Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

সনাতন ধর্ম!
ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এই শব্দযুগল ব্যবহার করে ভোট রাজনীতিকে কতটা তীব্র মেরুকরণ করা যায়, তার রসায়নাগার হয়ে উঠেছে এই দেশ, এই বাংলা।
প্রশ্ন হল, সনাতন ধর্মের শিক্ষা কী? এর ধারক-বাহকরা সনাতন ধর্মের ‘শুদ্ধতা’ রক্ষায় কতটা সচেষ্ট। নাকি সবই লোকদেখানো। শুধুমাত্র ভোটের অস্ত্র। সেই প্রশ্ন তোলাও জরুরি। ধরুন, এই বাংলায় রামনবমী পালনের কথা। বাঙালিরা ‘সনাতন’ মানে বোঝেন— চিরন্তন, শাশ্বত। আমরা দেখেছি, কলকাতার রাস্তায় দুর্গাপুজো, কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা। চৈতন্য গৌড়ীয় মঠের শোভাযাত্রা। বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের ভক্তদের শোভাযাত্রা। দেখেছি ইস্কন পরিচালিত ‘কর্পোরাটাইজড’ রথযাত্রা। দেখেছি ‘দিগম্বর’ আর ‘শ্বেতাম্বর’ দুই পরেশনাথের রথ, গুরুনানকের জয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রা। এঁদের উপর প্রচারের আলো পড়ার দরকার পড়েনি। বাঙালি হৃদয়েও কোনওদিন আঘাত লাগেনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রামনবমী আর হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে ধর্মীয় শোভাযাত্রার নামে বিভিন্ন অঞ্চলে যে অশান্তিসৃষ্টিকারী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা বাংলা এবং বাঙালির সংস্কৃতির বিপরীতমুখী। এইসব ধর্মীয় শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা আর সংগঠক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের শাখা-প্রশাখা। আত্মপ্রচারের লাইমলাইটে এইসব শোভাযাত্রা শুধু যে আলো-ঝলমলে তাই নয়, বরং কর্ণপটাহ বিদীর্ণ করা লাউডস্পিকারও এদের অন্যতম ধারক। হাতে অস্ত্র নিয়ে নিজেদের শক্তির আস্ফালন দেখাতেও সংগঠকরা পিছুপা নন। মাথায় ফেট্টি বাঁধা, কপালে গেরুয়া তিলক— এঁদের দেখলেই বোঝা যায়, যাঁরা রামের নামে মারামারি চান, তাঁরা ভক্তির কথা শুনতে চাইবেন না। শক্তি প্রদর্শনই তাঁদের কাম্য।
যতদূর মনে পড়ে, রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রার প্রথম আয়োজনের খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছিল ২০১৬ সালে। এর উদ্যোক্তা ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। সেদিন কলকাতার রাস্তায় তরোয়াল আর ত্রিশূল নিয়ে তথাকথিক ‘হিন্দু’-দের মিছিল দেখেছিল বাংলা। যে মিছিলের নেতৃত্বে ছিল অবাঙালিরাই। আর সেই ধর্মীয় মিছিলে স্লোগান ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। সেই প্রথম, বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ না-হওয়া সত্ত্বেও রামনবমীকে বিজেপি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাফল্য পায়। ফলে এই প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায় গোটা বাংলাজুড়েই। একইসঙ্গে রামনবমী শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যায়। একসময় এসে দেখা গেল, এই মিছিলে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা একসঙ্গে নাচতে নাচতে সংখ্যালঘু-বিরোধী গান গাইছে। যার কথাগুলি এরকম: ‘যো ছোয়েগা হিন্দুওকে হস্তি কো/ মিটা দেঙ্গে উসকে হর এক বস্তি কো/ রহনা হ্যায় তো রহিম বনকে রহো/ আওরঙ্গজেব বনোগে তো কাট ডালেঙ্গে।’ আর তারপরেই দফায় দফায় উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’ আর ‘হিন্দুরাষ্ট্র’-এর স্লোগান। এটা কি সনাতন ধর্মের শিক্ষা? সমাজে আতঙ্ক তৈরি করে সনাতন ধর্মের ‘শুদ্ধতা’ কি রক্ষা করা যায়?
আসলে গত এক দশকে গেরুয়া শিবির বুঝে গিয়েছে, রাজনীতির জল ঘোলা করতে সত্যের মূল্য যৎকিঞ্চিৎ, সস্তা আবেগের দাম বহুগুণ বেশি। আর তাই রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের মতো মনীষীরা যে আধুনিকতায় দেশকে দীক্ষিত করে গিয়েছেন, তাকে উপেক্ষা করে তথাকথিত সনাতনপন্থী রাজনীতিকরা ভিন্ন মতের মানুষকে ‘বিধর্মী ও বেজাত’ আখ্যা দিয়ে বিশুদ্ধতা রক্ষায় সচেষ্ট! স্বাধীন ভারতের রূপকাররা এই সনাতন পরম্পরা সূত্রেই চেয়েছিলেন আধুনিক ভারত হবে জাতি-বর্ণ-ধর্মের ঊর্ধ্বে, এক মিলনক্ষেত্র। বহুত্বের মধ্যে একত্বই হল ভারতীয়ত্ব, বিবিধের মাঝে মিলনই হল তার সনাতন সুর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ভারততীর্থ’ কবিতায় নানা দেশ জাতি সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষের এই ভূমিতে এসে একত্রবাসের কথা বলেছেন। অথচ, আজ সনাতন ধর্মের দোহাই দিয়ে একটি সঙ্কীর্ণ ধারণাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের মর্যাদা দেওয়াটা যে সহবত, এই বোধ গত দশ বছরে ক্রমক্ষয়িষ্ণু। তাই বিভিন্ন রাজ্যে স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নিয়মিত তর্জনগর্জন শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রের শাসক দলের নৈতিক ও রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই এদের এই বাড়বাড়ন্ত। এই রাজনীতিকদের কথা এই বাংলার মানুষ অত সহজে মেনে নেবে?
‘আমার ধর্ম মহান’ কিংবা অন্য ধর্মের শাসনের পরাধীনতার স্মৃতি, আত্মত্যাগের গাথা, এক ধরনের অপমান ও জাতক্রোধ পুষে রাখা—এই সব মিলিয়ে ওই বাক্সবন্দি সমস্যা বা ছাইচাপা আগুন কোনও দিন প্রমাণিত হয়নি। যে সব জায়গায় হিন্দুত্বের গরিমা কিংবা পদদলিত গরিমার ইতিহাস উজ্জ্বল, সে সব জায়গায় ভোটারগণ যা বিশ্বাস করেন তা যত অবৈজ্ঞানিকই হোক না কেন, তাকে লালন করা আসলে গেরুয়া শিবিরের কোটি টাকার স্ট্র্যাটেজি। কোনও ভুল ভাঙানোর প্রয়োজন নেই। ভুলকে সত্যি বলার সুযোগ করে দিয়েছেন এ দেশের সঙ্ঘ পরিবার পরিচালিত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাই। ফলে আরও সঙ্ঘবদ্ধ সংখ্যাগুরু। তাঁরা বিপদে আছেন, এই বিশ্বাসটিকে যেনতেন ভাবে বাঁচিয়ে রাখা আজ গেরুয়া রাজনীতির কারবারিদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফলে যা কিছু হিন্দুত্বের আওতায় পড়ে না, তা খাঁটি ভারতীয় নয়, এই কথাটা এত প্রকাশ্যে ও সাবলীলভাবে আগে কখনও প্রচারিত হয়নি। আজ থেকে সিকি শতাব্দী আগেও কেউ ভাবতে পারত না যে, একটি হিন্দুত্ববাদী দল ভারতে এমন শক্তিশালী ও নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকবে, সাভারকরের মতবাদ এতখানি জমি পাবে। সাভারকর বলেছিলেন, ভারতের যে সকল অধিবাসী রক্তসম্পর্কের সূত্রে ভারতকেই তাঁদের পুণ্যভূমি বলে মানেন, যাঁদের তীর্থক্ষেত্র এই দেশের মধ্যে, তাঁরাই হিন্দু ও এই ভূখণ্ডের একমাত্র দাবিদার। যাঁদের পুণ্যভূমি এই দেশের বাইরে, তাঁরা নন। বৌদ্ধ, ব্রাহ্ম, শিখ, এঁদের সঙ্গে তাই সমঝোতা করা যেতে পারে। কিন্তু মুসলিম বা খ্রিস্টানদের সঙ্গে আপস নয়। এঁদের পুণ্যভূমি ভারতের বাইরে, তাই তাঁরা এ দেশে থাকতে পারেন, কিন্তু হিন্দুদের সমান অধিকার পেতে পারেন না। সাভারকরের আগে আর কেউই রাজনীতিকে ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে হিন্দুত্বের এই চেহারা হাজির করতে পারেননি। বিষবৃক্ষের বীজ তখনই বোনা হয়ে গিয়েছিল, এখন আমরা শুধু তার পল্লবিত চেহারাটি দেখতে পাচ্ছি। একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধানকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে ফেলার জন্য কত রকমের আয়োজন করা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে সুকৌশলে রাজনৈতিক এজেন্ডায় হিন্দু ধর্মের একপেশে নির্মাণ চলছে, যা একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। কেউ প্রশ্ন করার নেই, এটাই কি সনাতন ধর্মের শিক্ষা?
বিজেপি নেতারা কী জানেন, সনাতন ধর্মে ‘পাপ’ কাকে বলে? সনাতন হিন্দু ধর্মে কোন কাজগুলি ‘পাপ’, তার বিধান দেয় স্মৃতিশাস্ত্রগুলি। মূলত ‘মনুস্মৃতি’-ই এই বিষয়ে প্রধান ভূমিকা নেয়। এই বিধান অনুসারে পাপের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। প্রথমটি, কর্ম সম্পর্কিত। দ্বিতীয়টি, বাক্য সংক্রান্ত। এবং তৃতীয়টি, চিন্তা সংক্রান্ত। কর্ম সংক্রান্ত পাপের আওতায় প্রথমেই পড়ে চুরি। মজার ব্যাপার, বেশ কিছু প্রাচীন সাহিত্যে চৌর্যবৃত্তিকে ‘কলা’ বা ‘আর্ট’ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও, তাকে শেষ পর্যন্ত পাপ বলেই গণ্য করা হয়। কর্ম সংক্রান্ত দ্বিতীয় পাপটি হল হিংসাত্মক কাজে ইন্ধন দেওয়া। ধর্ষণকে কর্ম সংক্রান্ত পাপের মধ্য অন্যতম বলে ধরা হয়। এই বিধানের ব্যত্যয় ঘটেনি আজও। সনাতন ধর্মে বাক্য সংক্রান্ত পাপগুলি হল— কুবাক্য কথন, মিথ্যাভাষণ এবং অযথা কথা বলা। চিন্তা সংক্রান্ত পাপ হিসেবে সনাতন ধর্ম যেগুলিকে চিহ্নিত করে, সেগুলি এই— চুরি সংক্রান্ত চিন্তা, কারও স্ত্রী বা সম্পত্তি হরণের চিন্তা, অন্যের ক্ষতিসাধনের চিন্তা ইত্যাদি। প্রশ্ন হল, গেরুয়া শিবিরের নেতারা কী ‘পাপ’ থেকে মুক্ত?
রামচন্দ্রকে নিয়ে রাজনীতি থেকে শুরু করে গোমাতাকে নিয়ে যা চলেছে, তা পাপ কাজ নয়? উগ্র ও আগ্রাসী যুদ্ধপ্রিয়তা, ঘৃণার প্রসার, নাগরিকের মর্যাদার উপর আক্রমণ, মেরুকরণের তাস খেলা, সংখ্যালঘুর ধর্মের উপর আঘাত, নেশনতন্ত্রের কদর্য চেহারা ছড়িয়ে দেওয়া কি পুণ্যের কাজ? এ দেশে আজ অসহিষ্ণুতা এবং হিংস্রতার যে আতিশয্য প্রকট তা তো এই গেরুয়া শিবিরের স্বঘোক্ষিত ‘সনাতন ধর্মী’দের প্রশ্রয়েই। কুবাক্য কথন, মিথ্যাভাষণের শিক্ষা তো বিজেপির আইটি সেলের সৌজন্যেই পাওয়া। ‘লাভ জেহাদ’ শব্দবন্ধও এদেরই সৃষ্টি। এঁরাই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন কী ভাবে বিধর্মীর স্পর্শ ও প্রভাব থেকে স্ব-ধর্মের শুদ্ধতা রক্ষা করতে হবে, এবং সেই কাজে ভীতি-প্রদর্শন, হিংসা, রক্তপাত কোনও কিছুই অ-নৈতিক নয়। তাঁরা নিজেদের শর্তে, নিজেদের স্বার্থে তৈরি করেছেন সংজ্ঞা: ভারতীয় ও সনাতন মানে বিধর্মী ও বেজাতের থেকে দূরত্ব বজায়, বিশুদ্ধতা রক্ষা। এসব পাপ নয়? নাকি পাপের সংজ্ঞাও ঠিক করে দেবেন মোদি-অমিত শাহরা।
তথাকথিত সনাতন ধর্মের প্রবক্তারা জাতপাতকে মহিমান্বিত করে, পুরাণ-মহাকাব্যকে ইতিহাসের মর্যাদা দিয়ে, ধর্মীয় রীতিনীতিকে অপরাবিদ্যার গরিমা প্রদান করে এবং প্রতিক্রিয়াশীল পিতৃতন্ত্রের বন্দনা গেয়ে সনাতন ভারতের পুনরুজ্জীবনে আগ্রহী। কিন্তু তাঁদের কল্পনার সনাতন ভারত বাঙালি মননে শুধু যন্ত্রণাই বাড়ায়। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে।
নাগপুরে বসে তো বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার মন বোঝা যায় না— কে বোঝাবে মোদি-অমিত শাহদের!
09th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
একনজরে
‘সকালে লাইনে দাঁড়ালে দুপুর গড়ায়, দুপুরে দাঁড়ালে সন্ধ্যে বা রাত। তারপর ভাগ্যে থাকলে পেট্রল জোটে, তাও যৎসামান্য। রুটিরুজি ছেড়ে পেট্রলের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে খাব কী!’ ...

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাবহুল আলিপুর। সিপিএম মনোনয়ন দিতে আসার সময় প্রথমে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়, পরে গোপালনগরের কাছে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাদের ঝামেলা ...

বকেয়া বেতন জমে কার্যত পাহাড়। অনিশ্চিয়তায় রায়গঞ্জ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন পুরসভার গাড়ি চালক ও সহযোগীরা। ...

রাজ্যে তিনটি দফার নির্বাচন নির্বিঘ্নে মিটেছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। এবার চতুর্থ দফাতেও সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬- পানিপথের যুদ্ধ জয় করে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন
১৬১২- মুঘল সম্রাট  শাহজাহানের  সাথে  মুমতাজের  বিয়ে হয়
১৮২৪- লন্ডনে জাতীয় গ্যালারি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৮৫৭- দেশজুড়ে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৮৬৩- সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম
১৮৮২- ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরুসদয় দত্তের জন্ম
১৯০৫- সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ মল্লিকের জন্ম
১৯০৮ - বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবীর জন্ম
১৯৬২- স্বাধীনতা সংগ্রামী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৮৩- বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়র মৃত্যু
১৯৮৫- রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক প্রমথনাথ বিশীর মৃত্যু
১৯৯৪- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা
২০০২- কবি কায়ফি আজমির মৃত্যু
২০২২ - কিংবদন্তী সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭০ টাকা ১০৬.১৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮২,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। তৃতীয়া ৫৪/৩০ রাত্রি ২/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ১৪/২০ দিবা ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৫/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/২২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৪/১৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। দ্বিতীয়া প্রাতঃ ৫/৪৫ পরে তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫১। রোহিণী নক্ষত্র দিবা ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ১০/১২ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৬/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

11:43:51 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:29:20 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট রবীন্দ্র জাদেজা, চেন্নাই ১৬৯/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:28:55 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট শিবম দুবে, চেন্নাই ১৬৫/৬ (১৬.৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:23:11 PM

আইপিএল: ৫৬ রানে আউট মঈন আলি, চেন্নাই ১৩৫/৫ (১৪.২ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:06:29 PM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি মঈন আলির, চেন্নাই ১৩৪/৪ (১৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:03:13 PM