Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর। ৩২৬ কিমি। হাইওয়ের ধারে পড়ে গেলেন। তখনও বাকি ৮০ কিমি। ছুটে এসেছিলেন পাশের চাওয়ালা... জল, বিস্কুট তুলে দিয়েছিলেন মুখে। কিন্তু তুলে দাঁড় করাতে পারেননি মানুষটাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে থেমে যায় নিঃশ্বাস। গ্রামের বাড়ি আর পৌঁছনো হয়নি রণবীরের...।
লকডাউনের প্রথম ছ’টা দিন... করোনা ভাইরাস এক অন্য ভারতের চিত্র প্রকাশ্যে এনে দিল। বলা ভালো, দেশটাকে দু’ভাগে ভাগ করে দিয়েছে এই সঙ্কট। একটা ভারত... যার বাড়ি-ঘর আছে, যে নিজেকে বাড়িতে বন্ধ রেখে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে। দ্বিতীয় ভারত... যার না আছে নির্দিষ্ট মাথা গোঁজার ঠাঁই, না পেট ভরার উপায়। তাঁদের জন্য এই সরকারি ‘বন্‌঩ধে’র নির্দেশ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো। কেরল, মহারাষ্ট্র, দিল্লি... কত পরিযায়ী শ্রমিক যে এই রাজ্যগুলিতে কাজ করতে যান, তার হিসেব মেলা ভার।
বিশেষত দিল্লি। রাজধানীর টুকরো টুকরো কিছু ছবি এই ছ’দিনে সামনে এসেছে। কখনও আনন্দ বিহারের মতো এলাকায় ফুট ওভারব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে দু’পাশে রাস্তার দিকে তাকালে শুধু নজরে এসেছে কাতারে কাতারে মানুষ। যারা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক... বাড়ি ফিরতে মরিয়া। কেউ যাবেন উত্তরপ্রদেশ, কেউ মধ্যপ্রদেশে। দিল্লি সরকার ২০০টি বাসের ব্যবস্থা করেছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের এলাকা থেকে হাজারটি। তাও যথেষ্ট হয়নি। হাজারে হাজারে মানুষ, যাদের কাছে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা বিলাসিতা। মাথায় ছাদ নেই, পেটে খাবার নেই। আছে শুধু বিশ্বাস... গ্রামের বাড়িতে একবার পৌঁছে গেলে না খেয়ে অন্তত মরতে হবে না। আর যাঁরা বাসে চড়তে পারছেন? সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন উত্তরপ্রদেশে। বাস থেকে নামা মাত্র তাঁদের বসানো হচ্ছে জাতীয় সড়কের উপর। তারপর স্প্রে করা হচ্ছে জীবাণুনাশক। জলকামানের মতো...।
সুযোগ বুঝে চূড়ান্ত হারে বেড়েছে ‘পাচার’ও। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়িতে লুকিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। বাড়ি ফিরতে মরিয়া তাঁরা। তাই সর্বস্ব দিতেও রাজি। কলকাতা থেকে ভাইজাগ যাওয়ার জন্য মাথা পিছু আড়াই হাজার টাকার দর উঠছে বলে অভিযোগ। লোকে তা দিচ্ছেনও।
আবার যমুনার ধারে গেলে দেখা যাবে আশ্রয়হীন মানুষের লাইন... আইটিও ব্রিজ থেকে সেলিমগড় ফোর্ট। অনেকেই কাজ করতেন হোটেলে। কেউ মোগলাই খানা এক্সপার্ট, কেউ চাইনিজ। থাকতেন হোটেলে। খেতেন সেখানেই। হোটেল বন্ধ, থাকা খাওয়ার পাঠও চুকেছে... ‘মোদিজি বলছেন বাইরে বেরলে করোনায় মরে যাব। তাহলে যাব কোথায়? এই রাস্তার উপর বসে থাকলে দিনে একবার অন্তত খেতে পাওয়া যায়... চলে গেলে তাও জুটবে না। করোনা পরে... না খেতে পেয়ে আগে মরব।’
এটা একটা ভারত... দ্বিতীয় ভারত। আর প্রথম? যারা বাড়িতে থাকতে পারেন, কিন্তু থাকেন না। তাঁদের কৌতূহল বড্ড বেশি। তাই দিনে একবার বেরতেই হবে... বাজারের নামে, ওষুধের অজুহাতে। ডিগ্রিধারী অশিক্ষিতের এদেশে অভাব নেই। যাঁরা বিদেশ থেকে ফেরেন, গৃহবন্দি থাকার ডাক্তারি পরামর্শ অগ্রাহ্য করে মলে-হলে ঘোরেন, তারপর বেলেঘাটা আইডিতে গিয়ে ভর্তি হন। পিছনে ছেড়ে যান একরাশ আতঙ্ক আর কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আশঙ্কা। এই ধরনের বুদ্ধির জাহাজরা নিয়ম পালনের ধার ধারবেন না, অথচ টিভি দেখে অভুক্ত, বেঘর ভারতের মুণ্ডপাত করবেন। হয়তো ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ কেউ বহন করছেন এই মারণ রোগ, তাঁদের কারও থেকে কাল অন্য কেউ সংক্রামিত হবেন... তাও বিবেচক মনন তাঁদের দায়ী করতে পারবে না। আমরা কী করছি তাঁদের জন্য? সরকার কী করছে? অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলছেন, যে যেখানে আছেন থেকে যান। বাড়ি ভাড়া দিল্লি সরকার দেবে। কিন্তু যাদের ভাড়া করার বা পাওয়ার মতো বাড়ি নেই? তাঁরা কী করবেন?
লকডাউন প্ল্যান কিন্তু সত্যি দরকার ছিল। ১৩০ কোটি ভারতীয়র জন্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর হ্যান্ডসাম ডেপুটি অনুরাগ ঠাকুরকে পাশে বসিয়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু সঠিক হাতে সেই টাকাটা কি যাচ্ছে? এটা নিশ্চিত করতে না পারলে প্যাকেজ ঘোষণার মূল্য নেই। ধরা যাক ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গ। ভাতা বাড়ানো হয়েছে ঠিক কথা, কিন্তু দিশা কি স্থির হয়েছে? কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প ব্যবহার করব, কী ধরনের সরকারি অ্যাসেট বানানোর চেষ্টা করব এবং সর্বোপরি যাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এর আওতায় আসেন, তা নিশ্চিত করব। এর কোনওটাই এই মুহূর্তে সিলমোহর দেওয়ার জায়গায় আসেনি। আর লকডাউনের সময়ে কাজটাই বা হবে কী করে? শহরে থাকা খাওয়ার সংস্থান হারিয়ে লাখো মানুষ গ্রামে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেন, বা ফিরেও গেলেন। তাতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ তাঁদের হাতে নগদ নেই। জরুরি পরিস্থিতির সুযোগে কালোবাজারি ইতিমধ্যে বেড়ে গিয়েছে। সাপ্লাই কম, যে যেমন পারছে জিনিসপত্রের দাম হাঁকছে। মানুষ কিনতে বাধ্যও হচ্ছে। একটা শ্রেণীর পক্ষে এরপরও চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু ওই কপর্দকশূন্য মানুষগুলো উপায় না দেখে চড়া সুদে টাকা ধার করবে, আর তারপর সারা জীবনেও শোধ করতে পারবে কি না সন্দেহ। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন কমবে। অর্থাৎ সরবরাহ ব্যাহত হবে। এই সবটাই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এটাও কিন্তু সরকারের কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।
অর্থাৎ চ্যালেঞ্জ দুটো... করোনা সংক্রমণের চেনটা ভাঙা এবং দুই, অর্থনীতি ধসে যাওয়ার আগে ঠেকনা দেওয়া। কথায় বলে, আপনি বাঁচলে বাপের নাম। অর্থনীতি ডুবে গেলেও এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। বাঁচতে হবে... সংক্রমণ প্রায় ১২০০, মৃত্যু ৩০-এর কোঠা ছুঁয়েছে। হয়তো এটাই ঠিক পরিসংখ্যান। আবার নাও হতে পারে। কারণ, কিটের অভাবে পরীক্ষা কম হওয়া, মানুষের লুকিয়ে রাখার প্রবণতা এই পরিসংখ্যানে প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কোনটা ঠিক, তা সময় বলবে। খুব বেশি নয়... আগামী সপ্তাহেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে ভারত ইতালি বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে চায় কি না। লকডাউন সফল করার জন্য চাই মানসিকতা, সচেতনতা। যা আম ভারতবাসীর মধ্যে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। তাহলে উপায় কী?
শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে সেনার মুভমেন্ট। এই তথ্য একটাই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসে... তাহলে কি দেশে ফের জরুরি অবস্থা জারি হতে চলেছে? তার মানে কার্ফু, সেনা টহলদারি, বাস্তবিকই বাড়ি থেকে বেরনো সম্পূর্ণ বন্ধ। আমাদের দেশের ‘শিক্ষিত’ ‘অচেতন’ নাগরিকদের জন্য এটাই হয়তো শেষ অস্ত্র। নিজের ভালো না বুঝলে বেতের সাহায্য নিতেই হবে। না হলে দেশ বাঁচবে না। পরিস্থিতি হয়তো সেদিকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী যদি আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে বসেন, তাহলে সিট বেল্ট কষে বেঁধে নেওয়াই ভালো। কারণ ১৩০ কোটির দেশে ২১ দিনের লকডাউন সমাধান করতে পারবে না। সেটা অল্প-বিস্তর সবাই এখন আন্দাজ করতে পারছেন। হয় কার্ফু, না হলে দীর্ঘমেয়াদী গৃহবন্দিত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাও আতঙ্ক যায়নি। যাচ্ছে না।
কারণ, বেশ কিছু রাজ্যে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার জন্য পাস কিন্তু ৩০ জুন পর্যন্ত ইস্যু করা হয়েছে!
31st  March, 2020
করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’
বিশদ

জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে।
বিশদ

গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বিশদ

07th  April, 2020
যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

 সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

 এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। বিশদ

01st  April, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
একনজরে
  ফতেপুর (উত্তরপ্রদেশ), ৭ এপ্রিল (পিটিআই): দুই কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের মালাওয়াইনে। পুলিশ আত্মহত্যা বললেও এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। কারণ, কিশোরের পরিবারের দাবি, দু’জনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ...

 সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু দমনেরও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনার প্রকোপের মধ্যে ডেঙ্গু যাতে নতুন করে মাথাব্যথার কারণ না হয়, সে ব্যাপারে সোমবারই প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

 কিয়েভ (ইউক্রেন), ৭ এপ্রিল (এপি): করোনা আতঙ্কের মধ্যে চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ইউক্রেনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পরমাণু কেন্দ্র লাগোয়া জঙ্গলে দাবানল লেগে যাওয়ার এই বিপত্তি তৈরি হয়েছে। ...

 জীবানন্দ বসু, কলকাতা: করোনা কেন্দ্রিক লকডাউনের জেরে গত কয়েকদিনে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেকটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত খাদ্য-রসদের অভাবই যে তার অন্যতম কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭: বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ মারা যান।
১৭৫৯: ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের মাদ্রাজ দখল করে।
১৮৫৭: বারাকপুরে সিপাহি বিদ্রোহের নায়ক মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি
১৮৯৪: সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০২: কলকাতায় মূক ও বধির বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৯: দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা ছুঁড়ে ধরা পড়লেন ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত
১৯৫০: ভারত পাক চুক্তি স্বাক্ষর করলেন লিয়াকত-নেহরু
১৯৫০: বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মৃত্যু
১৯৭৩: স্পেনের চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর মৃত্যু
১৯৭৬: ফুটবলার গোষ্ঠপালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.০৯ টাকা ৭৬.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৮৬ টাকা
ইউরো ৮০.৬৮ টাকা ৮৩.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২৪ চৈত্র ১৪২৬, ৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) চতুর্দশী ১৬/২৬ দিবা ১২/২। উত্তরফাল্গুনী ৯/৩০ দিবা ৯/১৫। সূ উ ৫/২৭/২৬, অ ৫/৫০/১৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৭ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ১/৩৫ গতে ৩/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ গতে ৮/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৪৪ মধ্যে।
২৪ চৈত্র ১৪২৬, ৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, চতুর্দশী ১৩/৫৮/১৪ দিবা ১১/৪/৯। উত্তরফাল্গুনী ৭/১০/১০ দিবা ৮/২০/৫৫। সূ উ ৫/২৮/৫১, অ ৫/৫০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৪ গতে ১০/২৩ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১/৩৬ গতে ৮/৩৪/২২ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৩৮ গতে ২/৪৫/২৩ মধ্যে।
১৩ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৫৭: বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ মারা যান।১৭৫৯: ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক মুখ্যসচিবের 

09:27:00 PM

করোনা: বিশ্বে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি রোগী
বিশ্বে করোনা যেমন কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ, তেমনি সুস্থও হয়ে ...বিশদ

08:59:28 PM

রামপুরহাটে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন সুরচিয়া জঙ্গলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন

08:04:00 PM

আজ হুগলি, নদীয়া, বীরভূমে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা 

07:56:00 PM

এবার বিনামূল্যেই হবে করোনা পরীক্ষা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
অনুমোদিত সরকারি বা বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হবে। ...বিশদ

07:22:52 PM