Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। তাও তাঁরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও পুজোর মুখে কাজ বন্ধ করে দিলেন। দাবি পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও কর্মবিরতি তুলে নেওয়ায় স্বস্তি ফিরল। তবে, তা দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। কারণ বিবিধের মাঝে ঐক্যের সুর আর শোনা যাচ্ছে না। বরং নানা মুনির নানা মত। তাই যে কোনও সময় ফের একটা কিছু ঘোষণা হতেই পারে। তবে একটা কথা না বললেই নয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের হঠকারী সিদ্ধান্তের খেসারত দিচ্ছে বাংলার গণআন্দোলন।
আর জি করে বাংলার চিকিৎসক কন্যার মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টে এখনও পর্যন্ত তিনটি শুনানি হয়েছে। ২২ আগস্ট, ৯ সেপ্টেম্বর এবং ১৭ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি শুনানিতেই উঠেছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টি। প্রতিবার প্রধান বিচারপতি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সেই নির্দেশ মানেননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাঁচদফা দাবি মানলেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। সরকার তিন দফা দাবি মানায় ৪২দিন পর তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। শুধু রাজ্যের সাধারণ মানুষই নয়, সিনিয়র চিকিৎসকরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কারণ জুনিয়রদের কর্মবিরতিতে 
তাঁদের চিকিৎসা শাস্ত্রের ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’ সবই করতে হচ্ছিল। অমানুষিক পরিশ্রম হচ্ছিল। কিন্তু ১০দিন যেতে না যেতেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক।
সাগর দত্ত মেডিক্যালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। মৃতার আত্মীয়রা চিকিৎসক ও নার্সদের উপর চড়াও হয়। মারধর করে। কারও সন্তান বা নিকট আত্মীয় মারা গেলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। বহু ক্ষেত্রেই হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। কিন্তু তারজন্য চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা কিছুতেই মানা যায় না। রোগীর পরিবারের বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু গায়ে হাত দেবে? এটা কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ সমর্থন করতে পারে না। একইভাবে লাঞ্ছিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু রোগী দেখা বন্ধ করাটা মেনে নেওয়া যায় না।
‘প্রফেশনাল হ্যাজার্ডস’ বলে একটা কথা আছে। সমস্ত পেশার মানুষকেই তার সম্মুখীন হতে হয়। সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে সিয়াচেনে ডিউটি করতে হতে পারে। প্রতিপক্ষের হামলায় জওয়ানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু তারজন্য কোনও জওয়ান সিয়াচেনে যাবেন না, এটা বলতে পারেন না। আবার পুলিসের কাজে যোগ দেওয়া ব্যক্তিটি জানেন, তিনি যে কোনও সময় হেনস্তার শিকার হতে পারেন। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে পারেন। এমনকী, দুষ্কৃতী হামলায় মারা যেতেও পারেন। সাংবাদিকতার পেশাতেও আছে ঝুঁকি। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু তারজন্য কোনও সাংবাদিক কি বলতে পারেন, নিরাপত্তা না দিলে তিনি খবর করতে যাবেন না। কেস জেতাতে না পারলে আইনজীবীও মক্কেলের রোষের শিকার হন। এমনকী, ম্যাচ জেতাতে না পারলে ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে।
মোদ্দা কথা, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ও আবেগের সঙ্গে জড়িত যে কোনও পেশাতেই ঝুঁকি থাকে। সেইসব পেশায় যুক্তদের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া কোনও দেশ বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। পেশাগত দক্ষতা এবং পরিস্থিতি 
সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা এই সমস্ত অনভিপ্রেত ঘটনাকে বড়জোর কিছুটা কমাতে পারে। কিন্তু, বন্ধ করা অসম্ভব। 
ধর্মতলার আন্দোলন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, ‘কর্মবিরতি যদি প্রত্যাহার করতেই হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তা করবেন। কারও নৈতিকতার জ্ঞান শুনে নয়।’ প্রশ্নটা হচ্ছে, হঠাৎ করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘সাধারণ মানুষে’র কথা মনে পড়ল কেন? এতদিন ধরে সরকার, সুপ্রিম কোর্ট, বহু বিশিষ্টজন বারবার বলেছেন, জাস্টিসের দাবিতে আন্দোলন চলুক। কিন্তু চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিন। কর্মবিরতিতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। তখনও তাঁরা সেই ডাকে সাড়া দেননি। উল্টে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া মানুষগুলোর মৃত্যুই যে ভবিতব্য ছিল, সেটা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা যত বেড়েছে ততই উচ্চস্বরে উচ্চারিত হয়েছে ‘কোমর্বিডিটি’র তত্ত্ব। সেই চিকিৎসকদের মুখেই ‘সাধারণ মানুষে’র কথা!
আসলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরাও বুঝতে পারছেন, অভয়ার নৃশংস এবং মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলায় যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও গণআন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তা থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। ১৪ আগস্টের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের যে আবেগ, যে উপস্থিতি ছিল, মহালয়ার ‘ভোর দখলে’ তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। কারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে, অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা আর এখন ‘অরাজনৈতিক’ নেই। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের শর্ত বৃদ্ধিতেই পর্দার আড়াল থেকে বামেদের ও অতিবামেদের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ উঠছিল। যাদবপুরের মিছিল থেকে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান ওঠার পর সেই পর্দাটা এক ঝটকায় সরে গিয়েছে। সামনের সারিতে কিছু জুনিয়র ডাক্তার থাকলেও এই আন্দোলনের চালিকাশক্তি কারা, সেটা বুঝতে কারও বাকি ছিল না।
৪২দিন কর্মবিরতির পর ১০দিন আংশিক কাজ। তারপর ফের দ্বিতীয় দফার পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের কোনও সম্পর্ক নেই। অভয়ার জাস্টিসই তাঁদের প্রধান দাবি হলে চিকিৎসকরা কিছুতেই কাজে ফিরতেন না। তাঁরাও জানেন, সেই দাবি মেটাতে পারে সিবিআই। সেখানে রাজ্য সরকারের আর কিছু করার নেই। 
তবে কাজে যোগ দেওয়ার সময়েই ফের যে আন্দোলনে ফিরবেন, সেই হুঁশিয়ারি তাঁরা আগাম দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ আন্দোলনকারীদের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টা মিটে গেল, এটা হজম করতে পারছিল না। খুঁজছিল আন্দোলনে ফেরার একটা অজুহাত। সাগর দত্ত মেডিক্যালের ঘটনাকে সামনে রেখে ফের ডাক দিয়েছিলেন কর্মবিরতির। তাঁরা ভেবেছিলেন, একইভাবে তাঁরা সাড়া পাবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। 
জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন বাংলাকে একটা নতুন শব্দবন্ধ উপহার দিয়েছে, ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’। সেই সিন্ডিকেটে যুক্তদের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির করিয়ে বিচার চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র সদস্যদের তালিকা। তাতে শুধু জুনিয়র ডাক্তার বা পড়ুয়াদেরই নয়, ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে অপছন্দের শিক্ষকদেরও নাম। তাই শুধু জুনিয়রদেরই নয়, অনেক সিনিয়রেরও থরহরিকম্প অবস্থা। একবার তালিকায় নাম উঠলেই আপাতত কলেজে ঢোকা বন্ধ, হতে হবে সাসপেন্ড, এমনকী রেজিস্ট্রেশন বাতিল। অনেকেই বলছেন, থ্রেট সিন্ডিকেট ছিল, আছে এবং থাকবে। কেবল বদলে যাবে শুধু মুখগুলো। 
তাই আপাতত কর্মবিরতি উঠলেও সিন্ডিকেটের মুখবদল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চলবে।
সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। অভয়ার ইচ্ছাতেই তাঁর বাড়িতে দেবীর আরাধনা শুরু হলেও তিনি ছিলেন মানবপুজোয় বিশ্বাসী। অভয়ার মা জানিয়েছেন, ‘পুজোর অঞ্জলি দিতে বসেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত মেয়ে। বলত, মানুষের উপর তো পুজো হয় না।’ অভয়ার কাছে দেবীর অঞ্জলির চেয়েও বড় ছিল আর্তের সেবা। সেই অভয়ারই জাস্টিসের দাবিতে তাঁর সহপাঠীরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেন। রোগীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে ‘জাস্টিস’ ছিনিয়ে আনলে জুনিয়র ডাক্তাররা আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেই পারেন, কিন্তু তাতে রোগী অন্ত প্রাণ অভয়ার আত্মা শান্তি পাবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তাররা যে দাবিতে দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তার তো সমাধান হয়নি। তাহলে কেন কর্মবিরতি তুলে নিলেন? তার কারণ, এতদিন যাঁরা আন্দোলনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন তাঁরাও ফের কর্মবিরতিকে সমর্থন করেননি। বিশেষ করে সিনিয়র ডাক্তারবাবুরা। 
কারণ তাঁরা জানেন, কর্মবিরতি সাময়িক প্রতিবাদের হাতিয়ার হলেও সমস্যা সমাধানের পথ নয়। ফলে ঘরে বাইরে চাপে পড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের পিছিয়ে আসা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে দীর্ঘ গণআন্দোলনের পথ বেয়ে যে ফসল তাঁরা ঘরে তুলেছিলেন, কর্মবিরতির হঠকারী সিদ্ধান্তে তার অনেকটাই খুইয়ে বসলেন।
05th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...

ইসলামাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিয়ে পড়শি দেশকে বিঁধতে ...

একটি ফার্মের ট্যাঙ্ক সাফাই করতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল পাঁচ শ্রমিকের। গুজরাতের কচ্ছ জেলায় মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কচ্ছ (পূর্ব) জেলার পুলিস সুপার সাগর পারমার বলেন, কৃষিজাত পণ্যের ওই কারখানায় বুধবার ভোররাত ১টা নাগাদ ওই পাঁচ ...

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM