Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে। অনেকেই লকডাউন শহরের চেহারা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না। বাজার করার অজুহাতে ব্যাগ হাতে নামছেন রাস্তায়। পুলিসের সামনে পড়লেই আঙুল যাচ্ছে ব্যাগের দিকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহে বাধা না দেওয়ার নির্দেশকে হাতিয়ার করে অনেকেই পুলিসকে ধোঁকা দিচ্ছি। ধোঁকা দিতে গিয়ে নিজেরাই ধোঁকা খাচ্ছি। করোনাকে থাবা বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছি। টিভির পর্দায়, সংবাদপত্রে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেখেও আমাদের সম্বিত ফিরছে না। আমরা যেন ক্রমশই আত্মঘাতী খেলায় নিজেদের জড়িয়ে ফেলছি।
লকডাউন ঘোষণার পর শহর, গ্রাম হামলে পড়েছিল মুদির দোকানে। দোকানে দোকানে জমেছিল মেলার ভিড়। দু’দিনেই স্টক ফাঁকা। সকলেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন। মানুষকে ঘরবন্দি করতে পুলিসের সক্রিয়তা নজর কেড়েছিল। কোথাও কোথাও অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল ঠিকই। কিন্তু, লকডাউন মানার সবক শেখানোর ক্ষেত্রে পুলিসের সেই ভূমিকাকে বেশিরভাগ মানুষই কুর্নিশ করেছিলেন। দিন দুয়েক পর থেকেই পুলিস ‘মানবিক আচরণ’ শুরু করতেই রাস্তায় রাস্তায় বেয়াদপির বাড়বাড়ন্ত। সরকারের নরম মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে শহরের রাস্তায় মজা লুটেরাদের ভিড়। ভাবখানা এমন, মওকা যখন মিলেছে ফায়দা তুলতে হবে পুরো।
অপ্রিয় হলেও সত্যি, কলকাতা শহর, শহরতলি এবং বিভিন্ন জেলার শহরগুলিতেই লকডাউনকে ‘ডাউন’ করার প্রবণতা বেশি। বিশেষ করে এক শ্রেণীর শিক্ষিত মানুষজনের ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাব বিপদ বাড়াচ্ছে। এ রাজ্যে মারণ ভাইরাস পা রেখেছিল সেই ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাবের হাত ধরেই। সেই ট্র্যাডিশন বজায় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তথাকথিত শিক্ষিত এবং শহুরে মানুষের একাংশই লকডাউন ভাঙছেন প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। এনিয়ে রাজ্যের বহু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সতর্ক করছেন। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরতে বারণ করছেন। তবুও কাজ হচ্ছে না। তাই অনেকেই বলছেন, অনুরোধে কাজ না হলে ‘ঢেঁকি গেলানোর’ জন্য যা দরকার, সেটাই করতে হবে। কারণ জনস্বার্থে সবই আইনসিদ্ধ। কুইনাইন যতই তেতো হোক না কেন, প্রয়োজনে জোর করে খাওয়াতে হয়। তাতে মঙ্গল রোগীরই।
বাস, ট্রেন, উড়ান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি’র হৃদয় যেন ছটফট করছে। বাইরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। বন্ধ শহরের মল, সিনেমা হল, রেস্তরাঁ। টিভি সিরিয়ালের আপডেটও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সবেতন লম্বা ছুটির জীবনে যখন বিনোদনের সব রাস্তাই যখন বন্ধ, তখন হাতের কাছে যা পাওয়া যাচ্ছে তা থেকেই ফায়দা লোটার চেষ্টা। এমন শুনশান শহর দেখার সুযোগ হয়তো আসবে আবার ১০০ বছর পর। সুতরাং ওই বোদ্ধাদের বিচারে লকডাউনের ‘লাইভ পিকচার’ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা নেহাতই মূর্খামি। তাই তাঁরা করোনাকে সাধারণ এলেবেলে ফ্লু বলে ফু‌ৎকারে উড়িয়ে দিয়ে নামছেন রাস্তায়। তারপর দুপুরে খ্যাঁটনের পর লম্বা ঘুম শেষে সান্ধ্য আড্ডায় লকডাউন শহরের বর্ণনা। এইভাবেই সবেতন ছুটির পুরোটা উসুলের চেষ্টা।
শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ কিছুটা হলেও বেশি করে লকডাউন মানছেন। তবে নজির গড়েছে পুরুলিয়ার বলরামপুর। বলরামপুরের গেঁড়ুয়া পঞ্চায়েতের ভাঙ্গিডি গ্রামের ৭জন শ্রমিক গিয়েছিলেন চেন্নাই। লকডাউন ঘোষণা হতেই তাঁরা গ্রামে ফেরেন। গ্রামে ফিরলেও ফিরতে পারেননি বাড়িতে। কারণ ততদিনে ভাঙ্গিডি জেনে গিয়েছে করোনার বিপদ। কেউ মারণ ভাইরাস নিয়ে ঢুকলে গোটা গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে... উপলব্ধি করেছেন গ্রামবাসী। তাই ৭জনের ফেরার খবর পেতেই গ্রামের ও পরিবারের লোকজন একযোগে সিদ্ধান্ত নেন, সরকারি নির্দেশ মেনে ১৪দিন আলাদা থাকতে হবে। বাড়িতে ঘরের অভাব। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনের সুযোগ নেই। বিকল্প পথ, গাছে থাকবেন তাঁরা। গ্রামে ঢোকার মুখে আমগাছে খাটিয়া বেঁধে অস্থায়ী গৃহ নির্মাণ। গ্রামবাসীদের কথা অমান্য করেননি চেন্নাই ফেরত সুনীল সিং লায়া, বিজয় সিং লায়া ও তাঁর সঙ্গীরা। তাঁদের সঙ্গে থাকা থালা, বাটিতেই খাবার দিয়ে গিয়েছেন বাড়ির লোকজন। সেই খাবার খেয়ে রাতভর গাছে কাটিয়ে ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’ তাঁরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। পরিবারকে, গ্রামকে, গ্রামের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের আন্তরিক প্রয়াস লকডাউন ভঙ্গকারী ‘শহুরে পণ্ডিত’দের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মারার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু, তাতেও শিক্ষা হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার একটি আদিবাসী গ্রামের কথা উল্লেখ করা খুবই প্রাসঙ্গিক। অযোধ্যা পাহাড়ের ভুঁইঘাড়া গ্রাম। সম্পূর্ণ আদিবাসী গ্রাম। সরকার থেকে বিনা পয়সায় রেশন চালুর আগে পর্যন্ত তাঁদের দিন কেটেছে কার্যত নুনে ভাতে। তবুও গ্রামের সকলে লকডাউন মেনে বাড়িতেই থেকেছেন। গ্রামের যুবক ধীরেন চঁড়ে বলেন, করোনার মতো মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করতেই আমরা গ্রামের মোড়লকে নিয়ে মিটিং করি। সিদ্ধান্ত নিই, অসুস্থতা ছাড়া কেউ গ্রাম থেকে বেরব না। গ্রামে ঢোকার রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দিয়েছি। আমরা সবাইকে বোঝাতে পেরেছি, একবার গ্রামে মারণ ভাইরাস ঢুকলে কেউ রক্ষা পাব না। পেটে বিদ্যে থাক বা না থাক, গ্রামের সবাই বিপদটা বুঝেছে।
তবে, সব গ্রামকে এক ছাঁচে ফেললে ভুল হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে আবার অন্য ছবি। লকডাউন ঘোষণা হতেই দাসপুরের নিজামপুরের কয়েকজন যুবক বাড়ি ফিরলেন। তাঁদের মধ্যে এক যুবক অসুস্থ হতে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেল, তিনি করোনায় আক্রান্ত। খবরটা রটতেই ভিড়ে গম গম করা হাট আধ ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা। নেমে এল শ্মশানের নিস্তব্ধতা। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মাংসের দোকানে লম্বা লাইন, বিকেলে খেলার মাঠে জোরদার আড্ডা।
এক স্বাস্থ্যকর্মী মানুষকে সতর্ক করার জন্য একটি পোস্ট করে জানালেন, ‘নিজামপুরের করোনা পজিটিভ ছেলেটি যে ট্রেনের কামরায় চেপে মুম্বই থেকে বাড়ি ফিরেছিল, জোতঘনশ্যাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চারজন ছেলেও সেই কামরাতেই ২২ মার্চ বাড়ি ফিরেছিল।’ সামাজিক দায়িত্ববোধের তাড়না থেকেই তিনি এই পোস্টটি করেছিলেন।
তাঁর পোস্টটিতে কোনও নাম ছিল না। কিন্তু, সেই ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি! ওই চার যুবকের একটি পরিবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মীকে ফোনে রীতিমতো হুমকি। বক্তব্য, পোস্টটি তাঁদের সম্মানহানি ঘটিয়েছে। হুমকির ভাষা এতটাই কর্কশ ছিল যে ওই স্বাস্থ্যকর্মী ফের পোস্ট করে ‘ভুল স্বীকার’ করতে বাধ্য হন। তিনি লিখেছেন, খুব অসহায় বোধ করছি। যদি ভুলবশত কারো সম্মানহানি করে থাকি, তবে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী আমি।
নিজামপুরের করোনায় আক্রান্ত যুবকের বাবার নমুনাও পজিটিভ এসেছে। তাঁর মা এবং স্ত্রী এখন আইসোলেশন ওয়ার্ডে। আরও জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাবা হাটে শসা বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। সুতরাং তিনি আর কউকে সংক্রামিত করেছেন কি না এখনই বোঝা যাচ্ছে না। এমনকী, ওই যুবকের সঙ্গে মুম্বই থেকে আসা সঙ্গীরা এখনও নিজেদের আড়াল করতে ব্যস্ত। কতদিন গোপন করতে পারবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।
একটা কথা মাথায় রাখা দরকার, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কোনও অপরাধ নেই। এটা এইডস নয়, যে লোকজন জানতে পারলেই নষ্ট হবে সামাজিক সম্মান। বরং ভিন রাজ্য বা দেশ থেকে আসা লোকজন নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলে তিনি যেমন বাঁচবেন, বাঁচাতে পারবেন তাঁর পরিবারকেও। নিজামপুরের ওই যুবক যদি প্রথমেই নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতেন, তাহলে গোটা পরিবারকে এভাবে বিপদে পড়তে হতো না।
এভাবে সর্বত্রই ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ চেষ্টার ফল অত্যন্ত মারাত্মক। মাছের আঁশটে গন্ধ ছড়াবেই। আজ না হয় দু’দিন পর। আর এই চেষ্টা জারি থাকলে বুঝতে হবে, বিপদ বেশি দূরে নেই। হাজির ঘরের দোরগোড়ায়। আমরা নিজেদের অজান্তেই যুক্ত হয়ে যাচ্ছি এক আত্মঘাতী খেলায়। সেখান থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা কোনও মন্দির, মসজিদ বা গির্জার নেই। এমনকী, চিকিৎসক, নার্সদেরও নেই। কারণ তাঁরাও সংখ্যায় বড়ই কম।
04th  April, 2020
করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’
বিশদ

জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে।
বিশদ

গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বিশদ

07th  April, 2020
যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

 সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

 এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। বিশদ

01st  April, 2020
ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

31st  March, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, তপন: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক অমল রায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দশ হাজার টাকা দান করলেন। সোমবার তপনের বিডিও সি তামাংয়ের হাতে চেকটি তুলে দিয়েছেন অমলবাবু।  ...

 রিও ডি জেনেইরো, ৭ এপ্রিল: বিশ্ব ফুটবলে এক দশকের বেশি সময় ধরে দাপট দেখিয়ে চলেছেন লায়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে অনেকের মতে, এই দুই ...

 কিয়েভ (ইউক্রেন), ৭ এপ্রিল (এপি): করোনা আতঙ্কের মধ্যে চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ইউক্রেনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পরমাণু কেন্দ্র লাগোয়া জঙ্গলে দাবানল লেগে যাওয়ার এই বিপত্তি তৈরি হয়েছে। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: গাছের ডাল কাটতে গিয়ে তা ছিটকে বুকে এসে লাগায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। পটাশপুর থানার রামনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম লক্ষ্মণ মাইতি(৩৭)।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭: বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ মারা যান।
১৭৫৯: ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের মাদ্রাজ দখল করে।
১৮৫৭: বারাকপুরে সিপাহি বিদ্রোহের নায়ক মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি
১৮৯৪: সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০২: কলকাতায় মূক ও বধির বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৯: দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা ছুঁড়ে ধরা পড়লেন ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত
১৯৫০: ভারত পাক চুক্তি স্বাক্ষর করলেন লিয়াকত-নেহরু
১৯৫০: বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মৃত্যু
১৯৭৩: স্পেনের চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর মৃত্যু
১৯৭৬: ফুটবলার গোষ্ঠপালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.০৯ টাকা ৭৬.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৮৬ টাকা
ইউরো ৮০.৬৮ টাকা ৮৩.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২৪ চৈত্র ১৪২৬, ৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) চতুর্দশী ১৬/২৬ দিবা ১২/২। উত্তরফাল্গুনী ৯/৩০ দিবা ৯/১৫। সূ উ ৫/২৭/২৬, অ ৫/৫০/১৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৭ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ১/৩৫ গতে ৩/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ গতে ৮/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৪৪ মধ্যে।
২৪ চৈত্র ১৪২৬, ৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, চতুর্দশী ১৩/৫৮/১৪ দিবা ১১/৪/৯। উত্তরফাল্গুনী ৭/১০/১০ দিবা ৮/২০/৫৫। সূ উ ৫/২৮/৫১, অ ৫/৫০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৪ গতে ১০/২৩ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১/৩৬ গতে ৮/৩৪/২২ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৩৮ গতে ২/৪৫/২৩ মধ্যে।
১৩ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৫৭: বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ মারা যান।১৭৫৯: ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক মুখ্যসচিবের 

09:27:00 PM

করোনা: বিশ্বে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি রোগী
বিশ্বে করোনা যেমন কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ, তেমনি সুস্থও হয়ে ...বিশদ

08:59:28 PM

রামপুরহাটে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন সুরচিয়া জঙ্গলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন

08:04:00 PM

আজ হুগলি, নদীয়া, বীরভূমে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা 

07:56:00 PM

এবার বিনামূল্যেই হবে করোনা পরীক্ষা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
অনুমোদিত সরকারি বা বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হবে। ...বিশদ

07:22:52 PM