Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই। ইতিহাস বলছে, চিকেন পক্সের ভ্যাকসিনের জন্য ৪২ বছর, হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের জন্য ১৬ বছর, ইবোলার জন্য ৪৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল। তাই করোনাকে শায়েস্তা করার ওষুধ তাড়াতাড়ি আসবে, এমন ভাবাটা একটু বাড়াবাড়িই হবে। এই অবস্থায় বাঁচার মন্ত্র, সতর্ক হোন, কিন্তু আতঙ্কিত হবেন না। আত্মকেন্দ্রিক হোন, কিন্তু স্বার্থপর নয়।
এতদিন আত্মকেন্দ্রিক শব্দটির দিকে আমরা বাঁকা চোখে তাকাতাম। সামাজিক জীবনে আত্মকেন্দ্রিকতা ছিল প্রায় গালিগালাজের সমান। আত্মকেন্দ্রিকতা আর স্বার্থপরতাকে আমরা সমান চোখে দেখে এসেছি। দু’টি শব্দের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে। তবে তফাৎটা খুবই সুক্ষ্ম। নিজের কিসে ভালো হবে, আত্মকেন্দ্রিক মানুষ শুধু ডুবে থাকে সেই চিন্তায়। আর আত্মকেন্দ্রিকতার সঙ্গে যখন অন্যের সুখ সুবিধা অগ্রাহ্য করার মানসিকতা জড়িয়ে যায়, তখনই মানুষ হয় স্বার্থপর।
করোনার আবহে আরও অনেক কিছুর মতোই বদলে গিয়েছে আত্মকেন্দ্রিক শব্দটির তাৎপর্য। এই মুহূর্তে আত্মকেন্দ্রিকতা আর কটাক্ষ করার শব্দবন্ধ নয়। বরং বলা ভালো, আমাদের আজ আত্মকেন্দ্রিক হওয়ারই সময়। নিজের ভালোটা নিজেকেই বুঝতে হবে। আর সেটা বুঝলেই সহজ হয়ে যাবে করোনার সঙ্গে সহাবস্থান। করোনা থাকবে, থাকব আমরাও। পাশাপাশি, অথচ সমান্তরাল। ঠিক দু’টি রেললাইনের মতো। মিলে গেলেই বিপদ।
করোনা মোকাবিলার জন্য আমাদের আজ আত্মকেন্দ্রিক হতে হবে, কিন্তু স্বার্থপর নয়। তেলটা ঢালতে হবে নিজের চরকাতেই। নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করলে করোনাকে ভয় নেই। চিকিৎসকরা বারে বারে বলেছেন, করোনার ছোবল থেকে বাঁচার জন্য চারটি কাজই যথেষ্ট। বাইরে বেরলে মাস্ক পরতে হবে। নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে হাত। বাইরে বেরলে বজায় রাখতে হবে দূরত্ব। আর ঘরে ফিরেই জামা, কাপড় ও মাস্ক জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
খুব জটিল কিছু নয়। কিন্তু অনেকেই নিজের কাজগুলো ঠিকঠাক করছি না। উল্টে বাইরের দিকে তাকাতে যাচ্ছি। নিজের ঘরটা না সামলে পরকে জ্ঞান দিচ্ছি। আর সেটা করতে গিয়েই কখনও পুলিসের সঙ্গে লাঠালাঠি করছি, কখনও প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে গড়ে তুলছি ব্যারিকেড। মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি। ভাবখানা এমন, দেখ কেমন দিলাম!
ঝাড়গ্রাম জেলার সরডিহার মানিকপাড়ায় অলোকা ম্যাডামের শিক্ষকতা জীবনে ছেদ পড়েছে বছর পাঁচেক আগে। অবিবাহিতা অলোকাদেবীর সংসারে কেউ নেই। তিনি একা। ক্যান্সারে আক্রান্ত। অপারেশন হয়েছে বছর খানেক আগে। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে ওষুধ খাওয়ায় এখন কিছুটা ভালো। লকডাউনে ফুরিয়ে গিয়েছিল ক্যান্সারের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ। আশপাশে না পেয়ে ফোন করেছিলেন ভাইঝিকে। বলেছিলেন, ওষুধগুলো নিয়ে এলে খুব উপকার হয়। আর পারলে ক’টা দিন আমার এখানে থেকে যাস। বাড়ির তিনটে ভাড়াটিয়াই চলে গিয়েছে। বড় একা লাগছে রে।
পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইঝি পিসিমার ওষুধ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর মানিকপাড়ার বাড়িতে। ক’টা দিন থাকার প্রস্তুতি নিয়েও এসেছিলেন। কারণ গলব্লাডার অপারেশনের পর তাঁর নিজের শরীরটাও ভালো যাচ্ছিল না। ডাক্তার বলেছিলেন, একটু বাইরে গেলে ভালো হয়। তাই ডাক পেয়েই সটান পিসিমার কাছে। ঝাড়গ্রামের জল শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, সেটা তাঁর আগেই জানা ছিল। একই সঙ্গে রথ দেখা ও কলা বেচার পরিকল্পনা। কিন্তু, বিধি বাম। প্রতিবেশীদের আপত্তি, রেড জোন হাওড়া থেকে আসা ভাইঝিকে ঘরে থাকতে দেওয়া যাবে না। এখনই চলে যেতে হবে। অলোকা ম্যাডাম বলেছিলেন, আমরা বাড়ি থেকে বের হব না। বাড়ির মধ্যেই পিসি-ভাইঝিতে থাকব। এমনকী, বাইরে জলও নিতে যাব না। দরজা গোড়ায় বালতি রাখব। খাওয়ার জলটা তোমরাই একটু ঢেলে দিও।
না, ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধার আর্জি মঞ্জুর হয়নি। তেরাত্রি পার হওয়ার আগেই কয়েকজন প্রতিবেশীর প্রবল চাপে পুলিস সোমবার সন্ধ্যায় ভাইঝিকে সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ভাইঝির স্থান হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। অলোকাদেবী বলেন, আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক’টা দিনই আর বাঁচব? ওদের অনেক অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু, কেউ আমার কথা শুনল না। যারা আমার দুঃখ বুঝল, তারাও সামনে আসার সাহস পেল না। প্রতিবাদ করলে হয়তো ওদের উপরেই ঝামেলা হতো। কে আর আজকাল অন্যের জন্য ঝামেলায় নিজেকে জড়াতে চায় বলুন? তাতে অবশ্য আমার রাগ নেই। তবে, রাতে দরজায় চাবি লাগিয়ে শুতে যাওয়ার সময় ভাবি, কাল যদি আর ঘুম না ভাঙে...। কথাগুলো শেষ করতে পারলেন না। গলা জড়িয়ে গেল। দেখতে পাইনি, তবে বুঝতে পারছিলাম, অলোকা ম্যাডাম কাঁদছেন।
রামকৃষ্ণ মিশনের আদর্শে অনুপ্রাণিত বিবেকানন্দ শিশু বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। ৩৫ বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন রামকৃষ্ণদেবের সহিষ্ণুতা, স্বামী বিবেকানন্দের সংযমের বাণী। সেই মানুষ গড়ার কারিগরকেই জীবন সায়হ্নে এসে চরম অসংযমের শিকার হতে হল। করোনা আবহে তিনি স্পষ্ট উপলব্ধি করলেন, চেনা মানুষগুলোও আজ কেমন যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছে।
আতঙ্ক। দিন যত যাচ্ছে আতঙ্ক আমাদের ততই গ্রাস করে নিচ্ছে। আচ্ছা, সতর্ক হতে গিয়ে কি আমরা একটু বেশি মাত্রায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি? প্রশ্নটা দিন দিন খুব বড় হয়ে উঠছে। লক্ষণটা ভালো ঠেকছে না। আতঙ্ক ঘুনপোকার মতোই ক্ষতিকারক। প্রতিনিয়ত, প্রতিটা মুহূর্ত কুরে কুরে খায়। ভিতরটা একেবারে ফোঁপরা করে দেয়।
তাই আতঙ্ক থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজতে হবে। কোনটা করা উচিত, আর কোনটা নয়, সেটা বুঝতে হবে হৃদয় দিয়ে। তা না হলে আগামী দিনগুলো আমাদের জন্য সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ভাবতে হবে, আতঙ্কিত হয়ে আমরা নিজেদের অজান্তেই সমাজের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে ফেলছি না তো?
মানিকপাড়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বহু জায়গাতেই চিকিৎসক, নার্স, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে, যা তিন মাস আগেও ছিল কল্পনার অতীত। হুগলির গোঘাটের সেনাই গ্রামের গীতারানি বন্দ্যোপাধ্যায় বার্ধক্যের কারণে ১৫ মে মারা যান। মায়ের শেষকাজ করার জন্য তাঁর তিন ছেলে কলকাতা থেকে গ্রামে ফিরেছিলেন। মায়ের শেষযাত্রা। মাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখার, শেষবারের মতো আদর করার ইচ্ছা সব সন্তানেরই থাকে। বড়ভাই অরুণের কাছ থেকে মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে গীতারানিদেবীর তিন ছেলে বিশ্বনাথ, তারাশঙ্কর, লক্ষ্মীনাথ লকডাউনের মধ্যেই ছুটে গিয়েছিলেন সেনাই গ্রামে। কিন্তু, সর্বদা পরের চড়কায় তেল দিতে অভ্যস্ত কিছু লোকজন জানিয়ে দিল, রেড জোন থেকে আসায় ছেলেরা মায়ের শেষকাজ করতে পারবে না। দূর থেকে মায়ের মুখে ছুঁড়ে দিতে হবে আগুন। বাকি কাজটা করবে গ্রামের লোক।
গ্রামের লোকজনের প্রস্তাব মানতে পারেননি গীতারানিদেবীর ছেলেরা। না পারারই কথা। তাই পরের দিন ভোরে মাকে নিয়ে সোজা কলকাতা। মায়ের মরদেহের পাশে ছোট ছেলে লক্ষ্মীনাথ। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন, আজ যারা রুখে দাঁড়াল, তাদের অনেককে এই মানুষটাই আদর করে বাড়িতে বসিয়ে খাইয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য কলকাতার বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন। একদিন যাদের এই মানুষটা স্বজন ভেবেছেন, আজ তারাই...? তারাই কেড়ে নিল স্বামীর ভিটেয় তাঁর শেষকাজের অধিকার। করোনা আবহে চেনা মানুষগুলো সত্যিই কেমন যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছে!
এটা করোনাকে হারানোর পথ নয়। করোনা মোকাবিলায় দরকার সহমর্মিতা। মারণ ভাইরাস মোকাবিলার বার্তা বাজছে মোবাইলে মোবাইলে, ‘রোগের সঙ্গে লড়তে হবে, রোগীর সঙ্গে নয়। ওদের সঙ্গে ভেদাভেদ করবেন না।’ একেবারে সঠিক কথা।
ভেদাভেদের রাস্তা নিলে যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা সামাজিক সম্পর্কগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। একথা ঠিক, উম-পুন এর মতোই বিধ্বংসী করোনা ঝড়। সব তালগোল পাকিয়ে দিচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে আমরা যা করছি, তা করার কথা কয়েক মাস আগে স্বপ্নেও ভাবিনি। দুর্ভাগ্য, আতঙ্কে আমরা সেটাই করে বসছি। তবে দুর্দিনে বিভেদ নয়, ভরসা থাকুক কামিনী রায়ে। ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে/ আসে নাই কেহ অবনী পরে/ সকলের তরে সকলে আমরা/ প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
23rd  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
একনজরে
জয়পুর, ২৭ মে: দেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পঙ্গপালের হানা। ইতিমধ্যে পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে হানা দিতে শুরু করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। লকডাউনের মধ্যে নয়া ...

নয়াদিল্লি, ২৭ মে: বিভিন্ন হোটেলের শ্রেণিবিন্যাস ও অনুমোদনের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করল পর্যটন মন্ত্রক। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে আতিথেয়তা শিল্প একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগচ্ছে। ...

 নিউ ইয়র্ক, ২৭ মে: আবার মুখোমুখি মাইক টাইসন ও ইভান্ডার হোলিফিল্ড। চ্যারিটি লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য প্রাক্তন দুই হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন অবসর ভেঙে রিংয়ে ফিরছেন। এই লড়াইয়ের দিন ঠিক হয়েছে ২৬ জুন। উল্লেখ্য, হোলিফিল্ডের বয়স এখন ৫৮ বছর। তাঁর থেকে ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থ যাত্রী বা চিকিৎসার কাজে বাইরে যাওয়া মানুষজনকে নিয়ে একের পর এক ট্রেন আসছে হাওড়া স্টেশনে। প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে একটি ট্রেন তো ঢুকছেই হাওড়ায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু
১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্ম
১৯২৩- রাজনীতিক ও তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের জন্ম
২০১০- পশ্চিমবঙ্গে জ্ঞানশ্বেরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪১জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৬.৬১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৪.১২ টাকা
ইউরো ৮১.২৯ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪৬/১৯ রাত্রি ১১/২৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৬/১৬ দিবা ৭/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৪ মধ্যে।
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৩। পুষ্যানক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৩৫ পরে অশ্লেষানক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৪ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক ...বিশদ

07:03:20 PM

লকডাউন নিয়ে মতামত জানতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 

10:24:41 PM

গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৬৭ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৫৭২ 

09:18:00 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ২,৫৯৮ জন, মোট আক্রান্ত ৫৯,৫৪৬ 

08:49:48 PM

১৭ জুন শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

08:41:00 PM

উম-পুন: সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি ফিরহাদ হাকিমের 
উম-পুন উত্তর কলকাতায় দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ...বিশদ

07:33:14 PM