Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল। জলপাইগুড়ি শহরের কামারপাড়ার সান্যাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় সেই ইলিশ দেবী দুর্গার সামনে কুলোয় রেখে বরণ করেন পরিবারের বধূরা। সঙ্গে থাকে লাউয়ের ডগা ও বেগুন। বাড়ির বধূরা নতুন শাড়ি পরে, মুখে পান দিয়ে ইলিশ না ভেজেই রান্না করেন। তা দিয়েই হয় দেবীর ভোগ।
১৯৪১ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলাদেশের পাবনা জেলার বখতারপুরে সান্যাল পরিবারের দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছিল। সান্যাল পরিবারের পুজোয় মহম্মদ আব্দুলদের পূর্বপুরুষেরা জোড়া ইলিশ পৌঁছে দিতেন। দেশের বাড়ির ঠাকুর দালানের মাটি মাথায় করে নিয়ে এসে জলপাইগুড়িতে ঠাকুর দালান গড়ে তুলেছিলেন পরিবারের তৎকালীন কর্তা জয়চন্দ্র সান্যাল। দেশ ভাগ হলেও বংশের পরম্পরা মেনেই আজও আব্দুল দশমীতে জোড়া ইলিশ জলপাইগুড়িতে পৌঁছে দেন। বাংলার দুর্গাপুজোকে ঘিরে ইলিশের এমন কাহিনি যে কত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তা কে জানে। আজও দুর্গাপুজোয় অনেক বাড়ির পুজোর ভোগে ইলিশ চাই-ই চাই।
ইতিহাস জানাচ্ছে, ইলিশ রান্নার কাহিনি রয়েছে ‘পদ্মপুরাণ’-এও। ‘রোহিতের মুণ্ড দিয়া রান্ধে মুলাশাক/ সরিষার শাক রান্ধে ইলিশার শিরে।’ পদ্মপুরাণে বরিশালের ভূমিপুত্র মনসামঙ্গল–এর রচয়িতা বিজয়গুপ্ত লিখছেন, ‘আনিআ ইলিশ মৎস্য করিল ফালা ফালা/ তাহা দিআ রান্ধে ব্যঞ্জন দক্ষিণ সাগর কলা।’ এপাড় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এক সময় ইলিশ মাছ বাড়িতে প্রথম আনা হলে, ইলিশের এক খাবলা আঁশ তুলে নিয়ে বাড়ির উঠোনে পুঁতে দেওয়া হতো। বিশ্বাস ছিল, এর ফলে বাড়িতে ধনসম্পত্তি বাড়বে আর বড় ঘরে বাড়ির ছেলে-মেয়ের বিয়ে হবে। কলকাতার অনেক বনেদি বাড়িতে পরম্পরা ছিল, বাড়িতে প্রথম আসা ইলিশকে সিঁদুর মাখিয়ে বিয়ে দেওয়া হতো রান্নাঘরের সিঁদুর মাখানো নোড়াটির সঙ্গে। বিয়ের পর সেই মাছ কেটেকুটে পাঠানো হতো গুরু বা কুলপুরোহিতের বাড়ি। ভাগ পেত আশপাশের ঠাকুরের থানও।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে ‘পদ্মা’ নামাঙ্কিত বজরায় কাল অতিবাহিত করেও রবীন্দ্রনাথের মন কখনও কেন ‘ইলিশময়’ হয়ে ওঠেনি, তা অবশ্যই এক বিস্ময়! এমন নয় যে, মাছ নিয়ে কবিগুরুর ছুৎমার্গ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গিয়েছেন, ‘জেনো বাসনার সেরা বাসা রসনায়’। আর তাই বোধহয় তাঁর ‘দামোদর শেঠ’ ‘অল্পেতে খুশি’ হয় না। তাঁর মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি। কবি তো ‘দামোদর শেঠ’র সঙ্গে ভেটকির অন্ত্যমিল খুঁজে পেয়েছিলেন। চিতল মাছকে বলেছেন ‘মিঠাই গজার ছোট ভাই’। নৌকাডুবিতে রমেশ কালিদাসকে দিয়ে আওড়েছেন, ‘স্বপ্ন নয়, মায়া নয়, মতিভ্রম নয়, এ যে রুই মাছের মুড়ো!’ স্মৃতিচারণা করেছেন পারিবারিক মাঝি আব্দুলকে নিয়েও, যিনি ‘হালের কাছে বসে থাকতেন, যাঁর দাড়ি ছিল ছুঁচলো, গোঁফ কামানো ও মাথা নেড়া’ এবং যিনি তাঁর দাদাকে এনে দিতেন ‘পদ্মার ইলিশ ও কচ্ছপের ডিম’। ব্যস ওইটুকুই! ইলিশ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের মতো একই রকম আবেগহীন নজরুলও। ইলিশ যেন তাঁর কাছে কাব্যে উপেক্ষিতা ঊর্মিলা! অথচ তাঁদের উত্তরসূরি বুদ্ধদেব বসুর কলমে ইলিশ ‘রজতবর্ণ মনোহরদর্শন মৎস্যকুলরাজ মহান’ এবং বিস্ময়করভাবে ‘প্রতিভাধর’! ইলিশ নিয়ে বাঙালির এই বিহ্বলতা কত কালের, কে জানে। এত কাব্যও আর কোনও মাছ নিয়ে হয়েছে কি না, সন্দেহ।
এই ইলিশ ঘিরেই তো কত রাজনীতি। কত আকচা–আকছি। কত গবেষণা, ইলিশের বংশ ও কুল রক্ষার এমন প্রাণান্ত প্রচেষ্টাও পৃথিবীর কোনও প্রান্তে কোনও মাছের জন্য হয়তো হয়নি। যেন ইলিশের থাকা না থাকার উপর নির্ভর করে রয়েছে বাঙালিত্বের টিকে থাকার প্রশ্ন। যদিও সেখানেও ভাগাভাগি। কেউ বলেন ইলিশই এই দুনিয়ায় একমাত্র রাজনৈতিক মাছ। কেউ বলেন, কূটনৈতিক মাছ। ইলিশ নিয়ে বাঙালির বিহ্বলতা, কাব্য, আবেশ এবং ‘ভারত-বাংলাদেশ’ দু’দেশের অন্তহীন আকচা–আকচি আর কোথাও সম্ভবত নেই।
বাংলাদেশে ঢোকার পর গঙ্গার নাম হয়েছে পদ্মা। কেউ ভাবে না, নদীটা কিন্তু এক। এই নদীতে ‘ডায়াকম’ নামে এক শেওলা জন্মায়। সেই শেওলা ইলিশের অতি প্রিয় খাদ্য। আশ্চর্য, ডায়াকম কিন্তু মেঘনা বা অন্য নদীতে জন্মায় না। পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গার তুলনায় বাংলাদেশের পদ্মা আড়ে–বহরে, দৈর্ঘ্যে–প্রস্থে বেশি। ফলে ডায়াকমের পরিমাণও বেশি। পদ্মার ইলিশের স্বাদ বেশি হওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ সেটাই। নব্বই দশকের একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ছিল: ‘বাতির রাজা ফিলিপস, মাছের রাজা ইলিশ।’ সময়ের পরিক্রমায় বাতির রাজা হারিয়ে গেলেও, ইলিশ কিন্তু আরও বেশি শক্তিশালী। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সেই ইলিশ নিয়ে চলেছে ঠান্ডা যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসে কলকাতার বাঙালির পাতে। তা নিয়েও সমস্যার কিছু ছিল না। তবে সমস্যা বাঁধে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েনে। গত পঞ্চাশ বছরে এই টানাপোড়েনে ঢুকে পড়েছে ইলিশ।
হাসিনা সরকার বাঙালির ধর্মীয় পার্বণের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি দেখিয়ে বছরে তিনবার ইলিশ রপ্তানির চুক্তি করেছিল। যদিও খাতায়-কলমে বাংলাদেশ সরকার সেটাকে পুজো, নববর্ষ ও জামাইষষ্ঠীর ‘উপহার’ হিসেবেই দেখাত। গত বছরও, পুজোর মুখে, হাসিনা সরকার ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ পাঠিয়েছিল। সে-সময়ও হয়তো দেশীয় বাজারে জোগানে টান পড়ত, কিন্তু পড়শি রাজ্যের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানে যাতে বাঙালির পাত পদ্মার ইলিশের সুবাস থেকে বঞ্চিত না-হয়, সেটা দরদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। হাসিনা পতনের পর সেই শিষ্টাচার ধরে রাখতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সচেষ্ট হবে– তা নিয়ে ধন্দ ছিল।
শেষ পর্যন্ত বাঙালির রসনায় থাবা বসিয়েছিল ভারত বিরোধী আবেগ। ক্ষমতায় এসেই সে-দেশের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে এ-বছর ওপার বাংলায় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয়েছে। তাঁর মতে, রপ্তানির ফলে দেশীয় বাজারে জোগান কমে যাওয়ার কারণে দেশবাসীকে বেশি দাম দিয়ে ইলিশ খরিদ করতে হয়। তারপর বাংলাদেশের মূলধারার মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছিল ইলিশ নিয়ে রাজনীতি। সেইসব মন্তব্য দেখলে মনে হবে, যেন ইলিশ না এলে ভারতীয়রা অনাহারে থাকবে। চোখের জলে ভাসবে বাঙালিরা! নয়াদিল্লি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিল, ইলিশের মতো ‘ক্ষুদ্র ইস্যু’ ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না। শুধু তাই-ই নয়, ইলিশ রপ্তানি নিয়ে টানাপোড়েন চললেও, ভারত থেকে ডিমের আমদানি বন্ধ হয়নি। তার উপর বাংলাদেশের তরফে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি অন্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ এসেছে। ভারত রপ্তানি না-করলে বাংলাদেশে আলুর দাম দাঁড়াবে কেজি প্রতি ৭০ টাকা এবং পেঁয়াজ ১৪০ টাকা। ভারত থেকে স্বাভাবিক রপ্তানি পৌঁছলে কেজি পিছু আলুর দাম কমে হবে ৪০ টাকা এবং পেঁয়াজের কিলো প্রতি দাম ১০০ টাকার নীচে নামবে।
কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলাদেশের উপদেষ্টারা সেই অঙ্ক বুঝলেন, ৫ লাখ ৭১ হাজার টনের মতো ইলিশ উৎপাদিত হলে রপ্তানি না করে উপায় কই। ভারতে ইলিশ না গেলে মরবে তাঁদের দেশের মৎসজীবীরাই। কারণ, অত জোগানে বাংলাদেশে ইলিশের দাম কমে যাবে। কারবারিদের ক্ষতি হবে। বৈধপথে রপ্তানি বন্ধ থাকলে, অবৈধ পথে ইলিশ চোরাচালান বেড়ে যেতে বাধ্য। তাছাড়া বাঙালির অত্যধিক ইলিশপ্রেম অন্য প্রজাতির মাছও ক্রমে ধ্বংস করে দেবে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে পরিবেশের বারোটা বাজবে। ফলে ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়, পুজোর আগে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে। মোট উৎপাদনের ০.৫ শতাংশেরও কম। রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সে টানাটানির সময়ে বছরে গড়ে এক কোটি ডলারের আয় কে ছাড়তে চায়? ভারত থেকে শুঁটকি ও তাজা মাছ আমদানিতে ব্যয় হওয়া বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের প্রশ্নও রয়েছে। যদি ইলিশ না যায়, তাহলে আমদানি করা কাতলা থেকে কাঁচকির দাম গাঁটের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়েই মেটাতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রকের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য, ‘যারা ইমোশনালি কথাবার্তা বলে বলুক। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন মহল থেকে বাহবা পাচ্ছি।’
বাংলাদেশের অনেকে মনে করেন, চুরাশি বছর আগে বুদ্ধদেব বসু ‘কলকাতার বিবর্ণ সকালে ঘরে–ঘরে ইলিশ ভাজার গন্ধ’ ও ‘সরস শর্ষের ঝাঁজে’ বর্ষার সঙ্গে ‘ইলিশ উৎসব’–এর যে অনবদ্য যুগলবন্দি সৃষ্টি করেছিলেন, আজ তা বাংলাদেশের কৃপার উপর নির্ভর করে জেগে রয়েছে। এই দৈন্যের মধ্যে গঙ্গা ও পদ্মার ইলিশের চুলচেরা বিশ্লেষণ ও কাজিয়া এখন কেমন যেন নিদারুণ ঠাট্টা ও অবিশ্বাস্য কৌতুক মনে হয়! ইলিশের আঁতুড়ঘর যে দেশ, বাজার ও ব্যাপারীদের বাড়াবাড়ির কারণেই সে দেশের অন্তত দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণে অপারগ। বাংলাদেশের বাজার ক্রেতার প্রয়োজনমতো কেটে মাছ বিক্রি করে না। নিতে হবে গোটা। এ প্রশ্নে সব সরকারই উদাসীন। সবাই জানে, ব্যবসায়ীদের চটালে রাজনীতির ক্ষতি। সব শ্রেণির উপভোক্তার স্বার্থে কখনও বাংলাদেশে আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। হাজার টাকা কেজি দরে গোটা মাছ কেনার সামর্থ্য যাঁদের নেই, ইলিশ তাঁদের কাছে মরীচিকাই। ইলিশের হাত ধরে সে দেশের হেঁশেলে হেঁশেলে আজও শোনা যায়নি সাম্যবাদের গান।
আর এপারে? ভাদ্র মাসের গুমোট গরম আর মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে যাকে ভালোবাসার মতো পিঁড়ি পেতে দেয় আম বাঙালি, ‘ঝোলে ঝালে অম্বলে তোমাকে চাই’ বলে হাঁক পাড়লেও চালকুমড়ো বা কালো জিরে বাটা দিয়ে ইলিশের পদ রান্নার সাহস দেখাতে ক’জন পারেন— সেই প্রতিযোগিতা শুরু। পুজো মরশুমে বাঙালির হেঁশেল জানান দেয়, রাজার ঘরে যে ধন আছে, টুনির ঘরেও সে ধন আছে। 
অন্তত একদিন...অতএব, জলের রুপোলি শস্য ঘরে তুলে আনতে বাজারের থলিটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। শারদ উৎসবে ইলিশ-দুপুর সবার শুভ হোক।
03rd  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...

উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

টানা তিনমাস বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা। ১৯ জুলাই থেকে দুই বাংলার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাকে নামা বন্ধ হয়। সেইসময় থেকেই ওপারে শুরু হয় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM