Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও। 
কালীপ্রসন্ন সিংহ তাঁর হুতোম প্যাঁচার নকশায় ‘কলিকাতার বারোইয়ারি পূজা’র রংদার বিবরণ দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, সেইসময় কেবল পূজা হতো না, আমোদ-আহ্লাদের নানা আয়োজন থাকত। শুধু যে কলকাতায় বারোয়ারিতলা জমে উঠত তা নয়, কলকাতার বাইরেও কলকাতার দেখাদেখি নানা আয়োজন। হুতোম উবাচ: চুঁচড়োর মত বারোইয়ারি পুজো আর কোথাও হইত না। ‘আচাভো’ ‘বোম্বাচাক’ প্রভৃতি সং প্রস্তুত হইত। ‘সহরের ও নানা স্থানের বাবুরা’ ‘বোট’, ‘বজরা’, ‘পিনেস’ ভাড়া করিয়া সং দেখিতে যাইতেন। গুপ্তিপাড়া, কাচড়াপাড়া, শান্তিপুর, উলো— কলিকাতার নিকটবর্তী এইসকল জায়গাতেও বিশেষ আমোদ জমিত। শান্তিপুরওয়ালারা পাঁচলক্ষ টাকা খরচ করিয়া এক বারোইয়ারি পূজা করেন। সাত বৎসর ধরিয়া সে পূজার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছিল। ষাট হাত উঁচু প্রতিমা, বিসর্জনের দিন ‘পুতুল’ কাটিয়া কাটিয়া জলে নিরঞ্জন করিতে হইল। তাহাতে গুপ্তিপাড়াওয়ালারা মাতার অপঘাত মৃত্যু উপলক্ষে গণেশের গলায় কাছা বাঁধিয়া পূজা বসাইয়াছিলেন— তাহাতেও বিস্তর খরচ হইল। খরচের উত্তর খরচ। হুজুগের উত্তর হুজুগ। এ বলিতেছে আমায় দেখ, ও বলিতেছে আমিই বা কম কী! কলিকাতায় পূজা ঘিরিয়া বাবুতে বাবুতে ঠোকাঠুকি, মোসাহেবদের পারস্পরিক তরজার শেষ নাই। শরৎকালের শহর যেন উল্লাসে টগবগ করিয়া ফুটিতেছে। এক বাবু উঠিতেছেন আর এক বাবু পড়িতেছেন...
প্রাকৃতিক দুর্যোগও বার বার হানা দিয়েছে এই সময়ে। কলকাতার ইতিহাসের সব থেকে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে দু’টি বিধ্বংসী ঝড় (১৭৩৭ ও ১৮৬৪ সালে) এসেছিল এই আশ্বিনেই। ১৮৬৪-র সেই আশ্বিনের ঝড় আসে দেবীপক্ষের পঞ্চমীর দিন সকাল দশটায়, চলে বেলা তিনটে পর্যন্ত। সেই ঝড়বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি আজও মাইলফলক হয়ে আছে। পুজোর আয়োজন প্রভাবিত হলেও, শোভাবাজারের দেব বাড়ি বা বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বাড়ির মতো প্রাক্‌-বারোয়ারি যুগে বনেদি বাড়ির পুজো সে বার নিয়ম মেনেই হয়েছিল। আঠেরো-উনিশ শতকের বাংলায় বারংবার ফসলহানি, সেই সঙ্গে দেশে আকাল ও দুর্ভিক্ষ হলেও কলকাতায় অকালবোধন কিন্তু স্তব্ধ হয়ে যায়নি। উনিশ শতকের মাঝামাঝি বাবু ভোলানাথ চন্দ্র তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ‘ট্রাভেল অব আ হিন্দু টু ভেরিয়াস পার্টস অব বেঙ্গল অ্যান্ড আপার ইন্ডিয়া’ বইতে (১৮৬৯) জানাচ্ছেন, ১৮৬৬-র দুর্ভিক্ষের বছরে কলকাতায় দুর্গাপুজোর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছিল, কিন্তু তাতেও প্রায় হাজারখানেক বাড়িতে জ্বলে উঠেছিল সন্ধিপুজোর প্রদীপ। আকালের বছরগুলিতে পুজোর অঙ্গ হিসেবে জোর দেওয়া হয়েছিল ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রনারায়ণ সেবার মতো আয়োজনেও।
একসময় এই পুজোর সমারোহ নিয়েও আপত্তি উঠেছিল। আপত্তি তুলেছিলেন সেই নব্য শিক্ষিতরা। যাঁরা একেশ্বরবাদী, মূর্তিপূজা-বিরোধী, ব্রহ্মের উপাসক। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন: এক সময় তিনি রামমোহনকে দুর্গাপুজোর উৎসবে নিমন্ত্রণ করতে যেতেন। ‘রামমণি ঠাকুরের নিবেদন, তিন দিন আপনার প্রতিমা দর্শনের নিমন্ত্রণ।’ রামমোহন সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন না। উল্টে দেবেন্দ্রনাথকে বুঝিয়ে ছাড়লেন, ঈশ্বর কায়াহীন, শারীরিক অস্তিত্বহীন এক অনুভব। ঈশ্বরীয় ভাবনা দৈহিক নয়, চৈত্তিক। প্রতিমার বোধন সংক্রান্ত লোকাচারে নয়, চৈত্তিক উদ্বোধনে ঈশ্বরীয় বোধের দীপন। এই কথাটা বুঝে ফেলার পরিণামে দেবেন্দ্রনাথের মনোলোকে ওলটপালট। তিনি তাই আত্মজীবনীতে লিখলেন, ‘যখনই আমি বুঝিলাম যে ঈশ্বরের শরীর নাই, তাঁহার প্রতিমা নাই, তখন হইতে আমার পৌত্তলিকতার উপর ভারি বিদ্বেষ জন্মিল।’ দেবেন্দ্রনাথ ও তাঁর ভাইরা দলবেঁধে শপথ নিলেন, ‘পূজার সময়ে আমরা পূজার দালানে কেহই যাইব না, যদি কেহ যাই, তবে প্রতিমাকে প্রণাম করিব না।’ আপত্তি কেবল দার্শনিকতার মধ্যে আবদ্ধ রইল না। পুজো পালন পদ্ধতির মধ্যে যে সমারোহের ও অপব্যয়ের বাহুল্য রয়েছে তার বিরুদ্ধেও দেবেন্দ্রনাথ সরব হয়েছিলেন। ব্রাহ্মধর্মাবলম্বীরা অবশ্য তাঁদের শীলিত বৌদ্ধিক ধর্মের আন্দোলনে জনসাধারণকে বিপুল পরিমাণে আকর্ষণ করতে পারেননি, তবে তাঁদের এই প্রশ্নশীলতা দেবী দুর্গার অপর এক রূপ নির্মাণ করেছিল। তা বারোয়ারি হুজুগ নয়, বৌদ্ধিক ও দার্শনিক। এই বোধ প্রজন্মান্তরে রবীন্দ্রনাথে সংক্রমিত।
কিন্তু সেই রবীন্দ্রনাথও ভেসে গিয়েছিলেন শারদীয় আলোর বেণুর সুরে। ভুবন যখন মেতে ওঠে দুর্গাপুজোর অবকাশে তখন তাঁর পুতুল পুজোর বিরোধিতা কেমন যেন মাতাল হয়ে নিজেকেই খুইয়ে ফেলে। ২২ অক্টোবর, ১৯০৩ (১৩১০ বঙ্গাব্দের ৬ কার্তিক)-এ লেখা একটা চিঠিতে কাদম্বিনী দেবীর কাছে মনের আগল হাট করে খুলে দেন কবি। 
লেখেন, ‘সাকার নিরাকার একটা কথার কথা মাত্র। ঈশ্বর সাকার এবং নিরাকার দুই-ই। শুধু ঈশ্বর কেন আমরা প্রত্যেকেই সাকারও বটে নিরাকারও বটে। আমি এ সকল মতামত লইয়া বাদ-বিবাদ করিতে চাই না। তাহাকে রূপে এবং ভাবে, আকারে এবং নিরাকারে কর্মে এবং প্রেমে সকল রকমেই ভজনা করিতে হইবে। আকার তো আমাদের রচনা নহে, আকার তো তাঁহারই।’
সমাজমনস্ক সৃজনকার হিসেবে কবি বাঙালির প্রাণের দেবীকে তাঁর রচনার বৃত্ত থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেও পারেননি। দুর্গাপুজো তাই রবীন্দ্র রচনাসম্ভারে আপন আসন খুঁজে নিয়েছে। ‘সংসারে প্রতিদিন আমরা যে সত্যকে স্বার্থের বিক্ষিপ্ততায় ভুলিয়া থাকি উৎসবের বিশেষ দিনে সেই অখণ্ড সত্যকে স্বীকার করিবার দিন— এই জন্য উৎসবের মধ্যে মিলন চাই। একলার উৎসব হইলে চলে না।’ এই অনুভব রবীন্দ্রনাথেরই।
রবীন্দ্রনাথ কোনও ভাবেই নিজের রচনায় দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ উপস্থাপন থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি। ছড়া থেকে গানে, কবিতায় গল্পে এবং উপন্যাসে, সৃজনের যাবতীয় বিভঙ্গে দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন, তুলে ধরেছেন, গেঁথে দিয়েছেন। কারণ, সমাজমনস্ক এই স্রষ্টা জানতেন, দুর্গাপুজো বাদ দিলে বঙ্গজীবনচর্যা কীটদষ্ট অসম্পূর্ণতায় আক্রান্ত হয়। নৈকষ্য বাঙালিয়ানা অধরা থেকে যায়। ফলে, রবীন্দ্রনাথের ছড়ায় কবিতায়, গানে, গল্পে, উপন্যাসে নানাভাবে বিচিত্র বিভঙ্গে দুর্গাপুজো প্রসঙ্গ চলকে চলকে উঠেছে। কবি যখন লেখেন, ‘আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি/ পূজার সময় এল কাছে।/ মধু বিধু দুইভাই ছুটাছুটি করে তাই আনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।’ তখন পুজোর সাজের আনন্দ-বেদনা সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠে। আবার যখন তিনিই লেখেন, ‘আনন্দময়ীর আগমনে, / আনন্দে গিয়েছে দেশ ছেয়ে।/ হেরো ওই ধনীর দুয়ারে। দাঁড়াইয়া কাঙালিনী মেয়ে।’ তখন টের পাওয়া যায় রবিকবি আসলে ছন্দোবদ্ধ মাধুরী ঢেলে একটা গল্প লিখতে চাইছেন। সেটা সুখ-দুঃখের গল্প, আনন্দ-বেদনার গল্প, হাসি-কান্নার হিরে পান্না দিয়ে সাজানো এক শূন্যমনা কাঙালিনী মেয়ের গল্প। ‘আগমনী’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ অনবদ্য ভঙ্গিতে ফুটিয়ে তুলেছেন বাঙালির ঘরের মেয়ে উমার পিত্রালয়ে প্রত্যাবর্তনের সংবাদ। ‘আজ মেনকার আদরিণী উমা/ আসিবে 
বরষ-পরে।/ তাইতে আজিকে হরষের ধ্বনি/ উঠিয়াছে ঘরে-ঘরে।’
৫ অক্টোবর, ১৮৯৪। বাংলায় তখন শারদীয় আনন্দ উৎসবের প্রহর আসন্ন। চতুর্থী কিংবা পঞ্চমী তিথিতে রবীন্দ্রনাথ ভাইঝি ইন্দিরা দেবীকে একটা চিঠিতে লেখেন, ‘কাল দুর্গাপুজো আরম্ভ হবে, আজ তার সুন্দর সূচনা হয়েছে। ঘরে ঘরে সমস্ত লোকের মনে যখন একটা আনন্দ হিল্লোল প্রবাহিত হচ্ছে, তখন তাদের সঙ্গে সামাজিক বিচ্ছেদ থাকা সত্ত্বেও সে আনন্দ মনকে স্পর্শ করে।’ অর্থাৎ, ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী, নিরাকারবাদী, একেশ্বরের উপাসক রবীন্দ্রনাথও সনাতন হিন্দুধর্মের প্রাণঢালা উৎসবে নিজেকে বিযুক্ত রাখতে পারেননি। বাঙালির প্রাণের উৎসব তাঁর প্রাণেও ঢেউ তোলে। ‘যিনি নানা স্থান হইতে আমাদের সকলকে একের দিকে আকর্ষণ করিতেছেন, যাঁহার সম্মুখে, যাঁহার দক্ষিণকরতলচ্ছায়ায় আমরা সকলে মুখামুখি করিয়া বসিয়া আছি, তিনি নীরস সত্য নহেন, তিনি প্রেম। এই প্রেমেরই উৎসবের দেবতা— মিলনই তাঁহার সজীব সচেতন মন্দির।’ এই স্বকীয় উপলব্ধিও রবীন্দ্রনাথেরই।
১৮ মার্চ, ১৯১২-তে কাদম্বিনী দেবীকে লেখা পত্রে আরও অকপট রবীন্দ্র-ভাবনা। ‘প্রতিমা সম্বন্ধে আমার মনে কোনও বিরুদ্ধতা নেই। অর্থাৎ যদি কোনও বিশেষ মূর্তির মধ্যেই ঈশ্বরের আবির্ভাবকে বিশেষ সত্য বলে না মনে করা যায় তাহলেই কোনও মুশকিল থাকে না। তাকে বিশেষ কোনও একটি চিহ্নদ্বারা নিজের মনে স্থির করে নিয়ে রাখলে কোনও দোষ আছে, একথা আমি মনে করি না। কিন্তু এ সম্বন্ধে কোনও মূঢ়তাকে পোষণ করলেই তার বিপদ আছে।’
আসলে দেবী দুর্গাকে ঘিরে নানা ভাবের উত্থানপতন একালেও প্রতীয়মান। তবুও আনন্দময়ীর আবাহন মন্ত্রকেই অস্ত্র করে লড়তে প্রস্তুত তিলোত্তমা-সহ গোটা বাংলা। ঠিক যেভাবে কয়েক শতক ধরে সে দুর্গাপূজা থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সংগ্রামের রসদ জোগাড় করে এসেছে। এ বাংলা আজ মৃন্ময়ীর মধ্যে চিন্ময়ীকে কল্পনা করে। বাঙালির দুর্গাপুজো আজ নানা রূপ ও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে শুধু ধর্মের বিষয় না থেকে তার সমাজ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই উৎসব আজ সমারোহ আর শিল্পকলা মিলিয়েছে। উৎসবকে ঘিরে বহু মানুষ উপার্জনের উপায় খুঁজে পেয়েছেন। কোনও দুঃসময়ই বাধ সাধে না দুর্গোৎসবের উদ্দীপনায়। আশ্বিনের শারদপ্রাতে আকাশে যখন সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় তখন বাঙালির হৃদয় জুড়ে উৎসবের অনুরণন জাগবেই। কোনও রাজনীতি, প্রতিবাদ, স্লোগান তাকে আটকাতে পারে না!  কারণ, বাঙালির দুর্গাপূজা বিভেদ করতে শেখায় না। বাঙালির দুর্গা আনন্দদায়িনী, বিরোধকামিনী নন।
কবি উপলব্ধি করেছিলেন, ‘একদিকে সত্য, অন্যদিকে আনন্দ, মাঝখানে মঙ্গল। তাই এই মঙ্গলের মধ্য দিয়েই আমাদের আনন্দলোকে যেতে হয়।’ দুর্গাপুজোয় সমাজমঙ্গলের মধ্য দিয়েই উৎসবের আঙিনা থেকে আনন্দলোকে গমন। বাংলার দুর্গাপূজা আজ ধর্মকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া একটি উৎসব উত্তীর্ণ হয়েছে প্রকৃত সর্বজনীনতায়— যে আনন্দযজ্ঞে সবার নিমন্ত্রণ। সবাইকে শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
10th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
ময়নাগুড়িতে এ বছর কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা সব থেকে বেশি। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগরের ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি করে দোকানিরাও খুশি। অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা ...

একটি ফার্মের ট্যাঙ্ক সাফাই করতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল পাঁচ শ্রমিকের। গুজরাতের কচ্ছ জেলায় মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কচ্ছ (পূর্ব) জেলার পুলিস সুপার সাগর পারমার বলেন, কৃষিজাত পণ্যের ওই কারখানায় বুধবার ভোররাত ১টা নাগাদ ওই পাঁচ ...

উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM