Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
যখন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) নৃশংস অপরাধ বেড়ে চলার ছবিটা সামনে আনে তখন সেটি নিঃসন্দেহে আইশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার দিকটিকেই নির্দেশ করে। যখন স্বঘোষিত মাতব্বরের দল কোনও অল্প বয়সি দম্পতিকে নিগ্রহ করে কিংবা কাউকে পিটিয়ে হত্যা করে, তখন সেটা মাথা এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার খবর। সরকারি কর্তৃপক্ষের তরফে জবরদখল উচ্ছেদে বুলডোজারের ব্যবহারকে বাড়ি ভাঙার খবর বলা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলকে, বিশেষ করে কংগ্রেসকে—‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কিংবা ‘শহুরে নকশাল’ দেগে দেন, তখন সেই ব্রেকিং নিউজ উদ্বেগের কারণ হয়। 
 আশা, হৃদয় ভঙ্গ হচ্ছে
আজ যে-সব গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকিং নিউজ শেয়ার করব তাতে আপনাদের আশা এবং হৃদয় দুটিই ভঙ্গ 
হতে পারে। কে ভি কামাথ একজন বিশিষ্ট ব্যাঙ্কার। আইসিআইসিআই নামক প্রতিষ্ঠানকে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (ব্রিকস ব্যাঙ্ক) 
প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। কামাথ বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর ফাইনান্সিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার 
অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এনএ-বিএফআইডি) শীর্ষকর্তা।  দেশ ঠিক কোন পথে এগলে ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতে (ডেভেলপড ইন্ডিয়া) গিয়ে পৌঁছতে পারবে সম্প্রতি একটি বুক রিভিউতে তারই সন্ধান তিনি দিয়েছেন। 
একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে কামাথের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ওই লেখায় সংশ্লিষ্ট গ্রন্থ প্রণেতা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামনিয়নকে আন্তরিকভাবেই প্রশংসা করেছেন। তাঁকে সাধুবাদ—‘প্রত্যাশিতভাবে তাঁর অন্তর্নিহিত থিমটি তুলে ধরার জন্য’ এবং এটা বলার জন্য যে ‘অতীতের হতাশাগ্রস্ত শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে হবে এবং ভালো চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করতে হবে সাহসী লক্ষ্য।’  কামাথ লেখকের সঙ্গে একমত যে, নমিনাল জিডিপির বার্ষিক ১২.৫ শতাংশ  বৃদ্ধি (মার্কিন ডলারে) ঘটলে ‘প্রতি ছ’বছরে তা দ্বিগুণ হবে। ২০২৩ সালের ৩.২৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ জিডিপি বেড়ে ২০৪৭ সালে ৫৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বা প্রায় ১৬ গুণ বৃদ্ধি পাবেো এটি বাস্তবিকই সম্ভব।’ আমিও অন্তর থেকে এই মতের পক্ষে এবং এমত সুস্থায়ী বৃদ্ধির লক্ষ্যে সওয়ালও করেছি। 
দংশনটা শেষ দিকে
কে ভি কামাথের সমালোচনায় দংশনটা রয়েছে শেষের ছয়টি অনুচ্ছেদে। তিনি লেখা শুরু করেছেন ‘চারটি স্তম্ভ’-এর কথা তুলে ধরে, সেগুলিই ভারতকে পরিপূর্ণতা এনে দেবে। অভীষ্ট সেই বিষয়গুলি কী কী? সমষ্টির অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা, বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্পদ সৃষ্টিতে নীতি-নৈতিকতা অবলম্বন এবং ধারাবাহিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় পরিবেশ সৃষ্টি। মোদি জমানায় উপর্যুক্ত ‘স্তম্ভগুলি’ কী অবস্থায় রয়েছে যাচাই করে নেওয়া যাক। 
বৃদ্ধির উপর সামষ্টিক-অর্থনৈতিক গুরুত্ব: সামষ্টিক-অর্থনৈতিক বৃদ্ধির (ম্যাক্রো-ইকনমিক গ্রোথ) উপর গুরুত্ব অটুট রাখার সূচকগুলি হল—ফিসকাল ডেফিসিট বা রাজকোষ ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট এবং ঋণ/জিডিপি অনুপাতের তথ্যাদি। জিডিপির ৩ শতাংশ পরিমাণ ফিসকাল ডেফিসিটের লক্ষ্যে পৌঁছতে সরকারকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এই ঘাটতির হার এখন ৫.৬ শতাংশ! মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও ৪ শতাংশের অধিক। ২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে স্থির রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষেও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটের চেহারাটা বেশ বড়সড়ই ছিল—২৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাঁচিয়ে দিয়েছে কেবল ফরেন রেমিটেন্স বা প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অর্থ। ১৮.৭ শতাংশের ঋণ/জিডিপি অনুপাত নিয়ে ম্যানেজ করা সম্ভব। অর্থাৎ পরিস্থিতিটা ভালো-মন্দ মিশিয়েই। 
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি: মোদি জমানায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে বৈষম্য হ্রাসে সরকারের ব্যর্থতা। মাথাচাড়া দিয়েছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ। সরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে পুঁজি-নিবিড় শিল্পে। কমানো হয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স। কর চেপে রয়েছে জনগণের বহুল ব্যবহার্য পণ্যগুলির উপর। জ্বালানি এককথায় অগ্নিমূল্য। ন্যূনতম মজুরি শ্রমিক পরিববারগুলির প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যাঁরা পরের জমি চষে পেট চালান সেই কৃষকরা অবহেলার শিকার। গরিব মানুষ যেসব পরিষেবার উপর নির্ভর করেন সেগুলির প্রতি সরকার বিমুখ। এমন পক্ষপাতের দৃষ্টান্ত হিসেবে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের পাশে রেলে সেকেন্ড ক্লাস এবং অসংরক্ষিত কোচে ভ্রমণের বিষয়টি সামনে রাখা যায়। এছাড়া রয়েছে আরও একাধিক জনবিরোধী কেন্দ্রীয় নীতি। আর এজন্যই জনসংখ্যার উপরের দিকের ১ শতাংশ এবং নীচের দিকের ২০ শতাংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে গিয়েছে। 
ঘৃণা প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছে। কে ভি কামাথ যেটিকে দ্বিতীয় স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সেটি দুর্বল তো বটেই, নড়বড়ও করছে!
বেসরকারি ক্ষেত্রে নৈতিক সম্পদ সৃষ্টি: ব্যাঙ্ক 
জালিয়াতি এবং কর্পোরেট সেক্টরে পতন গত দশ বছরে বেড়েছে। ব্যাঙ্কের দেনা মকুবকে (রাইট-অফ) বৈধ করতে এবং তথাকথিত ব্যর্থ কোম্পানিগুলিকে বাঁচাতে হাতিয়ার হয়েছে দি ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড (আইবিসি)। অন্যদিকে, আইবিসির মাধ্যমে ঋণের অর্থ ফেরতের হার (রিকভারি রেট) মাত্র ৩২ শতাংশ। যাঁরা সাকসেসফুল রেজোলিউশন অ্যাপ্লিক্যান্ট (এসআরএ) তাঁরা দাঁও মেরেছেন। আইনকে সামনে রেখে অন্যায় হস্তক্ষেপ, চোরাগোপ্তা ও ধীর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং দমনপীড়নমূলক কর ব্যবস্থা সৎ ব্যবসায়ীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। এই কারণে তরুণ উদ্যোগীরা বিদেশে ব্যবসা বা মাইগ্রেট করতে চান। 
৪,৩০০ ভারতীয় ধানঢ্য (মিলিয়নেয়ার) ব্যক্তি ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন (সূত্র: মিস্টার রুচির 
শর্মা, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)। বস্তুত কম্পিটিশন কমিশনই মনোপলি (একচেটিয়া) ও অলিগোপলিকে উৎসাহ জুগিয়েছে। বিমান পরিবহণ (এয়ারলাইন্স), বন্দর (পোর্ট), বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট), টেলিযোগাযোগ, তেল শোধনাগার (অয়েল রিফাইনারি) এবং সৌরশক্তির (সোলার এনার্জি) মতো শিল্পে প্রতিযোগিতা খুবই কম। সিমেন্ট, 
ইস্পাত, বিদ্যুৎ এবং খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রে দ্রুত কনসোলিডেশন বা একত্রীকরণ চলছে, এবং এসব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে না কমবে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক 
বাজার অর্থনীতির জন্য এই প্রবণতাগুলি ভালো নয়, যদিও নীতিনিষ্ঠা মেনে বেসরকারি ক্ষেত্রের সম্পদ সৃষ্টি (এথিক্যাল ওয়েলথ ক্রিয়েশন) নিশ্চিত করণের সময়-পরীক্ষিত উপায় এটাই।
ধারাবাহিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় পরিবেশ সৃষ্টি: সরকারের আর্জি, তদ্বির এবং হুমকি সত্ত্বেও বেসরকারি বিনিয়োগ সরকারি বিনিয়োগের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ব্যবসা যেহেতু সরকারের আস্থাশীল নয়, তাই সরকারের প্রতিও ব্যবসার আস্থা নেই। হুমকি বিবাহ (শটগান ওয়েডিং)—বিতর্কিত উপায়ে ব্যবসা দখল—পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। ২০০০ সাল থেকে এই পর্যন্ত আট হাজারের বেশি ভারতীয় কোম্পানি সিঙ্গাপুরে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে বা ব্যবসা প্রক্রিয়া শুরু করেছে (সূত্র: এইচসিআই, সিঙ্গাপুর)। তদন্তকারী সংস্থার বাড়াবাড়ি ব্যবসায়ী শ্রেণির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ভারতীয় অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কী তাঁদের বাধা হচ্ছে? এই বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য কে ভি কামাথ বিশেষভাবে যোগ্য ব্যক্তি।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
07th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...

ময়নাগুড়িতে এ বছর কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা সব থেকে বেশি। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগরের ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি করে দোকানিরাও খুশি। অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM