Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? মুখহীন লড়াই তো কাণ্ডারীহীন তরণী, সেনাপতিহীন সেনা! ২০১৯ লোকসভায় সেটা তো প্রমাণিত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বেশ কিছু আঞ্চলিক দল যখন দেশের শাসক-বিরোধী মঞ্চ গড়ে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতিতে ঐক্যবদ্ধ, মমতাকে জোটনেত্রী ও প্রধান মুখ হিসেবে দেশ-জনতার দরবারে তুলে ধরার পরিকল্পনা যখন প্রায় চূড়ান্ত, ঠিক তখনই কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছিল, আগে জয় আসুক, তারপর দেখা যাবে। তখন সকলে মিলে বসে প্রধানমন্ত্রী মুখ ঠিক হবে। স্বয়ং রাহুল গান্ধীই দিয়েছিলেন এই নিদান। আর সেই নিদানে মুখহীন বিরোধী ব্রিগেড সেনাপতিহীন দিশেহারা বাহিনীর মতো মোদি-শাহ জুটির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তিনশোর বেশি আসন তুলে নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে তাঁর বাহিনী প্রায় গোটা দেশটাকেই গেরুয়ায় রঞ্জিত করে দিয়েছিলেন।
অথচ, তার ঠিক আগেই একাদিক্রমে ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মতো দেশের তিন-তিনটি রাজ্যে এই পদ্মবাহিনীকেই হারের মোকাবিলা করতে হয়েছিল। এবং, ভোটফল প্রকাশের পর দলের শীর্ষমহলের আক্ষেপে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছিল যথাযোগ্য ‘মুখ’-এর অভাবের কথা। ঠিকঠাক মুখ প্রজেক্ট না-করে মোদিজি শাহজির ভরসায় লড়তে গিয়েই বিপর্যয়—এমন কথাও উঠেছিল। ২০১৯ লোকসভায় বিপুল জয়ের পরও ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, এমনকী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরও রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞজনের অনেকেই ভোটের লড়াইতে দলীয় ‘মুখ’-এর গুরুত্ব স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি। তাঁদের একাংশের বক্তব্য ছিল, দেশ-জনতার কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি এখনও অপরিহার্য হলেও রাজ্য-ভোটে অর্থাৎ বিধানসভার লড়াইতে যেখানে আঞ্চলিক দল ও সমস্যার মোকাবিলা করতে হয় সেখানে তিনি ও তাঁর সংস্কারক ভাবমূর্তি প্রশ্নাতীতভাবে অবিসংবাদী নন। সেখানে সংশ্লিষ্ট নেতানেত্রী ও তাঁদের জনমনোরঞ্জক আঞ্চলিক ভাবমূর্তি তাই বহু ক্ষেত্রেই টেক্কা দিয়েছে মোদিজির জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে। নোটবন্দি, কালো টাকা উদ্ধার থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, তিন তালাক রদ, পুলওয়ামার বদলা ইত্যাদি সংস্কার ও শক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের পর তাঁর প্রতি দেশ-জনতার আস্থা-বিশ্বাসের যে দৃঢ় ভিত তৈরি হয়েছিল তার মূলেও একটা ক্ষুদ্র প্রশ্নচিহ্ন বিঁধে দিয়েছে। দেশজুড়ে এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর তৈরির প্রয়াস যে সাম্প্রতিকে সেই প্রশ্নচিহ্নকে আরও কিছুটা বল জুগিয়েছে তাতেই-বা সন্দেহ কী?
কারণ, কোনওরকম বিতর্কে না-গিয়েও বলা যায়, আজ বিরোধী শিবির প্রবল প্রচারে এবং সক্রিয় বিরোধিতায় সাধারণ দেশবাসীর একাংশের মনে (বিশেষত মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে) একটি ভীতি অন্তত ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন যে মোদিজির ওই কার্যক্রমগুলো কার্যকর হলে দেশভাগের সমতুল হবে, মানবতার উপরে ঠাঁই পাবে ধর্ম! সাধারণ দেশবাসী, গরিবগুর্বো তো আর আইন পড়ে বিচার বিশ্লেষণ করে কোনও ধারণা গ্রহণ বর্জন করেন না, করেন প্রচারের গুরুত্ব ও ব্যাপ্তির নিরিখে। এই শ্রেণীতে ব্যতিক্রম হয়তো আছে, কিন্তু তার পরিমাণ পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়নের অনুকূল বা ক্ষমতাসম্পন্ন—এমন বলা যাবে কি? সুতরাং, এনআরসি ইত্যাদি নিয়ে এখন বলা বাহুল্য। রীতিমতো বেকায়দায় গেরুয়া বাহিনী ও তার শীর্ষ সঞ্চালকবৃন্দ। দিল্লি ভোটের একপেশে ফলে (আপ ৬২ এবং বিজেপি ০৮) তার আভাসও কি নেই? শাহিনবাগ থেকে পার্ক সার্কাস, বেলগাছিয়া। চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। জারি রয়েছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-যুব থেকে পদ্ম-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি। সব মিলিয়ে উত্তাল দেশ। এর ভিতরে গেরুয়া দলের পাল্টা প্রতিবাদ, যুক্তিজাল কোথায়? মাঝেমধ্যে দিল্লি থেকে কখনও প্রধানমন্ত্রী মোদিজি, কখনও তাঁর সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অমিত শাহ জোর গলায় ঘোষণা ছুঁড়ছেন—হবে। নাগরিকপঞ্জি কী সিএএ রূপায়ণ—এসব থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই। দেশের দশের উন্নয়ন ও প্রগতির স্বার্থেই ওসব হবে! ব্যস, ওইটুকুই। রাজ্যে রাজ্যে তার প্রতিধ্বনি কোথায়, কতটুকু? পশ্চিমবঙ্গও কি তার ব্যতিক্রম?
এ তো গেল একদিক। অন্যদিকে দিল্লি বিধানসভার ভোটফল আরও কয়েটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও কি তুলে দেয়নি? প্রথমত, ধর্ম না কাজ, মানুষের সার্বিক উন্নয়ন না তাঁদের মধ্যে ধর্মীয় গুরু-লঘু বিভাজন—রাজ্য-ভোটে রাজ্যের মানুষের কাছে কোনটার অগ্রাধিকার? দ্বিতীয়ত, কুকথায় পঞ্চমুখ নেতানেত্রী না সুভদ্র যুক্তিবাদী বাস্তববাদী মানবতাবাদী ও কর্মনিষ্ঠ (ভিতরে যা-ই হোন, অন্তত জনসমক্ষে তেমনই ভাবমূর্তির রচয়িতা) লিডার—কাকে চান সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আম বাসিন্দা? রাজনীতি সর্বব্যাপ্ত—দলীয় রাজনীতিতে বিভক্ত জনতা, তাতেও সন্দেহ নেই। কিন্তু, আজকের দিনে, এই মিডিয়া-প্রকোপিত, মিডিয়া-মগ্ন সময়ে জ্ঞানভাণ্ডারের বিপুল আদান-প্রদানের যুগে যখন সক্কলে সব জানেন, মনে হয়, সেটাই শেষ কথা নয়। তারপরেও ‘চয়েস’ নির্ভর করে আরও কিছু ফ্যাক্টরের উপর। যেমন রাজনীতির শীর্ষলোকের কর্তাব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব, তাঁদের বাণী ও বচনের সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অভিজ্ঞতার সামঞ্জস্য, উন্নয়ন-উন্নতির সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির বাহুল্য, তা নিয়ে আগের সঙ্গে চলতির তুলনামূলক ভাবনা ইত্যাদির মতো হাজারো বিষয় সেখানে। এই সবকিছুর মধ্য দিয়েই তৈরি হতে থাকে কোনও বিশেষ নেতানেত্রীর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি।
ফলে, এই প্রক্রিয়ায় অনিবার্যভাবেই জুড়ে থাকে সেই ভাবমূর্তির ব্যক্তিমুখ। আর জনতার যাবতীয় আশা-প্রত্যাশা ভোটকালে আবর্তিত হতে থাকে সেই মুখটিকে কেন্দ্র করে, নির্বাচনী মহারণের রাজনৈতিক রোমাঞ্চের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ওঠে সেই মুখ, হয়ে ওঠে জনতার অভাব-অভিযোগ জানানোর কমপ্লেন-বক্স, আশা-প্রত্যাশা বিশ্বাসের বিগ্রহ। পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা তারই উজ্জ্বল সব উদাহরণ। শুধু তাই নয়, আপন কর্মকুশলতায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যবাসীর মনে তাঁদের স্থান আজ এতটাই দৃঢ় যে, সেখান থেকে তাঁদের স্থানচ্যুত করা প্রায় অসম্ভব বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশেষত, মুখহীন বা দুর্বলমুখ বিরোধী দল হলে সেই অসম্ভাব্যতা আরও প্রকট হয়ে পড়ছে।
সেজন্যই কিছুদিন হল বাংলার বিজেপি দলের অন্দরে দাবি উঠেছে—মুখ চাই মুখ। ২০২১ সালে জবরদস্ত লড়াইয়ের জন্য একটি কালিমাহীন শিক্ষিত সজ্জন মুখ চাই পদ্মশিবিরে সেনাপতি পদে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিত্বের উপযুক্ত দাবিদার হিসেবে। সেইমতো দিল্লিতে পৌঁছেছে বাংলার আবেদনও। তাতে সাড়া দিয়ে নাকি দলের রাজ্য সভার সংসদ সদস্য স্বপন দাশগুপ্তকে ‘মুখ’ করে যুদ্ধে নামার বার্তা পাঠিয়েছেন দিল্লির সাংগঠনিক কর্তারা। দিল্লিতে মনোজ তিওয়ারিকে দিয়ে ব্যর্থতাই এসেছে। কেজরিওয়াল ও তাঁর সুশিক্ষিত সুবক্তা দলের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি তিনি। বাংলায় সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি চাইছেন না অমিত শাহ থেকে বিজেপি নেতৃত্বের কেউই। অমিতজি তো স্বয়ং স্বীকার করেছেন, কুকথা পরনিন্দায় ক্ষতিই হয়েছে। কারণ, উল্টো দিক থেকে পাল্টা কুকথা উড়ে আসেনি কখনওই। বুদ্ধিটা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হোক কিংবা দলটা নিজ সিদ্ধান্তে কেবল গণপরিষেবা ও উন্নয়নের খতিয়ান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পেশ করে গেছে। ফল মিলেছে হাতেনাতে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পথেই হাঁটছেন। সভা-সমিতিতে সিএএ-এনআরসি-এনপিআরের বিরোধিতায় দু-চারটে কটুবাক্য বললেও অধিকাংশ জুড়েই থাকছে তাঁর বিপুল উন্নয়নের কথা, সংযত শান্ত ভাষণে।
একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী, তায় তাঁর আস্থাময় অক্লান্ত উন্নয়নমুখী ভাবমূর্তি—এমন দুই কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা যে কেবল দলীয়ভাবে সম্ভব নয়, সেটা বিজেপির একাংশ বুঝেছেন। এবং, সেইমতো স্বপন দাশগুপ্তকে খাড়া করতে চাইছেন তাঁরা ‘মুখ’ হিসেবে। কিন্তু, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানাচ্ছেন, কোনও মুখ লাগবে না। দলীয় রীতিপ্রথা অনুসারে যাবতীয় মোকাবিলা দলই করবে। তারপর ‘মুখ’-এর প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, একপক্ষ চাইছেন দুর্নীতি সন্ত্রাসের সঙ্গে ধর্মীয় মেরুকরণকে সামনে রেখে লড়তে। অন্যপক্ষের বক্তব্য, চলতি সরকারের ব্যর্থতা ও ‘অপশাসন’ হোক হাতিয়ার! আবার কেউ বলছেন, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই হিসেবে ২০২১ বিধানসভার আসরে নামতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশ মনে করছেন, ভোটের আগে (পুরভোট এসে গেল। এপ্রিলে) নীতি-নির্ধারণে এই মতপার্থক্যের কারণই মুখের অভাব। সেই মুখ যা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মিলেমিশে আপন ব্যক্তিত্ববলে কার্যকরী একটা রণকৌশল তৈরি করবেন এবং সেইমতো প্রাণপণ লড়াইতে প্রাণিত করবেন দলীয় নেতা-কর্মীদের। কিন্তু, তা না-হয়ে বিভাজনের আবহ তৈরি হয়ে যাচ্ছে বিজেপির মতো রেজিমেন্টেড পার্টিতেও!
অন্যদিকে, মমতার সঙ্গে লড়াইতে কেবল শিক্ষিত সজ্জন রাজনীতিক হলেই কি চলবে? মমতার ওই বিপুল জনপ্রীতি, তাকে টেক্কা দিতে হবে না? তার জন্য বঙ্গ বিজেপির সেই মুখকে জনপ্রীতিতেও তো যথেষ্ট দড় হতে হবে—তাই না? সবচেয়ে বড় মুশকিলটা বোধহয় সেখানেই। দিলীপ ঘোষ বছর চারেকের পরিক্রমায় এখন চেনা মুখ। কিন্তু, স্বপন দাশগুপ্ত কি পারবেন? মাঝে তো মাত্র বছরখানেক। বলতে কী, ২০২১ বিধানসভার লক্ষ্যপূরণের পথে আপাতত বঙ্গ বিজেপির চিন্তা সেখানেই। কারণ, আস্থার মুখটিকে ভালোমতো বুঝে নিতে না-পারলে অন্তত এই বাংলায় মানুষ মজেন না—এমনই বলেন মহাজনেরা, বলেছে দিল্লি। অতএব, সাধু সাবধান।  
20th  February, 2020
পদবি বনাম ব্যক্তি, কংগ্রেসের নেতৃত্ব সঙ্কট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 তিনমূর্তি ভবনে শায়িত নিথর শরীরটা। পাশে দাঁড়িয়ে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। নিষ্প্রাণ মুখটার দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে তার চোখ দুটো। ভবনের পরিবেশ ভারী হতে হতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা... ছেলেটি তার মৃত ঠাকুমার ভিজে গাল সবার অলক্ষে পরিষ্কার করে দিল।
বিশদ

25th  February, 2020
ঈশ্বরদর্শনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অষ্টমার্গ
বাবুলাল দাস

ঈশ্বরে মন এলে ক্রমে বুদ্ধি সুপথে পরিচালিত হয়। মন শুদ্ধ হয়ে ওঠে। শুদ্ধ মনে সদা শান্তি বিরাজ করে। শান্ত মনে ঈশ্বর অনুভব হয়। এসব কেবল শাস্ত্রেরই কথা নয়। এটিই অতি বাস্তব সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণ তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। সংসারে থেকে নানান প্রলোভনে পড়ে আমরা তা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। শুদ্ধ মন কী জিনিস বুঝি না। তাই এত গোল। এত কষ্ট। ঠাকুর উপায় বলে দিলেন। একহাতে সংসার ধরো, অন্য হাতে ঈশ্বর।
বিশদ

25th  February, 2020
কুকথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠভরা বিষ ...
সন্দীপন বিশ্বাস

আচ্ছা, দুধ থেকে কি করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা থাকে?
আচমকা শিবের প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যান পার্বতী। একটু থেমে বলেন, এমন কথা বলছো কেন?  বিশদ

24th  February, 2020
মোদি সরকারের সবকিছুই জাতীয় স্বার্থে আর তার তালিকাটিও শেষ হওয়ার নয়
পি চিদম্বরম

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তগুলির পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’’ 
বিশদ

24th  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

23rd  February, 2020
প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট।
বিশদ

21st  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সরকারি আইটিআই প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন লাটে ওঠার অভিযোগ তুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার জমালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামজীবনপুর আইটিআইতে।   ...

 রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন, ২৬ ফেব্রুয়ারি: সুয়েলা ব্রাভেরমান। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ক্যাবিনেটে রদবদলের পর চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে নিযুক্ত হন এই এমপি। অবশেষে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। ...

বিএনএ, আসানসোল: বেসরকারি গ্যাস কোম্পানির নিরাপত্তারক্ষী ছাঁটাই নিয়ে ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে আসানসোলে। কোম্পানি থেকে ২৯জনকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে অনশন শুরু করেছেন ছাঁটাই হওয়া নিরাপত্তারক্ষীরা।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২- ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮- লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
১৯৩৬- চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৯ টাকা ৭২.৫৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৫৯ টাকা ৯৪.৮৮ টাকা
ইউরো ৭৬.৪৯ টাকা ৭৯.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী অহোরাত্র। রেবতী ৪৭/৪০ রাত্রি ১/৮। সূ উ ৬/৪/১৪, অ ৫/৩৫/২, অমৃতযোগ রাত্রি ১/৫ গতে ৩/৩৫ বারবেলা ২/৪২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/৩৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্থী, রেবতী ৪২/২৩/২২ রাত্রি ১১/৪/৩৪। সূ উ ৬/৭/১৩, অ ৫/৩৪/৯। অমৃতযোগ দিবা ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৪২/২৫ গতে ৪/৮/১৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫০/৪১ গতে ১/২৪/৪৯ মধ্যে। 
২ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি, শেয়ার ফাটকায় অর্থপ্রাপ্তির যোগ। বৃষ: বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮০২- ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮- লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩১- ...বিশদ

07:03:20 PM

এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেল পোলবা দুর্ঘটনায় জখম দিব্যাংশ ভকত 

07:08:00 PM

দিল্লি হিংসার ঘটনায় দুটি সিট গঠন করল ক্রাইম ব্রাঞ্চ 

06:49:02 PM

১৪৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:08:26 PM

জলপাইগুড়িতে ২১০ কেজি গাঁজা সহ ধৃত ৩ 

03:39:45 PM