Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। তোপ দাগা। নিঃসন্দেহে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তার বিচার এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সবাই চায়। কিন্তু বিচারের নামে এমন সামাজিক অশান্তির আবহ তৈরির অপচেষ্টাই বা কতটা সমর্থনযোগ্য? সেই অপরাধে হাসপাতাল 
বন্ধ থাকবে? লক্ষ লক্ষ গরিবকে দুর্ভোগে (পড়ুন, শাস্তি দিতে!) ফেলে। তাও একদিন, দু’দিন নয়, টানা দু’মাস। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই দেখছি এত বিষ ছড়িয়েও, সবাইকে বিদ্রোহের লিটমাসে চুবিয়েও বাংলার অন্তর্নিহিত আনন্দমুখর প্রাণশক্তি, উৎসবপ্রিয় মনটাকে মেরে দেওয়া যায়নি একটুও। সব একই আছে। প্রমাণ হচ্ছে, ওটা অনুভবের ব্যাপার। হাড়গোড় ঘাঁটা ডাক্তারদের কম্ম নয়। তাই মহালয়া থেকেই বাঙালি মনে যেন সেই পুরনো খুশির ঝিলিক। শত দুঃখ কষ্টের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার আকাশ বিস্তৃত তৃপ্তি। শিউলি গাছ শহরের ফ্ল্যাট কালচারে ব্রাত্য হলেও তার গন্ধ বেশ অনুভব করছি মনের কানায় কানায়। ছোট ছোট তারা নক্ষত্রের মতো ছেলেমেয়েরা হাত ধরাধরি করে মণ্ডপে ঢুকছে 
বেরচ্ছে মধ্যরাতেও। ফুচকাওয়ালার আজ আর ভোররাতেও ঘরে ফেরার তাড়া নেই। আঙুলে বেলুন বেঁধে মায়ের সঙ্গে হাঁটছে পুচকে। পুজো যাপনের অপূর্ব এই আলোয় ভাসতে শুরু করেছে গ্রাম 
বাংলা থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র। এটাই বাংলা। এটাই উৎসব। তাতে ফেরা মানে শিকড়ের কাছে ফেরা। ভেকধারীদের ‘আজাদি’ স্লোগানে সেই ভিত্তি সহজে ছিন্ন হওয়ার নয়।
এই পুজো শপথ নেওয়ারও। সত্যিমিথ্যে ছড়িয়ে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক। বিশেষ করে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের অবিরাম বিষবর্ষণ। আমেরিকায় বসে পিতা মাতাকে ভুলে যাওয়া বাঙালিও সকালসন্ধে ‘বিচার’ চাইছে। প্রতিবাদ করছে। অথচ অনেকেই বাবা, মার শেষকৃত্যেও দেশে ফিরতে পারেনি বা প্রয়োজন বোধ করেনি। দু’রাত পিস ওয়ার্ল্ডে থাকার পর দাহ করেছে পাশের বাড়ির লোক! তাঁদের কাছে অভয়াকে কারা কীভাবে মেরেছে, সেই ধারাবিবরণী শুনে অবাক হচ্ছি। এত তথ্য তো সিবিআইয়ের কাছেও নেই! সিবিআইকে ভাগিয়ে ইউটিউবওয়ালাদের কাউকে তদন্তভার দিলে তো এতদিনে বিচার সম্পূর্ণ হয়ে যেত। কোনও কোর্ট কাছারির দরকারই হতো না! কিন্তু বাংলার বদনাম করে কার লাভ? আমরা যাঁরা এখানেই থাকব, বাইরে যাব না, তাঁদের বলি রাজ্যটার বদনাম করে আপনার রুটিরুজি নিরাপদ থাকবে তো? আপনি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবেন তো? আমেরিকাতেও কিন্তু নিয়ম করে স্কুলে গুলি চলে। ধর্ষণ হয়, খুনখারাবি লেগেই থাকে। মাসে অন্তত হাফ ডজন এমন খবর ছাপতে হয় আমাদের। উত্তরপ্রদেশে, মহারাষ্ট্রে, বেঙ্গালুরুতে একটাও খুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে না, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন তো? বিদেশে বসবাস করা প্রবাসীরা বাংলার নামে নাক সিঁটকোচ্ছেন। অথচ দিল্লি থেকে হাতরাস, আমেরিকা থেকে ব্রিটেন, কোথায় বলুন তো ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটেনি গত একমাসে। আমেরিকায় পুলিসি হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গকে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে কোনও না কোনও স্কুলে গুলি চলছে। মৃত্যু হচ্ছে। কই কোথাও তো আমেরিকার বদনাম করার জন্য সবাই মুখিয়ে নেই। তাহলে দোষীকে শাস্তি না দিয়ে বাংলার এত বদনামে ক্ষতি কার? বাজার পণ্ড করে গরিব মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টাই বা কেন? সামনাসামনি ভোটে জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই এত গরল বর্ষণ?
অবশেষে জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘ কর্মবিরতি উঠল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে এল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মিটলে অনশনের হুমকি। পুজোর 
মধ্যে অনশন কোনকালে হয়েছে? কী চাইছে মেধাবী ছেলেমেয়েরা? যদি ভিড় আরও পাতলা হয়, সেই ভয় থেকেই কি অনশনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন জিইয়ে রাখার চেষ্টা? বলতেই হবে, কর্মবিরতি প্রত্যাহারও লক্ষ লক্ষ গরিব রোগীর স্বার্থে নয়। সিনিয়র ডাক্তাররা যাতে পুজোর ছুটি পুরোদমে উপভোগ করতে পারেন তার জন্য। প্রশ্ন উঠবেই সিনিয়ররা এতদিন পর যখন কর্মবিরতি তুলতে সক্রিয় হলেন, তখন এতদিন চুপ করে বসেছিলেন কেন? টানা দু’মাস কেটে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে সব পক্ষ বারবার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতালগুলিকে সচল করার। সবাই জানে বিচার একদিনে আসে না। তার একটা পদ্ধতি আছে। আইন আছে। নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত ঘুরেই বিচার সম্পূর্ণ হয়। সেইসঙ্গে তদন্ত কতটা সফল, চার্জশিট কতটা শক্তিশালী তারও চুলচেরা যাচাই চলে। সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য যাই বলুন, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের তথ্যের উপর ভিত্তি করে এখনও এদেশে কারও ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন সাজা হয় না! সৌদি আরবের মতো প্রকাশ্যে কোতলও এখানে নিষিদ্ধ। 
জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের নামে ঠিক কী চাইছেন? কয়েকশো ঘণ্টার জিবি বৈঠকের মোদ্দা নির্যাস কী? বোধহয় এই মুহূর্তে স্বয়ং ঈশ্বরও তা জানেন না। বিচার চাওয়ার দাবিতে যে আন্দোলনের শুরু তা আজ পথ হারাইয়াছে ব্যক্তিগত ইগো আর রাজনীতির কানাগলিতে। চিড় ধরতে শুরু করেছে। সিনিয়র ডাক্তাররাও বেশ বুঝতে পারছেন নিজেদের অজান্তেই তাঁরা ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করে ফেলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বারংবার সম্পূর্ণভাবে কাজে ফিরতে বলেছে। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তা মানেননি। উল্টে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই লক্ষ লক্ষ রোগীকে ভয়াবহ দুর্ভোগে ফেলেছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন। অত্যন্ত নমনীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার আগে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে গিয়েছেন। তাঁদের কৌঁসুলি প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, তাঁরা কাজে ফিরেছেন। এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও নতুন করে এতদিন টানা এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার অর্থ কী? প্রথমে যে সিনিয়র ডাক্তাররা সহানুভূতি জানিয়েছিলেন, তাঁরাও আজ বিরক্ত। তাঁরা প্রথমে সমর্থন জানিয়েছিলেন, মদত দিয়েছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় তাঁদের অতিরিক্ত ডিউটিও করতে হয়েছে গত দু’মাস ধরে। কিন্তু নানা বাহানায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার চেষ্টা কেউ সমর্থন করে না। এটা ঠিক জুনিয়রদের পক্ষে শুরুতে একটা জনসমর্থন ছিল বলেই সরকারও সুপ্রিম কোর্ট বলার পরও অত্যন্ত সংযতভাবে পদক্ষেপ করছিল। কিন্তু তরুণ চিকিৎসকদের বাড়াবাড়িতে সেই নৈতিক জায়গাটা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই আন্দোলন আর শুধু হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং অভয়ার বিচারে সীমাবদ্ধ নেই, বৃহত্তর কোনও চক্রান্ত ও ব্লুপ্রিন্টের অঙ্গ। তাই এনআইএ পর্যন্ত আসরে নেমেছে।
ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি, হাসপাতাল, দমকল, দুগ্ধ সরবরাহ, সংবাদপত্র জরুরি পরিষেবার অধীন। হাজারো সমস্যা, বিরোধ, মন কষাকষি, দাবিদাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতভেদ হলেও পরিষেবা বন্ধ রাখা যায় না। পরিষেবা দিতে পারব না বলে কখনও কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। এমনিতেই উৎসবের সময় হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না। কারও পরিবারে পুজোর মধ্যে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে উদ্বেগ ও চিন্তা স্বভাবতই বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তার উপর যদি সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘ব্যাকবোন’ জুনিয়ররাই পূর্ণ উদ্যমে না থাকেন তাহলে পরিণতি কতটা শোচনীয় হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। এবারও বহু ডাক্তারের বিমান ও হোটেল বুকিং অনেক আগে থেকেই সারা। কিন্তু ওই যে বললাম, আন্দোলনের রাশ এখন সিনিয়রদের হাতেও নেই, সম্পূর্ণ জুনিয়রদের হাতেও নেই। অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে একটা পৈশাচিক ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন আপামর বাঙালির আবেগ ও সমর্থনে শুরু হয়েছিল তা আজ কুটিল রাজনীতির হাতে বন্দি। আর বন্দি বলেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাজ্য সরকারের সহানুভূতি, সাধারণ মানুষের অপরিসীম দুর্ভোগ কোনও কিছুতেই কুছ পরোয়া নেই। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের এই ভূমিকা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কিন্তু এতে দু’মাস ধরে শাপে বর হল কাদের? ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাঝারি মাপের নার্সিংহোমের। শহরের পাঁচতারা কর্পোরেট হাসপাতাল মালিকদের। মার খেতে খেতে কোণঠাসা গরিব মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরেই। এই কি বিচারের নমুনা? আর টানা দু’মাস ধরে যারা বাংলার দুর্নাম করলেন তাঁরা কতটা লাভবান হলেন? বিচার এখনও মেলেনি। সিবিআই লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ। নানা সম্ভাবনা হাতড়ে বেড়াচ্ছেন মাত্র। আর বাম, অতি বাম মিলে বিচারের আড়ালে বাংলার বদনাম করতেই ব্যস্ত। গোটা বিশ্ব বাংলার সমালোচনা করলে শূন্য হয়ে যাওয়াদের বুক যদি গর্বে ফুলে ওঠে, 
তাহলে তাই করুন। কিন্তু বাম ও অতি বামদের এই চক্রান্তে পা দিয়ে আপনার আমার লাভ কতটা? বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এসে গিয়েছে। রাজনীতি, সমালোচনা, বদনামের জন্য তো বাকি বছরটা পড়ে আছে। এই ক’টা দিন ছেড়ে দিলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? নাকি বিচারের 
আড়ালে বৃহত্তর কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে? মানুষ কিন্তু বোকা নয়। উৎসবটা ভালোয় ভালোয় কেটে যাক। ঠিক সময়ে আবারও জবাব দেবে আম জনতা। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে নয়, সরাসরি ভোটযন্ত্রে।  
06th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
ময়নাগুড়িতে এ বছর কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা সব থেকে বেশি। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগরের ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি করে দোকানিরাও খুশি। অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা ...

উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...

ইসলামাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিয়ে পড়শি দেশকে বিঁধতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM