Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের চেয়ে এটা ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশের মতো। এই বাজেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল—গত অর্থবর্ষ এবং তার পূর্ববর্তী অর্থবর্ষের রাজস্ব (রেভিনিউ) ঘাটতি যথেষ্ট কমানো গিয়েছে। রাজস্ব ঘাটতি কমানোর অর্থ হল বেতন, পেনশন, সুদ প্রভৃতি বাবদ ভোগব্যয় হ্রাস করা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেট থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের প্রকৃত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, রাজস্ব ঘাটতি ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি কমে ৯,৮০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এটা এই বছরের জিডিপির ১.০৩ শতাংশ। বামফ্রন্টের শেষ সময়ে এটা জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। রাজকোষ (ফিসকাল) ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মতো। এটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯,১০০ কোটি টাকার মতো। এটা জিডিপির ২.৮ শতাংশের কাছাকাছি। বামফ্রন্টের শেষ বছরে এটা ছিল জিডিপির ৪.১ শতাংশ। এই বাজেটের ভালো দিক হল, সরকারি মূলধনী ব্যয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৭ থেকে ২০১৮—অর্থাৎ ওই এক বছরে সরকারকে ঋণ নিতে হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে মূলধনী ব্যয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ঋণের ৭০ শতাংশেরও বেশি ও রাজকোষ ঘাটতির ৬৫ শতাংশের বেশি মূলধনী খাতে ব্যয় করতে পেরেছে বর্তমান সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বামফ্রন্টের শেষ বছরে মূলধনী ব্যয় ছিল মোট ঋণ অথবা মোট রাজকোষ ঘাটতির ১১ শতাংশেরও কম। ফলে, রাজ্যের রাজস্বশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের পক্ষে এটা নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক দিক।
এই বাজেট থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ সংশোধিত বাজেটে অনুমিত বাজেটের তুলনায় অতিরিক্ত ৬০০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব বাড়াতে পেরেছে রাজ্য। অনুমিত বাজেটে ধরা হয়েছিল ১৪৬ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৫২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধি রাজ্যের নিজস্ব কররাজস্বের ক্ষেত্রেও হয়েছে এবং হয়েছে কেন্দ্রীয় কর আয়ের শেয়ার থেকেও কিছুটা। রাজ্যের নিজস্ব কর আয় ধরা হয়েছিল ৫৫,২০০ কোটি টাকা। এই আয় বৃদ্ধি কার্যত জিএসটির আয় থেকে অতিরিক্ত বৃদ্ধি নয়। এই বৃদ্ধি ঘটেছে জিএসটি বাদে রাজ্যের আয়গুলির ক্ষেত্রে। রাজ্য বাজেট তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে—এসজিএসটি এবং আইজিএসটি বাবদ আয় রাজ্যের নিজস্ব কর আয়ের ৪২ শতাংশের মতো। বাকি ৩৮ শতাংশের আয় আসছে রাজ্যের নিজস্ব সূত্র থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হচ্ছে রাজ্য আবগারি থেকে। এই আয় ধরা হয়েছিল ১০,৫০০ কোটি টাকা—যা নিজস্ব কর আয়ের ১৯ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় এই আয় কিছুটা বেড়েছে বলেই অনুমান হয়। স্ট্যাম্প ডিউটি, বিদ্যুৎ কর প্রভৃতি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গিয়েছে। এই বৃদ্ধির পিছনে পেট্রল ও ডিজেল শুল্ক আদায়ের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এবার ঘাটতির প্রসঙ্গে আসা যাক। রাজস্ব ঘাটতি বা বর্তমান ভোগব্যয়ে ঘাটতির পরিমাণ সংশোধিত বাজেটে ৭,৫২৪ কোটি টাকা—যা ওই বছরের জিডিপির ০.৬ শতাংশ। এটা তার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় যথেষ্ট কম। এটা শূন্যে নামিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য। রাজকোষ ঘাটতি জিডিপির ২.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে—যা টাকার অঙ্কে ৩০ হাজার কোটির বেশি। তবে, আশার খবর এই—মূলধনী ব্যয় ২৪,৪১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ মূলধনী ব্যয় রাজকোষ ঘাটতির চার ভাগের তিন ভাগেরও বেশি।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেটে মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এটা এই বছরের রাজকোষ ঘাটতির ৮০ শতাংশেরও বেশি। এখানে লক্ষণীয় হল—আগামী বছরে সরকারের অতিরিক্ত জনমুখী প্রকল্প বাবদ—যেমন কৃষক বন্ধু প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত থেকে বেরিয়ে আসার ফলে স্বাস্থ্যসাথি প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ, মোদির খেলো ইন্ডিয়া খেলোর আদলে কোচিং ক্যাম্পের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রভৃতি—অতিরিক্ত দশ-বারো হাজার কোটি টাকার ধাক্কা বর্তমান সরকারকে বহন করতে হবে। এর ফলে, রাজস্ব ঘাটতি ও রাজকোষ ঘাটতির যথেষ্ট বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। আর সেইজন্যই রাজ্যকে অতিরিক্ত আয়ের সংস্থানও দেখতে হবে।
এই বাজেটে অতীতের কিছু পরিসংখ্যানের সঙ্গে বাড়তি জনমুখী উদ্যোগও যথেষ্ট লক্ষ করা গিয়েছে। শিক্ষিত কর্মপ্রার্থীর স্বরোজগার প্রকল্পে ৫০ হাজার শিক্ষিত কর্মপ্রার্থীদের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। ২ লক্ষ ১০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মাসিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা। এটা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হবে। ‘আশা’ কর্মীদেরও মাসিক ভাতা বাড়ানো হল ৫০০ টাকা হারে। এক লক্ষেরও বেশি চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি কর্মীদের মাসিক ভাতা ২০০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। চাকরি মেয়াদ অন্তে তাঁরা এককালীন আরও অতিরিক্ত ১ লক্ষ টাকা পাবেন। অর্থাৎ এবার মোট পাবেন ৩ লক্ষ টাকা। ২০১৬ থেকে যা ছিল ২ লক্ষ টাকা। মাধ্য঩মিক পাশ চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি কর্মীরা তিন বছর চাকরি অন্তে স্বাভাবিক নিয়মে চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ সি-তে উত্তীর্ণ হয়ে যাবেন। এই প্রমোশনের ঘোষণাও সংশ্লিষ্টদের নিঃসন্দেহে খুশি করবে।
এই বাজেট থেকে আরও জানা গেল, ৫২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে এসেছে। ফসল বিমা যোজনায় ৪০ লক্ষেরও বেশি কৃষক নথিভুক্ত হয়েছেন এবং এঁদের প্রিমিয়ামে পুরো ছাড় দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৩২ লক্ষ কৃষককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষের বেশি কৃষক ১ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পাচ্ছেন। বামফ্রন্টের শেষ বছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মোট সংখ্যা যেখানে ছিল ১৪ লক্ষ, সেটা এই আমলে ৯০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। খাদ্যসাথি প্রকল্পে ৮ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ এর আওতায় এসেছে। এখন ভর্তুকি বাবদ বার্ষিক খরচ ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বামফ্রন্টের শেষ বছরে এটা ছিল মাত্রই ১ হাজার কোটি টাকার মতো। সোমবার বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী আরও জানান, গত অর্থবর্ষে শিল্প ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ এসেছে ৫৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এছাড়াও পুরনো ট্যাক্সের সেটলমেন্ট স্কিমে কর আদায়ের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সাফল্য এসেছে বলে অর্থমন্ত্র দাবি করেন।
যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা এনে উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করারই দিশা দেখিয়েছে এই বাজেট। ২০১৬-১৭ সালের তুলনায় বর্তমান বাজেট আলোচনায় দেখা যাচ্ছে— ২০১৭-১৮ সালে রাজস্ব ঘাটতি বা ভোগব্যয় ঘাটতি প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। তার পরের বছরের সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি আরও কম বলে ধরা হয়েছে। তাছাড়াও রাজকোষ ঘাটতির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে—২০১৭-১৮ সালের মূলধনী ব্যয় ওই বছরের রাজকোষ ঘাটতির ৬৫ শতাংশেরও বেশি—যা বাম জমানার শেষ বছরে ছিল ১১ শতাংশের মতো। বর্তমান বছরের সংশোধিত বাজেটেও দেখা যাচ্ছে—মূলধনী ব্যয় এই বছর রাজকোষ ঘাটতির ৮৫ শতাংশেরও বেশি। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ পশ্চিবঙ্গের থেকে বেশি হলেও তার সিংহভাগই তারা মূলধনী খাতে ব্যয় করে। কারণ, এর ফলে অতিরিক্ত সম্পদ সৃষ্টি হয় এবং অতিরিক্ত রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কিন্তু, আগামী বছরে অন্যান্য চলমান প্রকল্পসহ অতিরিক্ত দশ-বারো হাজার কোটি টাকার জনমুখী প্রকল্পে খরচ করা হলে, বর্তমানে যে রাজস্বশৃঙ্খলা অর্জন করা গিয়েছে সেটার কতখানি রক্ষা করা যাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
 লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অর্থনীতির অধ্যাপক
05th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

30th  January, 2019
পোড়া দেশ, খোঁড়া রাজনীতি 
মোশারফ হোসেন

বছর কুড়ি আগের ঘটনা। বিহারের হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জমজমাট এলাকায় দুই বঙ্গসন্তান সাংবাদিককে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় বাসিন্দা। বেশিরভাগই মধ্যবয়সি বা তার চেয়ে প্রবীণ। ‘কলকাত্তা সে দো পত্রকার আয়া’—ভিড়টা এজন্যই। বিহারের মানুষের কাছে কলকাতার গুরুত্ব চিরকালই একটু অন্যরকম।  
বিশদ

29th  January, 2019
পুরাতনের বিদায়, নূতনের অভ্যর্থনা 

পি চিদম্বরম: তামিলনাড়ুতে উৎসবকে ‘ভোগী’ বলা হয়। ভারতের অন্যান্য অংশে বলা হয় ‘লোহড়ী’। ফসল কাটার সময় আসন্ন। এটাই হল ষাঁড়, গাভী, লাঙল প্রভৃতিকে মর্যাদা দানের এবং কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে উদযাপনের সময়। নতুন প্রভাতকে অভ্যর্থনা করার আগে আমরা পুরনোকে নিশ্চয় ছুড়ে ফেলে দেব—পুরনো বস্ত্র, ভাঙা কৃষি সরঞ্জাম এবং অকেজো টুকিটাকি জিনিসপত্র যা সব আমরা জড়ো করেছিলাম পুরনো বছরে।  বিশদ

28th  January, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ত্রিভুজ কম্বিনেশনের সাহায্যেই রবিবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি পুনে সিটি’কে হারানোর স্বপ্ন দেখছে এটিকে। রবিবার পুনের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে খেলবে স্টিভ কোপেলের দল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আট বছরের এক বালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। উত্তেজনা থাকে পরদিন সকাল পর্যন্ত। ...

 হায়দরাবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): চূড়ান্ত অবহেলার নজির। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর পেটের ভিতরই একজোড়া কাঁচি রেখে পেট সেলাই করে দিলেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের একটি সরকারি ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাপ্য আদায়ের জন্য রাজনৈতিক লড়াইকে এবার চ্যালেঞ্জের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে সিপিএম। সেই কারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে প্রস্তাবিত ধর্না কর্মসূচি নিয়ে এসপার-ওসপার মনোভাব নিতে চায় তারা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর রেঙ্গুনে নির্বাসিত
১৮৯৫ - উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন।
১৯০০ - ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯০২ – মণীশ ঘটক, বাঙালি গল্পকার, কবি এবং ঔপন্যাসিকের জন্ম
১৯৪৩: মার্কিন দাবাড়ু ববি ফিশারের জন্ম
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯ - বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: ভরতনাট্যম শিল্পী বালা সরস্বতীর মৃত্যু

09th  February, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১৯/৪৪ দিবা ২/৯। রেবতী ২২/২৩ রাত্রি ৭/৩৭। সূ উ ৬/১৫/৪৭, অ ৫/২৬/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৬ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১০/২৫/৩। রেবতীনক্ষত্র অপঃ ৪/২৩/৩০, সূ উ ৬/১৭/৮, অ ৫/২৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/১/৩৭ থেকে ৯/৫৯/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৭/২৬ থেকে ৮/৫০/১৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৭/২২ থেকে ১১/৫০/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৪৬ থেকে ১/১৪/১১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২২ থেকে ৩/৩/৫৭ মধ্যে।
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে পারেন। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: স্বামী-স্ত্রীর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী ...বিশদ

07:03:20 PM

বেলেঘাটার একটি আবাসনে ২ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিস 

06:07:00 PM

মেদিনীপুর শহরে চলল গুলি, তদন্তে পুলিস 

06:03:00 PM

মুম্বইতে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার কোকেন সহ গ্রেপ্তার ৪ বিদেশি নাগরিক 

05:40:00 PM

মুম্বইয়ের নেহেরু নগরে ২টি বাসে আচমকা আগুন

04:54:00 PM