Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুরাতনের বিদায়, নূতনের অভ্যর্থনা 

পি চিদম্বরম: তামিলনাড়ুতে উৎসবকে ‘ভোগী’ বলা হয়। ভারতের অন্যান্য অংশে বলা হয় ‘লোহড়ী’। ফসল কাটার সময় আসন্ন। এটাই হল ষাঁড়, গাভী, লাঙল প্রভৃতিকে মর্যাদা দানের এবং কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে উদযাপনের সময়। নতুন প্রভাতকে অভ্যর্থনা করার আগে আমরা পুরনোকে নিশ্চয় ছুড়ে ফেলে দেব—পুরনো বস্ত্র, ভাঙা কৃষি সরঞ্জাম এবং অকেজো টুকিটাকি জিনিসপত্র যা সব আমরা জড়ো করেছিলাম পুরনো বছরে। ‘ভোগী’ দিবসে ওইগুলো নিয়ে আমরা একটা প্রতীকী বহ্ন্যুৎসব করব। পরবর্তী দিনটা হল ‘পঙ্গল’ বা ‘সংক্রান্তি’, ফসল কাটার উৎসব। তামিলনাড়ুতে ‘জাল্লিকাট্টু’ (ষাঁড়কে বশীভূত করা) হল এই উদযাপনের একটা অঙ্গ।
‘পুরাতনের বিদায়, নূতনের অভ্যর্থনা’র মধ্যেই নিহিত রয়েছে ফসল ঘরে তোলার মর্মকথা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছি, পরবর্তী সরকারকে বরণ করে নেওয়ার আগে আমরা কী কী বিদায় করে দিতে পারি। আমি কয়েকটার এক তালিকা তৈরি করতে পেরেছি।
পেশির জোর খাটানো মানসিকতা
রাষ্ট্রীয় পরাক্রমে যেসব জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই ত্যাগ করব পেশির জোরে সমাধান করার মানসিকতা (মাসকুলার অ্যাপ্রোচ)। জম্মু ও কাশ্মীরে পেশির জোর খাটানোর ব্যাপারটা ভীতিপ্রদ মাত্রা নিয়েছে: এটা পেশিবহুল, সামরিক মানসিকতা ও সংখ্যাগুরু আধিপত্য, জনসংখ্যার পুরোটাকে শত্রুভাবাপন্ন করে তোলা এবং যুবদের জঙ্গিবাদ আলিঙ্গনে প্ররোচিত করা। একজন সুন্দর যুবা পুরুষ, আইএএস ২০১০ ব্যাচের টপার, ক্ষোভে হতাশায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মাসকুলার অ্যাপ্রোচই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে জাতীয় পঞ্জিকরণে (এনআরসি) গতি এনেছে এবং প্রাথমিকভাবে ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জন মানুষের নাম বাদ গিয়েছে—যে মানুষগুলো নিজেদের রাষ্ট্রহীন ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন। মাসকুলার অ্যাপ্রোচ থেকেই এবার উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল, যার কারণ আপাতদৃষ্টিতে অন্যান্য দেশের ‘নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের’ বিষয়ে উদ্বেগ ঘুরে যাওয়া, বিশেষত বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের জন্য। মাসকুলার অ্যাপ্রোচ দূর হওয়া আবশ্যক।
দ্বিতীয়ত, যে-ক্ষেত্রে আইন অন্যায্য সে-ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আইন প্রত্যাহার করব অথবা পুনরায় আইন তৈরি করব। তালিকার শীর্ষে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা—যেটা প্রয়োগ করা হয় ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ ঠেকানোর নামে। এটাকে ঝাড়েমূলে বিদেয় করতে হবে। মৃত্যু ঘটানো পর্যন্ত ক্ষমতা প্রয়োগের (‘দ্য পয়েন্ট অফ কজিং ডেথ’) অনুমোদন দেয় যে বিশেষ আইন [দি আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ারস) অ্যাক্ট] সেটাকে অবশ্যই বাতিল করতে হবে অথবা ব্যাপকভাবে সংশোধন করতে হবে। অবশ্যই প্রয়োজন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বিধির আমূল বদল। যদি কোনও ব্যক্তি দাবি করতে পারেন যে তিনি সেন্ট্রাল জিএসটি অ্যাক্টের ‘টেক্সট’—যার ভাষাকে ‘আইনি ইংরেজি’ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়—অনুধাবন করতে পেরেছেন, সেই ব্যক্তি তো আইনজীবীদের সংঘে (বার) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত, তাঁর আইন পরীক্ষায় পাশ করার দরকার কী! জিএসটি বিধিতে মুনাফা-বিরোধী ব্যবস্থা অবশ্যই দূর হওয়া প্রয়োজন। সবেমাত্র চালু হওয়া ব্যবসার (স্টার্ট-আপস) উপর চাপানো ‘অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স’ অবশ্যই তুলে দিতে হবে।
গরিবদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত
তৃতীয়ত, আনাড়ির মতো সাজানো এবং পরম্পরাগত পক্ষপাতমূলক (দরিদ্রদের মধ্যে) স্কিমগুলো অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং সেই জায়গায় এমন প্রকল্প চালু করতে হবে যার দ্বারা সত্যি সত্যিই গরিবদের উপকার হয়। লম্বা তালিকা: ‘মুদ্রা’ ঋণ, ‘স্বচ্ছ ভারত’ যেটার মাধ্যমে এমন শৌচাগার তৈরি করা হয়—যেগুলো অব্যবহৃত অথবা ব্যবহারেরই অযোগ্য, ‘ফসল বিমা যোজনা’ যা কৃষকদের লুট করে এবং সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানিগুলোকে বড়লোক বানায়, ‘কৌশল বিকাশ যোজনা’ (দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচি) যেটা ট্রেনিদের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশের কাজের ব্যবস্থা করতে পারে, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ (সকলের জন্য স্বাস্থ্য) যেটাতে প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য অর্থ বরাদ্দ করা হয় (আন্ডারফান্ডেড) এবং বাদ পড়ে যায় যেসব গরিব মানুষের প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই তারা। আপনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেও কোনও স্কিমকে এই তালিকায় যোগ করে দিতে পারেন। এই সমস্ত স্কিমের মারাত্মক ত্রুটিগুলো দূর হওয়া আবশ্যক।
চতুর্থত, আধার নিয়ে যে বাড়াবাড়ি চলছে তাও বন্ধ হওয়া জরুরি। আধার আইন সরকারকে আধার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে শুধুমাত্র ‘কিছু ভর্তুকি, সুবিধা ও পরিষেবা’র হস্তান্তরের প্রয়োজনে। সরকার এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ ঘটাচ্ছে এবং অন্য অনেক প্রয়োজনেও আধার ব্যবহারের ইন্ধন জোগাচ্ছে এবং মানুষের বিপুল ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করে নিচ্ছে। বেআইনিভাবে তথ্য হাতানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এটা কীভাবে করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন, পরবর্তী সরকারকে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে।
ইভিএএম বনাম ব্যালট
অবশেষে, কিছু সচেতন নাগরিক চান যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সরে যাক এবং ব‌্যালট পেপার ব‌্যবস্থায় ফিরে যাওয়া হোক। অন‌্যদিকে, নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ইভিএমের নামে শপথ নিয়েছে। সহজে ভোটদানের যুক্তিতে আমি ইভিএম সমর্থন করেছিলাম, কিন্তু ইভিএমের ত্রুটির (‘ম্যালফাংশনিং’) অগুনতি দৃষ্টান্ত আমাকে চিন্তায় ফেলেছে। এই ঘটনার থেকে আমি ভিভিপ‌্যাট-এর পক্ষে সওয়াল করি। এখন, বিধানসভা কেন্দ্রপিছু একটা ইভিএম এবং একটা ভিভিপ‌্যাটের গণনা মিলানো বা ম‌্যাচ করানো হয়। এক-একটা কেন্দ্রে গড়ে ২৫০-৩০০ পোলিং স্টেশন থাকে। সুতরাং, ইলেক্ট্রনিক ইউনিটে অপকম্ম ধরা পড়ার চান্স ১ শতাংশেরও কম। এইজন‌্য আমি সওয়াল করেছি যে ‘প্রতিটা’ ইভিএমের গণনা অবশ‌্যই যেন ভিভিপ‌্যাট স্লিপের ‘ফিজিক‌্যাল কাউন্ট’-এর সঙ্গে ‘ম‌্যাচ’ করানো হয়। এতে ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হবে—এটা দুর্বল যুক্তি। ফলাফল ঘোষণায় তিন-চার ঘণ্টা বিলম্ব হলে কোনও ক্ষতি হবে না যদি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং প্রক্রিয়ায় অধিক আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়।
আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমার এবং অন‌্যদের পরামর্শ, ব‌্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবির সামনে সন্তোষজনক জবাব হতে পারে। কিন্তু, আমার উৎসাহ মিইয়ে গেল একটা কাগজে (দ‌্য হিন্দু, ২২ জানুয়ারি ২০১৯) জি সম্পৎ-এর বুদ্ধিদীপ্ত-যুক্তিসন্নিবেশিত একটা লেখা পড়ে। ওই লেখকের বক্তব‌্য অনুসারে, পেপার ব‌্যালট সিস্টেম একাই তিন তিনটে পরীক্ষায় সন্তুষ্টি দিতে পারে—ভোটের চাক্ষুষ নিশ্চিন্তি (ভিস‌্যুয়াল কনফার্মেশন), গোপন ব‌্যালট এবং দৃশ‌্যমান গণনা। জার্মান সাংবিধানিক আদালতের রায়ে এটা প্রতিষ্ঠিত যে ইভিএম-ভিভিপ‌্যাট সিস্টেম এই তিনটে পরীক্ষাতেই অকৃতকার্য। ওই লেখক অথবা জার্মান আদালতের সঙ্গে ভিন্নমত হওয়া কঠিন। সুতরাং আমি বলতে পারি না যে ইভিএম চলে যাওয়া আবশ‌্যক, প্রতিটা পোলিং স্টেশনের গণনা ম‌্যাচ করানোর দাবি জানানো উচিত আমাদের।
আমরা যদি ময়লার সাফ করে দিতে পারি তবে হয়তো পুকুরের জলটুকু পান করতে পারব।  
28th  January, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

30th  January, 2019
পোড়া দেশ, খোঁড়া রাজনীতি 
মোশারফ হোসেন

বছর কুড়ি আগের ঘটনা। বিহারের হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জমজমাট এলাকায় দুই বঙ্গসন্তান সাংবাদিককে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় বাসিন্দা। বেশিরভাগই মধ্যবয়সি বা তার চেয়ে প্রবীণ। ‘কলকাত্তা সে দো পত্রকার আয়া’—ভিড়টা এজন্যই। বিহারের মানুষের কাছে কলকাতার গুরুত্ব চিরকালই একটু অন্যরকম।  
বিশদ

29th  January, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, গাজোল: পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুরের স্টাইলিস ক্লাবের সরস্বতীপুজো বরাবরই নজর কাড়ে। হিন্দু ও মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষই এই পুজোর আয়োজন করে। ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: লোকসভা ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বীরভূমের গ্রামগুলিতে ‘সাবধান’ শিরোনামে লিফলেট ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এলাকায় লিফলেটগুলি ছড়িয়ে ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাপ্য আদায়ের জন্য রাজনৈতিক লড়াইকে এবার চ্যালেঞ্জের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে সিপিএম। সেই কারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে প্রস্তাবিত ধর্না কর্মসূচি নিয়ে এসপার-ওসপার মনোভাব নিতে চায় তারা। ...

 হায়দরাবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): চূড়ান্ত অবহেলার নজির। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর পেটের ভিতরই একজোড়া কাঁচি রেখে পেট সেলাই করে দিলেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের একটি সরকারি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর রেঙ্গুনে নির্বাসিত
১৮৯৫ - উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন।
১৯০০ - ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯০২ – মণীশ ঘটক, বাঙালি গল্পকার, কবি এবং ঔপন্যাসিকের জন্ম
১৯৪৩: মার্কিন দাবাড়ু ববি ফিশারের জন্ম
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯ - বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: ভরতনাট্যম শিল্পী বালা সরস্বতীর মৃত্যু

09th  February, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১৯/৪৪ দিবা ২/৯। রেবতী ২২/২৩ রাত্রি ৭/৩৭। সূ উ ৬/১৫/৪৭, অ ৫/২৬/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৬ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১০/২৫/৩। রেবতীনক্ষত্র অপঃ ৪/২৩/৩০, সূ উ ৬/১৭/৮, অ ৫/২৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/১/৩৭ থেকে ৯/৫৯/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৭/২৬ থেকে ৮/৫০/১৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৭/২২ থেকে ১১/৫০/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৪৬ থেকে ১/১৪/১১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২২ থেকে ৩/৩/৫৭ মধ্যে।
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে পারেন। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: স্বামী-স্ত্রীর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী ...বিশদ

07:03:20 PM

বেলেঘাটার একটি আবাসনে ২ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিস 

06:07:00 PM

মেদিনীপুর শহরে চলল গুলি, তদন্তে পুলিস 

06:03:00 PM

মুম্বইতে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার কোকেন সহ গ্রেপ্তার ৪ বিদেশি নাগরিক 

05:40:00 PM

মুম্বইয়ের নেহেরু নগরে ২টি বাসে আচমকা আগুন

04:54:00 PM