Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসে আমেরিকার ডালাস থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবে সেই বিমান। জানা গিয়েছে, দু’টি বোয়িং ৭৭৭ বিমান কিনছে ভারত। খরচ হচ্ছে ৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। যা রীতিমতো পাল্লা দিতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমানকেও।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আকাশপথে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চয় জরুরি। কিন্তু আর্থিক মন্দায় ডুবে থাকা দেশের পক্ষে এখনই এই বিপুল খরচ সত্যিই কি প্রয়োজন ছিল? এই ৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা— কার টাকা?
এই অভূতপূর্ব সঙ্কটকালে দেশের সরকারের প্রধান চিন্তা কী হওয়া উচিত? কীভাবে মারণ ভাইরাসকে পরাস্ত করা যাবে। কীভাবে বিপদ থেকে মুক্ত করা যাবে দেশবাসীকে। বেঁচে থাকার ন্যূনতম উপায় কী হতে পারে। কত মানুষ কাজ হারাবেন। যাঁরা হারিয়েছেন, কীভাবে কাজ ফিরে পাবেন। এবং দ্বিতীয় চিন্তা, যা আরও বেশি দীর্ঘস্থায়ী, কোথা থেকে আসবে টাকা। অপ্রয়োজনীয় কিংবা আপাতত গুরুত্বহীন খরচ কমিয়ে কীভাবে দেশের অর্থনীতি বাঁচানো যায়। তাই তো?
করোনা সঙ্কটে বেহাল অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়েছিলেন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার উপর। বলেছিলেন, ‘লোকাল’ নিয়ে ‘ভোকাল’ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় যা করবেন বলেছেন, আর যা করছেন তার মধ্যে ফারাক বিস্তর। দেশের সিংহভাগ মানুষের যেখানে অন্নের নিশ্চয়তা নেই, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক যখন ধ্বস্ত, বেকারত্বের হার সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, সেখানে মোদিজির ‘আত্মনির্ভরতা’-র বুলিকে উচ্চমার্গের রসিকতা ছাড়া কী বলা যায়?
এই মহামারী-দীর্ণ সময়ে দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড কোং কী ভাবলেন, পাঁচ কিস্তির প্রহসনে তা বোঝাই দায়। করোনা প্যাকেজে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া তো দূরের কথা, হিসেবের ছলচাতুরি প্রতিটি ছত্রে ছত্রে। যার শূন্য গুনতে ক্যালকুলেটার বের করেছেন কেউ, কেউ বা হাতড়েছেন গুগল। তারপরও হিসেব মেলাতে গিয়ে গোত্তা খেয়েছেন আমআদমি। তীব্র কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ বিগ জিরো, অশ্বডিম্ব!’ অনেকে ভেবেছিলেন মোদি সরকার করোনা ত্রাণে দেশের নিম্নবিত্ত, গরিব মানুষের হাতে টাকা আর বাড়িতে খাবার প্যাকেট পৌঁছে দেবে। অন্তত কয়েক মাসের জন্যে। পাঁচ কিস্তি শেষে বোঝা গেল সেই গুড়ে বালি। আসলে করোনা পরিস্থিতিতে যারা ভেবেছিলেন যে, বর্তমান বিজেপি সরকার কিছুটা জনদরদী পথে হাঁটবেন, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছিলেন।
২০ লক্ষ কোটির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্প। অথচ গরিব-নিম্নবিত্ত হোক কিংবা ছোট ব্যবসায়ী— কাউকেই কোনও অনুদানই দেওয়া হয়নি। উল্টে আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় সকলের জন্য বেশি বেশি করে ঋণ নেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যে সৎ কোম্পানি দিনের পর দিন সরকারকে বিপুল ট্যাক্স দিয়ে গিয়েছে, তার জন্য যা নিদান, আর যে কোম্পানি সরকারের ট্যাক্স কীভাবে মারা যায় তা নিয়েই সারা বছর কাঁটাছাড়া করে— তার জন্যও একই ভাবনা। এই ঋণের টাকা কারা পাবেন? এই ঋণের টাকা কীভাবে ফেরত পাবে সরকার? কোনও স্পষ্ট দিশা নেই। অতএব এই টাকা কিছুদিন পরে কতটা তামাদি হবে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
অথচ, কে না জানে, গভীর সঙ্কটের মুখে ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। তথ্য বলছে, গত তিন বছরে ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ মোট ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ফেরত দেননি ৪১৬ জন। ঋণগ্রহীতা পিছু অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ গড়ে প্রায় ৪২৪ কোটি টাকা। আবার বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ১০০ কোটি বা তার বেশি ঋণ ফেরত না দেওয়ায় তাদের ক্ষতি হয়েছে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। শেষ পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ৫০০ কোটি বা তার বেশি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার কোটি টাকা। আরবিআইয়ের ভাষায় এই ঋণগ্রহীতাদের ঋণের অঙ্ক ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ এই ঋণ অনদায়ী বা অনুৎপাদক সম্পদ। সংসদে প্রশ্ন ওঠা সত্ত্বেও কেন্দ্র জানায়নি ৫০ জন সর্বোচ্চ ঋণখেলাপির নাম। তথ্যের অধিকার আইনে জানাতে হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া, যতীন মেহতারা আছেন। তালিকায় শেষ সংযোজন, বাবা রামদেব। বিজেপি‌র প্রবল সমর্থক।
এই সঙ্কট–পর্বের সুযোগে ‘নজর’ পড়ল ব্যাপক বেসরকারিকরণে। পাঁচ কিস্তির প্যাকেজ ঘোষণা করার সময় অর্থমন্ত্রীকে দেখে একসময় মনে হচ্ছিল, সরকার যেন এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। লকডাউনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র বেচে দেওয়ার নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। জানিয়ে দিয়েছে, কয়েকটি চিহ্নিত স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোনও ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র থাকবে না। স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থাকবে। বাকি সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হয় সংযুক্তিকরণ হবে, নয়তো বেচে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। এটা ছিল করোনা প্যাকেজের পঞ্চম পর্বের দাওয়াই। অর্থাৎ, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় সমস্ত সংস্থাগুলিতেই বেসরকারি পুঁজি ঢুকবে। এতটাই যে, সংস্থার নিয়ন্ত্রণ বেসরকারি পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাবে। অতএব, কয়লা থেকে অস্ত্র, বিদ্যুৎব্যবস্থা থেকে আকাশসীমা, সবটাই বেসরকারি বিনিয়োগের আবর্তে ঢুকে গেল। ঘরবন্দি মানুষকে আড়ালে রেখে ‘আত্মনির্ভরতা’র নামে ছুরি বসানো হল অর্থনীতিতে, জনজীবনেও।
দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় ২১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজে সরকারি কোষাগার থেকে দেয় নগদের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১০ শতাংশেরও কম। শুধু তাই-ই নয়, প্যাকেজে এমন অনেক ঘোষণা করা হয়েছে, যা বাজেটের ব্যয়বরাদ্দে আগেই হয়েছিল। নতুন যে সব প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে, তার মোট মূল্য মাত্র ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। সঙ্কট মোকাবিলা করতে হচ্ছে রাজ্যগুলোকে। অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে চিকিৎসা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। রাতারাতি কোভিড হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র, চিকিৎসক–নার্স–স্বাস্থ্যকর্মীদের কিট ও অন্যান্য ব্যবস্থা। বিপুল খরচ। ভয়ঙ্কর চাপ। আপৎকালীন সহায়তা নেই। রাজ্যের প্রাপ্য, নির্ধারিত প্রাপ্যও, পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলার পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অন্তত সেই টাকাটা দিয়ে দিলে, রাজ্য আরও ঝাঁপাতে পারত। রাজ্যকে কিছুই দিল না কেন্দ্র। শুধু ছড়ি ঘোরাচ্ছে। ১৯৭৫ থেকে দু’বছর ইন্দিরা গান্ধী স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালিয়েছিলেন। কিন্তু, রাজ্যগুলোকে বঞ্চিত করা হয়নি। ইন্দিরা গান্ধী গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নগ্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেননি। ভাঙার খেলায় ইন্দিরাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
বাজার চালাতে হলে আমার আপনার হাতে খরচের টাকা থাকতে হবে। কিন্তু যেখানে বহু মানুষের রোজগারের রাস্তাই বন্ধ, সেখানে খরচ হবে কোথা থেকে? সরকারের সোজা পথ, প্রভিডেন্ট ফান্ডে আপনার দায় কমানো। মূল রোজগারের উপর আপনি দিতেন ১২ শতাংশ, এখন দেবেন ১০ শতাংশ। এতে নাকি মানুষের খরচ করার ক্ষমতা বাড়বে! সাধারণ চাকুরিজীবীর অবসরের পরের ভরসা ওই প্রভিডেন্ট ফান্ডের কয়েকটি টাকা। তার দায় কমলে কিন্তু আসলে চাপ আসবে অবসরের পরে। সঞ্চয় কমবে। আর যে মুহূর্তে আপনার হাতে আয় হিসেবে ওই ২ শতাংশ আসবে, সরকার তার থেকে আয়কর কাটবে আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হারেই। লাভ কার? সরকারেরই। আর আখেরে ক্ষতি কিন্তু আপনারই। দেশবাসী ভেবেছিলেন, প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় ঘোষণা হবে প্যাকেজ। সেখানে স্বাস্থ্য নিয়ে একটি মাত্র ঘোষণাই চোখে পড়েছে। মেডিক‌্যাল আইসোটোপ নিয়ে পারমাণবিক গবেষণা। যা কি না কর্কট রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে। কর্কট রোগের সঙ্গে করোনার কী সম্পর্ক, তা অর্থমন্ত্রীই জানেন!
‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাকালের তাঁর পঞ্চম ভাষণে ৩৩ মিনিটের মধ্যে গুণে গুণে ২৯ বার ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার কথা বলেছিলেন মোদিজি। সহজ কথায়, বিদেশি পণ্য নয়, দেশীয় পণ্য কিনুন। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন, কোন মানুষ নিজের দেশের চাল, ডাল, তেল, নুন, অত্যাবশকীয় জিনিসপত্র ছেড়ে বিদেশি কোম্পানির
পণ্য কেনেন?
দেশকে স্বনির্ভর করতে ‘‌লোকাল’‌ নিয়ে ‘‌ ভোকাল’‌ হওয়ার আবেদনে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরতন্ত্রী শাসক কিম জং উনের মিল খুঁজে পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মোদিজিকে মশকরা করে তাঁর ট্যুইট, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনছি। খুব মিল খুঁজে পাচ্ছি উত্তর কোরিয়ায় কিম জংয়ের সঙ্গে।’‌ ট্যুইটার ছেয়ে যায় তির্যক সব মন্তব্যে। কেউ লিখেছেন, ‘‌একজন ব্যক্তি আছেন, যিনি মেব্যাকের রোদচশমা, মোভ্যাকের ঘড়ি পরেন। মব্ল‌্যাঁ পেনে লেখেন। বিএমডব্লিউ গাড়ি চড়েন। তিনিই আমাকে দেশি জিনিস কিনতে বলছেন। সময়ের সঙ্গে আত্মনির্ভরতার অর্থ বদলায়!‌’‌
এসব ছেড়ে দিন। মোদির গালভরা প্রোজেক্ট ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র কথাই ধরুন। কী অবস্থা? গত ৬ বছরে সবচেয়ে বেশি বিদেশি সংস্থাকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি এই কয়েক সপ্তাহেই দেশীয় ব্যবসায় টেনে এনেছেন তিন-তিনটি মার্কিন সংস্থাকে। পেট্রোপণ্যের বাজারে ডেকে আনা হয়েছে সৌদি আরবের আরামকোকে। রাফাল বিমান কেনা হয়েছে ফ্রান্স থেকে। আরও অস্ত্র কেনার বরাত গিয়েছে আমেরিকায়। অথচ, ব্রাত্য থেকে গেল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল। ‌আর এখন সেই সরকারই বলছে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার কথা।
মোদিজি বলেছেন, লকডাউন ৪ নাকি রঙিন হবে! আর আমরা ক্রমশ ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’-এ চলে যাচ্ছি। এক অদ্ভুত আঁধার নেমেছে আজ। দেশবাসী বুঝে গিয়েছেন, সঙ্কটকালে আরও ভয়াবহ খবরের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
22nd  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে পঙ্গপালের হামলার কোনও সতর্কবার্তা এখনও জারি করেনি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। কিন্তু, রাজ্য কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক ...

জয়পুর, ২৭ মে: দেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পঙ্গপালের হানা। ইতিমধ্যে পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে হানা দিতে শুরু করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। লকডাউনের মধ্যে নয়া ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: লকডাউনে কাজ হারানো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাড়ে আট হাজার মানুষকে প্রচেষ্টা প্রকল্পে মাথাপিছু ১০০০ টাকা দিল রাজ্য সরকার। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ এবং কাজ হারানো দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।   ...

নয়াদিল্লি, ২৭ মে: বিভিন্ন হোটেলের শ্রেণিবিন্যাস ও অনুমোদনের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করল পর্যটন মন্ত্রক। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে আতিথেয়তা শিল্প একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু
১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্ম
১৯২৩- রাজনীতিক ও তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের জন্ম
২০১০- পশ্চিমবঙ্গে জ্ঞানশ্বেরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪১জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৬.৬১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৪.১২ টাকা
ইউরো ৮১.২৯ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪৬/১৯ রাত্রি ১১/২৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৬/১৬ দিবা ৭/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৪ মধ্যে।
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৩। পুষ্যানক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৩৫ পরে অশ্লেষানক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৪ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক ...বিশদ

07:03:20 PM

লকডাউন নিয়ে মতামত জানতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 

10:24:41 PM

গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৬৭ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৫৭২ 

09:18:00 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ২,৫৯৮ জন, মোট আক্রান্ত ৫৯,৫৪৬ 

08:49:48 PM

১৭ জুন শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

08:41:00 PM

উম-পুন: সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি ফিরহাদ হাকিমের 
উম-পুন উত্তর কলকাতায় দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ...বিশদ

07:33:14 PM