যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
কালীগঞ্জের বিজেপি নেতা কৌশিক নন্দী বলেন, আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে মিঠুনের রোড-শো সফল হয়েছে। কাতারে কাতারে মানুষ রোড শোতে পা মিলিয়েছেন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিছিলে শামিল হয়েছেন। এবার কালীগঞ্জ বিধানসভাতেই সামগ্রিকভাবে বিজেপির ভালো ফল হবে।
কালীগঞ্জ ও পলাশীপাড়া বিধানসভা কৃষ্ণনগর লোকসভায় জয়-পরাজয়ে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তৃণমূল, সিপিএম বা বিজেপি কেউই কালীগঞ্জ ও পলাশীপাড়া বিধানসভাকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না। জেলায় এদিন দু’টি কর্মসূচিতে যোগ দেন মিঠুন। প্রথমে দেবগ্রাম স্টেশনের কাছে সিপিএমের পার্টি অফিস সংলগ্ন মাঠ থেকে প্রার্থী অমৃতা রায়কে নিয়ে রোড-শো শুরু করেন। সেলিব্রিটি প্রচারককে দেখতে উৎসাহের খামতি ছিল না সাধারণ মানুষের মধ্যে। হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে শুরু করে রোড-শোতে ভিড় ছিল। মিঠুনকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষ জড়ো হন। অনেকে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলেন। দেবগ্রাম চৌরাস্তার কাছে জাতীয় সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। দেবগ্রামের কাটোয়া মোড় হয়ে বল্লভপাড়া ঘাট পর্যন্ত রোড-শো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোরুর হাটের কাছে জাতীয় সড়কের উপর আচমকা রোড-শো শেষ করেন মিঠুন। মিঠুন বলেন, রানিমার প্রতি মানুষের আবেগ রয়েছে। একটা ইতিবাচক ভাব রয়েছে। ফলাফল ভালো হবে। রাজনৈতিক মহলের মত, ভিড় দেখিয়ে ভোট হয় না। তাই রাস্তার দু’ধারে ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত হতে পারেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু সেই ভিড়ের প্রভাব ভোটবাক্সে কতটা পড়বে সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে।
পলাশীপাড়ার জনসভা থেকে মিঠুন বলেন, ১০০দিনের কাজের টাকা বিজেপির টাকা নয় যে তারা দিচ্ছে না। এটা আমার আপনার করের টাকা। এই টাকার হিসেব দেখে ক্যাগ। এই রাজ্য সরকার টাকার হিসেব দেয়নি। তাই টাকা পাচ্ছে না। এই সরকার হিসেব দিলেই টাকা পাবে। কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেলিব্রিটি এলে এমনিই লোক ছবি তুলতে যায়। তাই ভিড় মানেই অনেক বেশি ভোট পাবে এমনটা নয়। মানুষ পরিষেবা দেখে ভোট দেয়। তৃণমূল ২৪ঘণ্টা মানুষের পরিষেবায় নিয়োজিত থাকে। বিজেপির যত বড় নেতাই আসুক, দেবগ্রামে তৃণমূলই লিড পাবে। মিঠুনের রোড শো। নিজস্ব চিত্র