Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না।
২) ভিসেরা সংরক্ষণে গলদ। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানোর পরও কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে উল্লেখ করার মতো কিছু পেল না সিবিআই।
৩) সেমিনার হল ঘটনাস্থল নাও হতে পারে। আর জি কর হাসপাতালের অন্য তলেও তদন্ত চলল। নিশ্চিত কি হল সিবিআই? চার্জশিট বা আদালতে ফরওয়ার্ডিংয়ে তার পাকাপোক্ত উল্লেখ মিলল না।
৪) পর্যাপ্ত নথি ও ফুটেজ দেয়নি কলকাতা পুলিস। নিম্ন আদালতে সিবিআই খোদ জানিয়েছিল, সব ক্যামেরা মিলিয়ে মোট ৯০০ ঘণ্টার ফুটেজ। খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে। 
৫) ঘটনাস্থলে সঞ্জয় একা ছিল না। সত্যিই যদি একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ-খুনের সময় থেকে থাকে, তারা কোথায়? শতাধিক জেরা-জিজ্ঞাসাবাদের পরও তাদের খোঁজ মিলল না! এই ‘একাধিক’ লোকজন নিশ্চয়ই বাইরের লোক নয়। তাহলে কোনও না কোনও ক্যামেরায় ধরা পড়ত। সেক্ষেত্রে কি হাসপাতালের লোক? কারা তারা? চার্জশিটে নেই। 
৬) বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাট। অভয়া কাণ্ডে তদন্তে নামার পর এটাই ছিল সিবিআইয়ের অভিমুখ। সেই কারণে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়কে হেফাজতে নিলেও আসল ঝোঁক তাদের ছিল হাসপাতালের প্রশাসনমুখী। থুড়ি, সন্দীপ ঘোষ-মুখী। এবং সেইসঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই দু’জনেই নাকি পুরো ষড়যন্ত্রের রচয়িতা। দীর্ঘ ফোনালাপ করেছেন তাঁরা নিজেদের মধ্যে। আর আর জি কর হাসপাতালের অধিকর্তা ঘোষবাবুর কথামতোই নাকি তথ্য-প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারও করে সিবিআই। কিন্তু ৯০ দিন পরও চার্জশিট জমা হল না এই দুই ‘অপরাধী’র বিরুদ্ধে। গোলমেলে ফোনালাপের যে তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছিল, তার পক্ষে কোনও প্রমাণও দাখিল হয়নি। তাহলে কোন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এই দুই সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল? এতদিন তাঁদের হেফাজতে রেখে এবং জেরা চালিয়ে কী মিলল? প্রমাণ হাতে থাকলে চার্জশিট পেশ হল না কেন?
আর জি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুন নিয়ে সাড়ে চার মাস যাবৎ এতরকম সমীকরণ সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবং সবশেষে বিষয়টা হয়ে দাঁড়িয়েছে আনকোরা উপন্যাসের প্লট। প্রচুর চরিত্র আমদানি হয়েছে। কিন্তু শেষে গিয়ে আর মেলানো যাচ্ছে না। পাঠক তো দূরঅস্ত, খেই হারিয়ে ফেলেছেন লেখকই। কলকাতা পুলিস মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এই মামলার যে ফয়সালা করেছিল... হিল্লি-দিল্লি, নিম্ন-উচ্চ, চক্রান্ত-রহস্যের পর ওই গন্তব্যেই থামতে হচ্ছে সিবিআইকে। সঙ্গে রসদ মিলছে একঝাঁক প্রশ্নের। এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই কি না সুপ্রিম কোর্টে জমা করা স্টেটাস রিপোর্টে এমন কিছু দাবি করেছিল, যাতে ‘বিচলিত’ হয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়! আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তদন্ত সংক্রান্ত কিছু বলতে গেলে থামিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘তদন্তের অত্যন্ত স্পর্শকাতর কোনও বিষয় জনসমক্ষে বলবেন না।’ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবিতে তাঁর আরও মন্তব্য ছিল, ‘জেনেবুঝে বলছেন তো? যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে ফল ভয়াবহ।’
সেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই আপাতত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের নির্দেশে লাট খাচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার চলছে অভয়া মামলার। চার্জ গঠনের পর শুনানি, তারপর রায় ঘোষণা। ইঙ্গিত যা মিলছে, এই মামলায় রায় ঘোষণা করতে বেশি সময় নেবেন না বিচারক। হতে পারে ২৫ ডিসেম্বরের ছুটির আগেই। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে সঞ্জয় ছাড়া আর কেউ আদালতের সামনে নেই। তার বিরুদ্ধে কষে তথ্য-প্রমাণ গোছানো হয়েছে। তাতেও অবশ্য সিবিআইয়ের কৃতিত্ব আদৌ আছে কি না, প্রশ্ন ওঠাটা অমূলক নয়। এই কাজটাও কলকাতা পুলিস করে রেখেছিল। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ যা আছে, তাতে তার সাজা হওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিত। কলকাতা পুলিসের সঙ্গে এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের দাখিল করা নথির ফারাক কোথায়? পুলিস দাবি করেছিল, ধর্ষণ-খুন সঞ্জয় করেছে। সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে সঞ্জয়ের ধর্ষণের অপরাধ নিয়ে ফাঁক রাখা হয়নি। কিন্তু খুনের ক্ষেত্রে অতটা নিশ্চয়তা দেখায়নি তারা। এক্ষেত্রে দু’টি পথ রয়েছে। প্রথমত, ধর্ষণ এবং খুন—দুই অপরাধেই সাজা হতে পারে সঞ্জয়ের। দ্বিতীয়ত, খুনের ব্যাপারে সাজা ঘোষণা ঝুলে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সিবিআই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এই সাফাই অবশ্য কেন্দ্রীয় অফিসাররাও দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে ডিজিটাল এভিডেন্স সংক্রান্ত প্রমাণ হাতে আসতে দেরি হয়েছে। তারপর আর চার্জশিট তৈরির সময় ছিল না। এতেই ৯০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কী সেই প্রমাণ? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে অভিজিৎ মণ্ডলের কথোপকথন। ডিলিট করে দেওয়া কল রেকর্ডিং উদ্ধার হয়েছে। তার থেকেই নাকি অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। ভাবনার বিষয় হল, এরপরও কিন্তু সিবিআইয়ের অন্দরমহল থেকে শোনা যাচ্ছে, অভিজিতের বিরুদ্ধে কেস দাঁড়াবে না। এখানে কি প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় যে, ফোনালাপের রেকর্ডিং থেকে তেমন কিছু পায়নি সিবিআই? এখানে একটা ছোট্ট তথ্য দিয়ে রাখা দরকার। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। আর অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের এবং এফআইআরে দেরির। টালা থানার প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে এই দুটোই প্রমাণ করে উঠতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর সন্দীপ ঘোষ? ষড়যন্ত্র মানে কিন্তু ঘটনার পরের অঙ্ক নয়। পুরোটাই আগের। সেটা প্রমাণ করার মতো নথিও সিবিআইয়ের কাছে আছে তো? নাকি গোটা ব্যাপারটাই সেনসেশন?
গত সাড়ে চার মাসে দেশের কোনও রাজ্যে ধর্ষণ বা খুনের মতো অপরাধ বন্ধ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আইন বদলে ধর্ষণে ফাঁসির সাজা রেকমেন্ড করেনি। সিবিআইয়ের হাতে থাকা ৭ হাজার মামলায় কারও শাস্তি হয়নি। হয়েছে বলতে শুধু রাজ্য-রাজনীতি এবং মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন। দ্বিতীয়টা পাওনা হলেও প্রথমটা নয়। কারণ, রাজপথের রাজনীতি কখনও রাষ্ট্রের উন্নতির পক্ষে ইতিবাচক নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরুটির সমস্যা দেখা দেয়, গরিব মানুষ চিকিৎসা পায় না, ব্যবসায়ীরা লগ্নি করতে চায় না...। সরকারের বিরুদ্ধে যদি ক্ষোভ থাকে এবং এই আন্দোলনে সরকারকে ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে এমন রাজনীতির সারবত্তা বলে কিছু পাওয়া যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেটাও হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় যে এতটুকু ফাটল ধরেনি, পরবর্তী ভোটগুলিতেই তার প্রমাণ মিলেছে। তার মানে এই আন্দোলন সর্বাত্মক ছিল না! সাধারণ মানুষ একটা বিষয় বুঝেছে, তাদের মতো এই ভদ্রমহিলাও অভয়া খুনের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন। কাজেকর্মে তার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। তাহলে সাধারণ মানুষকে সামনে রেখে শুরু হওয়া আন্দোলনে রাজনীতির ইন্ধন পড়েছে বললে কি খুব ভুল হবে? সিবিআইয়ের দাবি, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আসবে। দুটো কেসেই যেহেতু সাক্ষী এক, একসঙ্গে পেশ করলে বিচারে সমস্যা হতে পারে। তাই দেরি। এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখানে তো আর লজেন্স বিলি হচ্ছে না যে, লাইন বেঁধে দাঁড়াতে হবে! আগে সঞ্জয় পেলে তারপর সন্দীপের নম্বর আসবে! মানুষ বিচার চায়। রাজনীতি নয়। ঢিলেমিও নয়। তদন্তকারী অফিসাররা হয়তো ভাবছেন, আগে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা হয়ে যাক। তাতে জনতার রোষে খানিক প্রলেপ পড়বে। রাজ্যের একের পর এক অপরাধের ঘটনায় যেভাবে পুলিস দু’মাসের মধ্যে কেস ক্লোজ করে দিচ্ছে এবং দোষীদের সাজা হয়ে যাচ্ছে, তা সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে শুধু সঞ্জয়। সন্দীপদের জন্য তো সময় রয়েইছে। 
পাবলিক সেটা বুঝবে না। সিবিআইয়ের উপর ভরসা তারা করে বলেই নানা ক্ষেত্রে তাদের তদন্তভার দেওয়ার জন্য সওয়াল ওঠে। কিন্তু সেই ভরসার মর্যাদা কি এই তদন্তকারী সংস্থা রাখতে পারে? আদালত এখনও তাদের স্পষ্ট ভাষায় তুলোধোনা করে। বলে, আর কতদিন রাজনীতির বোড়ে হয়ে থাকবেন? সরকারের তোতাপাখি হয়ে থাকাটা তাদের কাজ নয়। রাজনীতি যতদিন তদন্তকে প্রভাবিত করবে, বাড়বে মামলার তালিকা। দীর্ঘ হবে বিচারের অপেক্ষা। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে এসেছে ২ হাজার ১৮৮টি কেস। প্রচারের আলোয় আসা ছাড়া বাড়তি কিছু করে উঠতে পারেনি তারা। আর তাদের হাতে থাকা কতগুলো হাইপ্রোফাইল মামলায় গত ২০ বছরে সাজা হয়েছে, সেটা তো শিশুও গুনে বের করে ফেলতে পারবে। 
আর জি কর কাণ্ড আরও একবার দেখাল, সিবিআইয়ের নামে গদগদ হওয়ার মতো কিছু নেই। তারা যে সর্বত্র নিরপেক্ষ তদন্ত করে না, দেশের 
শীর্ষ আদালতও তা বারবার বলেছে। আমরাই শুধু এখনও আশা করি, তারা ন্যায়বিচার দেবে। 
ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘সিবিআই তো কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন হয়ে গিয়েছে।’ আজ তিনি সিবিআইকে নিয়ে কী বলবেন? এখন তো সঙ্গে জুড়েছে ইডিও। অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। দুই এজেন্সি মিলে রাজনীতির ময়দানে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের কোমর ভেঙে দেওয়ার এক গোদা খেলা চলছে দেশজুড়ে। সাজা কিন্তু হচ্ছে না! দিনের শেষে পুরোটাই একটা সাজানো চিত্রনাট্য বলে ধন্দ লাগছে। 
আসলে ক্ষমতার কুর্সিতে বসলে শাসক ভুলে যায় যে, বিরোধী সব সময় সরকারের আয়না হয়। ‘অ্যাপল’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক মুহূর্তে একটা ডট বা বিন্দু তৈরি করে চলেছি। বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ—অগুনতি বিন্দু তৈরি হচ্ছে আমাদের পদক্ষেপে। কিন্তু সেই বিন্দুগুলি কী ছবি তৈরি করছে, তা আমাদের নজরে আসছে না। একমাত্র যদি আমরা অতীতের দিকে পিছন ফিরে তাকাই, তখনই চোখে পড়বে ছবিটা। আমরা বুঝব, সেটা গঠনমূলক হল কি না।’ বিরোধীরা কিন্তু ওই কাজটাই করে। শাসককে প্রকৃত ছবিটা দেখায়। শাসক যদি তার থেকে শিক্ষা নেয়, উন্নতি দেশের। না হলে সবটাই গ্রাস করবে অজ্ঞতা। আর হ্যাঁ, অপদার্থতাও। 
17th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
মালদহের গাজোলের পাণ্ডুয়া সার্কেলের ফুলবাড়ি সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর পর দু’দিন রান্না হল না মিড ডে মিল। ...

বাংলার বাড়ি নিয়ে আগেই জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। যদি কোনও ব্যক্তি উপভোক্তাদের থেকে টাকা চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে একেবারে এফআইআর দায়ের করে কড়া আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। ...

বাংলাদেশের বর্ষীয়ান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। চট্টগ্রামে জেলবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন রবীন্দ্র ঘোষ। বর্তমানে তিনি ছেলের বাড়িতে বারাকপুরে রয়েছেন। ...

প্রায় ৮৭ হাজার দর্শক সকাল সকাল ভিড় জমিয়েছেন এমসিজ’র গ্যালারিতে। তাঁদের লক্ষ্য একটাই, চতুর্থ টেস্টে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ধন্ধুমার ক্রিকেটের উত্তেজনা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা। বক্সিং ডে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৭- উর্দু কবি মির্জা গালিবের জন্ম
১৮২২- জীবাণুতত্ত্ববিদ লুই পাস্তুরের জন্ম
১৮২৫- ইংল্যান্ডে তৈরি স্টিম ইঞ্জিন রেলপথে চলাচল শুরু করে
১৮৩১ - চার্লস ডারউইন বিশ্ব পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করেন
১৮৭১- প্রথম বিড়াল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়
১৯১১- "জন গণ মন", ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা সেশন মধ্যে গাওয়া হয়
১৯১৫- শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৩০ -  শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী মালবিকা কাননের জন্ম
১৯৩২ – গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৫- বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৫- অভিনেতা সলমন খানের জন্ম
১৯৭৫- চাসনালা খনি দুর্ঘটনায় মৃত ৩৭২ শ্রমিক
১৯৮৮ - রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একাদশ অধ্যক্ষ স্বামী গম্ভীরানন্দের প্রয়াণ
১৯৯২ – কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী,সুরকার তথা সঙ্গীত নির্দেশক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের মৃত্যু
২০০৭- পাকিস্তানের একাদশ প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যু
২০১০ - থিয়েটার অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৪৩ টাকা ৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৭ টাকা ১০৮.৯১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। সূর্যোদয় ৬/১৯/৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৬ গতে ৯/৫৭ মধ্যে।
১১ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১/৩৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/০ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
২৪ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কাটোয়ায় বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ডাকাতি, চাঞ্চল্য

11:35:00 PM

দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

10:50:00 PM

দিল্লিতে ঠান্ডায় রাতে নাইট শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন

10:18:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবালে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত

10:08:00 PM

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪.০

09:49:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, মহামেডান বনাম ওড়িশা

09:37:00 PM