Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। পাঞ্জাব তোমার নয়, সিন্ধ আমাদের দেশে নেই, দ্রাবিড় তোমার নয়, উৎকল নয়, বঙ্গও নয়। কোথায় শাসন করবে আমাদের? কোথা থেকে পাবে শাসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা?’
বহিষ্কারের পর সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে এটাই ছিল মহুয়া মৈত্রের প্রতিক্রিয়া। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের সরকারকে একটু চাবকে দেওয়া বললেও ভুল হবে না। সুকান্ত ভট্টাচার্য ধার করে বিজেপিকে চিতায় তুলবেন বলেছিলেন তিনি। তাঁর কথা রাখার সময় আসছে। আজ তৃতীয় দফার ভোট। মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, দুই মালদহ। কংগ্রেসি রাজনীতির আদি গড় মালদহ থেকে বেরিয়ে এলেই ভোটের আকর্ষণ আর দলের নামে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ, এরপর আসছে চতুর্থ দফা। রাজনীতির ময়দানে একের পর এক আকর্ষক চরিত্রের সমাহার এই দফাতেই। দলের পাশাপাশি তাই গুরুত্ব পাবে চরিত্রও। মহুয়া মৈত্র নিজে, অধীররঞ্জন চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, শত্রুঘ্ন সিনহা... দলবিচারের প্রয়োজন নেই। রংও না। ময়দান কাঁপানোর জন্য এই চরিত্ররাই কাফি। আর যদি খান দুয়েক রাউন্ডে ওয়াকওভার বলতে হয়? সন্দেশখালি তৃণমূলকে সেটাই দিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাস বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের যে এলাকা... যে ১৬টা পঞ্চায়েত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ বিজেপিকে করে দিয়েছিল, আজ সেই জনপদই গেরুয়া শিবিরের কাঁটা। নরেন্দ্র মোদিরা সুস্বাদু ভেবে মুখে পুরে তো ফেলেছেন, এবার না পারছেন গিলতে, আর না উগরাতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, বিজেপি নেতার স্টিং অপারেশনের ভিডিও দেখিয়েছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন মাননীয় মোদিজির দলের চরিত্র নিয়ে। এখনও পাঁচ দফা ভোট বাকি। বিজেপি হিসেব কষছে, কীভাবে হবে এই ড্যামেজ কন্ট্রোল? জাতীয় স্তরে সন্দেশখালিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন মোদিজি। এবার আর লুকনোর জায়গা পাচ্ছেন না। একুশের বিধানসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির কেউ কেউ তাঁকে বুঝিয়েছিল, ২০০ পার নিশ্চিত। ভোটের ফল বেরনোর পর হয়তো তিনি ভেবেছেন, কার ২০০ পারের কথা বলা হয়েছিল? তাঁর? নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? এখন সন্দেশখালি কাণ্ডেও তেমন কয়েকজন নেতার নাম সামনে আসছে। যাঁরা গোটা ব্যাপারটাকে ‘ফ্রেম’ করেছেন বলে অভিযোগ। এঁদের ভরসায় মোদিজি ভোট করেন? তাহলে তো ২০০ আসনও আপনার জন্য আশা করা যায় না। পাঞ্জাব থেকে দ্রাবিড়ভূম, সর্বত্র আপনার আজ মুখ পুড়ছে। তৃণমূলের সঙ্গে জাতীয় স্তরের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি বিষয়টাকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারে, তখন আর বার্নল লাগালেও মুখের রং ফিরবে না। 
দিলীপ ঘোষ রসিকতা এবং আক্রমণ, দুয়েই সিদ্ধহস্ত। প্রচারের শেষ লগ্নে এসে এই ইস্যু তিনি কীভাবে সামাল দেন, সেটাই দেখার। কারণ আগামী সোমবার তাঁর ভোট। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র। বিপক্ষে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। টিকিট পাওয়ার পর থেকেই প্রচুর ছুটছেন, পরিশ্রম করছেন, ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দিলীপবাবুর নাম ঘোষণার পরই রাজনীতির তাবড় কারবারি নড়েচড়ে বসেছিলেন। কারণ, দিলীপ ঘোষ এতটুকু জমি ছেড়ে দেওয়ার পাবলিক নন। বঙ্গ বিজেপির একাংশের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই তিনি বাংলা থেকে সাইড হয়ে গিয়েছেন। দায়িত্বও ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে তিনি খবরে ছিলেন না। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই অবশ্য দিলীপবাবু ফের শিরোনামে। বাছাই করা কয়েকটা বিতর্কিত মন্তব্য করলেন, আর তাতেই কাজ হাসিল। পোড় খাওয়া রাজনীতিক তিনি। জানেন, কীভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়। সেটাই করেছেন। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরে তাঁর ‘মেশিনারি’র সবটা তুলে এনেছেন এই কেন্দ্রে। আর নিচুতলায় আরএসএসের সাপোর্ট তো রয়েইছে। তা বলে কীর্তি আজাদ কি দান ছেড়ে দিয়েছেন? একেবারেই নয়। তার কারণ, এই কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষের চ্যালেঞ্জ প্রচুর—মুখ থুবড়ে পড়া কেন্দ্রের শিল্পনীতি, ১১টি খনির বেসরকারিকরণ, পুনর্বাসন ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ... এই প্রতিটি ইস্যু একটু একটু করে বিজেপির ভোট কমিয়েছে। এমনকী, হিন্দিভাষী বলয়েও। মজার বিষয় হল, কীর্তি আজাদ ওই এলাকাগুলিতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তার ছোঁয়া পাচ্ছেন। হিন্দুধর্ম যে কোনও একটি দলের সম্পত্তি নয়, ঘরে ঘরে গিয়ে শাস্ত্রমতে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছে, রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে নেমেছেন আজাদ। ফলে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ, ভাতার এবং মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল এগিয়ে থাকছে বলাই যায়। লড়াই যা হবে গলসি, দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম এলাকায়। 
হোমওয়ার্ক অবশ্য মহুয়া মৈত্রেরও আছে। উঁহু, ঠিক হল না। সব সময়ই থাকে। তা তাঁকে যত অপ্রীতিকর প্রশ্নের সামনেই ফেলা হোক না কেন। তাই তিনি এথিক্স কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে যান খান তিনেক ব্র্যান্ডেড ব্যাগ হাতে নিয়ে। জানেন, এ নিয়েও চর্চা হবে। আর সেটাই তিনি উপভোগ করবেন। তাঁর স্ট্র্যাটেজি হল, অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। তাই বহিষ্কৃত এমপি হয়েও আত্মবিশ্বাসের এভারেস্টে বসে থাকেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসে হাতেগোনা যে কয়েকজন নিজস্ব মেশিনারিতে ভোট করতে পছন্দ করেন, তাঁদের অন্যতম মহুয়া। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রায় ৩৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। সেটা তাঁর বাড়তি শক্তি। তবে বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’ অমৃতা রায়ের থেকে বাম-কংগ্রেস জোট তাঁর বেশি চিন্তার কারণ। কেন? প্রথমে আসা যাক অমৃতা রায়ের প্রসঙ্গে। এখানেও দলের বদলে প্রার্থীর চরিত্রটিই কিন্তু বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। একে তো তিনি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পরিবারের ব্যাটন উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। আর তার থেকে বড় কথা, আসরে নামামাত্র তাঁকে নিয়ে ‘বিশ্বাসঘাতক বিতর্ক’ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে ইন্ধন বাড়িয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে ফোন করে যেই না তিনি দাবি করেছেন, ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা সাধারণের মধ্যে বিজেপি বিলিয়ে দেবে, তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। প্রথম প্রশ্ন উঠেছে, কোনও সরকার আদৌ সেটা পারে কি না। এমনিতেই ১৫ লক্ষ টাকা করে ‘বিলি’র অলীক বোঝা দশ বছর পরও মোদিজির কাঁধ থেকে নামেনি, তার উপর এমন একটা দাবি। ‘রানিমা’র শূন্য কলসিতে তাই ফ্লোটিং ভোটাররা ডুব দিতে নারাজ। এবার আসা যাক বাম-কংগ্রেস ‘জোট’ প্রার্থীতে। সিপিএমের এস এম সাদি গত কয়েকটা ভোটে হেরেছেন। তারপরও কেন তাঁকেই এবার প্রার্থী করা হল? উত্তরটা পরিষ্কার, সংখ্যালঘু ভোট। আর এই সমীকরণে যে ফাঁক নেই, তা প্রমাণ করার জন্য সাদি সাহেব লাগাতার কালীগঞ্জ, পলাশীপাড়ায় পড়ে রয়েছেন। মহুয়ার ভোট যতটা কাটা যায় আর কী। এতে কার সুবিধা হবে? মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র নিশ্চয়ই নয়। সিপিএম জানে, রাজ্যজুড়ে তাদের জয় অধরা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা এবারও প্রায় ১০০ শতাংশ। তাও সাদি সাহেব ‘মনে রাখার’ মতো চরিত্র হয়ে থাকতে চান কৃষ্ণনগরে। আবার ঠিক পাশের কেন্দ্রের আর একটি চরিত্রে অবশ্যই এবার নজর রয়েছে—মুকুটমণি অধিকারী। বিজেপি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে এসেছেন এবং এবার রানাঘাটে লোকসভার প্রার্থী। মতুয়া প্রভাবিত এই কেন্দ্রে মুকুটমণিই আকর্ষণের ভরকেন্দ্রে। প্রচণ্ড গরমেও প্রচুর ছুটছেন, আর পাত ভরে চ্যালেঞ্জ সাজিয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ সরকারের সামনে। এমনিতে সিএএ’র বিধি জারি হওয়ার পর নিঃশর্ত নাগরিকত্ব ইস্যুতে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে গেরুয়া শিবির। যা ইঙ্গিত, অন্তত ২০ শতাংশ মতুয়া ভোট এবার সুইং করবে। অর্থাৎ, বিজেপি সবটা পাবে না। তার উপর শান্তিপুর, ফুলিয়া, নবদ্বীপের তাঁতশিল্পের জন্য জগন্নাথবাবুর যাবতীয় প্রতিশ্রুতি শুধু প্রচারে থেকে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে। প্রথমদিকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চাপানউতোরে হোঁচট খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখন যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে। ফলে বিজেপির জন্য রানাঘাট মোটেও সেফ সিট নয়।
নিরাপদে নেই বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থীও। দাঁড়িপাল্লায় মাপলে রাজনীতির চরিত্র হিসেবে অধীর চৌধুরীকে প্রথম তিনের বাইরে কিছুতেই রাখা যায় না। একদা রবিনহুড জাতীয় কার্যকলাপ, মানুষের পাশে থাকা, রাজনীতিতে তুখোড় উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে গত দু’দশকে যা সঞ্চয় করেছেন, সেটাই ভাঙিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে গত লোকসভা ভোটে তাঁর জয়ের মার্জিন নজরে পড়ার মতো কমেছে—সাড়ে তিন লক্ষ থেকে ৮০ হাজার। এবার যা পরিস্থিতি, তিন প্রার্থীর মধ্যে যে কেউ জিততে পারেন বহরমপুর আসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে ইউসুফ পাঠানকে দাঁড় করিয়ে একটি মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন। তিনি ক্রিকেটার, পরিচিত সেলিব্রিটি এবং সংখ্যালঘু মুখ। ইতিমধ্যেই বহরমপুর শহর লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলিতে অধীরবাবুর ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে ফেলেছেন পাঠান। এছাড়া বেলডাঙা, রেজিনগর ও নওদা এলাকাতেও ভালোরকম লিড হতে পারে বলে আশা করছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মলকুমার সাহা। ৩৩ বছর ধরে এলাকায় ডাক্তারি করছেন। একটু খামখেয়ালি হতে পারেন, কিন্তু রোগীদের জন্য প্রণম্য। নিখরচায় বহু গরিব রোগীর অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করে থাকেন। শুধু রোগীর নিরিখে বিচার করলেই লাখ খানেকের কাছাকাছি ভোট তিনি নিশ্চিত ধরে রেখেছেন। বহরমপুর শহরে যদি তিনি লিড নিয়ে নেন, অধীর চৌধুরী তাহলে তিন নম্বরে চলে গেলেও অবাক হওয়ার থাকবে না। অর্থাৎ, ভাঙবে অধীর মিথ।
সেদিক থেকে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা এবার বেশ নিশ্চিন্ত। প্রথমেই ‘বাঙালি বিরোধী’ বলে পরিচিত ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। তারপর অনেক জল ঘোলা করে সেই সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়াকে গেরুয়া টিকিট দেওয়া হয়েছে। কুলটি ও আসানসোল দক্ষিণ এলাকায় ভালোরকম লড়াই হলেও পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনি, জামুড়িয়া ও আসানসোল উত্তর বিধানসভা অঞ্চলে আলুয়ালিয়াকে ‘খামোশ’ করে দেওয়া যাবে বলেই আশাবাদী শত্রুঘ্ন। 
চতুর্থ দফায় আর একটি জেলায় নজর থাকবে—বীরভূম। শতাব্দী রায় মানুষের জন্য কাজ করেন, পাবলিকের পাশে দাঁড়ান, কেন্দ্রে পড়েও থাকেন। তাই বীরভূম কেন্দ্রে তাঁকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৃণমূলে কম। অসিত মালও বোলপুর আসন নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিন্তায় রাখেননি। কিন্তু ফিল্ম জগতের পরিচিত নায়িকা এবং সমীহ করার মতো রাজনীতিক হওয়া সত্ত্বেও কি শতাব্দী বা অসিত মাল এই ভোটের চরিত্র হয়ে উঠতে পেরেছেন? উত্তর হল, না। বীরভূমের রাজনীতিতে রাঙা মাটির রং যেমন থাকে, তেমনই থাকে একটা মেঠো গন্ধ। তার মিশেলেই গড়ে ওঠে চরিত্র। সেই চরিত্র উন্নয়ন হয়ে পথে দাঁড়িয়ে থাকে, চড়াম চড়াম শব্দে ঢাক বাজায়, আবার ভোটের দিন গৃহবন্দি থেকেও দলকে নিশ্চিত করে। প্রায় তিন বছর জেলে অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোট তাঁকে ছাড়াই হয়েছে। এবার লোকসভা ভোটও। তাঁর মেঠো রাজনীতি, ভোট মেশিনারি এবং সাদামাটা অথচ বিপক্ষের গায়ে জ্বালা ধরানোর মতো বাক্যবাণ। কেউ মাঠে ময়দানে তাঁর ‘লেগাসি’ খুঁজছেন। কেউ বলছেন, বেশ হয়েছে। এটাই হওয়ার ছিল। অর্থাৎ, অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে নেই, কিন্তু আছেন। ইতিতে হোক, বা নেতি। অনুব্রত বুঝিয়ে চলেছেন, তাঁর চরিত্রটিকে কাল্পনিক আখ্যা দেওয়ার সময় এখনও আসেনি।
07th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
একনজরে
‘সকালে লাইনে দাঁড়ালে দুপুর গড়ায়, দুপুরে দাঁড়ালে সন্ধ্যে বা রাত। তারপর ভাগ্যে থাকলে পেট্রল জোটে, তাও যৎসামান্য। রুটিরুজি ছেড়ে পেট্রলের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে খাব কী!’ ...

রাজ্যে তিনটি দফার নির্বাচন নির্বিঘ্নে মিটেছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। এবার চতুর্থ দফাতেও সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর। ...

জুলাইয়ে শুরু প্যারিস ওলিম্পিকস। নীরজ চোপড়া কী সোনা জিততে পারবেন? আশায় বুক বাঁধছেন দেশবাসী। চার বছর আগে টোকিওতে দেশকে সোনা উপহার দিয়েছিলেন তিনি। জ্যাভেলিন থ্রোয়ে ...

‘সকলের মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে’। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই লক্ষ্য নিয়ে ভেগান খিচুড়ি বিতরণ করে ‘গো ধার্মিক’ সংস্থা। এবার এই উদ্যোগের শামিল হলেন ব্রিটিশ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬- পানিপথের যুদ্ধ জয় করে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন
১৬১২- মুঘল সম্রাট  শাহজাহানের  সাথে  মুমতাজের  বিয়ে হয়
১৮২৪- লন্ডনে জাতীয় গ্যালারি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৮৫৭- দেশজুড়ে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৮৬৩- সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম
১৮৮২- ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরুসদয় দত্তের জন্ম
১৯০৫- সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ মল্লিকের জন্ম
১৯০৮ - বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবীর জন্ম
১৯৬২- স্বাধীনতা সংগ্রামী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৮৩- বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়র মৃত্যু
১৯৮৫- রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক প্রমথনাথ বিশীর মৃত্যু
১৯৯৪- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা
২০০২- কবি কায়ফি আজমির মৃত্যু
২০২২ - কিংবদন্তী সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭০ টাকা ১০৬.১৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮২,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। তৃতীয়া ৫৪/৩০ রাত্রি ২/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ১৪/২০ দিবা ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৫/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/২২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৪/১৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। দ্বিতীয়া প্রাতঃ ৫/৪৫ পরে তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫১। রোহিণী নক্ষত্র দিবা ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ১০/১২ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৬/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

11:43:51 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:29:20 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট রবীন্দ্র জাদেজা, চেন্নাই ১৬৯/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:28:55 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট শিবম দুবে, চেন্নাই ১৬৫/৬ (১৬.৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:23:11 PM

আইপিএল: ৫৬ রানে আউট মঈন আলি, চেন্নাই ১৩৫/৫ (১৪.২ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:06:29 PM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি মঈন আলির, চেন্নাই ১৩৪/৪ (১৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:03:13 PM