Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন।
শুধু ঈশ্বরই নন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাছের মানুষদের, প্রিয় পরিজনদেরও নতুন নামে ডাকতেন। তাঁর স্নেহ-প্রেম-অনুরাগে সেই নাম পেত নতুন মহিমা।
তাঁর জীবনের প্রথম বান্ধবীকেই সম্ভবত প্রথম নতুন নামে ডেকেছিলেন। তিনি মারাঠি কন্যা আনা তড়খর। নব্যতরুণ কবিকে বিলাত যাবার আগে কিছুদিন থাকতে হয়েছিল তাঁর মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিত মুম্বই (তৎকালীন বোম্বে)-এর এক মারাঠি পরিবারে। সেই পরিবারের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বিদুষী কন্যা আনা কিশোর কবিকে বিলাতি আদবকায়দা শেখাতেন। ইনিই কবির জীবনের প্রথম নায়িকা। কবির চেয়ে আনা বয়সে সামান্য বড় ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের গলায় গান শুনতে আনা খুব ভালোবাসতেন, বলতেন ‘রবি তোমার গান শুনলে আমি মরণ থেকেও জেগে উঠতে পারি’— এই কথারই রেশ ধরে রবীন্দ্রনাথ কি পরে গীত রচনা করেন—
‘‘তোমার কাছে এ বর মাগি
মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে’’
রবীন্দ্রনাথ নিজেই জানিয়েছেন আনা তাঁর কাছ থেকে একটি নতুন নাম চেয়েছিলেন। কবি তাঁর নবলব্ধা এই বান্ধবীকে ডেকেছিলেন ‘নলিনী’ নামে। এটি কবির প্রিয় নাম। শুধু তাই নয় আনাকে নিয়ে লেখা কবিতাতেও তিনি এই নামটি যুক্ত করে লেখেন—
‘শুন, নলিনী খোল গো আঁখি
ঘুম এখনো ভাঙিল না কি।
দেখ, তোমারি দুয়ার পরে
সখি, এসেছে তোমারি রবি’
রবীন্দ্রগবেষক অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য বলেছেন—‘এই ঘুম ভাঙানিয়া গানই রবীন্দ্রজীবনের প্রথম প্রেমসঙ্গীত।’
রবীন্দ্রনাথের প্রথম দিকের নানা কাব্য-নাটকে ‘নলিনী’ নামটি বারবার এসেছে। হয়তো এভাবেই কবি তাঁর প্রথম সখীকে স্মরণ করেছেন।
এরপর ইংল্যান্ডে গিয়ে কবি ছিলেন ড. স্কটের পরিবারে। তাঁর তিন মেয়ের সঙ্গে কবির পরিচয় হয়েছিল। যাঁরা প্রথমে অচেনা ভারতীয় তরুণকে এড়িয়ে গেলেও পরে বাঁধা পড়েছিলেন বন্ধুত্বের বন্ধনে। এঁদের মধ্যে লুসি স্কট ছিলেন কবি-অনুরাগিণী। তাঁদের নতুন নাম দিয়েছিলেন কি না জানা যায় না, কিন্তু সন্ধ্যাসঙ্গীতের একটি কবিতায় সেই বিদেশিনী কন্যাদের চিরজীবী করে রেখেছেন। অনুভবের গভীরতায় অনন্য সেই কবিতার নাম ‘দু’দিন’।
‘এই যে ফিরানু মুখ/ চলিনু পুরবে
আর কি রে এ জীবনে ফিরে আসা হবে।....
হু হু করে উঠিবেক সহসা এ হিয়া
সহসা এ মেঘাচ্ছন্ন স্মৃতি উজলিয়া,.... 
একটি মুখের ছবি উঠিবে জাগিয়া’
জীবনের পরিণত পর্বে কবির সঙ্গে পরিচয় হয় আর্জেন্টিনার বিদূষী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে। কবির প্রৌঢ় প্রহরের এই তরুণী বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর সখ্য আজ ইতিহাস। দীর্ঘ দু’মাস তিনি ভিক্টোরিয়ার বাড়িতে অতিথি হয়েছিলেন। ভিক্টোরিয়ার তিনি নতুন নাম দিয়েছিলেন ‘বিজয়া’। ‘ভিক্টোরিয়া’ শব্দের অনুষঙ্গেই এই নামকরণ। এসময় লেখা ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেন ভিক্টোরিয়াকে—‘বিজয়ার করকমলে’ শেষ জীবনেও কবি ভিক্টোরিয়ার সখ্যকে স্বীকার করে অন্তিমপর্বের কয়েকটি কবিতার (শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থে সংকলিত) ‘বিদেশের প্রেয়সী’ এই অভিধায় স্মরণ করেছেন তাঁর বিজয়াকে।
কবিজীবনের প্রেরণারূপিণী নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবীকে রবীন্দ্রনাথ নানা নামে স্মরণ করেছেন। কবির সাত বছর বয়সে ন’বছরের কাদম্বরী এসেছিলেন ঠাকুর পরিবারে জ্যোতিদাদার স্ত্রী নতুন বউঠান হয়ে। নানা কবিতায়, গানে নানা নামে তাঁকে ডেকেছেন কবি। একটি গ্রন্থ উৎসর্গে লিখেছেন— 
‘শ্রীমতী হে—কে’
এই ‘হে’ কার নাম এই সম্বন্ধে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কারোর মতে গ্রিকদেবী ত্রিমুণ্ডী ‘হেকেটি’-র নামে এই বিশেষণ। কাদম্বরী দেবীর জীবনে তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রভাব ছিল। বা অন্যভাবে বলা চলে তিনি প্রভাবিত করেছিলেন তিন বিখ্যাত জনকে—কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী, স্বামী জ্যোতিরিন্দ্র নাথ ও দেবর রবীন্দ্রনাথ। এছাড়া ‘অলীকবাবু’ নাটকে নায়িকা ‘হেমাঙ্গিনী’ চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। সেই নামের সংক্ষিপ্ত আকার হিসেবে ‘হে’ নামের প্রয়োগ এমন মতও প্রচলিত।
কবির শেষ জীবনের কাব্য ‘আকাশ প্রদীপ’-এর একটি অনবদ্য কবিতা—‘শ্যামা’। এই স্মৃতিজারিত কবিতার বালিকাবধূ যে শ্যামলবরণী লাবণ্যময়ী নতুন বউঠান, তা বোঝা যায়। ‘শ্যামা’ যেন নতুন বউঠানেরই কবি প্রদত্ত নতুন নাম।
জীবনের প্রেরণাদাত্রী প্রিয় সখী ছাড়া কাছের অন্য মানুষদেরও নানা নতুন নামে ডাকতেন কবি। তাঁর স্নেহধন্যা মৈত্রেয়ী দেবীকে নাম দিয়েছিলেন— ‘মাংপবী’ তাঁর মংপুর বাসভবনে থাকাকালীন এই নামকরণ। আবার অমিয় চক্রবর্তীর বিদেশিনী স্ত্রীর নতুন নাম দেন হৈমন্তী, হিমের দেশের কন্যা বলেই সম্ভবত এই নামকরণ। মধুকণ্ঠী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম ছিল অণিমা। ‘কণিকা’ নাম কবির দেওয়া। সেই সঙ্গে তাঁর ডাক নাম ‘মোহর’-কে অতিরিক্ত স্নেহাদরে ‘আকবরী মোহর’ নামে ডাকতেন।
শুধু মেয়েদেরই নয় তাঁর প্রিয় সচিব ও ভাইপোদেরও কখনও নতুন নামে আবার কখনও বা গানের বাণীতে বেঁধেছেন। সচিব সুধাকান্ত রায় চৌধুরীকে কৌতুকছলে নাম দিয়েছিলেন—সুধোড়িয়া। তাঁর অতিপ্রিয় দুই ভাইপো গগনেন্দ্রনাথ ও অবনীন্দ্রনাথকে গানের কথায় বেঁধে রাখার অপূর্ব নিদর্শন পাই। ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’— বসন্তের এই গানে কবি এঁদের দু’জনকে বন্দি করেছেন অপরূপ ছন্দে। এই গানের সঞ্চারীতে পাই—
‘হে রো হে রো অবনীর রঙ্গ
গগনের করে তপোভঙ্গ’
সম্ভবত গগনেন্দ্রনাথের অঙ্কনরত মগ্ন অবস্থায় ছোট ভাই অবনীন্দ্রনাথ কিছু চপলতা করেন তখনই রবীন্দ্রনাথের এই গীতরচনা। তাঁদের আর এক ভাই ‘সমরেন্দ্রনাথ’-কেও একই গানে বেঁধেছিলেন—
‘হাসির সমরে তার মৌন রহেনা আর 
কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।’
পরে অবশ্য ‘সমর’ শব্দটি বদলে ‘হাসির আঘাত’ শব্দ প্রয়োগ করেন।
এমন আরও অনেক নামকরণ হয়তো কবি করেছেন যা সব আমাদের গোচরে আসেনি।
নামকরণ প্রসঙ্গে সবশেষে উল্লেখ করি কবিপত্নী মৃণালিনী দেবীকে। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভবতারিণী। বিয়ের সময় সেই নাম বদলে নতুন নাম দেওয়া হয় ‘মৃণালিনী’। হয়তো রবি নামের সঙ্গে মিলিয়েই এই নামকরণ। তবে কবির বড় দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথের একটি আশীর্বচনে কবির স্ত্রীরূপে ‘স্বর্ণমৃণালিনী’ শব্দটি ছিল। সেটিও এই নামকরণের কারণ হতে পারে।
কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে—স্ত্রীকে কি রবীন্দ্রনাথ নতুন কোনও নামে ডাকেননি? ‘মহুয়া’ কাব্যগ্রন্থে ‘মহুয়া’ কবিতার শেষে কবি লিখেছিলেন—
‘কানে কানে কহি তোরে
বধূরে যেদিন পাবো, ডাকিব মহুয়া নাম ধরে’
হয়তো নিভৃতে কোনও অন্তরঙ্গ নামে ডেকেছিলেন— যা আমাদের অজানা। তবে কথোপকথনে মৃণালিনীদেবীকে কখনও ছোটবউ, কখনও ‘রথীর মা’ বলে উল্লেখ করেছেন, সেখানে মিশেছিল প্রথানুগতি। কিন্তু মৃণালিনীদেবীকে 
লেখা কবির চিঠিতে আমরা পেয়েছি অন্তরঙ্গ সম্বোধনের আভাস। ‘ছোটবউ’ থেকে ‘ছুটকি’ নামের মধ্যে এক স্নেহাসিক্ত কৌতুকাভাস মিশে আছে। এসবের বাইরে অন্য একটি নামে মৃণালিনী দেবীকে ডেকেছেন রবীন্দ্রনাথ। সেই স্নিগ্ধ মধুর নাম— ‘দুটি’। এই সম্বোধনে ধরা পড়েছে এক আন্তরিক হৃদয়বত্তা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন সব কর্মযজ্ঞের অবসানে ঘরোয়া পরিবেশে চান ক্ষণিকের অবকাশ। সেই অবসরের মুক্তি মেলে ‘ছুটি’ নামে। কর্মব্যস্ত প্রহর শেষে হয়তো কবি পত্নীর কাছে মেলে বিশ্রাম তাই তাঁর নতুন নাম ‘ছুটি’।
প্রিয়জনকে বিশেষ নামে ডাকাকে কবি অমর করে রেখেছেন ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে। নায়ক অমিত লাবণ্যকে দিয়েছে নতুন নাম ‘বন্যা’ আর লাবণ্য তার অন্তরতম অমিতকে দিয়েছে নতুন নাম ‘মিতা’। 
এই নাম দুটি অনুরাগের নিবিড়তায় আজ ‘মিথ’-এ পরিণত। নামকরণের এই অন্তরঙ্গতা বোঝাতে অমিত বলেছে— ‘এ নাম হল বীজমন্ত্রের মতো, এ শুধু আমার মুখে আর তোমার কানে’
এই অনুভবেই ধরা আছে প্রিয়জনকে নতুন নামকরণের অনুরাগ রঞ্জিত মাধুরী। কবি নিজেই বলেছেন—
‘আমরা যাহাকে ভালোবাসি তাহার একটা 
নতুন নামকরণ করিতে চাই।’
প্রিয়জনের নতুন নামকরণ তাই ভালোবাসার অনন্য উপহার।
লেখিকা বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা
08th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
একনজরে
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাবহুল আলিপুর। সিপিএম মনোনয়ন দিতে আসার সময় প্রথমে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়, পরে গোপালনগরের কাছে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাদের ঝামেলা ...

বকেয়া বেতন জমে কার্যত পাহাড়। অনিশ্চিয়তায় রায়গঞ্জ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন পুরসভার গাড়ি চালক ও সহযোগীরা। ...

‘সকলের মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে’। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই লক্ষ্য নিয়ে ভেগান খিচুড়ি বিতরণ করে ‘গো ধার্মিক’ সংস্থা। এবার এই উদ্যোগের শামিল হলেন ব্রিটিশ ...

কালীগঞ্জের দেবগ্রামে রোড-শো সম্পূর্ণ না করেই বেরিয়ে গেলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি অর্ধেক রাস্তা রোড-শো করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬- পানিপথের যুদ্ধ জয় করে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন
১৬১২- মুঘল সম্রাট  শাহজাহানের  সাথে  মুমতাজের  বিয়ে হয়
১৮২৪- লন্ডনে জাতীয় গ্যালারি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৮৫৭- দেশজুড়ে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৮৬৩- সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম
১৮৮২- ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরুসদয় দত্তের জন্ম
১৯০৫- সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ মল্লিকের জন্ম
১৯০৮ - বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবীর জন্ম
১৯৬২- স্বাধীনতা সংগ্রামী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৮৩- বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়র মৃত্যু
১৯৮৫- রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক প্রমথনাথ বিশীর মৃত্যু
১৯৯৪- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা
২০০২- কবি কায়ফি আজমির মৃত্যু
২০২২ - কিংবদন্তী সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭০ টাকা ১০৬.১৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮২,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। তৃতীয়া ৫৪/৩০ রাত্রি ২/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ১৪/২০ দিবা ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৫/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/২২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৪/১৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। দ্বিতীয়া প্রাতঃ ৫/৪৫ পরে তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫১। রোহিণী নক্ষত্র দিবা ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ১০/১২ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৬/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

11:43:51 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:29:20 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট রবীন্দ্র জাদেজা, চেন্নাই ১৬৯/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:28:55 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট শিবম দুবে, চেন্নাই ১৬৫/৬ (১৬.৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:23:11 PM

আইপিএল: ৫৬ রানে আউট মঈন আলি, চেন্নাই ১৩৫/৫ (১৪.২ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:06:29 PM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি মঈন আলির, চেন্নাই ১৩৪/৪ (১৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:03:13 PM