুলির কাঁধে ভর দিয়ে পরবর্তী সরকারগুলি আরও কিছু সংযোজন করেছে মাত্র। কোনও সরকারকেই নোংরা স্লেট মুছে সাফসুতরো করে নিয়ে লেখা আরম্ভ করতে হয়নি—মোদি সরকার এই ‘সত্য’ আমাদের বিশ্বাস করাতে চায়। তাহলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কথাই ভাবা যাক। বিশাল ক্ষমতাসহ সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। ভ্যাকসিনসহ নানাবিধ ‘বায়োলজিক্যাল’ প্রস্তুতে বিস্তর অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছে সংস্থাটি। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার সুযোগ উপস্থিত হলে এই ভারতীয় সংস্থা অস্ট্রাজেনেকা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছে। আর এইভাবে হয়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির একটি। গালভরা ‘঩জেএএম’ বা ‘জ্যাম’ কথাটি ধরুন—জন ধন অ্যাকাউন্ট, আধার এবং মোবাইল—এই তিনটি জিনিসের ইংরেজি আদ্যক্ষর থেকে তৈরি অ্যাক্রোনিম (সংক্ষিপ্ত রূপ)। ‘নো-ফ্রিলস’ বা বাহুল্য খরচের বোঝা ছাড়াই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (‘জিরো ব্যালান্স’) বীজ বুনেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুই পূর্বতন গভর্নর। তাঁরা হলেন এস রঙ্গরাজন (১৯৯২-১৯৯৭) এবং বিমল জালান (১৯৯৭-২০০৩)। তাঁদের আমলে লক্ষ লক্ষ ‘নো-ফ্রিলস’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) গাইডেন্সে প্রথম আধার নম্বরটি দেওয়া হয় ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। আর মোবাইল বিপ্লব? সেটি শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে, ৩১ জুলাই প্রথম একটি কল চালু করার মধ্য দিয়ে।
আপনি যদি অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা 
জানতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই মন্ত্রীদের প্রশংসা শুনতে হবে (এসব আপনাকে আশান্বিত করে তুলবে)। তবে তার পাশে প্রতিমাসের আরবিআই বুলেটিনে অর্থনীতির অবস্থার উপর 
প্রকাশিত নিবন্ধটিও (‘স্টেট অফ দি ইকনমি’) পড়তে ভুলবেন না।  
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
16th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের বর্ষীয়ান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। চট্টগ্রামে জেলবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন রবীন্দ্র ঘোষ। বর্তমানে তিনি ছেলের বাড়িতে বারাকপুরে রয়েছেন। ...

রানাঘাট শহরে গড়ে উঠতে চলেছে ফিসক্যাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বা এফএসটিপি। শহরের জনস্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে এই সিদ্ধান্ত রানাঘাট পুরসভার। বাড়ি বাড়ি মল সংগ্রহ করে আর কেবল মাটিতে পুঁতে ফেলে দায় মুক্ত হওয়া নয়, বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ...

মালদহের গাজোলের পাণ্ডুয়া সার্কেলের ফুলবাড়ি সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর পর দু’দিন রান্না হল না মিড ডে মিল। ...

প্রায় ৮৭ হাজার দর্শক সকাল সকাল ভিড় জমিয়েছেন এমসিজ’র গ্যালারিতে। তাঁদের লক্ষ্য একটাই, চতুর্থ টেস্টে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ধন্ধুমার ক্রিকেটের উত্তেজনা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা। বক্সিং ডে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৭- উর্দু কবি মির্জা গালিবের জন্ম
১৮২২- জীবাণুতত্ত্ববিদ লুই পাস্তুরের জন্ম
১৮২৫- ইংল্যান্ডে তৈরি স্টিম ইঞ্জিন রেলপথে চলাচল শুরু করে
১৮৩১ - চার্লস ডারউইন বিশ্ব পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করেন
১৮৭১- প্রথম বিড়াল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়
১৯১১- "জন গণ মন", ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা সেশন মধ্যে গাওয়া হয়
১৯১৫- শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৩০ -  শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী মালবিকা কাননের জন্ম
১৯৩২ – গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৫- বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৫- অভিনেতা সলমন খানের জন্ম
১৯৭৫- চাসনালা খনি দুর্ঘটনায় মৃত ৩৭২ শ্রমিক
১৯৮৮ - রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একাদশ অধ্যক্ষ স্বামী গম্ভীরানন্দের প্রয়াণ
১৯৯২ – কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী,সুরকার তথা সঙ্গীত নির্দেশক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের মৃত্যু
২০০৭- পাকিস্তানের একাদশ প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যু
২০১০ - থিয়েটার অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৪৩ টাকা ৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৭ টাকা ১০৮.৯১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। সূর্যোদয় ৬/১৯/৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৬ গতে ৯/৫৭ মধ্যে।
১১ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১/৩৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/০ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
২৪ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কাটোয়ায় বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ডাকাতি, চাঞ্চল্য

11:35:00 PM

দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

10:50:00 PM

দিল্লিতে ঠান্ডায় রাতে নাইট শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন

10:18:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবালে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত

10:08:00 PM

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪.০

09:49:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, মহামেডান বনাম ওড়িশা

09:37:00 PM