Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, যাক, এবার আমাদের হাতে একটা অস্ত্র এল। সরকার পাশে দাঁড়াল। আইন সঙ্গ দিল। কিন্তু তাঁদের অনেকেই জানতে পারেননি, এ ছিল এক দীর্ঘ লড়াই। তাঁদেরই মতো এক যুবতীর। ছ’বছর বয়সে বিয়ে হয়ে আসা, চার সন্তানের মা, সরকারি প্রকল্পে কাজ করা দিনমজুর এবং সমাজের অবক্ষয় নিয়ে সরব হওয়া এক নারী। ভাঁওয়ারি দেবী। রাজস্থানের ছোট্ট এক গ্রামের বধূ। শিশু বয়সে বিয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। ‘নিচু জাতে’র হয়েও গুজ্জর পরিবারের মাত্র ন’মাসের মেয়ের বিয়ে আটকে দিয়েছিলেন তিনি। ফল ভোগ করতে হয়েছিল তাঁকেই। মাঠে কাজ করার সময় পাঁচজন গণধর্ষণ করেছিল ভাঁওয়ারি দেবীকে। তারপর? পুলিস এফআইআর নেয়নি। হাসপাতাল স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেনি। যতক্ষণে জয়পুরের হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার সুযোগ মিলল, ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করেও লাভ হল না। নিম্ন আদালতে মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। কোর্ট বলেছিলে, স্বামী গণধর্ষণ দেখেনি। তথ্য-প্রমাণও নেই। উপরন্তু মহিলা একইসঙ্গে কাকা এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমাদের দেশের সংস্কার এমন নয়। ভাইপোর সামনে কাকা কখনও ধর্ষণ করতে পারে না। একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন ভাঁওয়ারি দেবী। মায়ের সৎকারেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু লড়াই থামাননি। আরও উঁচু আদালতে। আর সমাজেও। তারই ফল ছিল বিশাখা গাইলডাইন। সমাজের নানা স্তরে বাল্যবিবাহ আর মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রচার। সাহসিকতার জন্য পরবর্তীকালে সরকারি পুরস্কারও। ভাঁওয়ারি দেবী জানতেন, নিজের জন্য লড়ছেন না তিনি। তাঁর লড়াই সিস্টেম, সামাজিক অশিক্ষা এবং অশুভের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে তাঁকে জিততেই হবে। 
আজ? আমাদের চিন্তা শুধু স্বার্থের জালে নিজেদের আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলা। সবার প্রশ্ন তো একটাই—দিনের শেষে কী পাব? জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, ধ্যানযোগ বা কর্মযোগ নয়। একমাত্র প্রাপ্তিযোগ। আগে ওই হিসেবটা করে নিতে হবে। প্রথমেই অবশ্য আসল দাবিটা জানানো যাবে না। একটা মুখোশ সে জন্য সব সময় রেডি রাখতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থ জাতীয় কিছু আর কী। যা দেখে স্বার্থপর দুনিয়ার বিবেক নাড়া দিয়ে উঠবে। সে ভাববে, আহা, এতো সবার স্বার্থ ভাবছে! ধীরে ধীরে চাহিদা নির্দিষ্ট হবে। তখন আর সমষ্টি নয়, শুধুই ব্যক্তি। ততদিনে জমিটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই প্রবণতা যুগে যুগে চলে এসেছে। গণতন্ত্র হোক বা স্বৈরতন্ত্র, কলিকালের এই অভ্যাস বদলানোর নয়। এতে কি সমাজের কোনও উন্নতি হয়? কোনও বদল? না, হয় না। তবে রাজনীতি হয় বিস্তর। আমি, আমার ঘর-সংসার, সন্তান, ভবিষ্যৎ... ভাবতে তো হবেই। তাই তো মানুষ সামাজিক জীব। এটা স্বার্থচিন্তা। কিন্তু নিজের উন্নতির জন্য অন্যের পথে কাঁটা ছড়াতে হয়, তাহলে তা মনুষ্যত্ব নয়। স্বার্থপরতা আর পরশ্রীকাতরতার অদ্ভুত মিশ্রণ। 
এটাই অশুভ, যা সমাজের অন্দরমহলকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। আমরা কিন্তু চিহ্নিত করতে পারছি সেই অশুভ শক্তিকে। কিন্তু দমন করছি না। উল্টে সযত্নে তারই লালন পালন চালিয়ে যাচ্ছি। আর তাই দু’টি বিষয় আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে—সচেতনতা, সঠিক শিক্ষা। চারটে বই পড়লে বা দুটো ডিগ্রি জোগাড় করলেই শিক্ষা মেলে না। শিক্ষিত আমরা তখনই, যখন নিজেদের শুভ এবং অশুভের ফারাক করতে পারব। পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাতে পারব স্বার্থচিন্তা ও স্বার্থপরতার তফাৎ। চেনাতে পারব অশুভ শক্তিকে। শ্রীবিষ্ণুর কানের মল থেকে জন্ম হয়েছিল মধু ও কৈটভের। দুই দৈত্য। শ্রীবিষ্ণু তখন যোগনিদ্রায়। দীর্ঘ সময় তপস্যার পর দেবীর বর পেয়েছিল তারা। সুরাসুর কেউ তাদের বধ করতে পারবে না। তারপরই শুরু হয়েছিল মধুকৈটভের উৎপাত। এমনকী স্বয়ং ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল তারা। আতঙ্কিত ব্রহ্মা চেষ্টা করেছিলেন স্তব করে শ্রীবিষ্ণুর যোগনিদ্রা ভাঙাতে। কিন্তু পারেননি। তখন তিনি শুরু করেছিলেন মহামায়ার আরাধনা। কারণ, যে যোগনিদ্রা নারায়ণকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল, তিনি দেবী স্বয়ং। 
খড়্গিনী শূলিনী ঘোরা গদিনী চক্রিনী তথা।
শঙ্খিনী চাপিনী বাণভূসণ্ডীপরিঘায়ুধা।।
আপনি খড়্গধারিণী, ত্রিশূল শোভা পায় আপনার হাতে। এক হাতে নরশির... আপনি ভয়ঙ্করী। গদাধারিণী, চক্রধারিণী, শঙ্খধারিণী, ধনুর্ধারিণী এবং বাণ, ভূশণ্ডী (পুরাণের সেই ত্রিকালদর্শী কাক) ও পরিঘাস্ত্রধারিণী (মুগুরের মতো প্রাচীন অস্ত্র)। এসেছিলেন মহামায়া। ভুবনমোহিনী রূপে দেখা দিয়ে বাধ্য করেছিলেন মধুকৈটভকে শ্রীবিষ্ণুর সামনে নতশির হতে। বধ্য হতে। কী পরিচয় ছিল মধু ও কৈটভের? শুধুই দুই অসুর? কে ছিল মহিষাসুর? বুঝতে হবে... আজকের যুগে দাঁড়িয়ে এরা স্রেফ প্রতীক। অশুভের। সামাজিক অবক্ষয়ের। তারা জানান দিচ্ছে, অজেয় কেউ নয়। অমর কেউ নয়। অহঙ্কার এবং লোভের পথে হাঁটলে গন্তব্য শুধুমাত্র পতনে। আজ না হোক কাল, পতন হবেই। বিচার মিলবেই। শুধু সময় দিতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। দার্শনিক প্লেটো ‘রিপাবলিক’-এ ‘ট্রু ফলসহুড’ সম্পর্কে লিখেছিলেন। কোনও মিথ্যা যদি মানুষের মনে অভেদ্য হয়ে বসে যায়, সত্যিটাকে সে আর দেখতে পায় না। মনে মনে সে তখন একটা যুক্তি তৈরি করে নেয়। পারিপার্শ্বিক প্রমাণ বা তথ্য যদি সেই যুক্তির বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তাকে মিথ্যা হিসেবেই মনে করে সেই ব্যক্তি। দোষী বলে যাকে মেনে নেয়, সে সাজা না পেলে ভেবে বসে, ন্যায়বিচার হয়নি। অশুভ যে এটাও! মিথ্যার কারাগারে বন্দি হয়ে পড়েছে আমাদের মনন। কারণ, সময় বদলেছে। অশুভের চরিত্র বদলায়নি। মিথ্যাকে নানা সূত্র থেকে সত্যি বলে চালানোর অপপ্রচার, ফেক নিউজ সমাজের কাঁধে পাহাড়প্রমাণ বোঝা হিসেবে চেপে বসেছে। প্রতিদিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে অশুভ শক্তি। জনসংখ্যা আরও বাড়বে, পৃথিবীর বুকে জমে থাকা রিসোর্স কমবে, আর সেইসঙ্গে শিখর ছোঁবে প্রতিযোগিতা। বেঁচে থাকার। আদিম প্রবৃত্তি আরও বেআব্রু হবে। মনুষ্যত্ব ফিকে হবে প্রতি মুহূর্তে। এটাও কি অশুভ নয়?
অথচ অশুভের বিনাশ করতেই বারেবারে আবির্ভূতা হয়েছেন মহামায়া। পুজো হয়তো আমাদের কাছে একটা উৎসব। আনন্দ। অপেক্ষার চারটে দিন। বছরভরের চাপ থেকে মুক্তির। খানিক বেশি উপার্জনের। কিন্তু দুর্গাপুজো একটা অভ্যাসও। পাড়ার মণ্ডপের পাশের গাছে বাঁধা মাইকে ভেসে আসা চণ্ডীস্তোত্র... মনে করিয়ে দেওয়া, শিকড় ভুললে চলবে না। কর্মকে ভুলে যাওয়া যাবে না। সর্বভূতে বিলীন ‘মা’কে অস্বীকার করা যাবে না। দুর্গাপুজো মানে অশুভের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়েরও। মহামায়ার আরাধনা শুধুই ‘রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি’ নয়। দেবী রূপ, জয়, যশ দেবেন। শত্রুরও বিনাশ ঘটাবেন। কিন্তু কর্ম ও দুষ্কর্মের ভার নিক্তি দিয়ে মেপে। সেখানে স্বার্থসিদ্ধি একমাত্র লক্ষ্য হবে না। তিনি মাকে দেখেছেন... শ্রীরামকৃষ্ণ ঠাকুর বলেছিলেন নরেনকে। ‘ঠিক যেভাবে তোকে দেখছি’। আজ আমরা কি দেখতে পাই তাঁকে? অনুভব করতে পারি? না, পারি না। কারণ, এখন আমাদের কাছে সমষ্টির থেকে স্বার্থ বড়। নিবৃত্তির থেকে প্রবৃত্তি বড়। খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ... বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। কারা এরা? কেমন অপরাধী? কোনও রাজনৈতিক দলের? বিকারগ্রস্ত? সমাজের বাইরের কেউ? প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তরই কিন্তু ‘না’। এরা কেউ দাদা, প্রতিবেশী কাকু, কিংবা সহকর্মী। আমরা মিছিল করছি, অবস্থানে বসছি, স্লোগান তুলছি... কিন্তু আমাদের ঘরের ভিতর অন্ধকার কোণ তৈরি করে বসে থাকা অপরাধের বীজটাকে হত্যা করছি না। মা, বোন, স্ত্রী হয়ে শিক্ষা দিচ্ছি না বাড়ির পুরুষকে। যখন সে ঘৃণ্য চোখে পাশের বাড়ির সদ্য কিশোরী মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছে, সপাটে তার গালে একটা চড় মারছি না। তখন আমরা চিন্তা করছি ‘সম্মানে’র। ‘ক্লাসে’র। হাতে ধরে থাকা মিহি বালির মতো ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা। থেকে যাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়। অশুভশক্তি। এরপরও ন্যায়বিচারের আশা করব আমরা? আসলে আমরা ভুলে যাই, ঠাকুরের সামনে বসে প্রণাম করলেই তিনি দর্শন দেবেন না। অপরাধীদের শাস্তি দিতে অস্ত্রও তুলে নেবেন না। ওই কাজটা আমাদেরই করতে হবে। সমাজকে করতে হবে। শেখাতে হবে বাড়ির মেয়েকে... সাহসী হতে। আর ছেলেকেও... সম্মান করতে। এইটুকুতেই তো লুকিয়ে আছে অশুভ শক্তির দমন। পুজো মণ্ডপে বসে মন দিয়ে শুনতে হবে প্রতিটি মন্ত্র। স্তোস্ত্র। চিনতে হবে শুভকে। অশুভকেও। নিতে হবে সংকীর্ণ স্বার্থচিন্তা থেকে মুক্তির শপথ। শ্রীচণ্ডী স্তবেই তো আছে, ‘অহংকারং মনো বুদ্ধিং রক্ষেন্মে ধর্মধারিণী।’ অর্থাৎ, দেবী... আমার অহংকার, মন ও বুদ্ধি রক্ষা করুন। অহঙ্কারের অর্থ এখানে আত্মসম্মান, মন হল মনুষ্যত্ব, আর বুদ্ধি সঠিক ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। 
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।। 
08th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...

টানা তিনমাস বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা। ১৯ জুলাই থেকে দুই বাংলার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাকে নামা বন্ধ হয়। সেইসময় থেকেই ওপারে শুরু হয় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...

ইসলামাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিয়ে পড়শি দেশকে বিঁধতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM