যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
এদিন সকালে দেখা যায়, রামপুরহাটের আদালত চত্বরে একাধিক জায়গায় এই পোস্টার লাগানো রয়েছে। সাদা কাগজে ছাপা পোস্টারগুলি। সিউড়ি আরটি স্কুল মোড়ের কাছেও একই পোস্টার পড়েছে। এই পোস্টার পড়েছে নলহাটিতেও। এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। সেই পোস্টারে লেখা, অনেক দিন হল, এবার আমাদের সহ্যের সীমা পেরিয়েছে। কে প্রার্থী তাই বুঝিয়ে উঠতে পারছি না কাউকে। একজনের নামে দেওয়ার লিখন করছি তো আরেকজনের নামে প্রচার। মানুষ এখনও জানে না আমাদের প্রার্থী কে, সে কোথায় থাকে, তাঁর কীই বা পরিকল্পনা। অথচ দল এই বিষয়ে নির্বিকার। বীরভূমের বিষয়ে এই তাচ্ছিল্য আমরা আর মেনে নিতে পারলাম না। তাই যতক্ষণ না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই জটিলতার সমাধান করছে ততক্ষণ আমরা সমস্ত বিজেপি কর্মী প্রচার ও ভোট প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকব। বাকিদেরও অনুরোধ আপনারাও বিজেপি থেকে বিরত থাকুন, বীরভূমকে আর তাচ্ছিল্যের পাত্র হতে দেবেন না।’ এই ঘটনায় বিজেপি শিবিরে যে অস্বস্তি বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথমত, প্রার্থী নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা আবারও উসকে দেওয়া হল। দুই, বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বের বীরভূমের প্রতি তাচ্ছিল্যের দিকটা সামনে আনা হল। এমনিতেই ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করা দেবাশিস ধরের নাম এখনও দেওয়াল থেকে মুছে দেওয়া হয়নি। দেবতনু ভট্টাচার্যের নামে দেওয়াল লিখন হলেও প্রচারে শুরুর দিনের ঝাঁঝ অনেকখানি ফিকে হয়ে গেছে। ভোটের দোরগোড়ায় তৃণমূল যখন একের পর এক তারকা প্রচারে মাঠ কাঁপাচ্ছে সেখানে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে। যদিও শেষবেলায় রামপুরহাটে অমিত শাহ ঝড় তুলতে আসছেন। কিন্তু তাঁর আসার ঠিক একদিন আগেই যেভাবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে পোস্টার পড়ল তাতে অস্বস্তি যে খানিক হলেও বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতে কালোসোনা মণ্ডল জেলার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত। তাঁর সঙ্গে বর্তমান জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। যদিও মনোনয়ন জমা করার দিন কিংবা আইন অমান্য কর্মসূচিতে পাশাপাশি দু’জনক হাঁটতে দেখা গেছে। সিউড়িতে যোগী আদিত্যনাথের সভাতেও তাঁকে দেখা যায়। তাঁর নাম করেই বিজেপি না করার আহ্বান রাখা পোস্টার পড়ায় ফের প্রশ্নের মুখে কালোসোনাবাবু। যদিও তাঁর দাবি, এই সমস্ত কিছুই তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য। তিনি বলেন, দলেরই কেউ কেউ আমাকে মনে হয় মেনে নিতে পারছেন না। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আমার ছবি, দলের একাংশ হয়তো চাইছেন আমি যাতে আর না বাড়ি। তাই আমার নাম করে নোংরামো করা হল। আমি দেবতনুদার হয়েই প্রচার করছি। আগামীতেও করব। বিজেপিকে জেতাতে আমার যা ক্ষমতা তাই করব। জেলার বিজেপি নেতা তথা রাজ্য সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ গড়াই বলেন, দলে বিরোধ বাধানোর জন্য বিরোধী দল এইসব নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। দলের প্রার্থীর সমর্থনে সবাই লড়াই করছে। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ওদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এটা। আমাদের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নই।